Logo
শিরোনাম

গাজায় গণহত্যা অব্যাহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েই চলছে দখলদার ইসরায়েল। উত্তর গাজার পাশাপাশি এখন দক্ষিণ গাজায়ও নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রাণহানি। এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, গাজায় হামাসের বিস্তৃত টানেলে সাগরের পানি ঢুকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে ভয়াবহ আক্রমণ ফের শুরু করেছে ইসরায়েল। এবার পুরো গাজাকেই টার্গেট করছে ইসরায়েলি সেনা। গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অন্তত ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসসহ সব খানে বোমা হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। খবর আল জাজিরার

ইউনিসেফ বলছে, প্রতি ১০ মিনিটে অন্তত একটি করে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। এতে গোটা গাজায় একটু জায়গাও নিরাপদ নেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত চার দিনের টানা বর্বর হামলায় হাসপাতালগুলোতে লাশের বন্যা হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, গাজায় হামাসের কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করতে তারা গোটা গাজায় হামলা বিস্তৃত করেছে। আইডিএফের প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, সেনারা এখন হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করছে।

সোমবার সকালে গাজাবাসীকে গাজার কেন্দ্রস্থলের অন্তত ২০টি এলাকা থেকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নতুন আদেশ জারি করেছে ইসরায়েল। কিন্তু এর আগে উত্তর থেকে দক্ষিণের খান ইউনিসের এসব এলাকায় ঠাঁই নিয়েছিলেন তারা। এখন আবার অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

গত মাসে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের উত্তরে পাঁচটি বড় পাম্প একত্রিত করা হয়েছে। এসব পাম্প হাজার হাজার ঘনমিটার সমুদ্রের পানি টানেলে পাম্প করতে সক্ষম।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৩ জন। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।

এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা বলেছেন, দখলদার সেনাদের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৩১৬ জন।

গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময় ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

নিহত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সংখ্যার বিষয়ে আল-কেদরা বলেন, ইসরায়েলের হামলায় মোট ২৮১ চিকিৎসক ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। তাদের আক্রমণে ৫৬টি স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো ও অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ২০টি হাসপাতাল ও ৪৬টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়।

গাজায় হামাসের ব্যবহৃত প্রায় ৮০০টি টানেল পাওয়ার দাবি করেছে আইডিএফ। এর মধ্যে ৫০০টি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের।

এদিকে এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের টানেল নেটওয়ার্কে সমুদ্রের পানি ঢুকানোর পরিকল্পনা করছে। গত মাসে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের উত্তরে পাঁচটি বড় পাম্প একত্রিত করা হয়েছে। এসব পাম্প হাজার হাজার ঘনমিটার সমুদ্রের পানি টানেলে পাম্প করতে সক্ষম।

এই পরিকল্পনার প্রধান উদ্বেগ হলো সমুদ্রের পানি ভূগর্ভের পানিকে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। ওই এলাকার ভূপৃষ্টের গতি প্রকৃতিও পাল্টে যেতে পারে। এর ফলে ওই এলাকায় কোনো ফসল নাও হতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল যে, তারা গত মাসে এই বিকল্পটি বিবেচনা করছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা পরিবেশগত কারণগুলো বিবেচনার আহ্বান জানান। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা এই পরিকল্পনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বাকিরা এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে যে, প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এছাড়া হামাস যোদ্ধা ও তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের সরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা করা হতে পারে। তবে সকল জিম্মি ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল অপেক্ষা করবে কি না সেটি স্পষ্ট নয়।

খবরে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার একটি প্রধান উদ্বেগ হলো সমুদ্রের পানি ভূগর্ভে পাম্প করার পরিবেশগত প্রভাব। সমুদ্রের পানি মাটিতে প্রবেশ করা উদ্বেগের, কারণ এটি মাটির গভীরে থাকা আধা-লবনাক্ত জলাশয়গুলোকে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। এছাড়া এর ফলে ওই এলাকার ভূপৃষ্টের গতি প্রকৃতিও পাল্টে যেতে পারে।

সাগরের পানি টানেলে ঢুকালে সেটি গাজার মাটিকে লবণাক্ত করবে, ফলে ফসল ফলানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন যে, পরিকল্পনাটি সম্ভবত বিশ্বব্যাপী নিন্দা বয়ে আনবে। তবে তিনি দাবি করেন- এটি স্থায়ীভাবে টানেলগুলোকে নিষ্ক্রিয় করার কয়েকটি উপায়ের মধ্যে একটি হতে পারে।

২০১৫ সালে মিশর সামুদ্রিক পানি হামাসের টানেলে ঢুকিয়েছিল। পরে রাফাহর কৃষকদের অভিযোগ ছিল যে, এর ফলে তাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার বলেছেন, হামাসের সমস্ত অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পুরো গাজা শহর এবং গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে হামলা চালাবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হামাসের সমস্ত অবকাঠামো নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী গাজায় থাকবে।

 


আরও খবর

মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ২৬ কোটি ডলার

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর- এ তিন মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদাও কমেছে।

এর প্রভাবে গত দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে

তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস (মোট) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৯৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার

আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে

গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার

বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে ২৩ বিলিয়ন ডলারের মতো প্রবাসী আয় আসছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর - এ তিন মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার

আগের দুই অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে দুই হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং দুই হাজার ৩৯২ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার

এ প্রবাসী আয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের বড় অংশ নিজেদের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে

পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক বিনিয়োগের অর্থ ও সহায়তার ডলার থেকেও রিজার্ভে জমা হয়। এর বাইরে রপ্তানি আয়ও রিজার্ভের উৎস। তবে রপ্তানি আয়ের ডলারের প্রায় পুরোটাই আবার কাঁচামাল আমদানিতে চলে যায়

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগস্ট থেকে আবার প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভের চাহিদা কিছুটা কমে; নিজস্ব উৎস থেকেই চাহিদা মেটাতে থাকে। একই সময়ে জ্বালানি কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কম দ্বারস্থ হতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার দ্রুত ক্ষরণ কমতে থাকে


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি সিপিবি’র

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে গত দু’দিন ধরে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের যে হানাহানির ঘটনা ঘটছে তার তীব্র নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পাহাড়ের আদিবাসী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। গত কয়েকদিন ধরে খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের যে নৃশংস ঘটনা ঘটছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বছরের পর বছর ধরে স্যাটেলাররা আদিবাসীদের ভূমি দখল করে নিচ্ছে। তাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তার ওপর আবার অঘোষিত সেনা শাসন পাহাড়িদের জীবনকে নানা ধরনের বেড়াজালে আষ্টেপিষ্টে বেঁধে রেখেছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিরাপত্তার নামে দেশের একটি জনগোষ্ঠীর জীবন যাপনকে নিয়ন্ত্রিত করা কোনভাবেই কাম্য নয়।

দীঘিনালায় পাহাড়ীদের ঘর-বাড়ি-ব্যবসা কেন্দ্র আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে করে দেয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন পাহাড় ও সমতলের সর্বক্ষেত্রে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। ‘মব জাস্টিস’ এর নামে দেশে অরাজকতা তৈরি হয়েছে, অতি দ্রুত কঠোর হস্তে দমন করতে না পারলে জনজীবনে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, অবিলম্বে হানাহানি-জীবননাশ বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ পাহাড়ি আদিবাসীদের প্রতি তাদের সমান অধিকার এবং নিরাপদ জীবন রক্ষার লড়াইয়ে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠীর মানুষ তার নিজ নিজ ভূমিতে স্বাধীন ও নিরাপদভাবে বসবাস করার অধিকার রয়েছে। সে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কমিউনিস্ট পার্টি তাদের সাথে থাকবে।


আরও খবর



আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দেশব্যাপী সিপিবির সমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

২ দিনব্যাপী সিপিবির জাতীয় পরিষদের সভা শেষ হয়েছে

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ২ দিনের জাতীয় পরিষদের সভা আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যায় রাজধানীর মুক্তিভবন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেষ হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় কমিটি সভা ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা চালু, সিন্ডিকেট ভাঙা, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনজীবনের শান্তি বিধান, দুর্নীতি লুটপাট দখলদারিত্ব বন্ধ, পাচারের টাকা, খেলাপি ঋণ উদ্ধার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন সহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার এর আলোচনা শুরু এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দেশব্যাপী সমাবেশ এর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসলাম খান। সভায় বিভিন্ন জেলা ও শ্রেণীপেশার ৮২ জন প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংগঠক, কন্ট্রোল কমিশন ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বলা হয়, নীতিনিষ্ঠ বামপন্থী-প্রগতিশীল শক্তিই পারে গণ অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম অগ্রসর করতে। এজন্য সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মাঝে যেয়ে সংগঠনের বিস্তার ঘটানো এখনকার প্রধান কর্তব্য। সভায় পতিত স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা সম্পর্কে সজাগ থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের আন্দোলন গড়ে তোলার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভা থেকে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার, গণ-অভ্যুত্থানে নিহত-আহতদের তালিকা তৈরি, আহতদের সুচিকিৎসা এবং নিহত-আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা, অবিলম্বে সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করা, পাচারের টাকা ফেরত আনা, খেলাপি ঋণ আদায়, দুর্নীতি-লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংকটের স্থায়ী সমাধান, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মন্দির-মাজার এবং নারীর ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকারকে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ, সর্বত্র বিতর্কিতদের অপসারণ করে দক্ষ-যোগ্যদের নিয়োগ প্রদান, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা চালুসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারসহ পতিত স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার দাবিতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জানানো হয়।

সভায় ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে, মানুষের মাঝে গিয়ে প্রতিটি বিষয় সিপিবির বিকল্প প্রস্তাবনা তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ পার্বত্য অঞ্চলে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় নৃশংসহ হত্যাকাণ্ড এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সন্তোষজনকভাবে উন্নত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় যথাযথভাবে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় দেশের উপর সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য শক্তির হস্তক্ষেপের বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়। গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সংকট ও সম্ভাবনার মধ্যে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সর্বত্র দৃঢ় ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সারাদেশের পার্টির সদস্য সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান হয়।


আরও খবর



ঢাবি ছাত্র শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ, খান আক্তারুজ্জামানের শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গতকাল বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করে। এতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবু সাদিক কায়েমকে সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করে।


এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে লোক প্রশাসন বিভাগের মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আরবি বিভাগের হামিদুর রশিদ জামিলকে ঘোষণা করা হয়।


ঢাবির ছাত্র শিবিরের কমিটিতে থাকা সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের স্বনামধন্য আবাসন প্রতিষ্ঠান ‘অনলাইন গ্রুপ’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খান মো. আক্তারুজ্জামান আক্তার। তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিলো বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র-শিবির ও ছাত্রদলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। আমরা পিছনে থেকে তাদের শুধু সাপোর্ট দিয়েছি। তাদের অবদান অনস্বীকার্য্য। এই যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। যে উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো সেটার প্রথম ধাপ দেশের জনগন সঠিকভাবে পার করতে পেরেছে। এজন্য দেশের সাধারণ জনগনকেও আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। এখন দেশ গঠনের কাজ বাকি আছে। আশা করি দেশ গঠনে জনগনকে পাশে পাবো। জনগনের সহযোগীতা থাকলে আমরা তাদের একটা আদর্শ দেশ উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। 


আরও খবর



কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমেছে। এতে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি টিম বাজার তদারকি করে। এ সময় তদারকি টিম একজন দোকান মালিককে সাত হাজার জরিমানা করে।

তবে কোন পণ্যটির দাম কী পরিমাণ কমেছে এবং কোন পণ্যটি কী দামে বিক্রি হচ্ছে সেই তথ্য জানানো হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমার কথা বলা হয়েছে।

রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তদারকি টিমের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার।

এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, ডিম, আটা, কাঁচামরিচ, সবজি, মাছ ও মুরগির বাজারে তদারকি করা হয়। টিমের সদস্যরা মূল্যতালিকা টাঙানোসহ পণ্যক্রয়ের কয়েকদিনের রশিদ খতিয়ে দেখেন।

মূল্যতালিকা সঠিকভাবে না টাঙানো, যথাযথভাবে না লেখা, মূল্যতালিকা হালনাগাদ ও সংরক্ষণ না করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার পাশাপাশি বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। অভিযানে লক্ষ্য করা যায় গত কয়েক দিনের তুলনায় ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমেছে- বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়েছে, রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়ের কাঁচাবাজারে ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, মুরগি ও চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। মুরগি, চাল, আলু, পেঁয়াজসহ ও অন্যান্য পণ্যের হালনাগাদ করা মূল্যতালিকা টাঙানোর বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়। এ অভিযানের নেতৃত্বে দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন।


আরও খবর