Logo
শিরোনাম

কাজী রাইয়ানকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নুরুল্লাহ খান শাজাহান, নিজস্ব প্রতিনিধি:

লিকুমিয়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ৫ বছরের শিশু কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন যা পরিবার এবং সাংবাদিক পিতার পক্ষে মেটানো অসম্ভব। সুস্থভাবে সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

কাজী রাইয়ান আহমেদ রূপ ঢাকার দোহার উপজেলার ঘাটা গ্রামের সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ ও রাশেদা আক্তার দম্পত্তির ছেলে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে মাত্র ১১ মাস বয়সে প্রথম লিকুমিয়া (all) ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে রূপের। এর দীর্ঘ ৪ বছর চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠে সে। তবে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্বপ্রায় রূপের বাবা। হঠাৎ গতমাসে আবারো গুরুতর অসুস্থ হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রূপকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে শিশুটির। বর্তমান রুপ বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান তত্বাবধানে রয়েছে রূপ।

প্রফেসর ডা: এ টি এম আতিকুর রহমান জানান, বর্তমানে রূপের অবস্থা আশংকাজনক। তার লিভার ও স্প্রিন্ট বড় হয়ে গেছে। এছাড়া সে নিউমনিয়ায় আক্রান্ত, পাশাপাশি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ছে না।

ডাক্তার আরো জানান, রূপের বনমেরু পরিবর্তন করা গেলে ৮০% সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে এ চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। ভারতে নিয়ে করতে খরচ হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

রূপের সাংবাদিক পিতার পক্ষে এ টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। এ অবস্থা ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল মানুষের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের সুদৃষ্টি কামনা করেন পরিবারটি।

যোগাযোগের ঠিকানা: ০১৭১৬৫৫৯১৯০ (বিকাশ), রূপের বাবা সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদ

মো. জোবায়ের আহমেদ

একাউন্ট নাম্বার: ০০১২১০০০৩১১৪৭

সাউথইস্ট ব্যাক, জয়পাড়া শাখা, দোহার


আরও খবর



জাবি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ধামরাই এর নবীনবরণ ও বিদায় সম্বর্ধনা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

 মাহবুবুল আলম রিপন ( স্টাফ রিপোর্টার):

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ধামরাই আয়োজিত ৫০ ও ৫১ ব্যাচের নবীনবরণ এবং ৪৫ ব্যাচের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর)বিকাল ৪টা জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অফ ধামরাই আয়োজিত ৫০ ও ৫১ ব্যাচের নবীন বরন ও প্রবীন ছাত্র ছাত্রীদের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ধামরাই উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে বর্তমান এসোসিয়েশনের সভাপতি সাল সেবিল জেরিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় সাংসদ ঢাকা-২০ ধামরাই আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম,গন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবুল হোসেন, ধামরাই পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান কানন, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম ব্যাচ ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।

এছাড়াও এ’অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পপ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র মোহাম্মদ সেফাতুল্লা,প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক আবু সিদ্দিকুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিপি এম এ জলিল প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালাইমনা এসোসিয়েশনের আহবায়ক ও সদস্য সচিব যথাক্রমে মোঃ শাহাবদ্দিন ও ইউসুফ আলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আশীষ কুমার মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন প্রমূখ।

এছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তন ও নবীন ছাত্র ছাত্রীসহ স্হানীয় ধামরাইয়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ’সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



উন্নয়নের সঙ্গে বাড়ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশ উন্নয়নের পথে যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে এবং প্রতিবছরই তা বাড়ছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমনটাই মনে করেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা: পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর ভাবনা শীর্ষক বইয়ের জনপ্রকাশ অনুষ্ঠান ও সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এমনটা বলেন।

অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করছি, দেশটাকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছি। আমরা একদিকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছি, অন্যদিকে টাকা পাচারকারীরা দেশ থেকে টাকা নিয়ে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়াকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছে।

বইটিতে পিছিয়েপড়া মানুষের সমস্যা ও সংকট প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, সমস্যাগুলো রাজনৈতিক। এটাকে যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা না যায়, এতে যদি রাজনীতিবিদ, আমলা, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত না হন তাহলে এগুলো সমাধান করা খুব কঠিন।

সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে প্রকাশিত বই নিয়ে আলোচনা করেন করেন মানবধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ।


আরও খবর



সারাদেশে ভারী বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বাড়ায় কয়েকদিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ কেটেছে। বেড়েছে বৃষ্টিপাত। আভাস রয়েছে অতিভারী বর্ষণের।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন মঙ্গলবার  সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। বর্ধিত পাঁচদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার। তবে রাখাইনের যে স্থানে রোহিঙ্গারা থাকবে সেখানে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে যেতে দিতে দ্বিধায় নেপিদো। ফলে টেকসই প্রত্যাবাসনে বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে ধীর গতি দিয়েছে ঢাকা।

চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নেপিদোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই কিছু রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ব্যাচে দেশটি যাচাইকৃত তিন হাজার রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের রাখাইনে উপস্থিতির বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়। তবে এর প্রেক্ষিতে বৈঠকে কোনো উত্তর দেয়নি মিয়ানমার।

চলতি মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। দলটি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আস্থা ও মনোবল বাড়ানো এবং প্রত্যাবাসনে রাজি করানোর কাজটি করবে। সেই সঙ্গে শেষ মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টিও জড়িত ছিল প্রতিনিধি দলের কার্যক্রমে। তবে বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কিছু বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সেই উত্তরের প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের আসার সম্ভাব্য দিনক্ষণ দেবে ঢাকা।

বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল, ফলে বাংলাদেশ খুব সতর্কতার সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঢাকার অন্যমত অগ্রাধিকার, তবে সেই সঙ্গে এটি টেকসই করার দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। তাই রাখাইনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোসহ মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।


আরও খবর



বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমল ২ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে আসার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার (১৯৮ কোটি) বা প্রায় ২ বিলিয়ন কমে গেছে।

২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে,  (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ডলার। এর আগে গত ২৩ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৩২ কোটি ডলার।

এছাড়া নিট রিজার্ভ এক দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার কমে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে নেমেছে। এক মাস আগে অর্থাৎ ২৩ আগস্ট নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৬ কোটি ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে বকেয়া ঋণ পরিশোধ ও আমদানি দেনা মেটানোর কারণে রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার দিতে হচ্ছে। এতেও রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার পরও মূলত রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতির কারণে রিজার্ভ কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে জুলাই-আগস্ট মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ব্যয় পরিশোধে ১৩১ কোটি ডলার দিতে হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে এসেছে।

প্রতি মাসে গড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৩ মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার শর্ত অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রাখতে হবে।

ব্যাংকাররা জানান, ডলারের আন্তপ্রবাহের চেয়ে বহিঃপ্রবাহ বেশি হচ্ছে। আবার রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গেলেও সেই তুলনায় রেমিট্যান্স আসছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তিন মাস আগে প্রবাসীরা গড়ে দৈনিক ৭ কোটি ডলারের বেশি পাঠালেও চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত তিন মাসের (১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর) ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৫ কোটি ২৭ লাখ ডলার করে। অর্থাৎ প্রবাসীরা চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। আর জুলাইয়ের প্রথম তিন সপ্তাহে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে পৌনে ৭ কোটি ডলার করে। তার আগের মাস জুনে প্রবাসীরা প্রতিদিন পাঠিয়েছিলেন গড়ে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার করে। ওই মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগস্ট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৬৯৬ কোটি ডলার। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ছিল ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত এক বছরের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৯৬৩ কোটি ডলার।

রফতানি আয় আগের চেয়ে কমে যাওয়াকে অনেকেই রিজার্ভ কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে রফতানি আয় ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বাড়লেও আগস্টে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা।

ডলারের বাজারে অস্থিরতা : এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলারের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকে চাহিদার তুলনায় ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে বেশি দামে ডলার কিনে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছে বিক্রি করছে।

রফতানি ও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রের ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানিকারকদের কাছে এখন ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছু ব্যাংক প্রতি ডলারে ১১৪-১১৫ টাকা দাম নিচ্ছে। কারণ, প্রবাসী ও রফতানি আয় কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। না হলে ঋণপত্র খুলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাংকগুলো।

এই ঘটনায় বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধানকে জরিমানা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বাফেদার বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে গিয়ে অনেকে ডলার কেনাবেচা করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানছে না। তিনি বলেন, বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান দায় এড়াতে পারেন না। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ব্যাংকগুলো যাতে ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, সে জন্য ব্যাংক মালিকদের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জবাবে ব্যাংক-মালিকরা বলেছেন, ডলারের দাম কিছুটা বাড়ানো হলে তাতে সংকট কমতে পারে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতাদের সঙ্গে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র জানায়, সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে ডলারের বাজার পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ও ব্যাংকের সার্বিক তারল্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। সভায় বলা হয়, ডলারের সংকট এখন কমে এসেছে। সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই কোনও ব্যাংক যাতে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় বিএবির পক্ষ থেকে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপত্তি জানায়। অবশ্য হুন্ডি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ব্যাংক মালিকরা। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হলে হুন্ডিতে ডলারের দাম আরও বাড়বে।

 


আরও খবর