Logo
শিরোনাম

করোনায় তাণ্ডব কিছুটা নিম্নমুখী

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের তাণ্ডব এখন কিছুটা নিম্নমুখী। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৮১ জন। এ সময় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫১৪ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ কোটি ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ১০৮ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৩ জন।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ৬৭৭ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮১১ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ২১৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯০৭ জনের।

আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৯৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৬ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৯ জনের।

আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ১০৯ জন।

পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৮ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।


আরও খবর



‘গঙ্গাসহ ৫৪ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে গড়িমসি করছে ভারত’ : ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, শুধু ফারাক্কা বাঁধ নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে তারা সব সময় গড়িমসি করেছে এবং তারা এই সমস্যার সমাধান করেনি, করছেও না।

তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে এই যুক্তি; করছি, এই হয়ে যাবে, এখন ভালো অবস্থা আছে, এই করে করে কিন্তু সরকার কাটিয়েছে।

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।


এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা বরাবরই লক্ষ করেছি, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই আমাদের প্রতিবেশী—যার কাছে আমাদের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি সব সময়। তার পরেই আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশকে একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার জন্য সব সময় তারা তাদের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।

এই ব্যর্থতার মূল কারণ হচ্ছে, যে সরকার এখন আছে, সেই সরকার পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার। তারা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃত অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা তাদের (ভারতের) কাছে অত্যন্ত দুর্বল।

বাংলাদেশের মানুষকে তার অধিকার আদায়ের জন্য তার নিজেকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে আটক এবং তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে মাত্র তিনদিনে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো সেই নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। আমাদের নেতাকর্মী যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন, সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।


মাফিয়া রাষ্ট্র তৈরি করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখনকার সরকারের মদদপুষ্ট যেসব ব্যবসায়ী আছেন, তারা সবাই তথাকথিত সরকারের গুণকীর্তন গায়—একটা মাত্র উদ্দেশ্য, এই সরকার টিকে থাকলে তারা তাদের লুণ্ঠন, বিদেশে টাকা পাচার করে সম্পদ তৈরি, তারা সেগুলো করতে পারবেন।

ফখরুল বলেন, 'ফারাক্কা দিবস আমাদের ওই কথাই মনে করিয়ে দেয়, জনগণের শক্তির কাছে বড় শক্তি আর কিছু নেই। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন জনগণের মানুষ। তিনি সব সময় জনগণের কথা বলেছেন, জনগণের জন্য সংগ্রাম করেছেন। কোনো দিন ক্ষমতার আশে পাশে যাননি।

তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবস আমাদের জন্য একটা প্রতীক, আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতীক। আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের যে লক্ষ্য; বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, সেই লক্ষ্যে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি, অবশ্যই আমরা সেখানে জয়লাভ করব।


আরও খবর



রাতেও জ্বলবে সুন্দরবনে আগুন, ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

 পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ড্রেনের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ওই এলাকায় পৌঁছালেও আগুনের কাছেই যেতে পারেনি। সন্ধ্যা হওয়ায় এবং কাছাকাছি কোনও পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল করিম বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ ও দুর্গম এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে ছুটে যাই। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খুঁজি। কিন্তু কাছাকাছি কোনও পানি পাওয়া যায়নি। অনেক দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বনরক্ষীদের চেষ্টায় অল্প পানি সরবরাহ করে প্রাথমিকভাবে আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেটি করা হয়েছে।

 রবিবার সকালে আমরবুনিয়া এলাকার ভোলা নদী থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে জ্বলছে, রাতের মধ্যেও ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

কী করে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ডিএফও নুরুল করিম বলেন, এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয় কয়েকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারন উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেবে এই কমিটি।

মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে প্রথমে আগুন লাগে সুন্দরবনের ড্রেনের ছিলা এলাকায়। বিকাল সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও বনরক্ষীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করতে পারেনি। রবিবার ভোর থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবেন তারা।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকালে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগুন লাগার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। সকাল  থেকে কাজ শুরু করে। 


আরও খবর



গরমে হাঁসফাঁস, হাসপাতালে রোগীর চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ দিন ধরে ভর্তি আছেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটির কবীর হোসেন (৪২)। বেড পাননি, ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। একটু দূরে একটা ফ্যান থাকলেও বাতাস আসে না। তাই হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম।

কবীর হোসেনের মস্তিষ্কে পানি জমেছে। তাসলিমা বলেন, আমার স্বামী গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, বাতাসের অভাবে হাঁসফাঁস করছেন।

তাপপ্রবাহ চলছে। তীব্র গরমে কাহিল মানুষ-প্রাণী। বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (সেন্ট্রাল এসি)। সরকারি হাসপাতালে এ ব্যবস্থা নির্দিষ্ট কয়েকটি বিভাগে থাকলেও ওয়ার্ডগুলোতে নেই। আলো-বাতাস প্রবাহের সমস্যাও রয়েছে। ফ্যানই একমাত্র ভরসা। সেগুলোও চলে না ঠিকঠাক।

সরেজমিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে গতকাল এমনটাই দেখা গেছে।

আলো ও বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নেই : ২৬শ বেডের হাসপাতাল ঢাকা মেডিক্যাল চিকিৎসা দিচ্ছে দ্বিগুণের বেশি রোগী। বেড না পাওয়া রোগীদের চিকিৎসা চলছে বারান্দা, মেঝে এবং সিঁড়িতে। বাইরের আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা নেই। সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থাও নেই।

বুকে আঘাত নিয়ে ২১ এপ্রিল ভর্তি হয়ে ঢাকা মেডিক্যালের ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন ১৯ বছরের সজীব। গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মাথার ওপর ফ্যান থাকলেও তীব্র গরমে অস্থির সজীব।

তার দাদা আতিকুর রহমান বলেন, ফ্যান থেকে লাভ কী? ঘোরেই না। বাধ্য হয়ে রোগীদের ফ্যান কিনে আনতে হয়েছে। প্রতিটি বেডে সব রোগীরই একই অবস্থা।

সুস্থরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন : ঢাকা মেডিক্যালের কেবিনেও এসি নেই। নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা। ফলে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকে আরও অসুস্থ পড়ছেন।

পিত্তথলির অস্ত্রোপচারের জন্য পাঁচদিন ধরে সি-৫৮ নম্বর কেবিনে আছেন উত্তম কুমার (৫৫)। তার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর ডায়াবেটিস আছে। এখানে আসার পর আরও বেড়েছে। কেবিনে ঠিকমতো আলো-বাতাস ঢোকে না। ফ্যান ঠিকমতো চলে না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় রাতে।

চরম বিপাকে বেড না পাওয়া রোগীরা : যারা বেড পাননি তারা চরম সংকটে রয়েছেন। বিশেষ করে সিঁড়ি ও বারান্দার রোগীদের থাকতে হচ্ছে প্রচ- গরমে।

সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) বেড পাননি, সিঁড়িতে থাকছেন। তার বোন সেলিনা বলেন, এই গরমে ভাইয়ের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গত রবিবার ভর্তি হয়েছেন মনি বেগম (৪০)। প্রথম দিন বারান্দায়, পরে ওয়ার্ডের মেঝেতে জায়গা পেয়েছেন।

গতকাল দেখা যায়, ওয়ার্ডটি ১৮ শয্যার হলেও চিকিৎসা নিচ্ছেন দ্বিগুণ রোগী। মনির স্বামী জাহাঙ্গীর বলেন, রোগীদের গাদাগাদিতে খুবই করুণ অবস্থা। চিকিৎসা নিতে এসে এখন অসুস্থ হয়ে পড়ার অবস্থা।

বাইরে থেকে আনা ফ্যানে বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা : হাসপাতাল দুটি ঘুরে দেখা গেছে, ৯০ ভাগ রোগী বাইরে থেকে আনা ফ্যান ব্যবহার করছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারে সংযোগ দিয়ে ফ্যান চালাচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের করিডোরে অনেক রোগী আছেন। নিয়ম অনুসারে সেখানে ফ্যান লাগাতে পারি না। রোগীরা ফ্যান নিয়ে এসে চালাচ্ছেন, যা থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সঠিক লাইন থেকে সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

কেন্দ্রীয় শীতাতপের ঝুঁকি হাসপাতালজুড়ে : ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, বিশেষ কিছু বিভাগ কেন্দ্রীয় শীতাতপের আওতায় এসেছে। কিন্তু পুরো হাসপাতালে এটা সম্ভব নয়। পুরনো হওয়ায় যে লোড হবে তা নিতে পারবে না হাসপাতাল। এ জন্য তিন হাজার চিকিৎসক থাকলেও অনেকের কক্ষেই এসির ব্যবস্থা নেই। ইতোমধ্যে এ হাসপাতাল অনেকটা ঝুঁকিতে রয়েছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মফিজুর রহমান বলেন, পুরো হাসপাতাল কেন্দ্রীয় শীতাতপের আওতায় আনতে গেলে অনেক পরিকল্পনা করতে হবে। এটি আমাদের কাজ নয়। মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা ভাবতে পারে। ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর



করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

করোনাভাইরাসের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক আইনি লড়াইয়ে সম্প্রতি এমনটাই স্বীকার করে নিয়েছে ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এক বছর ধরে ভ্যাকসিনের ক্ষতিকারক প্রভাব মামলায় জর্জরিত রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এত দিন কোম্পানি বলে এসেছিল যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় তৈরি করা এই কোভিড ভ্যাকসিন ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু দাবি উঠেছিল যে এই ভ্যাকসিনের জন্যই কয়েকজনের মৃত্যু এবং কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থতার মুখে পড়েছেন। অ্যাটর্নিদের মতে, কিছু পরিবার টিকা দেয়ার একটি বিধ্বংসী প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছিল। সবটা দেখে শুনে অবশেষে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে তার কোভিড ভ্যাকসিন খুব বিরল ক্ষেত্রে হলেও, টিটিএস-এর কারণ হতে পারে।


টিটিএস কী


টিটিএস-এর সম্পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস)। এটি একটি খুব বিরল সিন্ড্রোম, যা রক্ত
​​জমাট বাঁধা (থ্রম্বোসিস) এবং কম প্লেটলেট সংখ্যা (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এটিকে ভিআইটিটি নামেও অভিহিত করা হয়, যার পূর্ণ রূপ 'ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া'। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে থ্রম্বোসিস হতে পারে, যা প্রভাবিত রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া শরীরে রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা কম হওয়ার সময় ঘটে। সাধারণত, প্লেটলেটগুলো অতিরিক্ত রক্তপাত রোধ করতে রক্তের জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। আর সেই প্লেট সংখ্যা কমে গেলে ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক।

 

গত বছর, জেমি স্কট, দুই সন্তানের পিতা, ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োটেকনোলজি কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার অভিযোগে, স্কট উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনা রুখতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেয়ার পর থেকেই চরম বিপদের মুখে পড়েছিলেন। এর ফলে তার রক্ত জমাট বেঁধেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তপাত হচ্ছে। এমনকি হাসপাতাল নাকি তার স্ত্রীকে জানিয়েছিল যে স্কট বেঁচে থাকতে পারবেন না। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে এই দাবিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে এত দিন ধরে। এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে এক মেইল পাঠিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে, এটা স্বীকার করি না আমরা।

যাইহোক, এত দিন পর কোম্পানির স্বীকারোক্তি তাকে বিরাট ক্ষতিপূরণের মুখে ফেলে দিতে পারে। কারণ এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মোট ৫০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। করোনার টিকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।


আরও খবর



সাগরে মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

জাটকা রক্ষায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে নদীতে নেমে হতাশ জেলেরা। তারা বলছেন, জালে মাছ ধরা পড়েছে না। যে দু-চারটা ইলিশ পড়ছে, তা বেচে নৌকার (ইঞ্জিনচালিত) তেল খরচই উঠছে না।

জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে। তাই বুকভরা আশা নিয়ে নদীতে নেমে হতাশ হয়ে ফিরছেন। জেলেরা জানান, নৌকায় ১৫শ টাকার তেল নিয়ে গেলে মাছ পাওয়া যায় ৮শ টাকার। তাই তারা এখন নদীতে যেতে পারছে না। এ ছাড়া ২-৩ হাজার টাকার মাছ সংগ্রহ করতে হলে তেল খরচ হয়ে যায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার। মাছ না পাওয়া তাদের চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে।

মৌসুমের এই সময়টাতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে ওঠে ভোলার মেঘনা পাড়ের অর্ধশতাধিক ছোট-বড় মাছঘাট। কিন্তু সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। খালি পড়ে আছে মাছের বাক্স। অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা।

আড়ৎদাররা জানান, তুলনামূলক মাছ না হওয়ায় জেলেরা নদীতে যাচ্ছে না। ফলে বাজারে মাছের দাম বাড়তি।

মাছের এমন খরার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে বেড়েছে লবণাক্ততা। ফলে গভীর জলাশয়ের খোঁজে সাগরমুখী হচ্ছে মাছ। আর তাই ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে।

ভোলা সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন বলেন, ইলিশের অভয়াশ্রমে ছোট মাছ আশ্রয় নেয়। এই ছোটমাছগুলো সাগরের দিকে চলে গেছে। এর ফলে নদীতে ইলিশের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সংখ্যা অনেক কম। এই কম হওয়ার কারণে সাগরের নোনা পানিটা এখন বেশি প্রবেশ করছে। এর ফলে মাছ যে ডিম পাড়তে আসে এই সংখ্যা খুবই কম। এই কারণে বর্তমানে জেলেরা ইলিশ খুব কম পাচ্ছে।

চলতি বছর জেলায় ১লাখ ৯২ হাজার টন ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।


আরও খবর