Logo
শিরোনাম

গাজায় গণহত্যা অব্যাহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েই চলছে দখলদার ইসরায়েল। উত্তর গাজার পাশাপাশি এখন দক্ষিণ গাজায়ও নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রাণহানি। এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, গাজায় হামাসের বিস্তৃত টানেলে সাগরের পানি ঢুকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে ভয়াবহ আক্রমণ ফের শুরু করেছে ইসরায়েল। এবার পুরো গাজাকেই টার্গেট করছে ইসরায়েলি সেনা। গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অন্তত ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসসহ সব খানে বোমা হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। খবর আল জাজিরার

ইউনিসেফ বলছে, প্রতি ১০ মিনিটে অন্তত একটি করে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। এতে গোটা গাজায় একটু জায়গাও নিরাপদ নেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত চার দিনের টানা বর্বর হামলায় হাসপাতালগুলোতে লাশের বন্যা হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, গাজায় হামাসের কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করতে তারা গোটা গাজায় হামলা বিস্তৃত করেছে। আইডিএফের প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, সেনারা এখন হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করছে।

সোমবার সকালে গাজাবাসীকে গাজার কেন্দ্রস্থলের অন্তত ২০টি এলাকা থেকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নতুন আদেশ জারি করেছে ইসরায়েল। কিন্তু এর আগে উত্তর থেকে দক্ষিণের খান ইউনিসের এসব এলাকায় ঠাঁই নিয়েছিলেন তারা। এখন আবার অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

গত মাসে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের উত্তরে পাঁচটি বড় পাম্প একত্রিত করা হয়েছে। এসব পাম্প হাজার হাজার ঘনমিটার সমুদ্রের পানি টানেলে পাম্প করতে সক্ষম।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৩ জন। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।

এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা বলেছেন, দখলদার সেনাদের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৩১৬ জন।

গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময় ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

নিহত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সংখ্যার বিষয়ে আল-কেদরা বলেন, ইসরায়েলের হামলায় মোট ২৮১ চিকিৎসক ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। তাদের আক্রমণে ৫৬টি স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো ও অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ২০টি হাসপাতাল ও ৪৬টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়।

গাজায় হামাসের ব্যবহৃত প্রায় ৮০০টি টানেল পাওয়ার দাবি করেছে আইডিএফ। এর মধ্যে ৫০০টি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের।

এদিকে এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের টানেল নেটওয়ার্কে সমুদ্রের পানি ঢুকানোর পরিকল্পনা করছে। গত মাসে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের উত্তরে পাঁচটি বড় পাম্প একত্রিত করা হয়েছে। এসব পাম্প হাজার হাজার ঘনমিটার সমুদ্রের পানি টানেলে পাম্প করতে সক্ষম।

এই পরিকল্পনার প্রধান উদ্বেগ হলো সমুদ্রের পানি ভূগর্ভের পানিকে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। ওই এলাকার ভূপৃষ্টের গতি প্রকৃতিও পাল্টে যেতে পারে। এর ফলে ওই এলাকায় কোনো ফসল নাও হতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল যে, তারা গত মাসে এই বিকল্পটি বিবেচনা করছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা পরিবেশগত কারণগুলো বিবেচনার আহ্বান জানান। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা এই পরিকল্পনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বাকিরা এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে যে, প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এছাড়া হামাস যোদ্ধা ও তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের সরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা করা হতে পারে। তবে সকল জিম্মি ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল অপেক্ষা করবে কি না সেটি স্পষ্ট নয়।

খবরে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার একটি প্রধান উদ্বেগ হলো সমুদ্রের পানি ভূগর্ভে পাম্প করার পরিবেশগত প্রভাব। সমুদ্রের পানি মাটিতে প্রবেশ করা উদ্বেগের, কারণ এটি মাটির গভীরে থাকা আধা-লবনাক্ত জলাশয়গুলোকে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। এছাড়া এর ফলে ওই এলাকার ভূপৃষ্টের গতি প্রকৃতিও পাল্টে যেতে পারে।

সাগরের পানি টানেলে ঢুকালে সেটি গাজার মাটিকে লবণাক্ত করবে, ফলে ফসল ফলানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন যে, পরিকল্পনাটি সম্ভবত বিশ্বব্যাপী নিন্দা বয়ে আনবে। তবে তিনি দাবি করেন- এটি স্থায়ীভাবে টানেলগুলোকে নিষ্ক্রিয় করার কয়েকটি উপায়ের মধ্যে একটি হতে পারে।

২০১৫ সালে মিশর সামুদ্রিক পানি হামাসের টানেলে ঢুকিয়েছিল। পরে রাফাহর কৃষকদের অভিযোগ ছিল যে, এর ফলে তাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার বলেছেন, হামাসের সমস্ত অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পুরো গাজা শহর এবং গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে হামলা চালাবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হামাসের সমস্ত অবকাঠামো নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী গাজায় থাকবে।

 


আরও খবর



ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে বাইক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ। এ সময় মাত্রার অতিরিক্ত গতি, ওভার ট্রাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীবাহী বাসের চালক ও প্রাইভেট কারসহ ১১টি যানবাহনকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের তিনটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাতসহ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে মহাসড়কে। এছাড়া প্রথম দিনের অভিযানে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে যাত্রী ও পথচারীদের অনীহা ও যানবাহনের ওভার ট্রাকিংসহ অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের চিত্র চোখে পড়েছে। ফলে দ্রুত এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 এছাড়া শিগগিরই মহাসড়কের মূল সড়কের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে, তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। কারণ গত এক বছরের মহাসড়কের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সব থেকে বেশি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীরা, যার সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ফলে শিগগিরই মহাসড়কে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এছাড়া স্পিডগানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে মহাসড়কে বৃদ্ধি করা হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) অতিরিক্ত সচিব নুর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের আদালত ৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কে ৯৫ থেকে ১১৫ গতিতে যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এতে ১১টি যানবাহন থেকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে যানবাহনের দ্রুত গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে অসংখ্য মানুষকে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে এমন জোরালো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, সাময়িক বরখাস্ত ৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

গাজীপুর মহানগরের কাজীপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কার ঘটনায় তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা হলেন- আপ ঘুন্টি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯টি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হয়েছেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

স্টেশন মাস্টার জানান, কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) চারজন আহত হয়েছেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসন আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আহত চারজনকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন অপেক্ষা করছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ইউরোপের তিন দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এক বৈঠকে বসেছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর। সেখানে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদ্রিদ ফিলিস্তিনকে যত শিগগির সম্ভব স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসলোও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।

আর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডাবলিন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে চায় এবং সেই সঙ্গে আশা করে, ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোও এই পথ অনুসরণ করবে।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে আয়ার‌ল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং সার্বভৌমত্বের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন জাতি যে সম্মান-মর্যাদা ভোগ করছে, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্যও তা প্রাপ্য।

আমরা আজকের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে (স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে) স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং এ ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত, তবে এই মুহূর্তে এক্ষেত্রে তারা কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করতে চান না। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন তারা।

প্রসঙ্গত,গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত প্রায় ৭ মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এর আগে ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরেও নিয়ে গিয়েছিল হামাস।

সেই জিম্মিদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ১৩২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০৮ জন এখনও রয়েছেন হামাসের কব্জায়। তাদের মুক্তির জন্য গাজায় ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বানে আলোচনা চলছে।

যদিও এই আটক জিম্মিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কতজন বেঁচে আছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়েসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিষয়টি আরও গতিশীল হয়েছে।


আরও খবর



অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

মো: সিনান তালুকদার, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আসন্ন আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা জানান, নোবিপ্রবির ভলিবল দল গত  ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে।দলটিকে সুযোগ দেওয়া হলে তারা আরোও ভালো করবে। অর্থের কারণ দেখিয়ে একটি সম্ভাবনাময় দলকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া অযৌক্তিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোবিপ্রবি  ভলিবল দলের এক খেলোয়াড় বলেন-আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে আগ্রহী এবং ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত আছি।আর্থিক সংকট ও খেলার বাজেট না থাকার কারণে আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারছি নাহ,আমরা চাই প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগীতা করে,যেন আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন,গতবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট এ নোবিপ্রবি সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে,অথচ এইবার অংশগ্রহনে অনিশ্চিত।যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক মো. রুবেল মিয়া বলেন - খেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এইবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করবো না,এই বছর আমরা খেলার মাঠ সংস্কার ও পিচ বানানোর কাজ করায় আর্থিক সংকট এর কারনে এই সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়।এখন থেকে প্রতিবছর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সবগুলো টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ নাহ করে আমরা রোটেশন করে তিন থেকে চারটি টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করবো।

উল্লেখ্য , আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনালে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট স্থগিত রয়েছে।


আরও খবর



আবারো বাড়লো গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

আবারও বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি আরও ৭৫ পয়সা বাড়ানো হলো। পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার (১ মে) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটারের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।


আরও খবর