Logo
শিরোনাম

ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসকে এমডি জাকির হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ২৬ মার্চ, মঙ্গলবার বিকেলে, স্থানীয় একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে। এতে প্রবাসী সাংবাদিকরা ছাড়াও কম্যুনিটির ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি পলাশ রহমান বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। বহু প্রাণ ঝরিয়েছি। ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার মুখে পড়েছি। আমরা জানি স্বাধীনতার জন্য কতো ত্যাগ করতে হয়। কতো বিসর্জন দিতে হয়, কিন্তু ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামীদের ত্যাগ, তাদের উপর চালানো ইজরায়েলের গণহত্যা আমাদের স্তম্ভিত করেছে।

তিনি বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এ মাসকে মুসলমানরা এবাদতের মাস হিসাবে পালন করেন। কিন্তু এই পবিত্র মাসেও রেহাই পাচ্ছে না ফিলিস্তিনির মজলুম মানুষরা। ইজরায়েল তাদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষকে তারা হত্যা করেছে। বৃষ্টির মতো বোমা ফেলে ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। দেড় শতাধিক ত্রাণ কর্মী এবং সংবাদকর্মীকে হত্যা করেছে। তারা গাজায় ত্রাণ ঢুকতে বাঁধা দিচ্ছে। ক্ষুধাকে অস্ত্র বানিয়েছে। যা পৃথিবীর জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম। 


পলাশ রহমান প্রশ্ন তুলে বলেন, আর কতো মানুষ মরলে, কতো মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে বিশ্ববিবেক জাগবে? আর কতো শিশু, নারীর রক্ত ঝরলে আরব নেতাদের টনক নড়বে?

তিনি বলেন, হিটলার, মুসলিনিদের চেয়েও ভয়ঙ্কর দানব নেতানিয়াহুকে থামানোর মতো কী কেউ নেই বিশ্বে? যদি না থাকে আমরা কিভাবে এই বিশ্বকে একটি সভ্য বিশ্ব বলতে পারি!

পলাশ বলেন, পশ্চিমা নেতারা মুখে মানবাধিকারের কথা বললেও মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হলি খেলতে তারা পছন্দ করেন। তাদের মুখে এখন আর মানবতার কথা মানায় না। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। তারা এক দিকে মানবতার কথা বলেন, অন্যদিকে নিরীহ মানুষ হত্যা করতে অস্ত্র সরবরাহ করেন।

তিনি বলেন, দানব ইজরায়েলকে থামতে হবে। তাদের রক্ত পিপাসার লাগাম টানতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন গড়তে হবে। অন্যথায় বিশ্বে এক ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। পৃথিবী এক মহাযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে। যা আমাদের সবার ধ্বংস ডেকে আনবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মানবাধিকার বিষয়ে ইতালিয় ভাষায় প্রবন্ধ পাঠ করেন ভেনিসের সাবেক রাজনীতিক বেল্লাতো জাকমো এবং বিশ্ব শাক্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন, হাফেজ, মাওলানা আবদুস সালাম।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মৃতপ্রায় গণতন্ত্র বিষয়ে বক্তৃতার শুরুতে কোরান থেকে তেলোয়াত করেন, ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শাইখ আহমেদ। বক্তৃতা করেন, উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সহসভাপতি সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আকতার হোসেন বেপারী, স্থানীয় পৌর কমিশনার (বাংলাদেশি বংশউদ্ভূত) আফাই আলি, ভেনিস বাংলা স্কুলের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন পান্না, আওলাদ হোসেন অন্তু, প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহসভাপতি সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম টগর, ফাহিম হোসেন মুন্না ও আনোয়ার হোসেন।


আরও খবর



৫ শতাধিক ব্যক্তির রয়েছে একাধিক এনআইডি!

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

সারাদেশে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক বেশি ব্যক্তির কাছে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সারাদেশে পাঁচশোর বেশি ডাবল এনআইডি রয়েছে। আগামী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পারবেন। ১৩ কোটির বেশি তথ্য একটা একটা করে খোঁজা সম্ভব নয়। কেউ যদি তথ্য দেয় আর আমরা যদি দেখতে পাই তাহলে ব্যবস্থা নিই।

এনআইডির ডিজি বলেন, জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যায়ে এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল সেটা জেলা কর্মকর্তাকেও দিচ্ছি। মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে যৌক্তিক আবেদনগুলো কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় মিলে মানুষেকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন ঝুলে আছে। এগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি সেজন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝেও একটু ক্ষমতা পরিবর্তন করছি, যেন সেবাদান সহজ হয়। আমাদের আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা মনিটরিং করছি। অনেকেই হয়তো ক্যাটাগরি ঠিকমতো করছে, কেউ কেউ করছে না।

প্রবাসীদের এনআইডি প্রাপ্তির বিষয়ে এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রবাসী ভোটার আমরা অস্ট্রেলিয়ায় চালু করেছি। সেখানে নিয়মিত ভোটার হচ্ছে। এখন আটটটি দেশে চলছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ কানাডায় শুরু হবে। তখন নয়টি দেশ হবে। অন্য দেশগুলোতে চালু করার ক্ষেত্রে যে সমস্যা হচ্ছে সেটা দূতাবাসে জায়গার অভাব।

তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করব। সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করে যেন ৪০টি দেশে কার্যক্রম (প্রবাসী ভোটার) এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমরা গত কয়েক মাসে সাত-আটটি দেশে করতে পারলে ভালো হতো। এ মাসের শেষ নাগাদ আরেকটু অগ্রগতি হবে বলে আশা করি।


আরও খবর



নওগাঁয় অঙ্কে শিক্ষকের ভুল ধরায় ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় গণিত ক্লাসে শিক্ষকের ভুল ধরায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিক্ষার্থীকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহলে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সাফি (১১)। সে গোবিন্দপুর গ্রামের আনিছুর রহমান মণ্ডলের ছেলে ও গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার ভর্তি রোল ৪৪ বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গণিপুর গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে।  

শিক্ষার্থী সাফি জানায়, সোমবার টিফিনের পর আড়াইটার দিকে সহকারী শিক্ষক ইয়ামিন স্যারের গণিত ক্লাস চলছিল। ক্লাসে লসাগু’র পূর্ণরূপ স্যার ভুলভাবে উপস্থাপন করছিলেন। সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ায় ইয়ামিন স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ছড়ি দিয়ে আমাকে বেদম মারধর করেন।

শিক্ষার্থী সাফির মা নাদিরা বেগম বলেন, ছেলে সাফি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অঙ্ক ক্লাসে ভুল ধরায় শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। সন্ধ্যার দিকে তাকে মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন বলেন, গণিত ক্লাস চলাকালিন শিক্ষার্থী সাফি আমার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাই তাকে একটু শাসন করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি। অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। স্থানীয় প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মণ্ডল বলেন বিষয়টি শুনেছি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীকে মারধর করা ঠিক হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রাণীনগরে ইউনিয়ন পরিষদের বেদখল জায়গা দখলমুক্ত করলো প্রশাসন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরের খট্টেশ্বর রাণীনগর (সদর) ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলার লোহাচুড়া গ্রামে সদর ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা অবৈধভাবে দখলের ঘটনা ঘটে।

ইউনিয়ন পরিষদের বেদখল হওয়া সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ৭ শতাংশ জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান।

জানা গেছে, উপজেলার লোহাচুড়া গ্রামের লোহাচুড়া মৌজায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫৬ শতাংশ জায়গা (সম্পত্তি) রয়েছে। ওই জায়গাগুলো স্থানীয় কতিপয় লোকজন নানা কৌশলে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে দখলে নেয়। সম্প্রতি ওই পরিষদের প্রায় ৭ শতাংশ পরে থাকা (ফাঁকা) জায়গা স্থানীয় রহিদুল ইসলাম ও ফাতেমা নামে দুই ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করে ইটের বাড়ি নির্মাণ কাজ করছিলেন। ঘটনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি জায়গাটি অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। সেইসাথে অবৈধ দখলমুক্ত করে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।

রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের জায়গাটি অবৈধভাবে দখল করে অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি স্থায়ী বাড়ি নির্মাণ করছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে কাগজপত্রাদি যাচাই শেষে ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ৭ শতাংশ জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করি। এরপর সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করে ইউনিয়ন পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বেদখলে থাকা বাকি জায়গাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডসের সমস্যা কম বেশি সবারই বেশি আছে। নাকের দুপাশে এই কালো কালো দানার মতো স্পট দেখা যায়। এগুলোই ব্ল্যাকহেডস। তবে এই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে যেতে হবে না পার্লরে। ঘরে বসেই দূর করা সম্ভব এই ব্ল্যাকহেডস।

প্রতিদিন নিয়ম করে নিতে হবে ত্বকের যত্ন। কারণ প্রতিদিন বাইরে বের হলে দূষণ, ধুলা ময়লা ছাড়াও কারণে ত্বকের বারোটা বাজে। আমাদের নাকের দুপাশে ভরে যায় ব্ল্যাকহেডস। কারো কম বা কারো আবার বেশি হয়। এই সমস্যা সবারই আছে। ঘরে বসেই এই ব্ল্যাকহেডস দূর করা সম্ভব। জেনে নিন তেমনই ৪ সহজ উপায়।

ব্যবহার করুন দুধ

দুধে রয়েছে এনজাইম, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। তাই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে খুবই কাজে দেয় এই উপাদানটি। এছাড়া ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে আপনার বলিরেখাও মলিন করে তোলে। কিন্তু ব্ল্যাকহেডস সরাতে কীভাবে এই দুধ ব্যবহার করবেন? জেনে নিন।

একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তাতে সামান্য পরিমাণে দানা দানা লবণ মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ব্ল্যাকহেডসের উপর লাগিয়ে সামান্য ঘষে নেবেন। তবে জোরে চাপ দিয়ে ঘষবেন না। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতেই দূর হবে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা।

কাজে লাগবে ওটস

ব্ল্যাকহেডস দূর করতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। তার মধ্যে ওটস অন্যতম। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পেস্ট। কীভাবে ব্যবহার করবেন? ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কীভাবে কাজে লাগাবেন এই ওটসকে?

একটি পাত্রে পরিমাণমতো ওটস নিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন ওটস যেন সামান্য দানা দানা থাকে। এর সঙ্গে সামান্য পানি আর মধু মিশিয়ে নিন। ওটস আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করবে। আর মধু আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ব্ল্যাকহেডসের উপর এই প্যাক লাগিয়ে সামান্য ঘষে নিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

তেল নিয়ন্ত্রণে ডিমের সাদা অংশ

ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ থেকেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। এতে বাড়তে পারে ব্ল্যাকহেডস। আর দেখা দিতে পারে ব্রণ সমস্যা। তাই আপনার মুখের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কাজটি জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে ডিমের সাদা অংশ। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ রোধ করে। সেই সঙ্গে ধুলা-ময়লা থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। তাই ব্ল্যাকহেডস হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়।

একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ নিন। তাতে যোগ করুন এক চা চামচ মধু। তারপর খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার আপনার মুখে যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে, সেখানে এটি ভালো করে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনেই পার্থক্য চোখে পড়বে।

ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি

সবার বাড়িতে নিশ্চয় পেট্রোলিয়াম জেলি আছে। এটি ব্যবহার করেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে পারেন। আপনার নাকের দুপাশে যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে, তার উপর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এবার গরম পানিতে ভিজানো তোয়ালে ভালো করে নিংড়ে নিন। সেটি আপনার মুখের উপর দিয়ে রাখুন। বেশ কিছুক্ষণ মুখের উপর রাখতে হবে। এতে মুখের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এবার তোয়ালে সরিয়ে ওয়াইপস বা টিস্যু দিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি মুছে নিন।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




মরদেহ দাফনের ৬ দিন পর জীবিত ফিরলেন রহিম!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

চট্টগ্রাম অফিস :

চট্টগ্রাম মহানগরীর চাক্তাই খাল থেকে গত শনিবার এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। পরদিন রবিবার ভোলার উবায়দুল্লাহ এসে লাশটি নিজের ছেলে আব্দুর রহিমের লাশ দাবী করে গ্রহণ করেন এবং ভোলায় নিয়ে গিয়ে দাফন করেন।

তবে ঘটনার মোড় ঘুরে যায় গতকাল বৃহস্পতিবার। সেদিন রহিমের মোবাইল নম্বর সচল পেয়ে পিবিআই কর্মকর্তারা খোঁজ নিয়ে তাকে জীবিত উদ্ধার করেন। 

জানা যায়, পাওনাদারদের ভয়ে মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

উবায়দুল্লাহ জানান, তার ছেলে চট্টগ্রামে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। পহেলা মে সকালে এক ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। তিনি ধারণা করেছিলেন, অনলাইন জুয়াড়িদের হাতে খুন হয়েছেন তার ছেলে। পুলিশও লাশটি তার কাছে হস্তান্তর করে।

পিবিআই কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, রহিমের মোবাইল চালু হলে তারা যোগাযোগ করেন এবং জীবিত রহিমকে খুঁজে পান। পরে বাবা-ছেলেকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রহিম পাওনা টাকা দিতে না পেরে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, 'লাশ শনাক্তের সময় বিকৃত হওয়ায় উবায়দুল্লাহ ভুল করে সেটিকে নিজের ছেলের লাশ ভেবেছিলেন। তদন্তে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্যের প্রমাণ মেলেনি।'

রহিমের ফুফাতো ভাই মো. নোমান গত জানান, 'লাশ শনাক্তের সময় ঘাড় ও পেটের পুরনো কাটা দাগ দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছিলেন। তার ভাষায়, ২০১৪ সালে নির্মাণস্থলে পড়ে গিয়ে রহিমের পেটে রড ঢুকে যায় এবং অস্ত্রোপচারের ফলে ওই দাগগুলো পড়ে।'

পিবিআই জানায়, 'যাকে দাফন করা হয়েছে, সেই অজ্ঞাত ব্যক্তির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে দাবিদার এলে তা মিলিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর