Logo
শিরোনাম

ইসলাম ও সুফিবাদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ডা. এম এ হাসান , চিকিৎসক


স্যার মুহাম্মদ ইকবাল তার ‘Reconstruction of Islamic Thoughts’ বা ‘ইসলামী ধর্মীয় চিন্তার পুনর্গঠন’ শীর্ষক রচনায় ইসলাম ধর্মের প্রাসঙ্গিকতা, গতিশীলতা- এর ইতিহাস এবং ধর্মীয় অভিজ্ঞতা তথা এর মর্মকথা ব্যক্ত করতে গিয়ে এই ধর্মতত্ত্বের সাথে আধুনিক বিজ্ঞান ও দর্শনের সংঘাত এবং ঐক্যকে খোঁজার চেষ্টা করেছেন। মনুষ্যজাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের আলোকে, নানা তত্ত্ব। জিজ্ঞাসার মধ্যে ধর্মবোধ এবং এর প্রয়োগ কতটুকু সম্ভব এমন প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি যেমন ইসলামের মরমীবাদকে অনুভবের চেষ্টা করেছেন, তেমনি নানা ধর্মতত্ত্বের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করার চেষ্টা করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি জনৈক মুসলিম সুফির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘পবিত্র কুরআনকে সে-ই সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারবে যে কিনা কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিত এবং তার আদিরূপ অনুভব করতে পারবে।’ মূলত নানামুখী লোভ ও স্বার্থচিন্তার সাথে ধর্মচিন্তার সংশ্লেষণটি কঠিন হওয়ার কারণেই নানা বিতর্কের সূচনা।

লেখক মনে করেন সামাজিক বিশৃঙ্খলার আবর্তে নানা ধর্মের মত ও সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কোরআনের প্রয়োজনীয়তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওই গ্রন্থের অবতীর্ণ হওয়ার সময়টাতে। সকল শান্তি ও শৃঙ্খলার প্রেক্ষাপটে ভেদজ্ঞান নিরসন ও শান্তি স্থাপনের আলোকে এর মর্মকথার গুরুত্ব সব সময়ের জন্য প্রযোজ্য। চূড়ান্ত গোঁড়ামি ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারে নিমজ্জিত ইহুদি ও কর্তৃত্ববাদী রোমানদের আঘাতে যিশু ও উদীয়মান খৃস্টানগণ যখন ছিন্নভিন্ন হচ্ছে, যিশুর প্রেম ও করুণাধারায় সিক্ত মানবতাবাদী ধর্ম যখন বিত্তবানদের করায়ত্বে এসে পথহারা হচ্ছে, তখনই ইসলামের আবির্ভাব। কেবল পথভ্রষ্ট এবং উচ্ছৃঙ্খল আরবদের পথ দেখাবার জন্য নয়, বেপথু খৃস্টানদের পথের সন্ধান দিতে, দিকভ্রান্ত চিন্তা এবং অহং এ নিমজ্জিত ইহুদিগনকে একক বিশ্বাসে আনবার জন্য, একটি ধর্মীয় ইন্টিগ্রেশন (Integration) প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামের আবির্ভাব হয়।

বিখ্যাত ধর্মবেত্তা ও লেখক এডুইন এ বার্ট খৃস্টধর্মকে Trinity ভিত্তিক Synthetic Faith বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন- Islam also displayed much of this synthetic power, but at the beginning it was in its essence a remarkably simple religious faith. Its message was the message of the great Hebrew prophets and the early teaching of the Synoptic Gospels in unelaborated form, with all adornments and excrescences removed. Its conception of religion was what we have called the legal conception through and through; to truly devout is to submit humbly to God’s will and conform faithfully in all one’s conduct to His revealed law.

হজরত মোহাম্মদ (সা.) তাঁর স্বকীয়তা স্পষ্ট করে গেছেন একক ঈশ্বরে বিশ্বাস স্থাপন করে, মানুষের দেবত্ব ও ঈশ্বরত্বকে নাকচ করে। Edwin A. Burtt এর ভাষায় তিনি প্রচার করেন- God is one God, and no human being is divine; at best he can be a humble mouthpiece of the divine among his fellows. তিনি ন্যায়, দয়া এবং মানুষের ভাতৃত্বের বাণী ব্যক্ত করেন। প্রাচীন গসপেলে জন মানবভাতৃত্বের কথা ব্যক্ত করেছিলেন। হজরত মোহাম্মদ (সা.) ওই আচরণটিকে অধিকতর মানবিক এবং প্রায়গিক করেছেন। তিনি বিজ্ঞান এবং সামাজিক শৃঙ্খলাকে ধর্মের অঙ্গ করেছেন। তিনি বলেন, “Speak thou, in the name of the Lord, who created man. He has created him from clots of blood.”|

অতিশুদ্ধ ধর্মাবতার চরিত্রের সাথে প্রকৃত জ্ঞানী সমাজসংস্কারক চরিত্রের অপূর্ব সমন্বিত রূপের প্রকাশ ছিল হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর চরিত্রে। ইনট্যুইটিভ (Intuitive) জ্ঞান, প্রফেটিক (Prophetic) বোধ এবং সামরিক জ্ঞানের এমন সমন্বয় হয়ত কারও মাঝে প্রকাশিত হয়নি। ধর্মীয় উদ্দেশ্য, রাজনৈতিক স্বার্থ তথা সামগ্রিক মানবকল্যাণ ও শান্তিকে তিনি এক পাতায় আনতে পেরেছিলেন তার অসামান্য চরিত্র ও মেধাগুণে। তার অবর্তমানে ইসলাম তার বিজয়ধারা অক্ষুণ্ণ রাখলেও অহংবোধ ও স্বার্থচিন্তার আবর্তে পরে মূল ধর্মচিন্তা ও স্রোত থেকে অনেকটা সরে যায় এর প্রবক্তাগণ। ব্যাখ্যাগত দুর্বলতায় আক্রান্ত হলেও খ্রিস্টধর্মের মতো গুরুতররূপে শিকড়বিচ্যুত হয়নি ইসলাম।

এক্ষেত্রে, লেখক মনে করছেন, শুরু থেকে ইসলামে নানামুখী চিন্তা প্রাধান্য পেলেও এক পর্যায়ে তা দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে যায়। একপক্ষে থাকেন কর্তৃত্ববাদী ধর্ম এবং এর স্থূল তথা কট্টর ব্যাখ্যার প্রবক্তা বলে পরিচিত ইমাম গাজ্জালি ও ইমাম হানিফা প্রমুখ, অন্যপক্ষে থাকেন ইবনে রুশদ এবং তার অনুসারীগণ। শাক্ত ও সুযোগসন্ধানীগণ এই কট্টরদের ওপর সওয়ার হয়ে ইসলামের সাম্যবাদে কুঠারাঘাত করে। শুরু হয় বিরুদ্ধ স্রোত ইসলাম যা সমর্থন করেনা সেই রাজার রাজত্ব।

একেবারে ইসলামের শুরুতে যখন ইসলামী চিন্তাবিদগণ গ্রিকদর্শনসহ অন্যান্য দর্শন ও বিজ্ঞান পরীক্ষা করছিলেন এবং ওইসব দর্শন ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করছিলেন, সে সময় ইমাম গাজ্জালি একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন যার নাম ছিল তাহফাতে ফালাসিফা যার অর্থ হলো Destruction of all philosophy ওই পর্যায়ে ইবনে রুশদের ধারণা স্পেন ও ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিশেষ করে, ৬২২ খৃস্টাব্দে হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর পর, ৬৩৪ খৃস্টাব্দে একদিকে যেমন সিরিয়া বিজয় নিশ্চিত হয়, তেমনি ইসলামী চিন্তার আধিপত্য সিরিয়া অতিক্রম করে তুর্কিস্থান হয়ে ইউরোপমুখী হয়, অন্যদিকে, শিক্ষা, দীক্ষা, সংস্কৃতি, শক্তিতে বলবান পারস্য তা অতিক্রম করে ৬৩৭ খৃস্টাব্দে। পারস্য বিজয় সম্পূর্ণ হলে তা আফগানিস্তান ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা অতিক্রম করে ভারতের মাটিতে আসে ৬৬৪ খৃস্টাব্দে।

একইভাবে স্পেনের কনস্ট্যান্টিনোপল আক্রান্ত হয় ৬৬৯ খৃস্টাব্দে, মিশর পদানত হয় ৬৪২ খৃস্টাব্দে এবং প্রাচীন সভ্যনগরী কারথেজ পদানত হয় ৬৯৭ খৃস্টাব্দে। ৭১১ থেকে ৭১২ এর মধ্যে স্পেনের অধিকাংশ মুসলিমদের কব্জায় আসে, এরপর দক্ষিণ ইতালিসহ গ্রিসের সিসিলিও মুসলিমদের পদানত হয়। ৭৩২ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত এই অভিযাত্রা অপ্রতিরোধ্য থাকে। ১৪৫৩ পর্যন্ত পূর্ব ইউরোপসহ পুরো এই অঞ্চলটি মুসলিমদের অধীনে থাকে।লেখক মনে করেন- এই আগ্রাসন ও রাজ্য বিজয়ের মধ্যে একদিকে ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে প্রাচীন উর ও মেসপটেমিয়ার সভ্যতার ছোঁয়া বিশেষ করে অংক, জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যামিতি শাস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঘটে, তেমনি গ্রিকদের ন্যায়শাস্ত্র, তর্কশাস্ত্র ও দর্শনের অনুপ্রবেশ ঘটে। ধর্মবিস্তারের সাথে সাথে একদিকে রোমানদের রাজ্যশাসন এবং দিগ্বিজয়ের কৌশলটিও রপ্ত করে আরবগণ, অপরদিকে প্রাচীন সিরিয়া বা পারস্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটে ইসলামের মাঝে।


এতে করে সুফি ও মরমীবাদের আসন স্থায়ীভাবে নিশ্চিত হয় ইসলামে। এই সুফিগণই প্রিয় মোহাম্মদ (সা.) এর অনুসারী হয়ে শুদ্ধ আত্মার অনুসন্ধানে ব্যাপ্ত হয়ে শুদ্ধতাচর্চায় নিমজ্জিত হয়। ঈশ্বরের সাথে একীভূত হয়ে শুদ্ধতার লক্ষ্যে পথচলা ও পথের আলোয় পথ দেখানোই সুফিবাদ। সুফিবাদে বিশ্বাসীগণকে সমষ্টিগত বলে আউলিয়া, যার অর্থ আল্লাহর কাছের মানুষ; ঈশ্বরাশ্রয়ী এক বন্ধু, যার আত্মার মাঝে দৃশ্যমান বিশ্ব এবং অলক্ষ্য, অজ্ঞাত, অনন্তের নিত্য খেলা।


এটি ইসলামী ঋষি সংস্কৃতিকেই প্রকাশ করে। সে অন্তরে যেমন ঈশ্বরের ছায়া ও শক্তি ধারণ করে, তেমনি ঈশ্বরের প্রতিভূর মনন ও শক্তি ধারণ করে। তিনি রাজা বা প্রভূ নন; তিনি শুদ্ধতার এক প্রেমময় প্রকাশ। তিনি যখন বলেন ‘আইনাল হক (Ainal – Haqq)’, তার মানে, “I am the Haqq - the truth; living and personal witness of God”| ইহুদীগণের বিশ্বাস -“God created Adam in his own images”- তা যেমন ভিন্নভাবে ব্যক্ত হয়েছে কোরআনে, তেমনি আদম ও হাওয়ার চিরন্তন উপাখ্যানটি ও ভিন্ন আলোকে পরিবেশিত হয়েছে।

ইউরোপীয় এবং ইহুদি সম্প্রদায়গুলো স্পেনে বসবাস করায় ওই অঞ্চলটি একটি সাংস্কৃতিক রন্ধনশালায় (Cultural Hot Pot) পরিণত হয়। অর্থাৎ একে অপর থেকে গ্রহণ ও বর্জন করছিল ওই স্থানে, অনেকটা সহজ প্রক্রিয়ার মধ্যে। এভাবেই আরবদের নানা আবিষ্কার, জীবন ও দর্শন পাশ্চাত্যে শেকড় পায়। তবে, এটি ছিল সেই দর্শন যা ইবনে রুশদ প্রচার করেছিলেন। স্পেনে অবস্থানকারী সকল মুসলিম দার্শনিক ও পণ্ডিত যে ইবনে রুশদের সাথে একমত পোষণ করেছেন তা নয়।

ওই সময় রাজ্যবিজয় এবং রাজার রাজত্ব, রাজার স্বার্থ মুখ্য হয়ে ওঠে। এতে মূল ধর্মচিন্তা, ধর্মীয় স্বার্থ এবং মৌলিক দর্শন অনেক ক্ষেত্রে গৌণ হয়ে ওঠে। এ আলোকে মূলচিন্তার অনুসারীগণ আপন দর্শন বিস্তারে ভিন্ন পথ খোঁজেন। এরই ধারাবাহিকায় সুফি দার্শনিক মহীয়ুদ্দীন ইবনুল- আরাবি মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহ অনুভূতিস্বরূপ এবং দৃশ্যমান জগৎ একটি প্রত্যয় মাত্র।’ আরেকজন সুফিসাধক ইরাকির মতে স্থান ও কালের মাঝে অবস্থান বহু এবং বিচিত্র; ‘ঐশীস্থান’ ও ‘ইন্দ্রকালের’ অস্তিত্ব আছে এর মাঝে। এক্ষেত্রে ইকবাল বলেন, ‘এমনও হতে পারে আমরা যাকে বাহ্যিক জগৎ বলি তা আমাদের বুদ্ধির সৃষ্টি, মানবিক বোধ ও অনুভূতির এমন আরও অনেক স্তর রয়েছে যা সম্পূর্ণ আলাদা স্থান ও কালের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলছে।’

এক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট যে, ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যে যারা সত্য আবিষ্কারে আগ্রহী হবে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির ওপর নির্ভর করতে হয়। লেখক মনে করেন যে, এসব বিষয়ে অপরকে সম্পূর্ণ জানা ও জানানো কখনোই সম্ভব নয়। কেননা এখানে Perception কেবল Subjective নয়, এর ব্যাখ্যাটিও Subjective। এসব কারণে ইকবাল নিজেও এটি অনুভব করেন যে, মধ্যযুগীয় আধ্যাতিক সাধনা বা সনাতন সত্যজিজ্ঞাসা পদ্ধতি আদিম এবং মহাসত্য আবিষ্কারের পথে, এটি বিগ্ন বৈ কিছু নয়; তবে তিনি এটাও বলেন, ‘সন্ধান নিরর্থক নয়।’

লেখক নিজে মনে করেন, এ ধরনের চিন্তা চেতনার মধ্যে একটি তৃপ্তি ও শান্তি থাকলেও Illusion ও Disillusion এর ভ্রান্তির চোরাবালি প্রগতিমুখী চিন্তা বা বিজ্ঞাননির্ভর চিন্তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। গভীরতম জ্ঞান ও মৌলিক আবিষ্কারের পেছনে চর্চিত পাঠ ও কগনিটিভ জ্ঞানের মতো বিভূতির ভূমিকা কম নয়। আর Empirical Truth এবং Intuitive জ্ঞানের মূল্য কোনভাবেই নগণ্য নয়।


মহাবিশ্ব তথা সকল সৃষ্টির শুরু শূন্য থেকে, ব্যাখ্যাতীত উৎস বা আধার থেকে উৎসারিত শক্তি থেকে। আর সে শক্তির পেছনে যদি ঈশ্বর বা স্রষ্টাকে অনুভব করি তার অর্থ দাঁড়াবে- তার হতে শুরু এবং সেখানেই পরিসমাপ্তি। আমরা আছি সেই যাত্রাপথে- নদীর স্রোতে। তিনি সকল কার্যকারণের নিয়ন্ত্রক, সকল কিছুর স্রষ্টা এবং বিনাশকর্তা।


সৃষ্টি, বিনাশ, কর্ম এবং কর্মফল সবকিছুর পেছনে রয়েছে কার্যকারণ। এই কার্যকারণের কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন হজরত আব্দুল কাদের জিলানি, তাঁর ‘ফতুহুল গায়েব’ গ্রন্থে। এসব কথা স্পষ্ট হয়েছে মাওলানা রুমীর অনবদ্য রচনাতেও।


পবিত্র কোরআনের আয়াতে বলা হয়েছে- ‘ইয়া হাইয়্যু হিনা লা-হাইয়্যু ফীদাইমু মিয়্যাতি মুলকিহী ওয়া বাকাইহী ইয়া হাইয়্যু।’ অর্থাৎ- ‘হে চিরজীবী (আল্লাহ)! যে সময় তোমার রাজত্বের স্থায়িত্বে ও অস্তিত্বে কিছুই বর্তমান ছিল না, সে সময়ও তুমি বর্তমান ছিলে; হে চিরজীবী।’


এর মাঝে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, বিস্তার, বির্বতন ও সময়ের প্রসারণের কথা বলা রয়েছে এটা অসাধারণ ইনট্যুইটিভ জ্ঞান তথা সত্যের প্রকাশ।









আরও খবর



দেশের ৪২ জেলায় বইছে মৃদু দাবদাহ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবার (১৫ মে) তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, কম বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে আগামী শনিবার পর্যন্ত। দেশের অধিকাংশ জেলায় এ তাপপ্রবাহ বিস্তৃত হতে পারে।তবে আগামী রোববার থেকে আবার বৃষ্টি বেড়ে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটের মোংলায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর বাইরে কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এ সময় মূলত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ১৯ মে থেকে আবার বৃষ্টি বেড়ে তাপমাত্রা কমা শুরু করবে।

চলতি মৌসুমে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৬ মে পর্যন্ত দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। দেশের ইতিহাসে একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের সবচেয়ে বড় রেকর্ড এটি। ৭ থেকে ১২ মে পর্যন্ত ছয় দিন কোথাও তাপপ্রবাহ ছিল না। তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় সোমবার থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা আবার বেড়েছে।

মে মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ১ বা ২টি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ করতে পারে। তবে উজানে ভারী বর্ষণের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার ওপরে যেতে পারে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এতিমখানায় খাবার দেবে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্কঃ


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে (শুক্রবার) দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। 



বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।


কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। 


এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।



এছাড়াও ওইদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। 



একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।


এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন করা হবে।



পরের দিন শনিবার (১৮ মে) দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের দাম লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর কার হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

 


আরও খবর



বিএনপি-জামায়াতের সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করায় আমাদের আন্তরিক প্রয়াস ছিল। 


কিন্তু দুর্ভাগ্য নেমে আসে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে। তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।


বুধবার (১৫ মে) সকালে 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।



শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দ্বায়িত্ব হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল পপুলেশন কাউন্সিল গঠন করেন। 


আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপরেই দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আসে এবং সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পারি দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিৎ করতে নতুন জাতীয় স্বস্থ্য নীতি প্রণয়ন করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু হয়। 


বিশেষ করে মা ও শিশুর অপুষ্টি কমিয়ে আনতে জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি।



তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।


শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের হার কমে আসছে। নানাভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।


আরও খবর



কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর