Logo
শিরোনাম

গাজার ২১ হাসপাতালে বন্ধ স্বাস্থ্যসেবা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২১টি হাসপাতালের সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ১১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ২৮৭ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছেন। বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ৫৮টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে, যেখানে চিকিৎসা সেবা চালু আছে সেখানে আহতদেরকে নিয়ে যাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, লাশের বন্যায় হাসপাতগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলো আহতদের কোনও চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে না। ইসরায়েলের দখলদার সেনাদের হামলায় সব চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি সেনারা স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর



গরমে বাড়ছে নিউমোনিয়ার প্রকোপ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। রাজধানী ঢাকার শিশু হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। আউটডোরে গত কয়েকদিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে গড়ে তিন থেকে চারশ। জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়া নিয়ে বেশি শিশু আসছে হাসপাতালটিতে। তবে ভর্তি হচ্ছে বেশি নিউমোনিয়া নিয়ে। নিউমোনিয়ার প্রকোপ সাধারণত শীতে বাড়লেও এবার গরমের কারণেও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, গরমের তীব্রতা বাড়ার আগে দৈনিক ৭শ থেকে ৮শ রোগী চিকিৎসা নিতে আসতো। তবে এই মুহূর্তে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অ্যাজমা, সাধারণ ঠান্ডা সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১১শ থেকে ১৩শ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালটিতে নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি ৮৭ জন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান গেটে ঢুকতেই হাতের বাম দিকে থাকা ভবনে টিকিটের জন্য অপেক্ষমাণ স্বজনরা। ভবনের টিকিট কাউন্টারের সামনে প্রচুর ভিড়। এখান থেকে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের জন্য টিকিট কেটে জরুরি বিভাগ কিংবা আউটডোরে দেখাতে অপেক্ষা করছেন। অনেকে আবার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য টাকা পরিশোধ করে টেস্টের জন্য বসে আছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, সবগুলো ওয়ার্ডই রোগীতে পূর্ণ।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর সিটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ৯ মাস বয়সী তাহমিদা আক্তার। তার দেখভাল করছেন মা। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন চাচা জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ভোলা থেকে এসেছি। একমাস ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছে তাহমিদা। প্রথমে অসুস্থ হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কিছুদিন পর সুস্থতা অনুভব করলে বাসায় চলে আসে। এর কিছুদিন পর আবারও সমস্যা দেখা দেয়। এরপর শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে ছয়দিনের মতো ভর্তি আছে।

ঠান্ডা-জ্বর নিয়ে হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫ নম্বর সিটে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই বছর চার মাস বয়সী হুমাইরা। ঢাকায় মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার বাসিন্দা তারা। পাশে বসা মা সাবিনা আক্তার। তিনি বলেন, মেয়ের হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি কাশি শুরু হয়। এরপর পাতলা পায়খানা হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক শিশু। এদের মধ্যে পাঁচ ধরনের সমস্যা নিয়ে বেশি আসছে রোগীরা। যেমন সর্দি-জ্বর, শরীরে র্যাশ ওঠা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা। এসব রোগীর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তরা বেশি ভর্তি হচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে বেশির ভাগ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফারহানা আহমেদ বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন শিশু ও বৃদ্ধরা। এসময়ে শিশুদের জ্বর, ঠান্ডা-কাশি, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, গরমে হওয়া বিভিন্ন চর্মরোগ, নিউমোনিয়া আমরা বেশি পাচ্ছি। গত কিছুদিনের দাবদাহে সমস্যাটা আরও বেশি বেড়েছে।

গরমে শিশুদের প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় দ্রুত। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও থাকে কম। যে কোনো কিছু মুখে দেয়, সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে খায় না, বাইরের বিভিন্ন খাবারে তাদের আগ্রহ বেশি থাকে। এসব কারণে বাচ্চারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এছাড়া ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি তো হচ্ছেই।

তিনি বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি মানতে হবে। যেমন ফুটানো পানি পান করা, একদম ঠান্ডা পানি না পান করে হালকা ঠান্ডা পানি মিশিয়ে খাওয়া, বাইরে যাওয়ার সময় পানির বোতল নিয়ে যাওয়া এবং বাইরের খাবার না খাওয়ানো। বাইরে থেকে এসে ঘাম মুছে দেওয়া। প্রতিদিন নরমাল পানি দিয়ে গোসল করানো। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির পাশাপাশি বাচ্চাদের মৌসুমি ফলের রস খাওয়ানো উচিত।

শিশু হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গরম এলে আমাদের হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। ভর্তিও হচ্ছে অনেক বেশি রোগী। এই বাড়তি চাপ সামাল দিতে আমরা রোগীদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

নিউমোনিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে আমরা ৭-৮ দিন চিকিৎসা দেই। বর্তমানে পাঁচদিনের মধ্যে তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে গেলে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। এতে পরিবারের জন্যও ভালো এবং অন্য নতুন রোগীও ভর্তি হতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় গড়ে শতাধিক রোগী আমাদের ভর্তি করানোর প্রয়োজন হচ্ছে। তাদের জন্য আসন খালি করতে অন্য একশজনকে ছাড়তে হয়। আমাদের একটা ওয়ার্ডের কাজ চলছিল। সেখানে ২৬টি সিট আছে। সেগুলো আজ থেকে চালু হলে আরও ২৬ জন রোগী ভর্তি হতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা ইমার্জেন্সি অবস্থার জন্য একটা ইমার্জেন্সি ফাইটার্স নামে দল গঠন করেছি। তারা জরুরি অবস্থায় চিকিৎসা দেবে। এছাড়া রিজার্ভ চিকিৎসকও রাখা হয়েছে। এক মাসের শিশুদের ক্ষেত্রে যেন কোনো লাইন না থাকে সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এই গরমে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।

পরিচালক বলেন, ১৯ জনের মতো নিউমোনিয়া রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় (২২ এপ্রিল) ভর্তি হয়েছে। এখন ৮৭ জন নিউমোনিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি। আমরা এবছর বেশি নিউমোনিয়া রোগীর চিকিৎসা করছি। জানুয়ারি মাসে ৫১৪ জনের মতো, ফেব্রুয়ারিতে ৫৫৫, মার্চে ৫৩৩ আর চলতি মাসে এখন পর্যন্ত তিনশজনের মতো নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এটি পাঁচশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সে তুলনায় আমাদের হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি কম। এ মাসে মাত্র পাঁচজন ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই মুহূর্তে ডায়রিয়া রোগী তেমন ভর্তি হচ্ছে না। যারা আসছেন তাদের আউটডোরে চিকিৎসা দিচ্ছি। গতকাল ৫৩ জন রোগী আউটডোরে ডায়রিয়া সমস্যা নিয়ে এসেছিল। তাদের মধ্যে থেকে মাত্র একজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউমোনিয়া সাধারণত ঠান্ডাজনিত সমস্যা। এখন গরমের সময়ে নিউমোনিয়ার সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২২ সালের পর থেকে নিউমোনিয়া রোগী আমাদের এখানে বাড়ছে। তবে এটা পুরো বাংলাদেশের চিত্র নাও হতে পারে। এত বেশি নিউমোনিয়া রোগী আসার পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে আমাদের হাসপাতালে নিউমোনিয়ার জন্য একটি তলা ডেডিকেটেড করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ৩৩টি বিছানা আছে। এর মধ্যে ১৬টি সাধারণ বিছানা, বাকিগুলো রেসপিরিটরি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র। আর তিনটি কেবিন আছে।

তিনি বলেন, সাধারণত ঠান্ডায় নিউমোনিয়া হলেও গরমেও নিউমোনিয়া বাড়ছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যায় যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের নিউমোনিয়া হয়ে যায়। এছাড়া গরমে শিশুরা ঘামে। আর বাবা-মা যদি সেটায় নজর না দেয় ঘাম শরীরে শুকিয়ে যাবে। এতে শরীরের ভেতর ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন রক্ত চলাচল কম হয়। এসময় ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে শিশুদের নিউমোনিয়া হতে পারে।

পরিচালক আরও বলেন, গরমে অনেক শিশুর আইসক্রিম, বরফের মতো ঠান্ডা খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে গলা ঠান্ডা হয়ে যায়, পরে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বা আভাইরাস আক্রমণ করে। সেখান থেকে ফুসফুসে যায়। এতেও নিউমোনিয়া হতে পারে শিশুদের।

 


আরও খবর



রাণীনগর-আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  

 নওগাঁর রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। "প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মাট বাংলাদেশ" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার দুই উপজেলায় পৃথক পৃথকভাবে উদ্বোধনী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। 

রাণীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ প্রাঙ্গনে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বাস্তবায়নে এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রাণালয় এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এমপি ওমর ফারুক সুমনসহ অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ,উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা রফি ফয়সাল তালুকদার,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক,মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

অপর দিকে আত্রাই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক,জেলা পরিষদ  সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল,ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা ডা. আবু আনাছসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীতে খামারিরা রাণীনগরে ৩০টি এবং আত্রাই উপজেলায় ৩০টি স্টলে বিভিন্ন জাতের পশু-পাখি প্রদর্শনে অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরছেন না সুনিল নারিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে যেভাবে জ্বলে উঠেছেন সুনিল নারিন, তাতে অনেকের মনে তৈরি হয়েছে কৌতুহলী প্রশ্ন। নারিনকে কি আগামী জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলবেন?

ভক্তদের সেই কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিয়েছেন নারিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তিনি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, তা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে নারিনের উত্তর শুনে হয়তো অনেক ভক্তরই মন খারাপ হবে। কারণ, গত সপ্তাহে কলকাতার হয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলবেন না। নারিন জানান, তার জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দরজা বন্ধ।

জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরা নিয়ে নারিন বলেন, আমি সত্যিই খুশি যে সম্প্রতি আমার পারফরম্যান্স অনেককে প্রকাশ্যে তাদের অবসর ভেঙে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

আমি সেই সিদ্ধান্তের (জাতীয় দলের হয়ে না ফেরা) নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি কখনই হতাশ হতে চাই না। সেই দরজাটি এখন বন্ধ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জুনে যারা মাঠে নামবে আমি তাদের সমর্থন করবো।-যোগ করেন নারিন।

তিনিও আর বলেন, যে ছেলেরা গত কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং আমাদের দুর্দান্ত ভক্তদের দেখানোর যোগ্য যে তারা আরেকটি শিরোপা জিততে সক্ষম- আমি আপনাদের শুভ কামনা জানাই।

গত সপ্তাহে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৬ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন নারিন। তবে নারিনের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ম্লান করে পাল্টা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন জস বাটলার।

আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নারিন। ২২.১১ গড়ে বোলিং করে শিকার করেন ৯ উইকেট। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।

২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন নারিন। তবে ২০১৯ সাল থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি খেলেননি তিনি। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছেও নেই নারিনের।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় বাইকারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ঈদ এলেই মহাসড়কে বেড়ে যায় মোটরসাইকেলের চলাচল। দুই চাকার এ মোটরযানে করে বাড়ি ফেরেন অনেকেই। তাই এ সময় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনাও বেড়ে যায় চোখে পড়ার মতন। এবার এ বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ প্রশাসন। মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ব্যবস্থা করা হচ্ছে আলাদা লেনের।

সূত্রমতে, দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন করে দেওয়া হবে এবারের ঈদযাত্রাকে ঘিরে। এক্সপ্রেসওয়ের ৪০ কিলোমিটার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার মুন্সিগঞ্জ জেলার আওতাধীন। এই অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত দুই শতাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবারের ঈদযাত্রায়। মহাসড়কে তিন চাকার যান নিয়ন্ত্রণেও তদারকি করবে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই মোটরসাইকেল চলাচল বহুগুণ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনাও। তাই এবার ঈদের আগে দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।

এর অংশ হিসেবে সড়কের কোথাও যেন পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে না রাখা হয় সেটিও তদারকি করবেন পুলিশ সদস্যরা।

ঈদযাত্রা ঘিরে নিজেদের প্রস্তুতির ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেছেন, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অংশ চলে গেছে এ জেলার ওপর দিয়ে। তাই এবার ঈদে বাড়ি ফেরা নিরাপদ করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে।

তিনি জানান, এবারই প্রথম মোটরসাইকেলের জন্য স্পেশাল লাইন থাকবে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে। তিন চাকার যানবাহন যেন ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করতে না পারে সে ব্যবস্থাও থাকবে।


আরও খবর