Logo
শিরোনাম

গ্যাস–সংকটে বিপাকে শিল্পমালিকেরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ভয়াবহ গ্যাস সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, মদনপুর, বন্দর, কাচঁপুর, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, ফতুল্লার কাঠেরপোল, বিসিক শিল্পনগরীসহ জেলার বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে। গ্যাস সংকটের কারণে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে

এখন তৈরি পোশাক কারখানায় প্রচুর ক্রয়াদেশ রয়েছে। ক্রয়াদেশের প্রতিফলনও তৈরি পোশাক রপ্তানিতেও দেখা যাচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এই খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে .৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল .১১ বিলিয়ন ডলার

বর্তমানে গ্যাস না পাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কারখানা। বিদেশি ক্রেতাদের সময়মতো পণ্য দিতে পারছেন না অনেক রপ্তানিকারক। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক খাতের অর্ডার অন্য দেশে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তাদের। তাই সরকারকে দ্রুত গ্যাস সংকট নিরসনে তাগিদ দিয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বিকেএমইএ এবং বিটিএমএ

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক বছরে গ্যাসের এতো সংকট কখনোই ছিলো না। মে মাসেও এই সংকট দেখা দিয়ে ছিলো। তবে তখন মাঝে মধ্যে মেশিন চালাতে পারতো মালিকরা। এখন পুরোপুরিই বন্ধ রয়েছে কল-কারখানা

গত ১৫-২০ দিন ধরে কোন গ্যাসই নেই। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের বেকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, মদনপুর, বন্দর, কাচঁপুর, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, ফতুল্লার কাঠেরপোল, বিসিক শিল্পনগরীসহ জেলার বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। যেখানে ১০ পিএসআই গ্যাসের চাপ থাকার কথা, সেখানে নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ থাকায় অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা। বেতন পাওয়া নিয়ে আছেন অনিশ্চয়তায়

নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাছিব উদ্দিন মিয়া সংবাদকে বলেন, গ্যাস সংকটের গত ১৫ দিন ধরে পুরোপুরিভাবে কারখানা বন্ধ। গ্যাসের অভাবে কারখান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তিতাস কতৃপক্ষের কাছে বার বার তাগদা দিয়েও কোন ফল হচ্ছে না। উল্টো তারা লাইন কেটে দেয়ার ভয় দেখায়। এভাবে চলতে থাকলে রপ্তানিতে বাধাগ্রহ হবে

প্রতি মাসে সাড়ে তিন কোটি টাকা কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে। কিন্তু করাখানা বন্ধ থাকলে কোথা থেকে ১৮০০ লোকের বেতন দিবো, প্রশ্ন তার

হাছিব উদ্দিন বলেন, গ্যাস সংকটে সময় মতো বিদেশি ক্রেতাদের অর্ডারকৃত পণ্য না দিতে পারায় অনেক অর্ডার বন্ধের পথে। অথচ তিতাস বিলের জন্য দুইদিন দেরি হলেই সাথে সাথে লাইন কেটে দেয়। কোনও বিল বকেয়া রাখা যায় না। কিন্তু গ্যাস দেয়ার বেলায় নাই।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক এলাকায় অবস্থিত এমএস ডাইং ফিনিশিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুর রশীদ জানান, হাজার কর্মী কাজ করে আমার প্রতিষ্ঠানে। তাদের বেতন-ভাতা দেয়া নিয়ে চিন্তায় আছি। গত মে মাসে একই সংকটে ছিলাম। পরে জুলাইয়ের পরে মোটামুটি গত কয়েক মাস গ্যাস পেয়েছিলাম। যদিও আশানুরু না। তারপরেও মোটামুটিভাবে কারখানা - ঘন্টা চালিয়ে রাখা গেছে। এখন আবার সেই মে মাসের মতো অবস্থা। এখন গত ১৫-২০ দিন ধরে একেবারেই নাই। পুরোপুরিভাবে বন্ধ কারখানা।

আইএফএস টেক্সওয়ার পাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার নিয়েছি কিন্তু গ্যাস সংকটের কারণে ডায়িং করতে পারছি না। গ্যাসের প্রেসার নেই। যখন থাকে তখন এত কম থাকে আমরা জেনারেটর চালাতে পারি না। দিনের অর্ধেকের বেশি সময়ই জেনারেটর বন্ধ রাখতে হচ্ছে গ্যাস না থাকার কারণে। বয়লার বন্ধ। কাপড় ডাইং মেশিনে উঠানো হলেও কন্টিনিউ প্রসেস না হলে, গ্যাস ফল্ট করলে তখন ফেব্রিক্স এর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আবার দ্বিতীয়বার ডাইং করতে দুই গুণ সময় লাগে। তাতে বেড়ে যায় উৎপাদন খরচ। কিন্তু বিদেশি ক্রেতারা এটা বোঝে না। বিদেশি ক্রেতারা বলেন, গ্যাস সংকট এটা তোমাদের সমস্যা, আমাদের তাতে কী। তোমরা অর্ডার নিয়েছো সময় মতো অর্ডার শিপমেন্ট করবা।

মহিউদ্দিন টেক্সটাইলে ডাইং লিমিটেডের পরিচালক শফিক আহমেদ জানান, বিদেশি ক্রেতাদের নির্দিষ্ট একটি সময় থাকে। সেই সময়ের মধ্যে শিপমেন্ট করতে হয়। গ্যাস সংকটের কারণে দুই-তিন দিন শিপমেন্ট পিছানো কিংবা উৎপাদন দেরি হচ্ছে সেটা বিদেশি ক্রেতারা বুঝতে চায় না। একদিকে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ, অন্যদিকে শ্রমিকরা অলস সময় পার করছে। গত এক বছরে মধ্যে এতো খারাপ সময় ছিলো না।

গাজীপুরের ভবানীপুরের মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস সুতার পাশাপাশি ডাইং তৈরি পোশাক উৎপাদন করে। গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে তাদের। কারখানাটির অনুমোদিত গ্যাসের চাপ হচ্ছে ১৫ পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চিতে গ্যাসের চাপের ইউনিট) এখন সারা দিন সেই চাপ থাকে - পিএসআইয়ের মধ্যে

মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশারফ হোসেন বলেন, গ্যাস সংকটে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা ১০ কোটি টাকা খরচ করে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছি। ডিজেল জেনারেটর স্থাপন করেছি। তারপরও আশি-নব্বই শতাংশের বেশি উৎপাদন করতে পারছি না। যদিও কারখানার জ্বালানি বাবদ খরচ ১৫ শতাংশের মতো বেড়েছে।

তিনি বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন তার লোকসান গুনতে হচ্ছে

সাভারের লিটল স্টার স্পিনিং মিল চার বছর ধরে গ্যাস সংকটের মধ্যে রয়েছে। কারখানাটির অনুমোদিত গ্যাসের চাপ ১০ পিএসআই হলেও দিনের বেলা (কারখানার উৎপাদনের সময়) কখনোই - পিএসআইয়ের বেশি পাওয়া যায় না। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস না পাওয়ায় ইতিমধ্যে মিলের ৩০-৪০ শতাংশ যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে বছরে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৪৫ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে

প্রতিষ্রঠানটির চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সংবাদকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কম করে হলেও ৪০টি বৈঠক করেছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছি। ডিজেল জেনারেটর কিনেছি। তারপরও দিনে যেখানে ২৬ হাজার পাউন্ড সুতা উৎপাদনের কথা, সেখানে উৎপাদন করতে পারছি মাত্র ১৫ হাজার পাউন্ড।

আক্ষেপ করে খোরশেদ আলম বলেন, গ্যাসসংকটের কারণে বছরে ১৬ কোটি টাকা লোকসানের পর বাইপাইলের একটি স্পিনিং মিল বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে গ্যাসের যা অবস্থা, তাতে ভবিষ্যতে আর ব্যবসা সম্প্রসারণে যাব না

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) এর সহ-সভাপতি সালেউদ জামান খাঁন সংবাদকে বলেন, গ্যাসের সংকটে প্রায় অর্ধেকরও বেশি শিল্প-কারখানা বন্ধ রয়েছে। পণ্যের অর্ডার রয়েছে কিন্তু গ্যাসের অভাবে কারখানা চালু করতে পারছেন না মালিকরা। গ্যাস না পেলে মালিকদের পাশাপাশি সরকারও আয় হারাবে। এব্যাপারে তিতাসের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও কোন উত্তর পাচ্ছি না। তাই এই সংকট উত্তরণের জন্য সরকারকে বিশেষ অনুরোধ জানাই।

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, গ্যাস সংকটের কারণে কোনাবাড়ী, সাভার, আশুলিয়াসহ কয়েকটি এলাকার ডাইং ওয়াশিং কারখানা একবারেই বন্ধ রয়েছে। সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে না পারায় অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে কিন্তু গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু গ্যাস সংকটে পোশাক উৎপাদন ব্যাহত রপ্তানি সংকুচিত হচ্ছে। পাশাপাশি গ্যাস না পেয়েও গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে ফ্যাক্টরিগুলোর প্রোডাকশন অনেক কমে গেছে। একদিকে অর্ডার কম অন্যদিকে উৎপাদন খরচ আরও বাড়তে যাচ্ছে। শ্রমিকদের বেতন বাড়ছে। এই ক্ষেত্রে আমরা যদি গ্যাস না পাই তাহলে সময়মতো পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস না পাওয়া গেলে নতুন শিল্প উদ্যোক্তারা যেমন মুখ ফিরিয়ে নেবে তেমনি শিল্প কারখানা বন্ধ হলে লাখ লাখ শ্রমিক চাকরি হারাবে।

এব্যাপারে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম সংবাদকে বলেন, শুনতে পারছি অনেক জায়গায় গ্যাস নেই। তাই এব্যাপরে তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।


আরও খবর



বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

রাজধানীর বঙ্গবাজারে বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করে সিটি করপোরেশন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের সামনের অংশে একটি ভেকু দিয়ে বাঁশের কাঠামো সরিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থেকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সেখানে উপস্থিত থেকে মোবাইলে উচ্ছেদের দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ।

এর আগে, রবিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বঙ্গবাজারের অবৈধ অস্থায়ী দোকানগুলো ভেঙে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। সংস্থাটির সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


আরও খবর



তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

বৈশাখের শুরু থেকেই দেশে বইছে তীব্র দাবদাহের কারনে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না।

আবহাওয়াবিদ বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ জানান, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ইউরোপের তিন দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এক বৈঠকে বসেছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর। সেখানে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদ্রিদ ফিলিস্তিনকে যত শিগগির সম্ভব স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসলোও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।

আর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডাবলিন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে চায় এবং সেই সঙ্গে আশা করে, ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোও এই পথ অনুসরণ করবে।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে আয়ার‌ল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং সার্বভৌমত্বের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন জাতি যে সম্মান-মর্যাদা ভোগ করছে, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্যও তা প্রাপ্য।

আমরা আজকের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে (স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে) স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং এ ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত, তবে এই মুহূর্তে এক্ষেত্রে তারা কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করতে চান না। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন তারা।

প্রসঙ্গত,গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত প্রায় ৭ মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এর আগে ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরেও নিয়ে গিয়েছিল হামাস।

সেই জিম্মিদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ১৩২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০৮ জন এখনও রয়েছেন হামাসের কব্জায়। তাদের মুক্তির জন্য গাজায় ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বানে আলোচনা চলছে।

যদিও এই আটক জিম্মিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কতজন বেঁচে আছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়েসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিষয়টি আরও গতিশীল হয়েছে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে অসহায় মধ্য আয়ের মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর শনির আখরা বাজারের মাছের দোকানে ঘুরছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। ৫ থেকে ৬টি দোকানে জিজ্ঞেস করেছেন মাছের দাম। এরপরের দোকানে গিয়ে তিনি কিনলেন পাঙ্গাস মাছ। মাছের দোকানের সামনে কথা হয় এই ক্রেতার সঙ্গে। তার নাম মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। চার সদস্য নিয়ে থাকেন রেলওয়ে কলোনি এলাকায়। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা এ ব্যক্তি বলেন, বিগত পাঁচ বছর আগে ব্যাংকে যে বেতন ছিল, বর্তমানেও একই বেতন। দিন দিন খরচ বাড়লেও বাড়েনি কোন আয়। খরচ বাড়ায় বাসার একটি রুম তিনি এখন সাবলেট দিয়েছেন। মাসে যে বেতন পায়, তার অর্ধেক চলে যায় ঘরভাড়ায়। বাকি অর্ধেক গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিয়ে বাজার থেকে যে ভালো খাবার কিনবো তার কোন উপায় থাকে না। সব মিলিয়ে মাসের শেষ সপ্তাহে হতাশা বেড়ে যায়।

একই বাজারে কথা হয় ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা ব্যাংক কলোনি এলাকার শিক্ষিকা ইয়াছমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে স্বামীর আয় দিয়ে মোটামুটি পরিবার চালানো যেত। এখন ঐ আয়ে কোন ভাবে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে একটি প্রাইভেট স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করি। কিন্তু দুইজনের আয়েও এখন পাঁচ সদস্য নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবারে ঈদে বাচ্চাদের পোষাক কিনে দিলেও আমরা পুরোনো কাপড় দিয়েই কোনমতে ঈদ পালন করছি। আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষের অবস্থা খুবি অসহায়। মাসের শেষে আর্থিক টানাপোড়েনে থাকি।

এ শিক্ষক আরও বলেন, মাসের বাজার চাল, ডাল, মরিচ কেনার পর, সাপ্তাহিক কাঁচাবাজার করতে শনির আখরা বাজারে আসি। মাছ ও গরুর মাংস দূরের কথা, এখন ব্রয়লার মুরগীও আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

একই বাজারে মাংসের দোকানে কথা হয়, আতিকুর রহমান নামে এক এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, সামান্য বেতনের চাকরি করি। যা বেতন পায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ, বাড়ি ভাড়াসহ সংসারের অন্যান্য খরচ মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে। স্ত্রীকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা-নেয়াসহ সাংসারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কোনো চাকরি করতে পারে না। তবে সে অনলাইনে কিছু ব্যবসা শুরু করেছে। সেখান থেকে অল্পকিছু আয় হয়। এভাবেই কোনমতে টেনেটুনে সংসার নিয়ে চলছি।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমান নিত্যপণ্যের বাজারের অবস্থা দিন দিন এমন হলে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে। অসৎপথে তো আয় করতে পারছি না। নিজেরও তেমন জমা নেই। এখন মাসের শেষে এসে দেখি কয়েকটা দোকানে ঋণের বোঝা! নিজেকে বর্তমান অবস্থায় বেশ অসহায় মনে হচ্ছে।

শনির আখরা বাজারের গলির মুখে কথা হয় রিকশা চালক মো. হোসেন এর সঙ্গে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে  একটি বস্তিতে থাকেন। তিনি বলেন, এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিলাম। এখন কাজ নেই, তাই ঢা্কা মুখী হয়েছি। বস্তিতে একটা রুমে ব্যাচেলর থাকি। মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণ হয়েছে ২ লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে কিস্তির টাকা পাঠাতে হয়। এখানে এখন এক প্লেট ভাত ১৫ টাকা। হোটেলে সামান্য সবজি দিয়ে খাবার খেলে বিল আসে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু রিকশা ভাড়া বাড়েনি। এ গরমে কারও থেকে ১০ টাকা বাড়তি চাইলেও দেয় না। রিকশা ভাড়া, ঘর ভাড়া দিয়ে হাতে তেমন টাকা থাকে না।

শুধু ব্যাংক কর্মকর্তা নয়, আরো অনেকের সাথে কথা হলে তারা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে হুতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজেদের মধ্য আয়ের মানুষ হিসেবে দাবি করে তারা জানিয়েছেন, খরচের সঙ্গে আয়ের ভারসাম্য না থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকের সংসার সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চাল কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা, আটা-ময়দার দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। তার মধ্যে পর্যাপ্ত যোগান থাকার পরও ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজের বাজার রয়েছে স্থিতিতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাজির ও মিনিকেট মানের সরু চালে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭৬ টাকা, পাইজাম ও লতা মানের মাঝারি চাল ৫৩ থেকে ৫৮ টাকা আর স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। যা গত সপ্তাহে কম ছিল প্রায় ৫ টাকার নিচে।

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে মো. আলী সওদাগর বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মৌসুমের ধান বের না হওয়ায় উত্তরবঙ্গের চালের উপর বাজার নির্ভরশীল। পরিবহন ও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায় মিলার পর্যায়ে চালের দাম সাময়িক বেড়েছে। নতুন ধান বের হলে দাম কমে যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

তাছাড়া চালের পাশাপাশি খোলা ময়দা ও আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে যে খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর যে মানের খোলা আটা বিক্রি হয়েছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় তা এখন ৪৭ থেকে ৪৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, গম আমদানি খরচ বাড়ার কারণে ময়দা ও আটার দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে চাল, ময়দা ও আটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে সকল ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা। বাজারে ডালের মধ্যে মাঝারি দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। আর বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। আর ছোট দানার মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকা ।


আরও খবর



ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বাজারে সোনার দামের অস্থিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত চার দিনের মধ্যে তিন দিনই দামি এই ধাতুর দর পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল শনিবার প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমেছিল। আজ রোববার ভরিপ্রতি সোনার দাম বেড়েছে ৬৩০ টাকা। এর ফলে ২২ ক্যারেট সোনার দাম আবার ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সোনার দাম বাড়ানোর পেছনে তারা যুক্তি দিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিউর গোল্ড) দাম বেড়েছে নতুন দাম  বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে

জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুযায়ী, হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার ভরি বেড়ে হয়েছে লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট সোনার ভরি লাখ ১৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা। আজ থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ৬৩০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৬০৭, ১৮ ক্যারেট ৫১৩ এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় বাড়ছে ৪২০ টাকা


আরও খবর