Logo
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দীর্ঘ সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকার পর আবারো কর্মী যাওয়া শুরু করেছে মালয়েশিয়া। সোমবার রাত সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে তারা ঢাকা ছাড়েন।

তাদের বিদায় জানাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক। তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত টাকায় যেন বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়া যেতে পারে সেজন্য নজরদারি করা হবে। প্রথম দিন রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারনেশনালের মাধ্যমে ৫৩ জন্য কর্মী ঢাকা ছাড়েন। আগষ্ট মাসেই আরো ১১টি ফ্লাইট কর্মী নিয়ে যাবে মালয়েশিয়া। 


আরও খবর



সদরঘাটে লঞ্চে ওঠা নামার দড়ি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর সদরঘাটে এক লঞ্চের সাথে অন্য লঞ্চের ধাক্কায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ২ জনকে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়। মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে সদরঘাট ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজন নারী, ৩ জন পুরুষ এবং এক শিশু রয়েছে। নিহতরা হলেন, নবিউর (১৯), বেল্লাল (২৫), মাইশা (১৩), মুক্তা (২৬) এবং রিপন হাওলাদার (৩৮)।

 

জানা গেছে, ঘাটে ভেড়ার সময় দুই লঞ্চের ধাক্কায় ঘটে এই দুর্ঘটনা।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ জন যাত্রী লঞ্চে উঠার সময় গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিন করা হবে বলেও জানা গেছে। ইতোমধ্যে এমভি ফারহানের দুই মাস্টারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করেছে বিআইডব্লিউটিএ।  


আরও খবর



নওগাঁয় পুলিশের উপর হামলা, ৬ পুলিশ আহত, গ্রেফতার ৮ জন

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন মাতাজীহাট ফাঁড়ি পুলিশের উপর হামলা ও ৬ জন পুলিশ আহত ঘটনায় ২শ জনকে আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুর থানাধীন রাইগাঁ মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত ৮ জন হলেন, কুড়াইল গ্রামের পরেশের ছেলে প্রতাপ (৩৫), সুপথ মন্ডলের ছেলে রাম গোপাল (২৬), সনজিতের ছেলে বিশু (২৭), সুরেনের ছেলে সুচিত্র (৩০), সুরেনের ছেলে সুপথ (৪২), নিবাসের ছেলে সুইট (৩০), সবুজ (২৫), পরেশের ছেলে রিপন (৩০)। 

জানা গেছে, কুড়াইল গ্রামের বুলন চন্দ্রে'র ছেলে হিলন একই গ্রামের বিপ্লব চন্দ্রের কন্যা স্কুল ছাত্রী বন্যা রাণীর (১৩) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বুধবার বন্যা রানীকে পালিয়ে নিয়ে প্রেমিক হিলন বাড়িতে তোলেন। বন্যা রাণীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লালন কুমার দাস এর নেতৃত্বে পুলিশ মেয়েটি কে উদ্ধারের জন্য হিলন এর বাড়িতে যায়। এ সময় হিলন এর বাড়ির লোকজন পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করেন এক পর্যায়ে ঐ গ্রামের প্রতাপ এর নেতৃত্বে গ্রামের একদল মানুষ পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করেন। এসময় আত্নরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাদের মারধর করে আটক করে রাখেন। 

খবর পেয়ে দ্রুত (মহাদেবপুর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ গিয়ে আটক করে রাখা পুলিশ সদস্যদের আহত অবস্থায় উদ্ধার পূর্বক এস আই লালন কুমার দাস, পুলিশ সদস্য মোঃ মাইনুল ইসলাম, তজারুদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, টুটুল হোসেন, রুবেল হোসেন কে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ সহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।পুলিশের উপর হামলা কারীদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ।


আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে ৩৭ বছর আগে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অন্য দুই বিচারপতি হলেন, কাজী রেজা-উল হক ও মো. আশরাফুল কামাল।

১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি।

২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই দিনই অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের সহায়তাকারী) হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়।

ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মার্চ এই রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেন আদালত। পরে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই রায় সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর



ঢাকায় প্রথম রিকশা প্রচলনের ইতিহাস এবং দেশে দেশে রিকশার বৈচিত্র্যময় নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে রিকশা প্রচলনের কথা জানা যায়। রিকশা শব্দটি জাপানি, যা জিনরিকিশা থেকে আগত। জিন শব্দের অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি, শা অর্থ বাহন। একসঙ্গে অর্থ দাঁড়ায় মানুষ্য শক্তি দিয়ে চালিত বাহন। 

মূলত উনিশ শতকের শেষে চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় রিকশার উত্থান। রিকশার প্রচলন প্রথম কে করেন, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের সিমালয়ে মিশনারি হিসেবে কাজ করা মার্কিন নাগরিক জোনাথন স্কোবি এর উদ্ভাবন করেন। 

তখনকার রিকশাগুলো তিন চাকার ছিল না। দুই দিকে দুই চাকা আর সামনের চাকার বদলে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো এটি ঠেলে নিয়ে যেত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে জাপানে রিকশা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও এখন জাপানে রিকশার প্রচলন নেই।

বাংলাদেশে রিকশা জাপান থেকে আসেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের পরে বাংলাদেশে রিকশার আগমন। বিশ শতকের শুরুর দিকে অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় রিকশার প্রচলন শুরু হয়। একই সময় বার্মার রেঙ্গুনে রিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

ধারণা করা হয় ১৯১৯ বা ১৯২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে রিকশার আগমন বার্মার রেঙ্গুন থেকে চট্টগ্রাম হয়ে। যদিও ঢাকায় এর আগমন ঘটে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা নিয়ে আসেন। অনেকের মতে, ঢাকায় রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয় ১৯৪৪ সালের দিকে।

অন্য সূত্র হতে জানা যায়, ঢাকায় প্রথম রিকশা আসে ১৯৩৬ বা ১৯৩৭ সালে। সেই সময়ে চন্দননগর এলাকায় ছিল ফরাসি উপনিবেশ এবং তাদের প্রভাব। তখনই ঢাকার মৌলভীবাজারের দুজন সেখান থেকে নিয়ে আসেন দুটি ‘সাইকেল রিকশা’। এই দুই রিকশার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। 

ব্যবসার জন্য রিকশা আনা হলেও প্রথমদিকে তা সুখকর হয়নি। ব্যবসা জমাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। কারণ অন্যের ঘাড়ে চেপে চলতে লোকেরা প্রথমে লজ্জা পেতো। কেউ রিকশায় চললে রাস্তার ছেলেরা পিছনে ছুটত।মৌলভীবাজারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অনেকেই রিকশা আমদানি করতে থাকেন। সেই সময়ে একজন রিকশাচালক দিনে ৩টাকা থেকে সাড়ে তিন টাকা উপার্জন করতেন।

চাহিদা বাড়ছে দেখে ঢাকার মিস্ত্রীরা নিজেরাই রিকশা বানানোর কাজ শুরু করে। যেসব মিস্ত্রীরা আগে সাইকেল সারাইয়ের কাজ করতো তারাই এ কাজ শুরু করে। স্থানীয় মুসলিম এবং বসাকরা এই কাজে পারদর্শী ছিলো। 

অল্প সময়েই তারা নতুন জিনিস আয়ত্ব করে নিতেো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রিকশা তৈরির কাজ ব্যাপকভাবে চলতে থাকে। কারণ তখন বাইরে থেকে রিকশা আনা সম্ভব ছিল না। পরে শুরু হয় ওই রিকশায় বাহারি রঙ করে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ।

১৯৪১ সালে ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১টি। বর্তমানে ঢাকাতেই ৩ থেকে ৭ লাখ রিক্সা রয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ঢাকায় কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রিক্সা চলাচল করে।

ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষ রিক্সায় চলাচল করে।রিকশার আকার, গঠন বিভিন্ন রকম হওয়ায় দেশভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। চীনে সানলুঞ্চে, কম্বোডিয়ায় সিক্লো, মালয়েশিয়ায় বেকা, ফ্রান্সে স্লাইকো নামে রিকশা অধিক পরিচিত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি পেডিক্যাব নামেও পরিচিত। 


ছবি: জাপানী রিকশা (আনুমানিক ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)


আরও খবর



সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর ড. হাসান আব্বাস।  ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ প্রশংসা করেন।

এর আগে নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ৪৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন। দলটির নেতৃত্ব দেন ড. হাসান আব্বাস। প্রতিনিধিদলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে ২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

ড. আব্বাস ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তৃতার সময় সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান নেসার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাসে নেসা সেন্টারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান ও অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।

এ সময় রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিইআরএফ)-এ দেশের অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন। সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য সকল দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে তা মোকাবিলা সম্ভব নয়।

রাষ্ট্রদূত ইমরান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যদি সমস্যাটি আরও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে তা সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। একইসঙ্গে উন্নয়ন উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।


আরও খবর