Logo
শিরোনাম

কোভিডে আক্রান্তদের হার্ট অ্যাটাক নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বব্যাপী এক কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক নানা সমস্যারও সৃষ্টি করছে। করোনার পর মানব শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও ক্ষতিকারক ইমিউন প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে যা শরীরের সামান্য থেকে গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। আর এই সমস্যা কোভিড আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায় থেকেই অনেকের শরীরে পরিলক্ষিত হয়। আক্রান্ত রোগীদের ইনট্রাভেনাস লাইন, ক্যাথেটার, ধমনী ও পায়ের আঙ্গুলের মোঁ শরীরের নানা অংশে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।

Sars-CoV-2 ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্ত জমাট বাঁধা ও ক্ষতিকারক ইমিউন প্রতিক্রিয়া বেশি হওয়ার কারণ ভাইরাসে আক্রান্তের ফলে শরীরের ভেতর একই সময়ে বিভিন্ন ক্ষতিসাধন শুরু হয়ে যায়। এই সমস্যাগুলো ফুসফুসে রক্ত প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করে ফেলে যা কোভিড রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি করে। রক্তে পাওয়া ছোট কোষ হলো প্লেটলেট যা শরীরে সৃষ্ট রক্তপাত বন্ধ করতে বা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। কিন্তু যখন এই প্লেটলেট সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর কারণের উৎস
হয়ে দাঁড়ায়।

গবেষণা থেকে জানা যায় যে গুরুতরভাবে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যাটি বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। এসময় আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়। তবে উৎপাদিত অটো-ইমিউন অ্যান্টিবডিগুলো আমাদের দেহের প্রতিরক্ষার কার্যকারিতাকে ধ্বংস করে এবং রক্তে সঞ্চালিত হওয়ার
সাথে সাথে তারা ধমনী, এবং শিরায় জমাট বাঁধতে শুরু করে। এই সমস্যাটি মানুষকে আরো অসুস্থ করে ফেলে।

একটি বিশেষ গবেষণা থেকে জানা যায়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে সৃষ্ট যে অ্যান্টিবডি ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম, তার সুগার লেভেল সুস্থ মানুষের অ্যান্টিবডিগুলোর চেয়ে ভিন্ন। এই অ্যান্টিবডিগুলি যখন সুস্থ কোষগুলিতে সঞ্চালিত হয় তখন প্লেটলেটের কার্যকলাপে উন্নতি ঘটে। তবে এসকল অ্যান্টিবডি যেগুলো কোভিড-১৯ সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য তৈরি হচ্ছে, তা আসলে মানুষের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যারও কারণ। এই অ্যান্টিবডিগুলো মানুষের শরীরে কোনো ক্ষত না থাকা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ রক্ত জমাট সৃষ্টি করছে। যার ফলে অনেক রোগীর স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে।

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হওয়া বেশির ভাগ রোগীর শরীরে এই অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। ফলে এসকল রোগী থ্রম্বোসিস বা পালমোনারি এমবোলিজমের মতো গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, ক্লিনিকাল প্যারামিটারের মধ্যে এই হাই ফ্যাক্টর ভি এবং কোভিড-১৯ এর মধ্যকার সম্পর্ক ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। এ ফ্যাক্টরটি শুধুমাত্র রক্ত জমাট বাঁধার হিসেবে চিহ্নিত তা নয়, বরং এটি ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সনাক্ত করার পন্থা হিসেবেও কাজ করে। আরো জানা গেছে, এটি অ্যান্টি-ফসফোলিপিড সিন্ড্রোম নামক একটি অটোইমিউন ক্লোটিং অবস্থার ওপর ফোকাস করে যেখানে অ্যান্টিবডিগুলি জমাট বাঁধার কারণ কোষের পৃষ্ঠকে আক্রমণ করে। এমনকি কোভিড-১৯ সহ অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণগুলোও ক্ষণস্থায়ী এপিএল অ্যান্টিবডির বৃদ্ধি ঘটায়।

কোভিড-১৯-এ সাধারণত ক্ষণস্থায়ী এপিএল অ্যান্টিবডিগুলো অ্যান্টি-ফসফোলিপিড সিন্ড্রোমের মতো অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে কিনা এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। এই গবেষণা সম্পর্কিত ল্যাব স্টাডিতে, কোভিড আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীর অ্যান্টিবডির সাথে এপিএল রোগীদের অ্যান্টিবডিগুলোর নিউট্রোফিলের মিল পাওয়া গেছে। এই সমস্যাটি বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। রোগীকে যথাযথ অ্যান্টি-কোয়াগুলেটরি থেরাপিসহ বিভিন্ন চিকিৎসা করে এই সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞান এ বিষয়ে আরো বিস্তর গবেষণা করছে যার ফলে ধারণা করা হচ্ছে, অচিরেই এসকল সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষকে উত্তরণ করা সম্ভব হবে।

দীর্ঘ তিন দশক ধরে জনগণকে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ভারতের ইয়াশোদা গ্রুপ। বাংলাদেশ থেকে অনেক রোগী প্রতি বছর সুচিকিৎসার জন্য ভারতীয় হাসপাতালগুলোতে পাড়ি জমান। যাদের অনেকেরই প্রথম পছন্দ ইয়াশোদা হসপিটালস। রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে চিন্তার রোগ হলো হৃদরোগ। শুধুমাত্র কার্ডিওলজি নয় বরং স্বাস্থ্যসেবার প্রায় সকল ক্ষেত্রেই অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রবর্তনের সাথে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ইয়াশোদা হসপিটালস সর্বদাই নিয়োজিত।

লেখক : কনসালটেন্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, ইয়াশোদা হসপিটালস, হায়দ্রাবাদ


আরও খবর



মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে: এবি পার্টি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

 


ডিজিটাল ডেস্ক:


‘মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে’ বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন দলের নেতারা। 


অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, আমদানি-রফতানির নামে ডলার পাচার ও উচ্চ-দ্রব্যমূল্যে জনগণের চরম ভোগান্তির প্রতিবাদে এই মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে এবি পার্টি। 



এতে বক্তব্য রাখেন—দলের আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও পার্টির অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। 


মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে সরকার দলীয় লোকজন ও কিছু আমলা। 


প্রকৃতভাবে এখন দেশে রিজার্ভের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলারে। যদিও সরকার বলছে, এর পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ রয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার।’ 



সোলায়মান চৌধুরী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ কাজ পাচ্ছে না, অথচ প্রতিবেশী একটি দেশের হাজার হাজার মানুষ এখানে অবৈধভাবে কাজ করছে। দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। 


ব্যাংকগুলো জবর দখল করে দলীয় লোকজনের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। রিজার্ভ আজ শূন্য হতে চলেছে। দেশ আজ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার চোরাবালিতে আটকে গেছে।’ 


এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব ও দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।  


আরও খবর



লালমনিরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক চক্রের প্রধান প্রতারককে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট পুলিশ।

তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে লালমনিরহাট থানা পুলিশ গেলো বুধবার  রাত ৮টার দিকে দেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ লাখ টাকার মামলায়  শিবলু লোমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। পরে আসামীকে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। গ্রেফতার শিবলু সাবেক সেনা সদস্য, বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ এলাকায়।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চক্রের প্রধান শিবলু লোমান চৌধুরীসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক শিবলু লোমান চৌধুরী নিজেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের ডিজি'র এপিএস-এর পরিচয় দিয়ে চাকুরি দেওয়া প্রলোভনের ফাঁদ পাতে। সে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক তৈরি করে।


প্রতারক শিবলু গত ২০২২ সালের নভেম্বর  মাসে ঢাকা ফার্মগেটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়িতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে জনবল নিয়োগের একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি তৈরী করে প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে তা খবর ছড়িয়ে দেয়। পরে ওই পদে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারণা চক্রের সদস্য আলমগীর ও ভুয়া ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী আব্দুর রহমানের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী চামটারপাড় এলাকায় মোবারক হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানের (৩২) কাছ থেকে ১৯লাখ, একই জেলার ভুরুঙ্গামারি উপজেলার আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ৫লাখ, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ধনঞ্জয় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে ইউনুস আলীর (২৫) কাছ থেকে ৫লাখ, রংপুর মিঠাপুকুর এলাকার শোয়েব আলীর কাছ থেকে ৫লাখ, একই এলাকার আতিকুর রহমানের কাছ থেকে ৪লাখ টাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর প্রতারক চক্রটি গত বছরের ২৭ নভেম্বর কৌশলে ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৪তলার একটি কক্ষে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে গত ১ জানুয়ারী ২০২৪ চাকুরি প্রত্যাশিদের হাতে একটি করে ভুয়া নিয়োগপত্র তুলে দেয়। পরে নির্ধারিত তারিখে চাকুরিতে যোগ দিতে গিয়ে তারা বুঝতে পারে এটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং নিয়োগ পরীক্ষা ছিলো সাজানো।

পরবর্তীতে তারা টাকা ফেরতের চাপ দিলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা উল্টো ভুক্তভোগী চাকুরি প্রত্যাশিদের নামে মামলা দেয়। সম্প্রতি চক্রের সদস্য আব্দুর রহমান চাকুরি প্রত্যাশি কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমানের নামে অপহরণ মামলা দিয়েছে। এছাড়াও চাকুরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার ঘটনায় নিউজ করায় রংপুর বিভাগীয় শহরের দৈনিক গণকন্ঠ, দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকা ও স্থানীয়  দৈনিক দাবানল  পত্রিকার প্রতিবেদকদের নামেও মামলা দিয়েছে ওই প্রতারক চক্র।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে প্রতারক চক্রের সদস্য আব্দুর রহমান জানান, কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে আমার যে লেনদেন ছিলো তা প্রায় শোধ করে দিয়েছি। বাকী টাকাও দ্রুত পরিশোধ করবো। তবে পত্রিকার প্রতিবেদকদের নামে কেন মামলা করেছেন? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেন নি তিনি।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, গ্রেফতার ব্যক্তি চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাটে এনে শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই চাপকে উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরববিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছেযদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়, তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য শনিবার মিসরের কায়রোয় ইসরায়েলকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোয় প্রতিনিধিদল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিন হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি না, তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবে না।

ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয়, তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।


আরও খবর



তিন মাস ধরে দুবাইয়ের হিমঘরে পরে আছে রাণীনগরের মিন্টুর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার এনায়েতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত্যু জামাল জোয়ারদারের ছেলে মিন্টু হোসেন। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে আর দশজনের মতো পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকার আসায় তিন বছর আগে দুবাই পারি জমান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেখানে হাসপাতালের হিম ঘরে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে পরে রয়েছে মরদেহ। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে পারছেননা স্বজনরা। ফলে একদিকে স্বজন হারানোর শোক অন্যদিকে অর্থাভাবে মরদেহ আনতে পারার বেদনা পরিবারকে যেন ঘোর হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

মিন্টুর মামা আব্দুল মতিন জানান,মিন্টুর স্ত্রী-দুই মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল। মাথাগোঁজার ঠাই ছাড়া আর কোন সম্পদ নেই তার। শ্রমীকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো মিন্টু। এরই মধ্যে স্বপ্ন জাগে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাল চলার। গত ২০২১সালে ধার-দেনা করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে দুবাই যান মিন্টু। সেখানে যে কোম্পানীর ভিসায় গিয়েছিলেন সেই কোম্পানীতে কাজ না থাকায় অন্যত্র চলে যান মিন্টু। কিন্তু কোম্পানীর লোকজন পাসপোর্ট আটকে দেয়ায় অবৈধ হয়ে পরেন। তার পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও পাসপোর্ট-ভিসা হাতে পাননি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলেও সুষ্ঠু বেতন পায়নি। এরই মধ্যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরলে দুবাইয়ের আজমানস্থ খলিফা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ফেব্রæয়ারী মারা যান মিন্টু। এর পর মৃত্যুর খবর এপর্যন্ত পরিবারের লোকজন জানতে না পারলেও গত ১০মে এক স্বজনের মাধ্যমে মিন্টুর মৃত্যুর খবর জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকে তার মরদেহ দেশে ফেরাতে নানা চেষ্টা করছেন পরিবারের লোকজন। আব্দুল মতিন জানান, কোম্পানীর আওতায় থাকলে কোম্পানীর খরচে তার মরদেহ দেশে আসতো। কিন্তু অবৈধ থাকার কারনে নিজ খরচে মরদেহ দেশে আনতে হচ্ছে। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যায় হবে। যা পরিবারের পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। নগদ একাউন্ট নাম্বার- ০১৭৩৫ ১৯১৭৭৩(স্ত্রী),বিকাশ একাউন্ট নাম্বার-০১৭৮৩ ৮৪০৭৪৪(মামা)।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

দেশের চার জেলায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বয়ে যাওয়া এ দাববাহ আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সারা দেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তবে দেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে এ তাপপ্রবাহ বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় আবহাওয়া নিয়ে ভালো কোনও খবর নেই সংস্থাটির কাছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এ তাপমাত্রা বেড়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।


আরও খবর