শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ৮ বছর বয়সি এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আব্দুস সালাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড রায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। একই দিন আদালত নওগাঁ সদর উপজেলার এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে আরো ১ জনকে ১৪ বছরের জেল রায় দেন বিজ্ঞ আদালত। এসময় ২ জনকেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তারা ২ জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ দু' মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (৫০) ও নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার চকচাপাই গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন (২৫)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের ৮ বছরের শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে আসামী তার শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়ে চলতি বছরের ১৪ জুন ১৩ জনে সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার প্রবেশ দ্বারে আসামী সুমন জোর করে সিএনজি যোগে নাবালিকা মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেয়। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ তাকে ১৪ বছরের জেল দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বলেন, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে বুঝা যায় দেশে এখনো ন্যায়বিচার আছে। আইনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস আছে। আগামীতে এই ধরণের কেউ কোন ঘটনা ঘটানোর পূর্বে চিন্তা-ভাবনা করবেন, তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে কিনা।