Logo
শিরোনাম

জানা গেল শাকিব খানেন বলিউড নায়িকার নাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

আগেই জানা ছিল, ‘দরদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যাবে বলিউড নায়িকা। কিন্তু কে এই নায়িকা তা নিয়ে ছিল ধোয়াশা। একেক সময় শোনা গেছে একেক নায়িকার নাম। সামনে এসেছে প্রাচী দেশাই, নেহা শর্মা, জেরিন খান ও শেহনাজ গিলদের মতো নায়িকার নাম। এবার অবসান হলো সব জল্পনাকল্পনার।

জানা গেল, ‘দরদ’ ছবিতে শাকিব খানের চূড়ান্ত নায়িকার নাম। তিনি হলেন বলিউডের সোনাল চৌহান। সম্প্রতি এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। সোনালের পক্ষ থেকে এর সত্যতা জানা না গেলেও ছবির তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কলকাতার এসকে মুভিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশোক ধানুকা একটি দেশের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ–সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমার ছেলে হিমাংশু ধানুকা দেখছে। তবে আমি জানি, সোনাল চৌহান এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কবে হয়েছেন, এর সঠিক তারিখটি এখন মনে নেই।’ অশোক ধানুকা আরও জানিয়েছেন, ২০ অক্টোবর ভারতের বেনারসে এই ছবির শুটিং শুরু হবে। টানা ২৫ দিন চলবে শুটিং।

এসকে মুভিজ ছাড়াও যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করছে মুম্বাইয়ের ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ ও বাংলাদেশে অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। অনন্য মামুন ছাড়াও যৌথভাবে ভারত থেকে আরেকজন পরিচালক ছবিটি পরিচালনা করবেন। তবে তাঁর নাম জানা যায়নি।

ভারতের উত্তর প্রদেশের শাহি রাজপুত পরিবারের মেয়ে সোনাল চৌহান বলিউডের প্রায় দেড় ডজন ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের জন্য স্টারডাস্ট, ফিল্মফেয়ারসহ বেশ কিছু পুরস্কারও জিতেছেন। তবে চলতি বছরের জুনে মুক্তি পাওয়া তাঁর অভিনীত ‘আদিপুরুষ’ সুপার ফ্লপ। বিনিয়োগের অর্ধেকই লোকসান হয়েছে।


আরও খবর



মিয়ানমারে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মৃতদেহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শতাব্দীর ভয়ংকর ভূমিকম্পে সাগাইং এখন মৃত্যুপুরী! মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ‘সাগাইং শহরটি যেন পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মৃতদেহের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে।

যেদিকে চোখ যায় ধ্বংসাবশেষ। আর তার নিচে চাপা পড়ে আছে লাশ। মরদেহ বা চাপা পড়ে থাকা জীবিতদের উদ্ধারে বিন্দুমাত্র কোনো প্রচেষ্টা নেই জান্তা সরকারের।

উলটো রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশির মাধ্যমে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সিএনএনকে দেওয়া ধসে পড়া সাগাইং শহরের ভূমিকম্প-পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় বাসিন্দা কো জেয়ার বলেন, আমরা নিজেরাই যতটুকু পাড়ছি গৃহস্থালি সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সবাই মিলে গণকবরে ব্যবস্থা করছি।

সাগাইংয়ের প্রায় ৮০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের গ্রামীণ শহরগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মান্দালয় থেকে ৪৫ মিনিট দূরত্বের এ শহরটিতে আসতে এখন সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

গত ২৯ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় বড় বড় ফাটল-গর্ত, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্টগুলো সব ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো কত লাশ চাপা পড়ে আছে তার হিসাব নেই। যার বেঁচে আছেন তারাও আতঙ্কে দিন পার করছেন। ভূমিকম্পের ৭ দিন পরও থেকে থেকেই আফটারশক হচ্ছে।

ভয়ে স্থানীয়রা কেউ ঘরে ঘুমাচ্ছেন না। প্রায় পুরো শহরটির মানুষ এখন- রাস্তা, প্ল্যাটফর্ম, ফুটবল মাঠে ঘুমান। আমি নিজেও ঘরের ভেতরে ঘুমাই না। দরজায় ঘুমাই। যেন সহজেই দৌড়াতে পারি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরেকটি আফটারশক আঘাত হানার পর ফোনে সিএনএনকে এ কথা বলেন জেয়ার। আফটারশকগুলো অঞ্চলটিকে কাঁপিয়ে তুলছে।

আরেক স্বেচ্ছাসেবক কিয়াও মিন বলেন, সাগাইংয়ের যেদিকেই তাকান- ঘরবাড়ি, স্কুল, মন্দির, মসজিদ এবং দোকান ধ্বংসস্তূপে ভরা। আমরা উদ্ধারকারীরা খালি হাতে বা ন্যূনতম সরঞ্জাম দিয়ে জীবিতদের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপ খনন করে চলছি। আমরা আমাদের কাছে থাকা সামান্য সরঞ্জাম দিয়ে যতটা সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি।

আমরা অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করেছি, যার মধ্যে শিশু এবং বয়স্করাও রয়েছেন... মাথা, হাত বা পা ছাড়া মৃতদেহ ... আমরা এত ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আগে কখনো হইনি।

একই মন্তব্য জাতিসংঘের সাবেক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াংহি লির। তিনি বলেন, আমরা কেবল বেসামরিক লোকদের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খনন করতে দেখছি। কেন মিন অং হ্লাইং তার সব সামরিক বাহিনীকে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য পাঠাননি?


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৭৩ মিলিয়ন ডলার নতুন আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বাসসের।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক্সে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিওইএফ) মাধ্যমে এই খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদাররা এই ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার মাধ্যমে বোঝা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত।’

সিনহুয়া জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার অংশ হিসেবে বিদেশি সহায়তায় ব্যাপক কাটছাঁট এবং ফেডারেল ব্যয় ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং মার্কিন সরকারের কিছু অংশ ভেঙে ফেলার বিস্তৃত প্রচেষ্টার মধ্যেই এই অনুদান দেওয়া হলো।


আরও খবর



সৃষ্টির কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়াই হচ্ছে বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী :

দূর দূরান্ত থেকে আসা লাখো ভক্তজনতার অংশগ্রহণে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার পূর্ণতাদানকারী হযরত গাউছুল আ’যম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারীর (ক.) ৮৯তম বার্ষিক ওরশ শরীফ মহাসমারোহে উদযাপিত হচ্ছে। তিনদিনব্যাপী ওরশ শরীফ উপলক্ষে শুক্রবার ৪ এপ্রিল আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, রক্তদান, ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনার লক্ষ্যে র‍্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। শনিবার সমাপনী দিনে বাবাভান্ডারীর কেবলার জীবনী আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও ২য় দিনের কর্মসূচিতে বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা ও মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান, রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরীকত হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্ হাসানী (মাজিআ)। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের মহান ওলীগণ মানুষকে ইসলামের সহজ সরল সঠিক পথই দেখান। আল্লাহ পাকের সেরা সৃষ্টি মানুষ। আর মানুষের সেবা ও কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। মানুষের প্রতি দরদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহ পাকের যোগ্য প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বই পালন করেন। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর রহমান নামের গুণাবলীর উজ্জ্বল প্রতীক। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যাজনের পথই দেখিয়েছেন তিনি। সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারী’র জীবন দর্শন। আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থান্ধতা ও ভোগল্পিসাই আজ পৃথিবীতে যতো অশান্তি–হানাহানির মূল কারণ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্যাগের পথ ধরতে হবে। গণকল্যাণে নিজেদের ব্যাপৃত রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে বাবাভাণ্ডারী’র শিক্ষা। তিনি আর্তমানবতা ও গণকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখে অবিস্মরণীয় কর্মকীর্তির স্বাক্ষর রাখেন বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্–হাসানী

(মাজিআ) উল্লেখ করেন। বিএসপি চেয়ারম্যানের ইমামতিত্বে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আগত লাখো মুসল্লী জুমার নামাজ আদায় করেন। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল্ হাসানী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব খলিফা এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার মহাসচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী,আনজুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খলিফা আলহাজ বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মো: শহীদুল্লাহ্ প্রমুখ।


আরও খবর



গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বললেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা।দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বানীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীর শুরুতে তারেক রহমান সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রাম মূখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তারেক রহমান বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জল মূহুর্তের মধ্যে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তাহলো এ দেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মদান; আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অবিস্মরণীয় আত্মদানে অর্জিত হয়েছে দেশমাতৃকার মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে ৯ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না।

আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মানচিত্র। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় সেই মূহুর্তে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই।

বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।

তারেক রহমান বাণীতে আরও বলেন, আজকের এই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি আহবান জানাচ্ছি-জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার জন্য। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।


আরও খবর



ট্রাম্পের শুল্কে পোশাক খাতে শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তবে ওই আদেশে পণ্যভিত্তিক শুল্ক হারের তালিকা বা কাস্টমস গাইডেন্স দেওয়া হয়নি। এতে বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাতে এক ধরনের বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান শুল্কের বাইরে যদি ৩৭ শতাংশ শুল্ক যোগ করা হয়, তাহলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশের পোশাকের ওপর কার্যকর শুল্ক বর্তমান গড় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৮ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়াবে। অর্থাৎ ঢাকা থেকে ১০০ ডলারের টি-শার্ট বা জিন্সের চালানে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে আমদানি শুল্ক বাবদ প্রায় ৪৯ ডলার দিতে হবে, যা বর্তমানে মাত্র ১১ দশমিক ৫৬ ডলার।

দেশের অন্যতম বৃহৎ ডেনিম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীর বলেন, 'আমরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ ট্রাম্পের আদেশে পরিষ্কারভাবে এটিকে 'অতিরিক্ত' শুল্ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ৯ এপ্রিলের আগে আমরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না।'

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আদেশের দ্বারা নির্ধারিত শুল্কের হারগুলো প্রযোজ্য অন্য কোনো শুল্ক, ফি, কর বা চার্জের অতিরিক্ত। তবে তারা দেশ বা পণ্য অনুসারে আর কিছু জানায়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আমরা এখনো পরিষ্কার নই। এটি ৩৭ শতাংশ হতে পারে, কিংবা যদি বর্তমান মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) হারের সঙ্গে যোগ করা হয় তাহলে ৫২ শতাংশেরও বেশি হতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য ইতোমধ্যে অনেক পণ্যে ১৫ শতাংশের ওপরে আছে।'

অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির জানান, তার প্রতিষ্ঠান এখনো ক্রেতাদের কাছ থেকে হালনাগাদ ট্যারিফের তথ্য পায়নি।

'তবে বিভিন্ন সূত্র পরামর্শ দিয়েছে, বর্তমান হারকে প্রতিস্থাপন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে, অথবা বর্তমান হারের সঙ্গে যোগ হতে পারে।'

উচ্চ হারের সংকেত দিয়েছে ব্র্যান্ড

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি পোশাক ব্র্যান্ড ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নতুন শুল্ক ৪৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ হতে পারে।'

'সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করেই আমরা কৌশল প্রণয়ন করছি। আর নির্বাহী আদেশে স্পষ্টভাবে এটাকে বাড়তি শুল্ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শুল্ক সমন্বয় হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর মূলে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে বৃহত্তর উদ্বেগ।

তার ভাষ্য, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বাণিজ্য অর্থনীতি, যা আমদানির ওপর নির্ভর করে। এই পদক্ষেপ শুধু শুল্কের জন্য নয়, বরং তারা বাণিজ্য প্রবাহকে ওয়াশিংটনের অনুকূলে নিতে চায়।'

যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিটি অন্যান্য শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বৈশ্বিক সোর্সিং কীভাবে পরিবর্তিত হতে পারে তার একটি ধারণা দিয়েছেন।

চীনের পোশাকের শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যেখানে ভিয়েতনামের শুল্ক ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। ভারতের ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ও পাকিস্তানের ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বাজারের ৯ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে। এছাড়া বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ২৪ শতাংশই হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ২০২৪ সালে দেশটিতে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এতে চীন ও ভিয়েতনামের পরে তৃতীয় পোশাক সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এ খাতে ৪০ লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন এবং বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশেরও বেশি তৈরি পোশাক।

রপ্তানিকারক এবং নীতিনির্ধারকরা একমত যে, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার এখনই সময়।

অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির বলেন, 'আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো অবস্থান রয়েছে। কিন্তু অন্য দেশগুলো যদি শুল্ক হার কমিয়ে দেয়, তাহলে আমরা দ্রুত বাজার হারাব।'

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং রপ্তানিকারকরা অবিলম্বে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীর বলেন, 'অন্যান্য দেশ এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। আমাদেরও একই কাজ করতে হবে এবং তা দ্রুত করতে হবে। এখনও একটি কার্যকর ফলাফল খুঁজে বের করার সুযোগ আছে।


আরও খবর