মুন্সী মো: আল ইমরান :ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়ক বাতাসে ধুলাবালি মিশে বায়ুদূষণের পাশাপাশি ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা। এ দূষণের কারণে করোনাসহ হৃদরোগও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না রেখে রাস্তা সংস্কারের কাজ করায় এই জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণ না করে সংস্কারকাজ করায় সড়কটি সারা দিনই ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। ফলে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। এই ধুলাবালি থেকে হৃদ্রোগ, করোনাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান চিকিৎসকরাও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। তার পরও মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল একেবারেই অসম্ভব। এর কারণ প্রচুর ধুলাবালি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়া পর্যন্ত আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কটির নির্মাণকাজ চলছে। এটি দুই যুগ ধরে চার লেনে ছিল। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের কারণে সড়কে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়। তাই জনভোগান্তি দূর করতে সরকার সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৬৫ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার।
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যার হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজেও একজন ভুক্তভোগী। প্রতিদিন বাসা থেকে কর্মস্থলে আসা-যাওয়াসহ এই রোড দিয়ে দিনে কয়েকবার চলাচল করি। এতে ধুলায় মাখামাখি হয়ে যাই। এর কারণে করোনাসহ হার্ট অ্যাটাক হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। আশা করছি, যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দেবে এবং মানুষের স্বাস্থ্যগত বিষয় বিবেচনা করে সড়ক উন্নয়নের কাজ করবেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এই ভোগান্তি সাময়িক। তার পরও দিনে দুবেলা পানি ছিটিয়ে ধুলা নিরসনের ব্যবস্থা করছি। আশা করি জুন মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ হবে। এরপর আর কোনো সমস্যা হবে না।