Logo
শিরোনাম

হযরত সাইয়্যিদ আবুল বশর আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (ক.) জীবনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক,লেখক ও গবেষক :

ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। যা রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে পূর্ণতা লাভ করেছে। তাঁরই তিরোধানের পর খোলাফা-এ-রাশেদীন, তাবেঈন তাবে- তাবেঈন এবং আল্লাহর প্রিয় বন্ধু আউলিয়া এ-কেরামের মাধ্যমে বিশ্বের প্রত্যন্ত- অঞ্চলে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের এ মহান সুফি সাধক তথা আউলিয়া-এ-কেরামগণ নিষ্ঠা সহকারে ধর্মীয় অনুশাসনসমূহ পালন করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদেরকে এর দীক্ষা দান করেন। তাঁরা এমন চরিত্র এবং মহা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যার প্রশংসা মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আ'লামিন পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন-

"হে মুমিনগণ! তোমারা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হয়ে যাও।"

এই উপমহাদেশের শাসকদের উপর দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, মুহাম্মদ বিন কাসেম, সুলতান মুহাম্মদ গজনবী, মুহাম্মদ গৌরা ও মাহাম্মদ বখাতিয়ার খলজী সকলেই ছিলেন বিজয়ী বীর। ইতিহাসের বিচারে তারা কেউই ইসলাম প্রচারক ছিলেন না। ইসলাম প্রচার হয়েছে এ দেশের সুফী, দরবেশগণের প্রচেষ্টায়, তাদের অলৌকিক প্রভাবে। তাদের আচার আচরণ, সাদাসিধে জীবন যাপন, ইসলামের উদারনৈতিক সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষায় মুগ্ধ হয়ে দলে দলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান পেয়েছেন।

বিশেষ করে সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়াজ (রাঃ) সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ্‌ জালাল ইয়ামনী (রহঃ), গাউসুল আযম হযরত শাহ্‌ছুফী মাওলানা সাইয়্যিদ আহমদউল্লাহ আল-মাইজভাণ্ডারী (কঃ), গাউসুল আযম শাহ্‌সুফী মাওলানা সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান আল-হাসানী ওয়াল হোসাইনী বাবাভাণ্ডারী (কঃ) প্রমুখের প্রচেষ্টায় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার-প্রসার লাভ করেছে। এ-রকম একজন আওলাদে রাসুল (দ), সুলতানুল মাশায়েখ, গাউছে জমান হযরত আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ আবুল বশর আল-হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

.জন্ম ও বংশ পরিচিতি........

১৯০৬ ইংরেজী সনের এক শুভক্ষণে পৃথিবীর পঞ্চম তীর্থস্থান মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের মহান আধ্যাত্মিক সাধক প্রাণপুরুষ অলিকুল শিরোমণি গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ গোলামুর রহমান বাবভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর পবিত্র ঔরশে জন্ম গ্রহণ করেন। এ নূরানী শিশুর আগমনে আনন্দিত ও পুলকিত হয়ে সকলেই বলতে লাগলেন, এ শিশু মানব নয়, এ যেন নুরের পুতুল। সৃষ্টির কর্তৃত্ব নিয়েই যেন এর আগমন! কালে হয়ে ছিলোও তাই। তিনি একজন জগদ্বিখ্যাত মহান অলি আল্লাহ্ হয়েছিলেন।

বাল্যকাল ও শিক্ষা জীবন......

শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক পর্যায় দরবার শরীফ থেকেই অতিক্রম করেন। পরবর্তীতে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন।

কর্মময় জীবন..........

শিক্ষা জীবন সমাপন করে তিনি স্বীয় পিতা, অলিকুল শিরোমণি গাউসুল আযম বাবাভান্ডারী (কঃ) এর পবিত্র খেদমতেই নিয়োজিত থাকতেন। বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) নিজ আদরের সন্তানকে আধ্যাত্মিকতার পরম পরশে যুগসেরা অলি আল্লাহ্ রূপে গড়ে তোলেন। মহান আধ্যাত্ম সাধক বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা, বিশেষ বায়াত (বায়াতে খাছ) এর মাধ্যমে তাঁকেই খিলাফত দান করে ত্বরিকার মহান খিদমত আঞ্জামের মহান জিম্মাদারী অর্পণ করেন।

বৈবাহিক ও আধ্যাত্মিক জীবন...

বৈবাহিক ও আধ্যাত্মিক জীবন উভয় ছিল চমৎকারিত্বে পরিপূর্ণ। তাঁর পারিবারিক বা সাংসারিক জীবন ছিল হাবিবে কিবরিয়া (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর গভীর প্রেমময় সাধনায় পরিপূর্ণ। তার পবিত্র চেহারা মুবারকে,হযরত বাবাভাণ্ডারী (কঃ) কেবলা-এ-আলম এর চেহারা মোবারক এর প্রতিফলন ছিল বলে বাবাভাণ্ডারী (কঃ) এর পবিত্র পর্দা করার পরে আশেক, ভক্ত, অলিকুল তাঁর চেহারা মুবারক দেখেই তৃষ্ণা মেটাতেন।

তিনি ইসলামের ও সুফিবাদের বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ সমাধান ও আলোচনা করতেন। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ তার পবিত্র সান্নিধ্যে গিয়ে আধ্যাত্নিকতা, সুফিবাদ সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান লাভে ধণ্য হন। ইমাম শেরে বাংলা আজিজুল হক্ব আল ক্বাদেরী (রঃ), হযরত শাহ্ আহমদ সিরিকোটি (রঃ), শেরে বাংলা একে ফজলুল হক্ব, মওলানা ভাসানী (রঃ) সহ বিশিষ্ট অলি আল্লাহ্ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তার সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন।

তাকে সকলে "সুলতানুল মাশায়েখ" বা উলামা মাশায়েখগণের সুলতান বলে অভিহিত করতেন।
গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর নূরানী আওলাদ-এ-পাকগণের মধ্যে যোগ্যতম ও আধ্যাত্নিকতায় সিক্ত হযরত শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ আবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (কঃ), হযরত বাবাভাণ্ডারী কেবলা ক্বাবা (কঃ) এর পবিত্র জানাজা শরীফের ইমামতি করেন।

তার কয়েকটি পবিত্র বাণী...

"প্রিয় নবিজী () এর প্রেম ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পাথেয়"

"একজন প্রকৃত মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্যবান হল, প্রিয় নবিজীকে () নিঃশর্তভাবে ভালবাসা ও তার প্রেমে নিজেকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করা।"

"প্রিয় নবিজী () এর স্নেহময় দৃষ্টি অর্জনের জন্য নিজেকে তার প্রেমে উৎসর্গ করে দাও।"

"প্রিয় নবিজী () এর দুশমনদের হতে নিজেকে দূরে রাখবে। তারা মহান আল্লাহর অফুরন্ত দয়া, রহমত ও ক্ষমা হতে বঞ্চিত।"

"হযরত বাবাভাণ্ডারী (কঃ) "গাউসুল আযম"এর মহৎ সম্মানের মুকুটধারী। তিনি সুবিশাল ধনভাণ্ডার (বেলায়ত) অর্জন করেছেন। যার চাবি রয়েছে আমার হাতে। আমি ছাড়া কেউ সেই ধনভাণ্ডারের তালা খুলতে পারবে না।"

"ও মইনুদ্দীন! আমার ভক্তদের জিম্মাদারি তুমি বুঝে নেওয়ায়, আমি চিন্তামুক্ত হয়েছি।"

"প্রিয় মইনুদ্দীন! তোমার মিলাদ মাহ্ফিলে স্বয়ং রাসুলে পাক () তাশরিফ আনায়ন করেন। তুমি মিলাদ মাহ্ফিল পাঠ করলে বাবাভাণ্ডারী ক্বেবলা-এ-আলম (কঃ) খুশি হন।"

বেছাল শরীফ বা পবিত্র ওফাত.....

বিশাল কর্মময় ও আধ্যাত্মিক জগতের স্বর্ণ শিখরে আরোহন করে, ঊনষাট বছর বয়সে ১৯৬৫ সালের ১৬ই ডিসিম্বর, ৩০শে অগ্রহায়ণ, মাবুদে হাক্বিকী তথা আল্লাহর একনিষ্ট সান্নিধ্যে গমন করেন।

স্থলাভিসিক্ত আওলাদে পাকগণ......

১৯৬২ সালের ৫ই এপ্রিল, মহান ২২শে চৈত্র, বাবাভাণ্ডারী ক্বেবলা-এ-আলম (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর পবিত্র ওরশ শরীফে রাত ১২টা ৩০ মিনিটে তিনি তার স্নেহধন্য শাহ্জাদা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ)


কে একান্ত সান্নিধ্যে এনে বায়াত-এ-খাছ বা বিশেষ বায়াতের মাধ্যমে বেলায়ত ও খেলাফতের পবিত্র ক্ষমতা ও জিম্মাদারি অর্পণ করেন।

সাত শাহ্‌জাদা ও পাঁচ শাহ্‌জাদা আওলাদে পাকদের মধ্যে আধ্যাত্মিক মহাসমুদ্রে অবগাহনকারী মেঝ শাহ্‌জাদা বর্তমান জমানার যুগ শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, শায়খুল ইসলাম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাবেক প্রেসিডেন্ট, ত্বরীকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়ার দিকপাল, সুফিকুল শিরোমণি হযরত আল্লামা শাহ্‌সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দিন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী (কঃ) কে তার স্থলাভিষিক্ত করে যান।
তার অগণিত কারামত বা অলৌকিক ক্ষমতাবলে অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন উঁচু মর্যাদার অলিয়ে কামেল, গাউছে জামান। "সুলতানুল মাশয়েখ" বা মাশায়েখদের সুলতান তার এক পবিত্র বিরল উপাধি।


আরও খবর



এবার ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে মক্কায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজযাত্রীরা।

আর এবার মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারেএমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজসংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবার পবিত্র রমজানে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর হজেও মুসল্লির ঢল নামবে।


আরও খবর



পাল্টা হামলার আশঙ্কা, উচ্চ সতর্কতায় ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বহুদিনের বৈরিতা থাকলেও এবারই প্রথমবারের সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালালো দেশটি।

এমন অবস্থায় ইসরায়েল এবার ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে পারে। আর সম্ভাব্য সেই হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইরান। রোববার (১৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটির দোরসা জব্বারী তেহরান থেকে জানিয়েছেন, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হবে বলে ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন এবং আজ আমরা বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিযান দেখেছি।

তিনি বলেছেন, আমি মনে করি- ইরানের কাছ থেকে দেশটির সবচেয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়াটিই আমরা দেখেছি। এটি অবশ্যই পূর্ণ-মাত্রার কোনও আক্রমণ নয়। এবং অবশ্যই ইরান ঠিক কী করতে সক্ষম তার একটি প্রদর্শনও এটি। এগুলো এমন দৃশ্য যা আমরা আগে কখনও দেখিনি - ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির মতে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে ইরানের এই দাবি অবশ্যই ইসরায়েল অস্বীকার করেছে।

আল জাজিরার দোরসা জব্বারী বলছেন, এখন এই হামলা-পাল্টা হামলার পরবর্তী পর্ব শুরু হবে। (ইরানের হামলার জবাবে) ইসরায়েলের জবাবও তাই হবে। এবং সেই কারণে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং ইসরায়েলকে (পাল্টা হামলার বিষয়ে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেশটির একজন কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে।

তবে আপাতত ইসরায়েল ঠিক কী করবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে ইরানিরা... বর্তমানে পরিস্থিতি আরও খারাপ না করে তারা এই দ্বন্দ্বকে বজায় রাখতে সক্ষম হবে কিনা সেটিও বোঝার চেষ্টা করছে তারা।

এদিকে ইরানের সর্বশেষ এই হামলা ইসরায়েলের জন্য নতুন পরীক্ষা হয়ে সামনে এসেছে বলেও জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে জাতিসংঘে দেওয়া এক চিঠিতে ইরান বলেছে, তারা আর উত্তেজনা চাইছে না।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভেনেসা ফ্রেজিয়ারকে দেওয়া এক চিঠিতে তেহরান জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের ওপর তার হামলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার একটি আইনি এবং ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ।

এছাড়া গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইরায়েলের প্রাণঘাতী বিমান হামলার নিন্দা করতে নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার নিন্দাও করেছে জাতিসংঘে অবস্থিত ইরানি মিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে ইরান জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের নিহিত উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের এই ধারাবাহিক অবস্থান এটিই পুনর্ব্যক্ত করে যে, দেশটি এই অঞ্চলে উত্তেজনা বা সংঘাত চায় না।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

বোমা হামলার হুমকি’ দিয়ে ভারতের দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) প্রায় ১০০ স্কুল ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তবে এই ইমেইলগুলো ভুয়া উল্লেখ করে সেগুলোর উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। এ ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা উত্তর দিল্লির মডেল টাউনের ডিএভি স্কুল পরিদর্শন করেন।

ভি কে সাক্সেনা বলেন, দিল্লি পুলিশ ইমেইলগুলোর উৎস খুঁজে পেয়েছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কোনো স্কুলে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার কুমার মাহলা বলেছেন, আমরা সব স্কুল পরীক্ষা করেছি। কিছুই পাওয়া যায়নি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।

দিল্লি পুলিশ প্রধানের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভি কে সাক্সেনা।

জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, ... আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং স্কুল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না।

বুধবার (১ মে) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া সমস্ত স্কুলে পুলিশ এবং ফায়ার বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জানিয়ে দিল্লি পাবলিক স্কুল নয়ডার অধ্যক্ষ কামিনী ভাসিন বলেছেন, আমরা বোমা সংক্রান্ত একটি ইমেইল ​​পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থী আছে, তাই আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে এবং ছাত্রদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

ঈদ শব্দটি আরবি। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে সারা বিশ্বের মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

এ বছর ঈদুল ফিতর সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ভিন্ন। টানা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে ভূখণ্ডটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আছে নারী-শিশুসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, সঙ্গে আছে প্রিয়জন হারানোর বেদনা। তীব্র মানবিক সংকটে অনাহার-দুর্ভিক্ষও এখন আর দূরের কিছু নয়। এই অবস্থার ভেতরেই ফিলিস্তিনে এসেছে ঈদ। আর সব ধ্বংস, কষ্ট, বেদনাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে বরণও করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

এমনকি ফিলিস্তিনিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুরু উপলক্ষ্যে আনন্দ উদযাপনে রাস্তায়ও নেমে আসেন। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বুধবার (১০ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাতে ফিলিস্তিনিরা তাকবীর পাঠ করে এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা করে গাজার রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এবারের ঈদ গাজা উপত্যকায় এমন এক সময়ে এসেছে যখন ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটি ব্যাপক অবরোধের পাশাপাশি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে হামাস। ঈদুল ফিতরের আগে দেওয়া ওই বিবৃতিতে হামাস গাজায় ফিলিস্তিনিদের তাদের শক্তি এবং অবিচলতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।

মূলত কয়েকদিন আগেই গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের আক্রমণের ছয় মাস পূর্ণ করেছে এবং সেই আগ্রাসন এখনও চলছে।

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই দলটি টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম তীরে, জেরুজালেমে, অধিকৃত (ঐতিহাসিক) ফিলিস্তিনের পাশাপাশি সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুত শিবিরে থাকা মানুষ গাজায় আমাদের এবং আমাদের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে আমরা আমাদের জনগণকে নিশ্চিত করছি।

হামাস আরও বলেছে, আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমন উপলক্ষ্যে আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোকে অভিনন্দন জানাই।

এসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের লক্ষ্যে সবার প্রকৃত সমর্থন বাড়তে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করে হামাস।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

দেশের চার জেলায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বয়ে যাওয়া এ দাববাহ আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সারা দেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তবে দেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে এ তাপপ্রবাহ বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় আবহাওয়া নিয়ে ভালো কোনও খবর নেই সংস্থাটির কাছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এ তাপমাত্রা বেড়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।


আরও খবর