Logo
শিরোনাম

ফ্রিজে বাসি-পচা খাবার রাখায় এক রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার

নওগাঁয় রান্না ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ফ্রিজে বাসি-পচা খাবার রাখায় শহরের রুবির মোড়ে অবস্থিত পঞ্চ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এর মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। অভিযানে রেস্টুরেন্টটির রান্না ঘরে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজে বাসি-পচা খাবার মজুত, রান্নার কাজে ব্যবহৃত পচা রসুন, রান্না করা সবজি, রান্না করা গরুর মাংস, রান্না করা মুরগির মধ্যে পশম, পুড়া তেল, মসলার মধ্যে তেলাপোকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা সহ নানা অপরাধে রেস্টুরেন্টটি'র অস্বাস্থ্যকর সব খাবার জব্দ করা হয়। পরে রেস্টুরেন্ট এর মালিকের উপস্থিতিতে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুসারে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নওগাঁ জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামানিক বলেন, হোটেল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনার করে বলা হয়েছিল রান্না করা খাবারগুলোর উপরে নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট রান্না করার তারিখ সময় দিয়ে রাখতে। কিন্তু এই রেস্টুরেন্টের মালিক বাজার থেকে নোংরা পলিথিন কিনে এনে সেই পলিথিনের মধ্যে খাবারগুলো রেখে দিয়েছে। তার মধ্যে কোন তারিখ নেই আবার সব খাবার একই ফ্রিজে রাখা হয়েছে। নওগাঁতে এটিই তাদের প্রথম অভিযান উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্যের যে আইন রয়েছে খুবই শক্ত এবং জরিমানার পরিমাণও বেশি। সেজন্যই আমরা গত দু' বছর ধরে বুঝানোর কাজ করে আসছি। পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট গুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হয়েছে। এখন থেকে কোন রেস্টুরেন্ট-এ এই সমস্ত অপরাধ ধরা পড়ে তাহলে আমরা তাদেরকে জরিমানার আওতায় আনবো। 

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষেও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বলেন, যে সকল রেস্টুরেন্ট মালিকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতন করার পরও কথা শুনছে না তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনছি। এরই ধারাবাহিকতায় এই রেস্টুরেন্ট-এ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়েছে। আগামীতেও ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



চাঁদাবাজি ও অপপ্রচার করায় হলুদ সাংবাদিক রাশেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

উখিয়ায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে সাংবাদিক সেজে ''জেএসআর'' চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপে অডিও রেকর্ড পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কথিত টায়ায় সাংবাদিক মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রিপোর্টার্স ইউনিটি উখিয়ার কোর্ট বাজার অফিস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন 'জেএসআর' স্টুডেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দীন।

এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য'তে বলেন, মোহাম্মদ রাশেদ (প্রকাশ টায়ার রাশেদ) গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাংবাদিক পরিচয়ে আমাকে ফোন করে আমাদের শপিংমলে আসেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে ব্লাকমেইল করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় প্রতিষ্টানের নামে ভূয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের হুমকী দিয়ে ফিরে যান। পরে একইদিন রাত ১টায় আমাকে টাকা নিয়ে তার ধুরুমখালী অস্থায়ী অফিসে আসতে বলেন। আমি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপে আবারো টাকা দাবি করে একটি স্যাম্পল অডিও রেকর্ড পাঠিয়েছে বলে মেসেজ করে হুমকী দেন। যার স্কিনসর্ট আপনারা দেখেছেন। চাঁদার টাকা দাবী করার মেসেজটি সে নিজে ডিলিট করে দিয়েছেন। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় রাশেদ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করলে আমি উখিয়ার বিভিন্ন সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে টাকা না দিয়ে আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং রাশেদ নামের কোন গণমাধ্যম কর্মী উখিয়াতে নাই বলে জানান। ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্টান চাঁদা দাবির সব তথ্য নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইতিমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন, কিছু অপসংবাদিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রাশেদ তার নিজস্ব গণমানুষের দর্পন নামের একটি অনুমোদনহীন ভুয়া নিউজ পোর্টালে আমাদের নামে মিথ্যা, ভূয়া, ভিত্তীহীন গুজব প্রচার করে আমাদের প্রতিষ্টানের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। চাঁদা না পেয়ে অপপ্রচার কারী ভুয়া সাংবাদিক রাশেদ যে ১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা অডিট রির্পোট বলে প্রচার করেছে সেটির কোন সত্যতা নেই।

১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে আমার কাছে সব গুলো ডকুমেন্টস আপনারা দেখেন। এই ব্যয় গুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য হয়েছে। এইটাকে দুর্নীতি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমাদের শেয়ারহোল্ডার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ সকল ভিত্তিহীন বিষয়ের কর্ণপাত না করে বিচলিত না হয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



৫৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিস্তৃত হতে পারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image


ডিজিটাল ডেস্ক:


কয়েকদিনের বিরতির পর আবার দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


 জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে।


আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে ৪০ ডিগ্রিতেই ওঠানামা করবে। বুধবার সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।


এর বাইরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাকি অংশে।


এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার আভাসও এসেছে পূর্বাভাসে।



আরও খবর



মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ঈদ পরবর্তী ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ পরবর্তী সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারগুলোতে সোনালি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শেওড়াপাড়ায় মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, ঈদের পর ২২০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি আজ শুক্রবার হওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

তিনি বলেন, আজ দুই-তিন মাস ধরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। এই দাম ১০ টাকা কমলে ২০ টাকা বাড়ছে। গরমে দাম আরো বাড়তে পারে।

এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে আলু ৪৫ টাকা আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৪০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা।


আরও খবর



দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাইলেন রুবাইয়াত ফাতিমা তনি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



সদরুল আইনঃ


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় মুখ এবং রাজধানীর গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুমের মালিক রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। 



পাকিস্তানি বলে দেশীয় পোশাক বেশি দামে বিক্রি করায় এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করায় তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রতিষ্ঠানটির মালিক তনি ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তাকে জরিমানা করা হয়। দেশি থ্রিপিস পাকিস্তানি বলে বিক্রির জন্য ৫০ হাজার এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।


জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তনি ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর নিজস্ব অফিসে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করে। সেখানে তনি জানান, তিনি এসব অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন। তার ব্যবসায়িক পেইজে অভিযোগকারী নারী অভিযোগ জানালেও মডারেটররা এটা গুরুত্ব দেন না এবং পরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি নোটিশ আসে। সেটিও তনির সেলসম্যান গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখেন। 



সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ‘সানভীস বাই তনি’ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশি থ্রি পিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতো। 



তনি শুনানিতে অংশ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সর্তক থাকবেন। এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বলে বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়।



তিনি বলেন, গুলশানের শোরুমের গিয়ে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে। আপাতত তাদের শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছি।


আরও খবর

বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছে, দ্রুতই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এজন্য প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না।

প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় চল্লিশ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবিলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন যা এখনই জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত

বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে।

শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে।

অস্টিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে বৃহৎ নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং খুব শিগগিরই এগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে।

এর মধ্যে আছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম এবং গোলাবারুদ (তবে প্যাট্রিয়ট নয়)।

এটা এমন নয় যে শুধু প্যাট্রিয়ট তাদের (ইউক্রেনের) দরকার। তাদের অন্য ধরনের সিস্টেম ও ইন্টারসেপ্টর (ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা বা আকাশেই ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়), বলছিলেন অস্টিন। আমি প্যাট্রিয়ট তৈরির বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক করবো

তিনি জানান, আরও ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে শিগগিরই দেওয়া হবে এবং এ নিয়ে ইউরোপীয় অন্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেছেন, রণাঙ্গনে গোলার যথাযথ ব্যবহারের যে প্রয়োজনীয়তা ইউক্রেনের সেটি মেটাতে পারবে এবারের এই সহায়তা।

তবে এবারের যে সহায়তা প্যাকেজ তার কিছু অংশ ব্যবহার হবে ইউক্রেনের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরির জন্য যাতে তারা নিজেরাই প্রয়োজনমতো গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারে।

অস্টিন আরও বলেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ সহায়তাও পাচ্ছে।


আরও খবর