Logo
শিরোনাম

ফুলবাড়িতে নিভৃত পল্লীতে গড় উঠেছে মিনি তাঁত কারখানা তৈরি হচ্ছে গামছা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮৯১জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে নিভৃত পল্লী অঞ্চলে  গড়ে উঠেছে মিনি তাঁত শিল্প কারখানা।সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সেই মিনি তাঁত মেশিনের খট খটানি শব্দে মুখরিত পুরো গ্রাম এলাকা।সেখানে সুন্দর সুন্দর গামছা তৈরি করে নজর কাড়ছে এলাকাবাসী সহ দর্শনার্থীদের।উৎপাদন বাড়াতে এই মিনি কারখানায় যন্ত্রচালিত পাওয়ার লুম দিয়ে গামছা তৈরি করা হয়। কারখানার মালিক শহিদুল্লাহ সামনে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতর কে সামনে রেখে কর্ম ব্যস্ত হয়ে পরেছে।

উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সিমান্তঘেঁষা গজের কুটি গ্রামে এই মিনি তাঁত শিল্পটি দেখতে গিয়ে জানাযায়,ওই এলাকার কৃষক মোঃ আমির হোসেন ছেলে মোঃ শহিদুল্লাহ দীর্ঘদিন তাঁত শিল্প কারখানায় কাজ করতেন তার স্বপ্ন ছিল বাড়িতে ফিরে গিয়ে ছোটকরে হলেও নিজেই কারখানা তৈরি করবে তার স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে নিজ বাড়ির উঠানে ছোট্ট একটি টিন সেটের ঘরে এই মিনি তাঁত শিল্প কারখানাটি গড়ে তোলেন ।প্রথমত তিনি গামছা তৈরি করছেন একমাসে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তার এই মিনি তাঁত শিল্প কারখানাটি দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে যেন গজের কুটি গ্রামে। সেখানে গামছা তৈরি করা সময় এক নজর দেখার জন্য এলাকাবাসী সহ অন্যান্য এলাকায় মানুষের ঢল নামে।তাঁত সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে তাঁতপল্লি গড়ে উঠার লক্ষ্যে শুধু প্রথম পর্যায়ে গামছা তৈরি করছেন উদ্যেক্তা শহিদুল্লাহ।কারখানায় উৎপাদিত গামছার কদর বাড়ছে গোটা উপজেলা জূরে।

স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল ইসলাম,অতুল চন্দ্র রায় ও রফিকুল ইসলাম গংরা বলেন,আমরা যতটুকু জানি, তাঁত কারখানার মালিক শহিদুল্লাহ খুব পরিশ্রমী ছেলে টানা ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জীবন জীবিকার তাগিদে দেশে বিদেশে বিভিন্ন কলকারখানায় কাজ কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শুনেছি সে তাঁত কারখানায় কর্মচারী হিসেবে অনেক দিন কাজ করেছেন।ছোট বেলা থেকেই শহিদুল্লাহ ছিল কঠিন পরিশ্রমী ছেলে। তার স্বপ্ন ছিল বাড়িতে ফিরে গিয়ে সে নিজেই একটি কারখানা তৈরি করবে এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হবে ব্যাস ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় তার অদম্য ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি মিনি তাঁত শিল্প কারখানা। হয়ে যান নিজে কারখানার মালিক এখন প্রতিদিনই তার কারখানায় গামছা তৈরি হচ্ছে বাজারজাত হচ্ছে গোটা উপজেলায় খবর ছড়িয়ে পরছে।তার স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে গত এক মাস যাবৎ তিনি গামছা তৈরি করছেন শতশত মানুষ কারখানা দেখতে যাচ্ছেন।আবার কেউবা স্বল্প মূল্যে গামছা ক্রয় করছেন।


তাঁত কারখানার মালিক শহিদুল্লাহর সাথে কথা বলে জানাযায়, অনেক স্বপ্ন নিয়ে কারখানাটি শুরু করেছি।আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি।এই কারখানাটি শুরু করতে দুইটি পাওয়ার লুম(মেশিন) সিরাজগঞ্জ থেকে ২লক্ষ্যে ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করি নিয়ে আসা ক্যারিং খরচ আরো ১৫ হাজার টাকা লাগে।সেখান থেকে প্রায় ৭০হাজার টাকার সুতা ক্রয়করি,ঘড় তৈরী করতে ৩৫ হাজার,অন্যান্য খরচ আরো ২০হাজার টাকা সহ সর্বমোট প্রায় ৪লক্ষ্যে টাকা ব্যয়ে তার স্বপ্নের তাঁত শিল্প কারখানাটি চালু করেন। তবে বড় পরিতাপের বিষয় তার মূলধন ছিল মাত্র ১ লক্ষ্যে টাকা বাকি টাকাটা তিনি বিভিন্ন সংস্থা বা ইনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন।তিনি সহ আরো দুইজন তাঁত শ্রমিক সহ গত একমাস থেকে গামছা তৈরি করে আসছেন।

উদ্যোক্তা শহিদুল্লাহ আরো জানান, তৈরি করা গামছা গুলো স্থানীয় বাজারে পাইকারি হিসেবে এক থান( ৪পিচ গামছা) ৪২০থেকে ৪৪০টাকায় বিক্রি করছেন। এই মাসে ৭০থেকে৮০ হাজার টাকার গামছা বিক্রি করছেন। তিনি এও বলেন সব খবর দিয়ে টিয়া মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় হয় আরকি। পরিশেষে তিনি বলেন, বড় ধরনের ব্যাংক ঋণ পেলে কারখানাটি বড় পরিসরে করে যেমনি ভাবে আয় বাড়ানো যেতো তেমনি ভাবে আমাদের এই অবহেলিত এলাকার কিছু বেকার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতো।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব সুমন দাস জানান,মিনি কারখানা হলেও ফুলবাড়িতে তাঁত শিল্পের মাধ্যমে গামছা তৈরি হচ্ছে এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ওই উদ্যোক্তাকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি তিনি জেলা বিসিক শিল্প নগরীর মাধ্যমে প্রোণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন। 


আরও খবর



মে দিবসে নওগাঁয় বর্নাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার

বর্নাঢ্য ‍র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নওগাঁয় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে নওগাঁ জিলা স্কুল মাঠ থেকে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। র‌্যালীটির নেতৃত্ব দেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। পরে শহরের পার-নওগাঁস্থ আব্দুল জলিল ট্রাক টার্মিনালে নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ি ও কার্ভাডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি রওশন জালাল এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এসএম জাকির হোসেন, নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা প্রমুখ।


আরও খবর



দুই বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরল ১০ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

দুই বছর সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি যুবক। ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসারা হলেন, আরিফ মোল্লা (২৭), কোরবান আলী (৩৫), পান্নু মোল্লা (৩৮), সোলাইমান (৩০), শরিফ (২৪), সাইফুল ইসলাম (২৪), ইয়াছিন শেখ (২৪), নজিবুল ইসলাম (২২), সুমন্ত মন্ডল (২৩) ও সোহেল হাওলাদার (২৬)। ফেরত আসাদের বাড়ি রাজবাড়ি, বগুড়া, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ১০ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিক এন্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

জাস্টিক এন্ড কেয়ারের ফিল্ড অফিসার রোকেয়া পারভিন বলেন, ফেরত আসারা ভালো কাজের আশায় ভারতের চেন্নাই শহরে গিয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সময় তারা সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেন। সেখান থেকে ত্রিজি নামের একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে তারা। তাদের যশোরে নিয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।


আরও খবর

সহায়ক হতে পারে মার্কিন ভিসা নীতি

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১২১জন দেখেছেন

Image

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। জেনেটিক আকারে শিশুরা তাদের বাবা-মার কাছ থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগ পেয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ না করায় শিশুদের শরীরে রক্তের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে ঘন ঘন রক্ত দিতে হয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে, গ্লোবিন প্রোটিন খুব কম উৎপাদিত হয়। যার কারণে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে শরীর অক্সিজেন না পাওয়ায় রোগীকে বারবার রক্তদেওয়ার প্রয়োজন হয়।

এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেট ফুলে যাওয়া (হালকা স্প্লেনোমেগালি), শিশুর দুর্বল শারীরিক বিকাশ, অ্যানোরেক্সিয়া, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, মুখের হাড়ের পরিবর্তন।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের হিমোগ্লোবিনের ত্রুটি থাকে, যা একটি মিউটেশনের কারণে ঘটে ও বি-চেইন উৎপাদনকে হ্রাস করে গুরুতর রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। এটি একটি জেনেটিক রোগ, যা প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে চলে যায়।

যদি বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া রোগ থাকে, তবে শিশুর থ্যালাসেমিয়া মেজর হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ, থ্যালাসেমিয়া মাইনর ৫০ শতাংশ এবং স্বাভাবিক ২৫ শতাংশ।

থ্যালাসেমিয়া মেজর শিশুদের চিকিৎসা

চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তসঞ্চালন (পিআরবিসি), আয়রন ক্যালেটিং ওষুধের ব্যবহারসহ কিছু শিশুদের নিয়মিত রক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় এবং গুরুতর স্প্লেনোমেগালিতে হাইড্রোক্সিউরিয়া ব্যবহৃত হয়। তবে থ্যালাসেমিয়া মাইনরের কোনো চিকিত্‍সার প্রয়োজন হয় না।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের যত্ন

লিউকোসাইট হ্রাসকারী ফিল্টার এবং বিকিরণকারী রক্তের পণ্য (পিআরবিসি) সর্বদা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হয়। অল্প বয়সে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যেতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজিসহ প্রচুর ফল খেতে হবে। এছাড়া আয়রন ক্যালেশন ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার, হালকা ব্যায়াম, ফোলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।

লিভার, হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গে আয়রন ওভারলোড পরীক্ষা করার জন্য প্রতি বছর গ্রোথ হরমোন এবং টি২ এমআরআই পরীক্ষাসহ সিরাম ফেরিটিন, থাইরয়েড প্রোফাইল, ভিটামিন-ডি এবং ভাইরাল মার্কার, যেমন- এইচআইভি, এইচবিএসএজি, এইচসিভি প্রতি তিন মাস পর পর পরীক্ষা করতে হবে। অবস্থা গুরুতর না হলে পুষ্টিকর খাবার এবং ব্যায়াম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত লোহিত রক্ত কণিকার বয়স ১২০ দিন হয়, কিন্তু এ রোগের কারণে সময়টি ২০ দিনে কমে যায়, যা হিমোগ্লোবিনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার কারণে রোগী কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত হয়।

 


আরও খবর



পাংশায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

রাজবাড়ী প্রতিনিধি :  রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের চর লক্ষীপুর গ্রামে বজ্রপাতে আব্দুল খালেক মোল্লা (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত কৃষক ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত সৈয়দ আলী মোল্লার ছেলে। শনিবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে দশটায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে হাসান আলী (৩২) বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার সময় আমার বাবা খাবার খেয়ে মাঠে ধান কাটতে যায়, আগে থেকেই কাটা ধানগুলো মহিষের গাড়িতে সাজাতে থাকে এ সময় বৃষ্টি শুরু হয় এবং বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে ভয়ে আমার বাবা ও মহিষের গাড়িওয়ালা দুজনে মহিষের গাড়ির নিচে পালায় তখনই বজ্রপাতে আমার বাবার মৃত্যু হয়।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদ উল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক স্বামী মাহমুদুল আলম বাবু। তিনি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তি বাজারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় ২০১৮ সালে উপজেলার ঘাসিরপাড়া গ্রামের জহুরুল হকের কন্যা সাবিনা ইয়াছমিনকে রেজিষ্টি কাবিন মুলে ২য় বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ভরণপোষন ও বকশীগঞ্জ পৌর শহরে ৫ শতক জমি কিনে বাড়ি এবং ময়মনসিংহ শহরে ৩ শতক জমি কিনে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে ব্ল্যাক মেইল ও নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করা শুরু করে। কোন কারন ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে সে। আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক ও আমার সকল সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সম্মানের ভয়ে সব কিছু মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকি। গত ছয়মাস আগে তার গর্ভে আমার কন্যা সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পর থেকেই একটি কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় সে আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি,মামলার হুমকি দিতে থাকে এবং আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তার আচরণে অতিষ্ট হয়ে গত ৮ মে সোমবার আমি তাকে আইনগত ভাবে তালাক দিয়েছি। এরপর সে আমার বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি সাজানো মামলা ও আদালতে একটি মামলা করে। এমনকি বিভিন্ন জনকে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট করে সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় করে আসছে। আপনাদের মাধ্যমে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের আইনে আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। তিনি আরো বলেন,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। আইন মোতাবেক তালাক দিয়েছি। আদালতে মামলা করেছে আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মেনে নিব। তার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই। তবে শিশু সন্তানটি আমার একমাত্র কন্যা সন্তান। আমার মেয়েকে আমি চাই। তার বিষয়েও আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।  

উল্লেখ্য,গত বুধবার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন। তার দাবি স্বামীর অধিকার চাওয়ায় নির্যাতন করা হয়েছে তাকে।


আরও খবর