Logo
শিরোনাম

ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে অনীহা বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকায় প্রতি বছর যে পরিমাণ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় তার প্রায় অর্ধেকই পথচারী। সংখ্যার হিসাবে বছর শেষে যা ২৫০ থেকে ২৮০। সড়কে বেপরোয়া বাহনের পাশাপাশি সমানতালে বেপরোয়া পথচারীও। যত্রতত্র পারাপার আর ফুটওভার ব্রিজে অনীহা বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা। তবে ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়ক আর ফুটপাতের অব্যবস্থাপনা উসকে দেয় এমন দুর্ঘটনা। নগর কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী করছে অসচেতনতাকে।

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩- খবরের এমন শিরোনাম যেন নিত্যদিনের। বলতে গেলে প্রতিদিনই এই নগরের কোথাও না কোথাও ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

তবু থামছে কই। কারণে অকারণে নানা অজুহাতে একটু সময় বাঁচাতে প্রাণ হাতে নিয়েই পাড়ি দিচ্ছে নগরের পথ। যেনো দুই এক মিনিট সময় বাঁচিয়েই করা যাবে বিশ্বজয়। সবই জানা, তবু যেনো মানতে মানা।

পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছর অর্থাৎ প্রতি ৩৬৫ দিনে পাঁচ থেকে সাড়ে ৫০০ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে অবার করার মতো তথ্য হচ্ছে এর ৪৭ থেকে ৪৯ ভাগই পথচারী। অর্থাৎ চলার পথে পেছন থেকে ধাক্কা কিংবা সড়ক পারাপারেই প্রাণ রাজধানীতে ঘটছে অধিকাংশ দুর্ঘটনা। এরপরেই ২৪ ভাগ দুর্ঘটনার কারণ পেছন থেকে ধাক্কা যা বিশৃঙ্খল গণপরিবহনেরই চিত্র তুলে ধরে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, পথচারীদের সঙ্গে দুর্ঘটনার জন্য বেশিরভাব সম্পৃক্ত বাস-ট্রাকের মতো ভারী যানবাহনগুলো। অনুপাত হিসাব করলে ২২ থেকে ২৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেল আরোহী বা মোটরসাইকেল কেন্দ্রিক।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এমন দুর্গটনার অন্যতম কারণ রোড ইঞ্জিনিরয়ারিং। তার মানে গলদ আছে সড়ক ব্যবস্থাপনায়। তাছাড়া বেদল আর পথচারী বান্ধব না হওয়ায় ফুটপাত, পুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহারেও রয়েছে অনীহা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান বলেন, সড়ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলো আমাদের জন্য আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি ফুটপাতগুলোও পথচারী বান্ধব নয়।

তবে নগর কর্তৃপক্ষ সরাসরি দায়ী করছে অসেচতনাকে। বলছে, কাজ করতে হবে সব পক্ষের সচেতনতায়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে হঠাৎ করেই রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড় দেয়। শর্টকাট করলে কিন্তু হবে না। গাড়ির চালক ও পথচারী সবাই নিয়ম মেনে চললে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অনেকখানি রক্ষা পাওয়া যাবে। দেশে মোট সড়ক দুর্ঘটনার ২৩ ভাগই হয় শহরে। আর তার ৭৪ ভাগই রাজধানী ঢাকায়।


আরও খবর



পাকিস্তানকে সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও দেবে না ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভারত। ২৫ এপ্রিল দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া পোস্টে সিআর পতিল লেখেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে বৈঠকে একটি রোপম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন এবং দীর্ঘকালীন ব্যবস্থার ওপর কাজ করছে যেন পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। শিগগিরই নদীর প্রবাহ বন্ধ করতে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হবে।”

২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যার মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি। এটি ২০১৯ সালের পর ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা।

এই হামলার পর ভারতীয়রা প্রতিবেশী পাকিস্তানকে দুষছে। দেশটির বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে একটি হলো পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করা। যদিও এ মুহূর্তে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ আটকানোর মতো অবকাঠামো ভারতের নেই। তবে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল।

এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে নেয়া পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সংসদ ভবনে সর্বদলীয় বৈঠকে হয়। বৈঠকে বিরোধীরা ভারতের যদি পর্যাপ্ত জলাধার না থাকে, তবে কেন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জবাবে সরকার পক্ষ জানায়, এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক ফলের জন্য নয়, বরং এটি একটি প্রতীকী ও কৌশলগত পদক্ষেপ।

এদিকে পাকিস্তান হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা চালানো হয় তাহলে এটিকে তারা যুদ্ধের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

শুক্রবার সিনেট অধিবেশনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এগুলো ভারতের ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য।

অতীতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে ভারতকে সতর্ক করেন ইসহাক দার। বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’। যেকোনো শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের চূড়ান্ত জবাব দেয়া হবে।


আরও খবর



৬ কোটিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শেষ মুহূর্তে চলতি আইপিএলে দল পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানো জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের পরিবর্তে মুস্তাফিজকে স্কোয়াডে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৬ কোটি রুপিতে তাকে দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নিলামে তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। যদিও নিলাম থেকে টাইগার পেসারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কেউ। মূলত, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর আইপিএলে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ মুস্তাফিজের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফলে চলতি ২০২৫ আইপিএলের বাকি অংশে দিল্লির জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ‘দ্য ফিজ’কে। সাময়িক বিকল্প হিসেবে মুস্তাফিজের সঙ্গে চুক্তি করেছে দিল্লি। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, পরের আসরের জন্য তাকে ধরে রাখতে পারবে না এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। অর্থাৎ, শুধুমাত্র চলমান আসরের বাকি অংশে মুস্তাফিজকে খেলাতে পারবে দিল্লি।

৬ কোটি রুপিতে দল পেয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে মুস্তাফিজই এখন সবচেয়ে বেশি টাকায় আইপিএলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার। এর আগে ২০০৯ সালে মাশরাফিকে ৬ লাখ ডলারে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সে সময়ের বাজারদরে তা চার কোটি টাকার কাছাকাছি ছিল।

আগামী শনিবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ। দিল্লি ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের ৫ নম্বরে আছে। সুযোগ আছে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার। প্লে অফের আগে এখনও ৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে মুস্তাফিজের দলের।

আইপিএলে মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৬১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ, নিয়েছেন ১৩২টি উইকেট।

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। এরপর খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সর্বশেষ ২০২৪ আসরে ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। এবার আবারও দিল্লির হয়ে মাঠে নামছেন তিনি।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




কিতাবি সংস্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো যায় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

কিতাবি কিংবা পুঁথিগত সংস্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো যায় না মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের স্বার্থের প্রশ্নে সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক ও অভিন্ন। ব্লেইম গেম দিয়ে এই সরকারের দায়িত্ব এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ৫৪ বছরের সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন ৭১ আর ২৪। এই দুই অর্জনের মাধ্যমে যে বার্তা আমরা পেয়েছি তা হলো, দিল্লির তাবেদারি করার জন্য এই দেশের জন্ম হয়নি। পলাতক স্বৈরাচার এটিকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের সরাসরি ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। এটিই স্বাভাবিক। তবে দেশে এখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যেন নির্বাচন চাওয়া অপরাধ।

রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি দল রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে। এরপরেও রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা করলে তা বিরাজনীতিকরণের দিকে দেশকে ঠেলে দেবে।

নতুন যে সরকার গঠিত হবে তারা পলাতক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে চরের বাদামসহ অন্যান্য ফসল। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অপরিপক্ক বাদাম তোলার চেষ্টা করছেন। স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা চরের বাদাম চাষীরা পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছেন।

চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিস ও চাষীরা জানান, চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে নতুন করে জেগে ওঠা চরে বিগত বছরের ন্যায় এবারও বাদাম চাষ করেছিল বহু কৃষক। স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা, কোচগ্রাম, বসন্তপুর, মালিপাড়া, ছোট চৌহালী-বড় চৌহালী, তেঘুরি, স্থল চর, মিস্রিগাতি ও লাঙ্গলমুড়া, উমারপুর ইউনিয়নের দত্তকান্দি, ছোল, উমারপুর, খাষকাউলিয়া, ঘোড়জান, সদিয়া চাঁদপুর, স্থল ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমচর এলাকা প্রায় ২ হাজার ২ শত হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বাদাম ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিল কৃষকদের। আকস্মিক জোয়ারে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচু এলাকার বাদামেখেত তলিয়ে যায়। এতে দক্ষিন ও পশ্চিমাঞ্চলের তিন শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারনে ওই এলাকার শতাধিক কৃষকেরা বড় ধরণের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।

সন্তোষা চরের আবুশামা, লোকমান হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, মোসছেদ আলী ও জয়নাল হোসেন জানান, অন্যান্য বছরে বাদামের বাম্পার ফলন দেখে এবার বেশি জমিতে চাষ করি। তবে আমাদের এলাকায় পানিতে তলিয়ে বহু জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারনে কোমর পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলতে হচ্ছে। এদিকে যমুনার পশ্চিম তীর এনায়েতপুরে দেখা যায়, পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বাদাম তুলে নদীর পাড়ে কৃষক পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্য মিলে বাদাম ছাড়াচ্ছেন। আবার কোথাও কোথাও তারা জমির পাড়ে শুকনা স্থানে বাদাম রোদে শুকাচ্ছে। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্তোষা গ্রামের ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, কৃষকদের স্বপ্ন পানিতে তলিয়ে গেছে, বাদামের জমি তলিয়ে যাওয়ায় বহু কৃষক এবছর লোকশানের মুখে পড়বে। সরকারী ভাবে তাদের সহায়তার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের উপহসকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুহুরাইয়া জানান, জানান, যমুনার চরাঞ্চলের বাদাম জমি তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজিমন পরিদর্শন করেছি। অপরিপক্ক বাদাম তুলে বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে, সরকারী সহায়তা এলে দেয়া হবে। এছাড়া বিশেষ প্রণোদনার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, অসময়ে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী চর এলাকায় বাদামের জমি ডুবে গেছে। কৃষকেরা পানির মধ্যে নেমে ভেজা বাদাম সংগ্রহ করলেও সুফল পাবে না। অধিকাংশ বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদী এলাকায় প্লাবিত ধান, কাউন, তিল সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হবে তিনি উল্লেখ করেন।


আরও খবর



যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম তা উদ্বুদ্ধ করবে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন‍্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এটি একটি ছোট প্রকল্প। ৩শ ঘর নির্মাণ, কিন্তু এর মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ করার যে দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করলাম তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।

বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা বাড়ি পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে সাহস জুগিয়েছে সে সাহস সবসময় মনের মধ্যে ধারণ করবেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই কাজে যারা নিরলস পরিশ্রম করে গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সদস্যগণ, এলজিইডির প্রকৌশলীগণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ তাদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা পালন করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে।

তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ করা যায়নি, সেগুলো খুব শিগগিরই নির্মাণ হয়ে যাবে।

গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

উল্লেখ্য, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত মোট ৩শটি ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনী জেলায় ১১০টি, নোয়াখালী জেলায় ৯০টি, কুমিল্লা জেলায় ৭০টি ও চট্টগ্রাম জেলায় ৩০টি ঘর প্রদান করা হয়।

ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার চারজন উপকারভোগী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী।


আরও খবর