Logo
শিরোনাম

ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসকে এমডি জাকির হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ২৬ মার্চ, মঙ্গলবার বিকেলে, স্থানীয় একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে। এতে প্রবাসী সাংবাদিকরা ছাড়াও কম্যুনিটির ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি পলাশ রহমান বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। বহু প্রাণ ঝরিয়েছি। ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার মুখে পড়েছি। আমরা জানি স্বাধীনতার জন্য কতো ত্যাগ করতে হয়। কতো বিসর্জন দিতে হয়, কিন্তু ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামীদের ত্যাগ, তাদের উপর চালানো ইজরায়েলের গণহত্যা আমাদের স্তম্ভিত করেছে।

তিনি বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এ মাসকে মুসলমানরা এবাদতের মাস হিসাবে পালন করেন। কিন্তু এই পবিত্র মাসেও রেহাই পাচ্ছে না ফিলিস্তিনির মজলুম মানুষরা। ইজরায়েল তাদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষকে তারা হত্যা করেছে। বৃষ্টির মতো বোমা ফেলে ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। দেড় শতাধিক ত্রাণ কর্মী এবং সংবাদকর্মীকে হত্যা করেছে। তারা গাজায় ত্রাণ ঢুকতে বাঁধা দিচ্ছে। ক্ষুধাকে অস্ত্র বানিয়েছে। যা পৃথিবীর জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম। 


পলাশ রহমান প্রশ্ন তুলে বলেন, আর কতো মানুষ মরলে, কতো মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে বিশ্ববিবেক জাগবে? আর কতো শিশু, নারীর রক্ত ঝরলে আরব নেতাদের টনক নড়বে?

তিনি বলেন, হিটলার, মুসলিনিদের চেয়েও ভয়ঙ্কর দানব নেতানিয়াহুকে থামানোর মতো কী কেউ নেই বিশ্বে? যদি না থাকে আমরা কিভাবে এই বিশ্বকে একটি সভ্য বিশ্ব বলতে পারি!

পলাশ বলেন, পশ্চিমা নেতারা মুখে মানবাধিকারের কথা বললেও মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হলি খেলতে তারা পছন্দ করেন। তাদের মুখে এখন আর মানবতার কথা মানায় না। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। তারা এক দিকে মানবতার কথা বলেন, অন্যদিকে নিরীহ মানুষ হত্যা করতে অস্ত্র সরবরাহ করেন।

তিনি বলেন, দানব ইজরায়েলকে থামতে হবে। তাদের রক্ত পিপাসার লাগাম টানতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন গড়তে হবে। অন্যথায় বিশ্বে এক ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। পৃথিবী এক মহাযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে। যা আমাদের সবার ধ্বংস ডেকে আনবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মানবাধিকার বিষয়ে ইতালিয় ভাষায় প্রবন্ধ পাঠ করেন ভেনিসের সাবেক রাজনীতিক বেল্লাতো জাকমো এবং বিশ্ব শাক্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন, হাফেজ, মাওলানা আবদুস সালাম।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মৃতপ্রায় গণতন্ত্র বিষয়ে বক্তৃতার শুরুতে কোরান থেকে তেলোয়াত করেন, ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শাইখ আহমেদ। বক্তৃতা করেন, উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সহসভাপতি সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আকতার হোসেন বেপারী, স্থানীয় পৌর কমিশনার (বাংলাদেশি বংশউদ্ভূত) আফাই আলি, ভেনিস বাংলা স্কুলের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন পান্না, আওলাদ হোসেন অন্তু, প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহসভাপতি সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম টগর, ফাহিম হোসেন মুন্না ও আনোয়ার হোসেন।


আরও খবর

ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ ৪ বাংলাদেশি আটক

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রম আইনে বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




যশোরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অটো পাসের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

আনোয়ার হোসেন - নিজস্ব প্রতিনিধি::


অটো পাসের দাবিতে যশোর এইচএসসি-২০২৪ ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধন হয়েছে।গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাব যশোর এর সামনে ডা. আব্দুর রজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাসিন নূর প্রিয়ম’র নেতৃত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ২০২৪ সালের অনুষ্ঠিত না হওয়া অবশিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল সহ পরীক্ষা প্রদেয় বিষয়ের উপর মূল্যায়ন করে ফলাফল দেওয়ার দাবি জানানো হয়।


পরীক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে তাদের চলমান এইচএসসি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। যশোর শিক্ষাবোর্ড পুনরায় স্থগিত হওয়া পরীক্ষার রুটিন দিলেও পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছা পোষণ করছেন। তাদের দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মধ্য অনেক শিক্ষার্থী আহত এবং নিহত হয়েছেন, তাদের বিষয় বিবেচনা করে যশোর শিক্ষাবোর্ড যাতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া বিষয় গুলোর উপর যথা যথো মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করেন।


আরও খবর



আশার গুড়ে বালি ইলিশে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মৌসুম চলছে মাছ ইলিশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতে ইলিশ  উপহার ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে ফলে দেশের বাজারে ইলিশের জোগান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমার আশায় ছিল দেশের মানুষ সে আশায় এখন গুঁড়ে বালি স্বল্প আয়ের মানুষ ইলিশের ধারে কাছেও যেতে পাচ্ছেন না আড়তে আসা প্রায় সব ইলিশই যাচ্ছে ফ্রিজিং করে মজুদদারদের ঠাণ্ডা গুদামে এর সঙ্গে সক্রিয় আছে চরম মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা

ভেবেছিল কম দামে এবার যদি পাতে এক টুকরো রুপালি মাছ জোটে! কিন্তু না, কমার বদলে উল্টো দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এর কারণ হিসেবে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক বলেছেন, ডিজেলের উচ্চ মূল্য এবং সিন্ডিকেট। ইলিশের দাম কী হবে, তা সকালে নির্ধারণ করে দেয় মোকামের ব্যবসায়ি সিন্ডিকেট। বিক্রি না হলে ফ্রিজিং করে রাখে। পাশাপাশি দাদন টাকা আরেকটি কারণ। দাদনদাতারা জেলেদের কাছ থেকে ১০ ভাগ মুনাফা নেন। দাদনদাতা মহাজনের আড়তেই মাছ দিতে হয়। এই তিনটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি অন্তত ৩০০ টাকা কমে যাবে। তবে ব্যবসায়িরা বলছেন, দাম বেশির কারণ সিন্ডিকেট নয়, ধরা পড়ছে কম। ভরা মৌসুমেও ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরেই দেখা নেই ইলিশের।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্রেতা মাছ কেনার আশা নিয়ে বাজারে আসছেন ঠিকই কিন্তু দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজার, কাজীপাড়া, মিরপুরের ৩টি বাজার ঘুরে সরেজমিনে চিত্র দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, হিমাগারের ইলিশের দাম কেজি ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা। বাজারে টাটকা ইলিশ সেভাবে পাবেন না। যদি সেরকম টাটকা ইলিশ খেতে চান তাহলে চাঁদপুরের মোহনাতে যান

পশ্চিম কাজীপাড়া মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হলেও দেশে দাম কমেনি। আমরা বেশি দামে কিনেছি। কম দামে কিভাবে বিক্রি করব। কাজীপাড়ার এই দোকানে ৫০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজিতে। ৬০০-৬৫০ গ্রামের ইলিশ ২০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির উপরে ইলিশ ২৭০০ টাকা কেজি। এখন বড়লোক ছাড়া ইলিশ কিনতে পারে না। গরীবেরা দাম শুনতেও আসে না

বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাজারের ফাহিম মৎস্য আড়তের প্রোপাইটার ফোরকান মিয়া জানান, গত চারদিন ধরে অভ্যন্তরীন নদীতে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে না। অন্যদিকে সমুদ্রে ধরা পড়া মাছ বরিশালের বাজারে এখনো আসেনি। যার দরুন প্রতিকেজি ইলিশ মাছের দাম দুইশ থেকে চারশত টাকা করে বেড়েছে। সামনে পূর্নিমার জো। সময় আবারো মাছ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন থেকে আবার দাম হয়তো কমতে পারে।

পোর্ট রোডের আড়তদার মো. রানা জানান, বন্যা বৃষ্টির সময় নগরীর পোর্ট রোড মোকামে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ মন ইলিশ মাছ বেচা কেনা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে একশ থেকে দেড়শ মনের বেশি মাছ বাজারে উঠে না। যার কারনে দাম আকাশ ছোয়া হয়েছে