Logo
শিরোনাম

ধামরাইয়ে ৫৮৪ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ধামরাই উপজেলার ৫৮৪ জন এস.এস.সি ও সমমান পরীক্ষায় A+ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৭ তম জম্মদিন উপলক্ষ্যে গোয়ালদী কাশিপুর ঈদগাহ্ মাঠে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় অতিথিদের ক্রেষ্ট প্রদান,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্রেষ্ট এবং বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বই দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা ২০ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ মালেক।

আরো উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধামরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন,,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান আফছার উদ্দিন জিন্নাহ,ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম,ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান,ধামরাই পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সুজন,ধামরাই সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব,যুবলীগ নেতা শাহিনুর ইসলাম শাহিন প্রমুখ।


আরও খবর



মাদক কারবারিদের হুমকি, ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

মাদক ও চোরাকারবারিদের মিথ্যা সাজানো বিভিন্ন মামলা ও ষড়যন্ত্রের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এমন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উখিয়ার কামাল উদ্দিন নামের এক ইউপি সদস্য।

গতকাল শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ঘটিকার সময় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন তার ওয়ার্ডের তেলখোলা বাজার নামক তার নিজস্ব অফিস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের ইউনিয়ন ও এলাকার কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। কারণ আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও আমার এলাকায় যারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে তারা আমাকে প্রশাসনের সাথে চলাচল করতে দেখলে মনে করে তাদের গোপনীয় অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্যের তথ্য আমি প্রশাসনকে দিচ্ছি এমন সন্দেহে আমাকে হুকমি দিচ্ছেন তারা।

যারা হুমকী দিচ্ছে তারা প্রতিনিয়ত মায়ানমার থেকে ইয়াবা, সিগারেট, বড় বড় মহিষের চালানের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে আসছে। এতে তারা আমাকে পথের কাটা মনে করে বার বার হুমকী দিচ্ছে। তারা আমাকে মাদক, ইয়াবা, অস্ত্র, আইসসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য বাসায়, কিংবা আমার অফিসে ডুকিয়ে দিয়ে প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকী দিয়ে আসছে। তাই আজকে আমি এই সংবাদ সম্মেলন করছি। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ সকল আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে অনুরোধ করব যারা প্রকৃত যাদক ও চোরাচালানের ব্যবসা করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এবং সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাচ্ছি আমি যদি কোন অবৈধ কোন কাজে লিপ্ত থাকি আমি শাস্তি পেতে সব সময় প্রস্তুত আছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, নিজের আত্মরক্ষার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে এমন তথ্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা বড় মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ না করার কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে (কামাল মেম্বারকে) কারা হুমকী দিচ্ছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে? মেম্বার উত্তরে বলেন, আমি আমার প্রাণ রক্ষার্থে তাদের ভয়ে নাম প্রকাশ করছিনা। তবে আমি প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।


আরও খবর



মার্কিন পরামর্শে নির্বাচনে যেতে রাজি নয় তারেক জিয়া,বিএনপিতে ভাঙনের সুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শর্তহীন সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে নির্বাচনে যাবারও পরামর্শ দিচ্ছে।

 নির্বাচনে গিয়ে যদি তারা দেখে যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না, তখন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বা নির্বাচনের ব্যাপারে আপত্তি তোলার প্রস্তাব দিয়েছে। 

কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ নেতা এই প্রস্তাবে রাজি হলেও লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া এই প্রস্তাবে সম্মত হননি। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সমর্থনের প্রশ্ন নিয়ে বিএনপির মধ্যে সুস্পষ্ট দ্বিধা-বিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই দ্বিধা বিভক্তির ফলে বিএনপিতে ভাঙ্গনের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিএনপির একটি বড় অংশ মনে করে বর্তমান আন্দোলন সফল করতে গেলে বা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং সমর্থন লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই৷ 

আর এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ এবং নির্দেশনাগুলো শোনা উচিত। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে শর্তহীন সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোকে যেতে হবে, এজন্য বিএনপির উচিত সংলাপের প্রস্তাবে রাজি হওয়া। 

কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংলাপের প্রস্তাবে বিএনপি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত দুই বছর ধরে বিএনপির প্রতি যে ধরনের সহানুভূতি দেখাচ্ছিল তার অবসান ঘটবে বলে অনেক বিএনপি নেতার শঙ্কা। 

বিএনপি নেতারা এটাও বলছেন যে, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, ভারত এখন বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে সরাসরি স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে।

 এই অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রুষ্ট করে বিএনপি আন্দোলন করলে সেটি হবে আত্মঘাতী এবং সেই আন্দোলনের ফলে আর যাই হোক নির্বাচন ঠেকানো যাবে না এবং সরকারেরও পতন ঘটানো যাবে না। 

এরকম বাস্তবতায় কৌশলগত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ শোনার তাগিদ দিচ্ছেন বিএনপির অনেক নেতা এবং এই মতামতের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। 

তিনি এই নিয়ে একাধিকবার লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে ড. মঈন খান এবং অন্য যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ অনুযায়ী সংলাপে বসা এবং নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে তাদেরকে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া তীব্র ভর্ৎসনা করছেন এবং কোনো অবস্থাতেই সংলাপ নয় বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবকে বিএনপি একটি ফাঁদ হিসেবে দেখছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়া এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা মনে করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগ ম্যানেজ করে ফেলেছে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মনোভাবগুলো দেখাচ্ছে সবই ২০১৮ তে ড. কামাল হোসেন যেরকম নাটক করেছিল তারই অনুরূপ। 

এর মাধ্যমে বিএনপিকে সংলাপে নিয়ে যাওয়া হবে। সংলাপের পর বিএনপিকে নির্বাচনেও নিয়ে যাওয়া হবে এবং নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগকে আরেকবার বৈধতা দিবে। এই কৌশলেই এখন শর্তহীন সংলাপের কথা বলা হচ্ছে। 

বিএনপির তারেকপন্থিরা মনে করছেন যে এতদিন ধরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না ইত্যাদি বলে এখন যদি বিএনপি সংলাপে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি হবে তাদের সুস্পষ্ট পরাজয় এবং এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনে বিএনপির কোনো অবস্থানে থাকবে না।

 বরং আন্দোলন অব্যাহত রাখাকেই তারা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। বিএনপির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্নে বিভক্তি এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।

 এর মধ্য দিয়ে বিএনপির একটি অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো সংলাপে অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারীদের বিষয়ে নিশ্চুপ ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :সংসদ নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 তিনি বলেন, একটি দল প্রকাশ্যে নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বাংলাদেশের একটি দলের দোসররা হরতাল, অবরোধ ডাকছে। পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তারা আমাদের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করছে, গণতন্ত্রে চ্যালেঞ্জ করছে। এটাই কী আন্দোলন?

তিনি বলেন, জোটবদ্ধ হবে মানে- তারা কারা কারা প্রার্থী, সেটা আমরা দেখি। আমাদের হাতে কিন্তু সময় আছে। আমাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যে আমরা অবজার্ভ করবো, মনিটর করবো, অ্যাডজাস্ট করবো, অ্যাকোমোডেট করবো।

 যেখানে যেটা প্রয়োজন, সেটা আমরা করবো। স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টাও এরকম এবং ডামি ক্যান্ডিডেটের ব্যাপারেও বিষয়টা এরকম। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই নির্বাচনের বাইরে গেছে। তাদের কেউ নির্বাচন থেকে দূরে রাখেনি। তারা হরতাল করছে, প্রকাশ্যে পুলিশ হত্যা করছে, মানুষের ওপর অত্যাচার করে সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করছে।

 বিএনপির সন্ত্রাস কার্যক্রম ঢেকে রাখার মতো নয়, সব কিছু সবাই দেখছে  প্রকাশ্যে যারা পুলিশ হত্যা করেছে গাড়ি পোড়াচ্ছে হামলা করছে তাদের কি বিচার হবে না? যারা অপকর্ম করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবেই।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কোনো কৌশল আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আনার কৌশল আমাদের নেই। 

তারা এলে আমাদের আপত্তি নেই। তারা এলে স্বাগতম। কেউ কেউ আসতে পারেন, কেউ কেউ প্রস্তুতিও নিচ্ছেন নির্বাচনের।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী . এস জয়শংকর দুদেশের সম্পর্ককে একটি মডেল সম্পর্ক বলে মন্তব্য করেছেন

লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিতহাউ অ্যা বিলিয়ন পিপুল সি দ্য ওয়ার্ল্ডশীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন। খবর এএনআইয়ের

সাংবাদিক লিওনেল বারবারের সঞ্চালনায় লন্ডনের ওভার-সিস লিগ ক্লাবে আয়োজিত আলোচনায় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের এক প্রশ্নের জবাবে এস জয়শংকর মন্তব্য করেন

সাইদা মুনা তাসনিমের প্রশ্নটি ছিল: ভারতের কাছে তার পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে দেশটির নিরাপত্তা, আঞ্চলিক যোগাযোগ সমৃদ্ধি বিনিময়ের ক্ষেত্রে

সাইদা মুনা তাসনিমের প্রশ্নের উত্তরে জয়শংকর দুদেশের আঞ্চলিক বিরোধ নিরসনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো পুনর্গঠনে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থল সীমানা নিয়ে বিরোধের মীমাংসা করেছি; যা আসলে একটি বিশাল ব্যাপার। আমাদের সমুদ্রসীমা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। এটাও আমরা মীমাংসা করেছি। দুদেশের সীমানা নিয়ে এসব বিরোধ নিরসন অন্যান্য দেশ অঞ্চলের জন্য একটি ভালো উদাহরণ

এছাড়াও ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকারী দুটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে সংযোগকারী দুটি রেললাইনের উদ্বোধন হয়েছে; একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও উদ্বোধন হয়েছে আমরা আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহার করছি বন্দর দিয়ে বেশি যানবাহন আসায় তারা উপকৃত হচ্ছে

জয়শংকর উল্লেখ করেন, তাই বলা যায়, আজ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উপমহাদেশে আঞ্চলিক সহযোগিতা সুবিধার ক্ষেত্রে একটি মডেল সম্পর্ক হিসেবে দাঁড়িয়েছে

উল্লেখ্য, গত রোববার (১২ নভেম্বর) পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রিটেন গেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার লক্ষ্যেই তার সফর


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




অস্থির ডলারের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ ধরে আবারো অস্থিরতা ডলারের বাজারে। প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কেনার নির্দেশনা থাকলেও অনেক ব্যাংক এমনকি ১২৪ টাকা দরেও ডলার কিনেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও আমদানিতে এসব ডলার বিক্রির কথা ১১১ টাকা দরে। এছাড়া খোলাবাজারেও ডলারের দাম ১২৭ টাকা পর্যন্ত উঠতে দেখা গেছে। কেন এমন পরিস্থিতি?

ঢাকার একজন খাদ্য আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন। আমদানির জন্য বিভিন্ন সময় ব্যাংকে এলসি খুলতে হয় তাকে।

তিনি জানাচ্ছেন, সম্প্রতি একটি ব্যাংকে এলসি খুলতে গেলে তার কাছে সরকারি রেট ১১১ টাকার বদলে ডলারের দাম ধরা হয় ১২৫ টাকা।

আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, এই বাড়তি দামের কোনো কারণ জানাতে পারেনি ব্যাংক।

আমি আপনাকে ব্যাংকের নাম বলতে পারব না। কারণ তাহলে যেটুকু এলসি পাচ্ছি, সেটাও আমি পাবো না। কিন্তু তারা ১২৫ টাকা করে আমার কাছে জমা রেখেছে।

আমি বললাম, এক সপ্তাহ আগেই আপনারা আমার কাছ থেকে ডলার প্রতি ১১৫ টাকা করে জমা রেখেছেন। এখন কেন ১২৫ টাকা রাখবেন? সরকার তো ডলারের মূল্য বৃদ্ধি করে নাই। তখন ওরা বললো যে আপনাকে ১২৫ টাকা করেই দিতে হবে। না হলে এলসি করা যাবে না।

এই আমদানিকারক ব্যাংকে ডলারের বাড়তি দাম নিয়ে যে অবস্থায় পড়েছেন, সেটাই যেন এখন ডলার মার্কেটের বাস্তবতা। কিন্তু ডলারের খোলা বাজারের অবস্থা কী?

খোলাবাজারে যা দেখা গেল


খোলা বাজারের পরিস্থিতি বুঝতে গত সোমবার ঢাকায় কালোবাজারে ডলার বিক্রির একটা পরিচিত স্পটে যান বিবিসির এই সংবাদদাতা। পরিচয় গোপন করে ডলার কেনার চেষ্টা করা হয়।

সংবাদদাতা প্রথমেই যে মানি এক্সচেঞ্জে যান, সেখান থেকে জানানো হলো ডলার নেই। কোন এনডোর্স করা যাবে না।

কিন্তু যখন শুধু ডলার কিনতে চান তিনি, তখন পাশেই থাকা একজন বললেন, ডলার প্রতি ১২৭ টাকা করে দিতে হবে। এর কমে বিক্রি করতে রাজি হননি তিনি।

শেষ পর্যন্ত ১২৭ টাকা দরেই ডলার কিনতে হলো। এরপর রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জে গিয়ে দেখা গেল, ডলারের রেট অনেকটা একইরকম - ১২৫ থেকে ১২৭ টাকা চাওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ কেউই নির্ধারিত দামে ডলার বিক্রি করছেন না।

এর কারণ জানতে চাইলে সামাদ (ছদ্মনাম) নামে একজন বললেন, বাজারে ডলার নেই। ব্যাংকগুলোই বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। সুতরাং খোলাবাজারে তারা বেশি দামে ডলার না কিনলে ডলার পাবেন না। ফলে বেশি দামে কিনে আরো বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, মানি এক্সচেঞ্জগুলো ডলার বিক্রি করতে পারবে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা দরে। সেক্ষেত্রে এর চেয়ে কম দামে তাদের ডলার কিনতে হবে। কিন্তু মানি চেঞ্জারগুলো এ দর মানছে না - এমন অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বৃদ্ধি করে।

কিন্তু যেসব মানি এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছেন, তারা বলছেন, তাদের কাছে কেউ সেভাবে ডলার বিক্রি করতেই আসছেন না।

ঢাকার পল্টনে মেক্সিমকো মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মোশাররফ হোসেন বলছেন, যারা বিদেশ থেকে আসার সময় ডলার নিয়ে আসেন, তাদের কাছ থেকেই তারা ডলার কিনে থাকেন। এটাই তাদের মূল উৎস। কিন্তু যেহেতু কালোবাজারে ডলারের দাম বেশি, সেহেতু বেশিরভাগ প্রবাসী সেখানেই ডলার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

গভর্নমেন্ট রেট তো কম, সুতরাং প্রবাসীরা কেন আমাদের কাছে ডলার বেচবে? তাছাড়া এখন সরকারি নজরদারি অনেক কড়া।

কেউ যদি ডলারের বৈধ কাগজ দেখাতে না পারে, আমরা সেটা কিনতে পারব না। কিনলে প্রশাসন ধরবে। ফলে এই ডলারগুলোও আমরা পাচ্ছি না। এগুলোও ব্ল্যাক মার্কেটে চলে যাচ্ছে, বলেন মোশাররফ হোসেন।

তার মতে, এসব কারণেই যারা শিক্ষা, চিকিৎসা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশ যাবেন তারা চাহিদা মতো ডলার পাচ্ছেন না। কারণ মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের ঘাটতি আছে।

বাধ্য হয়ে এসব লোক যখন ব্ল্যাক মার্কেটে যাচ্ছে, তখন চাহিদা বেড়ে ডলারের দামও সেখানে বাড়ছে, জানান তিনি।

পরিস্থিতি কেন এমন হলো?


বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়তে থাকে ২০২১ সালের ২২ অগাস্ট থেকে। তখন ডলারের দাম ৮৪ টাকা থেকে ৮৫ তে উঠে আসে। দুই বছরের ব্যবধানে সেটা হয়ে যায় ১০৯ টাকায়। বর্তমানে যেটা ১১১ টাকা।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এই দাম খোলাবাজারে কার্যকর হয়নি। দুই বছর আগে একবার দাম বৃদ্ধি শুরুর পর বর্তমানে সেটা ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায় ওঠা-নামা করছে।

এসময় ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার দাবি উঠলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এর দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স এবিবিকে।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাফেদা-এবিবির নির্ধারণ করা রেটও খোলাবাজারে কার্যকর থাকেনি।

বেশ কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিদেশী রেমিটেন্স হাউস থেকে ডলার কিনে সেটা আরো বেশি দামে গ্রাহকদের কাছে দিয়েছে।

জানতে চাইলে এবিবির সাবেক সভাপতি ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিবিসিকে বলেন, এরকম ঘটনা তারাও শুনেছেন এবং এটাই বাস্তবতা যে ব্যাংকগুলো বেশি দামে ক্রয়-বিক্রয় করছে।

কিন্তু কেন এ এরকম হচ্ছে? মাহবুবুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীদের কাছে ডলারের রেট গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং এলসি খুলে ব্যবসা করার ওপর ব্যবসায়ীরা জোর দিচ্ছেন। সেজন্য ব্যবসায়ীদের চাহিদা মেটাতেই ব্যাংকগুলোকে বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে ,যেহেতু ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার নেই।

আমার কাছে গ্রাহক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমি যদি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী এলসি দিতে না পারি, তাহলে সে ক্লায়েন্ট অন্য ব্যাংকে চলে যাবে। এখন কোনো ব্যাংক তো এভাবে নিজেকে ক্ষতির মুখে ফেলবে না। সে বেশি দাম দিয়ে হলেও ডলার কিনে ব্যবসা এবং ক্লায়েন্ট ধরে রাখবে, বলেন তিনি।

বাফেদা-এবিবি বলছে, ১১১ টাকায় এলসি সেটেলমেন্ট করতে। এ দামে ডলার বিক্রি করতে হলে এর চেয়ে কম দামে ডলার ক্রয় করতে হবে। কিন্তু সে দাম দিয়ে ডলার ক্রয় করা যাচ্ছে না বলে ব্যাংকাররা জানান। তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও তার রিজার্ভ থেকে এতো ডলার বিক্রি করে চাহিদা মেটাতে পারবে না।

মাহবুবুর রহমান প্রশ্ন তোলেন, যেসব ব্যাংক ১১৮ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামে বিদেশী রেমিটেন্স হাউস থেকে ডলার কিনে ব্যবসায়ীদের এলসি দিচ্ছে, সে কিভাবে ১১১ টাকা দরে এটা দেবে?

দিনশেষে ব্যাংক তো একটা কমার্শিয়াল অরগানাইজেশন। এখানে তো কেউ চ্যারিটি করতে বসেনি, বলছিলেন মোশাররফ হোসেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলারের বাজারে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে হুন্ডি। যারা বিদেশে ডলার নিয়ে যাচ্ছেন, তারা বেশি দাম দিয়ে হলেও ডলার কিনতে চান। এটা বাজারে চাহিদা তৈরি করছে। ফলে বিদেশী রেমিটিং হাউসগুলো তাদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে।

কিন্তু বাজারে এমন অবস্থা কেন হলো? এজন্য ঘুরে-ফিরে একই প্রসঙ্গ বার বার সামনে আসছে। সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশের নিম্নমুখী রফতানি আয় এবং প্রবাসী আয়ের কারণে ডলার সঙ্কটের কথা।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন দায়ী করছেন, সঙ্কটের মধ্যেও ডলারকে বাজারমুখী না করে একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকে।

এখানে ডলারের দাম নির্ধারণের যে মডেল, সেটা দিয়ে ডলার বাজার স্বাভাবিক রাখা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক একেক সময় একেক পলিসি নিচ্ছে। ফলে যারা কারসাজি করে, তারাও এটার সুযোগ নিচ্ছে। বাজারদর অনুযায়ী দাম নির্ধারণ না হলে এটার সঙ্কট মিটবে না,  বলেন মোশাররফ হোসেন।

বাংলাদেশে নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এই সময়ের মধ্যে সরকারের মূদ্রানীতি কিংবা ডলার বাজার নিয়ে নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখছেন না অনেকেই।

ফলে ডলারের যে উর্ধ্বমুখী দাম, সেটা নির্বাচনে আগে কতটা স্থিতিশীল হবে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে যেখানে আমাদের যোগানের অভাব আছে সেখানে আগামীতে ডলারের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নাই। কারণ এটাতো বাজারের ওপর নির্ভর করছে না। এটাকে সেভাবে রাখা হয়নি, বলেন মোশাররফ হোসেন।

কিন্তু এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কী ভাবছে? জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

যদিও ব্যাংকসূত্র জানিয়েছে, ডলারের বাজারে কারসাজি রোধ করতে ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ তারা নিয়েছেন, যার প্রভাবে হয়তো 'শিগগিরই বাজারে দাম কমে' আসবে।

কিন্তু বাংলাদেশে যখন গত দুই বছর ধরেই ডলারের প্রধান দুই উৎস রেমিটেন্স ও রফতানি আয় নিম্নমুখী, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে সেটা এক বড় প্রশ্ন।

সূত্র : বিবিসি

 


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩