Logo
শিরোনাম

হযরত সাইয়্যিদ আবুল বশর আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (ক.) জীবনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক,লেখক ও গবেষক :

ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। যা রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে পূর্ণতা লাভ করেছে। তাঁরই তিরোধানের পর খোলাফা-এ-রাশেদীন, তাবেঈন তাবে- তাবেঈন এবং আল্লাহর প্রিয় বন্ধু আউলিয়া এ-কেরামের মাধ্যমে বিশ্বের প্রত্যন্ত- অঞ্চলে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের এ মহান সুফি সাধক তথা আউলিয়া-এ-কেরামগণ নিষ্ঠা সহকারে ধর্মীয় অনুশাসনসমূহ পালন করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদেরকে এর দীক্ষা দান করেন। তাঁরা এমন চরিত্র এবং মহা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যার প্রশংসা মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামিন পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন-

"হে মুমিনগণ! তোমারা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হয়ে যাও।"

এই উপমহাদেশের শাসকদের উপর দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, মুহাম্মদ বিন কাসেম, সুলতান মুহাম্মদ গজনবী, মুহাম্মদ গৌরা ও মাহাম্মদ বখাতিয়ার খলজী সকলেই ছিলেন বিজয়ী বীর। ইতিহাসের বিচারে তারা কেউই ইসলাম প্রচারক ছিলেন না। ইসলাম প্রচার হয়েছে এ দেশের সুফী, দরবেশগণের প্রচেষ্টায়, তাদের অলৌকিক প্রভাবে। তাদের আচার আচরণ, সাদাসিধে জীবন যাপন, ইসলামের উদারনৈতিক সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষায় মুগ্ধ হয়ে দলে দলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছেন।

বিশেষ করে সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ (রাঃ) সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ্‌ জালাল ইয়ামনী (রহঃ), গাউসুল আযম হযরত শাহ্‌ছুফী মাওলানা সাইয়্যিদ আহমদউল্লাহ আল-মাইজভাণ্ডারী (কঃ), গাউসুল আযম শাহ্‌সুফী মাওলানা সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান আল-হাসানী ওয়াল হোসাইনী বাবাভাণ্ডারী (কঃ) প্রমুখের প্রচেষ্টায় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার-প্রসার লাভ করেছে। এ-রকম একজন আওলাদে রাসুল (দ), সুলতানুল মাশায়েখ, গাউছে জমান হযরত আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ আবুল বশর আল-হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

.জন্ম ও বংশ পরিচিতি........

১৯০৬ ইংরেজী সনের এক শুভক্ষণে পৃথিবীর পঞ্চম তীর্থস্থান মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের মহান আধ্যাত্মিক সাধক প্রাণপুরুষ অলিকুল শিরোমণি গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর পবিত্র ঔরশে জন্ম গ্রহণ করেন। এ নূরানী শিশুর আগমনে আনন্দিত ও পুলকিত হয়ে সকলেই বলতে লাগলেন, এ শিশু মানব নয়, এ যেন নুরের পুতুল। সৃষ্টির কর্তৃত্ব নিয়েই যেন এর আগমন! কালে হয়ে ছিলোও তাই। তিনি একজন জগদ্বিখ্যাত মহান অলি আল্লাহ্ হয়েছিলেন।

বাল্যকাল ও শিক্ষা জীবন......

শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক পর্যায় দরবার শরীফ থেকেই অতিক্রম করেন। পরবর্তীতে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন।

কর্মময় জীবন..........

শিক্ষা জীবন সমাপন করে তিনি স্বীয় পিতা, অলিকুল শিরোমণি গাউসুল আযম বাবাভান্ডারী (কঃ) এর পবিত্র খেদমতেই নিয়োজিত থাকতেন। বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) নিজ আদরের সন্তানকে আধ্যাত্মিকতার পরম পরশে যুগসেরা অলি আল্লাহ্ রূপে গড়ে তোলেন। মহান আধ্যাত্ম সাধক বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা, বিশেষ বায়াত (বায়াতে খাছ) এর মাধ্যমে তাঁকেই খিলাফত দান করে ত্বরিকার মহান খিদমত আঞ্জামের মহান জিম্মাদারী অর্পণ করেন।

বৈবাহিক ও আধ্যাত্মিক জীবন...

বৈবাহিক ও আধ্যাত্মিক জীবন উভয় ছিল চমৎকারিত্বে পরিপূর্ণ। তাঁর পারিবারিক বা সাংসারিক জীবন ছিল হাবিবে কিবরিয়া (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর গভীর প্রেমময় সাধনায় পরিপূর্ণ। তার পবিত্র চেহারা মুবারকে,হযরত বাবাভাণ্ডারী (কঃ) কেবলা-এ-আলম এর চেহারা মোবারক এর প্রতিফলন ছিল বলে বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর পবিত্র পর্দা করার পরে আশেক, ভক্ত, অলিকুল তাঁর চেহারা মুবারক দেখেই তৃষ্ণা মেটাতেন।

তিনি ইসলামের ও সুফিবাদের বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ সমাধান ও আলোচনা করতেন। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ তার পবিত্র সান্নিধ্যে গিয়ে আধ্যাত্নিকতা, সুফিবাদ সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান লাভে ধণ্য হন। ইমাম শেরে বাংলা আজিজুল হক্ব আল ক্বাদেরী (রঃ), হযরত শাহ্ আহমদ সিরিকোটি (রঃ), শেরে বাংলা একে ফজলুল হক্ব, মওলানা ভাসানী (রঃ) সহ বিশিষ্ট অলি আল্লাহ্ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তার সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন।

তাকে সকলে "সুলতানুল মাশায়েখ" বা উলামা মাশায়েখগণের সুলতান বলে অভিহিত করতেন।
গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর নূরানী আওলাদ-এ-পাকগণের মধ্যে যোগ্যতম ও আধ্যাত্নিকতায় সিক্ত হযরত শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ আবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (কঃ), হযরত বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর পবিত্র জানাজা শরীফের ইমামতি করেন।

তার কয়েকটি পবিত্র বাণী...

"প্রিয় নবিজী () এর প্রেম ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পাথেয়"

"একজন প্রকৃত মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্যবান হল, প্রিয় নবিজীকে () নিঃশর্তভাবে ভালবাসা ও তার প্রেমে নিজেকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করা।"

"প্রিয় নবিজী () এর স্নেহময় দৃষ্টি অর্জনের জন্য নিজেকে তার প্রেমে উৎসর্গ করে দাও।"

"প্রিয় নবিজী () এর দুশমনদের হতে নিজেকে দূরে রাখবে। তারা মহান আল্লাহর অফুরন্ত দয়া, রহমত ও ক্ষমা হতে বঞ্চিত।"

"হযরত বাবাভাণ্ডারী (কঃ) "গাউসুল আযম"এর মহৎ সম্মানের মুকুটধারী। তিনি সুবিশাল ধনভাণ্ডার (বেলায়ত) অর্জন করেছেন। যার চাবি রয়েছে আমার হাতে। আমি ছাড়া কেউ সেই ধনভাণ্ডারের তালা খুলতে পারবে না।"

"ও মইনুদ্দীন! আমার ভক্তদের জিম্মাদারি তুমি বুঝে নেওয়ায়, আমি চিন্তামুক্ত হয়েছি।"

"প্রিয় মইনুদ্দীন! তোমার মিলাদ মাহ্ফিলে স্বয়ং রাসুলে পাক () তাশরিফ আনায়ন করেন। তুমি মিলাদ মাহ্ফিল পাঠ করলে বাবাভাণ্ডারী ক্বেবলা-এ-আলম (কঃ) খুশি হন।"

বেছাল শরীফ বা পবিত্র ওফাত.....

বিশাল কর্মময় ও আধ্যাত্মিক জগতের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করে, ঊনষাট বছর বয়সে ১৯৬৫ সালের ১৬ই ডিসিম্বর, ৩০শে অগ্রহায়ণ, মাবুদে হাক্বিকী তথা আল্লাহর একনিষ্ট সান্নিধ্যে গমন করেন।

স্থলাভিসিক্ত আওলাদে পাকগণ......

১৯৬২ সালের ৫ই এপ্রিল, মহান ২২শে চৈত্র, বাবাভাণ্ডারী ক্বেবলা-এ-আলম (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর পবিত্র ওরশ শরীফে রাত ১২টা ৩০ মিনিটে তিনি তার স্নেহধন্য শাহ্জাদা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ)


কে একান্ত সান্নিধ্যে এনে বায়াত-এ-খাছ বা বিশেষ বায়াতের মাধ্যমে বেলায়ত ও খেলাফতের পবিত্র ক্ষমতা ও জিম্মাদারি অর্পণ করেন।

সাত শাহ্‌জাদা ও পাঁচ শাহ্‌জাদা আওলাদে পাকদের মধ্যে আধ্যাত্মিক মহাসমুদ্রে অবগাহনকারী মেঝ শাহ্‌জাদা বর্তমান জমানার যুগ শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, শায়খুল ইসলাম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাবেক প্রেসিডেন্ট, ত্বরীকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়ার দিকপাল, সুফিকুল শিরোমণি হযরত আল্লামা শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দিন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী (কঃ) কে তার স্থলাভিষিক্ত করে যান।
তার অগণিত কারামত বা অলৌকিক ক্ষমতাবলে অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন উঁচু মর্যাদার অলিয়ে কামেল, গাউছে জামান। "সুলতানুল মাশয়েখ" বা মাশায়েখদের সুলতান তার এক পবিত্র বিরল উপাধি।


আরও খবর



বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লোকবল সংকটের কারণে সব জায়গায় ঠিকমতো তদারকি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সারাদেশে ৪৫-৪৫টি টিম আমাদের অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। ১৭টি জেলায় আমরা কোনো অফিসার দিতে পারিনি।

 ২ অক্টোবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, যেখানে জেলায় ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি সেখানে উপজেলা পর্যায়ে সেই সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে কাজ করছি।

আমাদের আইনেরও কিছু দুর্বলতা আছে, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আইন যতই স্ট্রং হোক, আমাদের জনবল যদি ১০ গুণও বৃদ্ধি হয়, তারপরও কাজ হবে না, যতক্ষণ না আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে অ্যাঙ্গেস্ট করতে পারব। ভোক্তারা যতক্ষণ তার অধিকার আদায়ে সচেষ্ট না হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেলা-জমিমানা বা শান্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজা-পার্বণ বা কোনো উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না।

কিরন বলেন, যোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে চাহিদা বাড়লে মূল্য বৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে দেশে এখনো অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছায়া সংসদের আদলে এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। গত ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনাল ও গ্রান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।


আরও খবর

কমেনি পেঁয়াজ আলু ডিমের দাম

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে ভূমি ও গুচ্ছ গ্রামের রেশন কার্ড আত্মসাৎ করার অশুভ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারি নাথ। 

শনিবার (৩০ ই সেপ্টেম্বর)  রামগড়ে স্থানীয় গোধূলি রেস্তোরাঁয় বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জহর লাল ঘোষ নামের স্থানীয় বাসিন্দা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ভূমি ও রেশন কার্ড দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি জহর লাল ঘোষ একটি সংবাদ সম্মেলনে ভূমি অফিসের সহযোগীতায় ঘুষের প্রসঙ্গে  আমার সহযোগীতার অভিযোগ তুলেন। অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা উল্লেখকরে  বলেন, জহরলাল বোোন গীতা রানী ঘোষকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে পৌরসভার জগন্নাতপাড়াস্থ দশমিক ২০ শতক ভুমি নিজ নামে বন্দোবস্ত করে অন্যায় ভাবে তার স্ত্রীকে দান করতে অপচেষ্টা করে একই সাথে পারিবারিক রেশন কার্ড থেকে তার  বোনকে বাদ দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের ওয়ারিশ করেন।  

উল্লেখিত জালিয়াতির বিচার ও সম্পত্তির দাবী চেয়ে তার বোন ভূমি অফিস ও স্থানীয় হিন্দু নেতাদের নিকট বিচার দাবী করলে আমি সুষ্ঠ বিচারে সহযোগীতা করায়  ভূমিদস্যু জহর লাল ঘোষ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুষ বানিজ্যর নামে ভুয়া অভিযোগ তুলে আমাকে ও তদসংশ্লিষ্ট অফিসকে দায়ী করেন। 

 তিনি আরো বলেন, হিন্দু  নেতা হিসাবে বোনকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে ভূয়া বন্দোবস্তর বিরুদ্ধে তাদের কয়েকটি বিচারিক বৈঠকে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথা অভিযোগ তুলে  অথচ তার বোন নিজেই বাদী হয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভূমি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন। 

এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট কাজে রামগড় ভূমি অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম সুকৌশলে কবুলিয়ত না থাকা সত্ত্বেও  নামজারী মামলার সুপারিশ করায় তার বিরুদ্ধে  শাস্তি দাবী করেন এবং সুবিচারের আশায় তার বোন গীতা রানী ঘোষ খাগড়াছড়ি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২/২০২৩নং বিবিধ মামলা রুজু করেন যা আদালতে চলমান আছে এবং রেশন কার্ডের ওয়ারিশনে তার স্ত্রী সন্তাদের অন্তভূক্তের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়র বরাবর তার বোনের আবেদনে শুনানীতে জহর লাল ঘোষের স্ত্রী সন্তানদের বাদ দিয়ে বোন গীতা রানীকে অন্তভূর্ত করতে নির্দেশ দিলেও জহর লাল একক ভাবে সেই রেশন কার্ড ভোগ করছেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত বিষয়ে রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ভূমি বন্দোবস্ত ও স্ত্রীর নামে নামজারিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন  জহর লাল ও তার স্ত্রী উমা রাণী ঘোষ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথকে ঘুষ কারবারে সহযোগীতার অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। ওই সময় জহর লাল  তার বোনকে সৎ বোন দাবী করে নামজারী মামলার বিরুদ্ধে ভূমি কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুইবার শুনানী হয়। 

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।জহরলাল তার বোন কে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তার বোন অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখি। তদন্তে তার বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়। জহরলাল ঘোষের সমস্ত কাগজপত্র ভুয়া।তার বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ঘুষ দাবির বিষয়টিও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, এটা তাদের ইচ্ছা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর (যুক্তরাষ্ট্র সময়) ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন অভিমত দেন।

শেখ হাসিনা জানান, আওয়ামী লীগই দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। তারপরেও যুক্তরাষ্ট্র কোন কারণে এমন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তার তার বোধগম্য নয়।

চলতি বছরের ২৪ মে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারী ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর এই নতুন ভিসানীতির আলোকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা চালু করার পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নিতে শুরু করেছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি, তার দল ও সরকার যখন মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে দীর্ঘ লড়াই করে বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার ও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ যখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে তখন হঠাৎ কেন এধরণের স্যাংশন তা তিনি জানেন না।

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান আরও দাবি করেন যে, বাংলাদেশেই এখন অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তাই ভিসা স্যাংশনের ফলে যদি (বাংলাদেশিরা) আমেরিকাতে আসতে না পারে তাতে কিছু যায় আসে না।

শেখ হাসিনা বলেন, হঠাৎ কথাবার্তা নেই তারা বাংলাদেশের ওপর কী কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগই দেশের মানুষের মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছে। ভোটের অধিকার আদায় করার জন্য আওয়ামী লীগের কত মানুষ রক্ত দিয়েছে। অবাধ ‍সুষ্ঠু ভোট আয়োজন যত সংস্কার সব আ.লীগই করেছে। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা করার কাজ তারাই করেছে।

আমার ভোট আমিই দেব যাকে খুশি তাকে দেব এই শ্লোগান আমার দেওয়া। এখন মানুষ ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। এমন পরিস্থিতিতে স্যাংশনে যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।-বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে তারা স্যাংশন দিচ্ছে আরও দিতে পারে এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু আমার দেশের মানুষের যে অধিকার সব মৌলিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। ২০০৯ সাল থেকে ২৩ সালের বাংলাদেশ কিন্তু বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ নেই, হাহাকার নেই।

সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস, আমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ দেশি বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে গুমের ঘটনার যে অভিযোগগুলো করেছে, সে ব্যাপারে তার সরকারের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সাক্ষাৎকারে সদ্য পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তারও জবাব দেন তিনি।

৩৫ মিনিটের সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচনের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার জন্য বিরোধীদলগুলোর দাবিকে নাকচ করে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ ব্যবস্থায় ফেরত যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।


আরও খবর



জাবি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ধামরাই এর নবীনবরণ ও বিদায় সম্বর্ধনা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

 মাহবুবুল আলম রিপন ( স্টাফ রিপোর্টার):

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ধামরাই আয়োজিত ৫০ ও ৫১ ব্যাচের নবীনবরণ এবং ৪৫ ব্যাচের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর)বিকাল ৪টা জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অফ ধামরাই আয়োজিত ৫০ ও ৫১ ব্যাচের নবীন বরন ও প্রবীন ছাত্র ছাত্রীদের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ধামরাই উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে বর্তমান এসোসিয়েশনের সভাপতি সাল সেবিল জেরিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় সাংসদ ঢাকা-২০ ধামরাই আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম,গন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবুল হোসেন, ধামরাই পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান কানন, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম ব্যাচ ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।

এছাড়াও এ’অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পপ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র মোহাম্মদ সেফাতুল্লা,প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক আবু সিদ্দিকুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিপি এম এ জলিল প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালাইমনা এসোসিয়েশনের আহবায়ক ও সদস্য সচিব যথাক্রমে মোঃ শাহাবদ্দিন ও ইউসুফ আলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আশীষ কুমার মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন প্রমূখ।

এছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তন ও নবীন ছাত্র ছাত্রীসহ স্হানীয় ধামরাইয়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ’সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

অবশেষে ১০০০ কোটির মাইলফলকে পৌঁছল শাহরুখ খান অভিনীত জওয়ান সিনেমা। আর এ রেকর্ড গড়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের সেরা ইতিহাস গড়লেন বলিউড বাদশাহ।

রোমান্টিক অ্যাকশন সিনেমা জওয়ান গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়ার পর দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলে। সেই ঝড় এখনো থামেনি। ভাঙছে পুরোনো সব রেকর্ড। রেকর্ড ভাঙার দৌঁড়ে মাত্র কয়েক দিন আগেই নিজের অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন শাহরুখ। রাজকীয় কায়দায় আবারও নিজের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কিং খান।

মুক্তির মাত্র ১৭ দিনেই ভারতীয় বাজারে পাঠান সিনেমাকে হারিয়ে দিয়ে শীর্ষের তালিকায় এগিয়ে যায় জওয়ান সিনেমা। ওই রেকর্ড ভাঙার পর আবারও নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙার দৌঁড়ে সাফল্য পেয়েছেন অভিনেতা। বক্স অফিসের রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি জওয়ান সিনেমা ১০০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, মুক্তির মাত্র ১৮ দিনেই দর্শকদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলতে পারায় পাঠান সিনেমার আরেকটি রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে জওয়ান সিনেমাটি।

সমীক্ষা বলছে, পাঠান সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ২৭ দিনে হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছিল। অন্যদিকে জওয়ান সিনেমা তা মাত্র ১৮ দিনেই করে দেখিয়েছে। ১৮ দিন শেষে সিনেমাটির কালেকশন ১ হাজার ৪ কোটি রুপি। তাই সবচেয়ে কম সময়ে ১ হাজার কোটি কালেকশন করা হিন্দি সিনেমার তালিকায় এখন শীর্ষে অবস্থান করছে জওয়ান


আরও খবর

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন অধ্যায়ে পরীর প্রথম নায়ক কে?

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩