Logo
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দিদের দুর্দশা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ এপ্রিল 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু ঃ

দাবিকৃত টাকা দিতে না পারলে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের কয়েদিদের উপর অমানষিক ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালত থেকে বন্দিদের জেলখানায় প্রেরণ করা পর থেকেই তাদের পড়তে হয় নানা অনিয়মে। বিনামূল্যের খাবার দেওয়া হয় না। তাও আবার নিম্নমানের খাবার। টাকা ছাড়া কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে থাকতে দেওয়া হয় না। টাকা ছাড়া ঘুমানোর জন্য সিট দেওয়া হয় না। স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে হয় অতিরিক্ত টাকা খরচ করে। নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে এসকল অনিয়মই যেন এখন নিয়ম।

শীর্ষ সন্ত্রাসী আরমান নারায়ণগঞ্জ জেলে আসার পর থেকেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সন্ত্রাসী আরমান নারায়ণগঞ্জ জেলার ও জেলসুপারের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে কারাগারের সকল অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কারা কেন্টিনের ব্যবসা, সিট বাণিজ্য, ওয়ার্ড বাণিজ্য ও মোবাইল ফোন বাণিজ্যে তারা মেতে উঠেছে। তাদের সহযোগিতা করছে কয়েদি পিচ্ছি সুজন, জহিরুল ইসলাম, ছোট সাহাবাজ, সেলিম, সিদ্ধিরগঞ্জের আলোচিত খোকন হত্যা মামলার আসমি হালিম ও রমজান নিয়ন্ত্রণ করে দুটি ওয়ার্ড। কারাগার কেন্টিনে খাদ্য দ্রব্যের দাম বেশি আদায় করা হচ্ছে। এসকল অতিরিক্ত টাকার জোগান দিতে কয়েদিদের পরিবারের সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবারো অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

কয়েদি ,,,,,,,বলেন, কয়েদিদের সপ্তাহে ১দিন ১০টাকার বিনিময়ে ১০ মিনিট মোবাইল ফোনে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। তবে যেকোন সময় ৩ মিনিট ১০০ টাকা হারে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চক্রটি কয়েদিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে কারাগারে নতুন বন্দি প্রবেশ করলে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে থাকার কথা। কিন্তু টাকা আদায় করে তাদেরকে ওয়ার্ডে বদলি করা হচ্ছে। আবার ২/৩ হাজার টাকা আদায় করে নতুন বন্দিদের দ্বিতীয় দিনেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে বদলি করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসী আরমানের ইশারায় চলছে এখন নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার। প্রতিবাদ করলেই হামলা কিংবা অন্য কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্ভিগ্নে আরমান ঘুরে বেড়ান জেলা কারাগার। আদায়কৃত টাকা রাতে ভাগ বাটোয়ারা হয়। অবৈধভাবে তার সঙ্গে সব সময় থাকে মোবাইল ফোন।

কারা বিধি অনুযায়ী জেলের নিরাপত্বার বিঘ্ন ঘটে এরকম হাজতীদের ২৪ ঘণ্টা বন্দি থাকার কথা। কিন্তু সন্ত্রাসী আরমান রাত ৮টা পর্যন্ত পুরো কারাগার চষে বেড়ায়। প্রত্যেক বন্দিকে দৈনিক ১৪৫ গ্রাম ডাল দেয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ৪০ গ্রাম। এছাড়াও সকল খাদ্যদ্রব্যই চড়া দামে কিনতে হয়।

বন্দিদের জামিন হলেই নারায়ণগঞ্জ ডেপুটি জেলার সোহরাবকে দিতে হয় ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। টাকা না দিলেই তার উপর চালানো শারিরীক নির্যাতন। তিনি ব্যক্তিগত দামি গাড়ি ব্যবহার করেন।

নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে সদ্য জামিনপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মাসুদ মিয়া বলেন, কারাগারের ভিতরে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। টাকা না দিলেই কয়েদিদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। খাবারের মান নিন্ম মানের দাম বেশি।

এব্যাপারে নারায়ণণগঞ্জ কারাগারের জেলার মাহবুবুর রহমান বলেন, এসকল অভিযোগ মিথ্যা। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ কারাগার সরকারি সঠিক নিয়মে পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে কোন অনিয়ম নেই।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কখন জরুরি?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

জীবন মানেই সম্পর্কের মায়াজাল। পরিবার, বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা জীবনসঙ্গী—প্রতিটি সম্পর্ক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। 

কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু, মানুষ সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখে, মনে হয়, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। 


কিন্তু সত্যি কি সব ঠিক হয়? 


আর সব ঠিক না হলে, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়?


কেন সম্পর্ক জটিল হয়?


সম্পর্ক তখনই জটিল হয়, যখন সেটা আর হৃদয়ের আরামদায়ক স্থান থাকে না। এটা হতে পারে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, মনোযোগের ঘাটতি, বিশ্বাস ভাঙন, কিংবা অবহেলার কারণে। 


আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না—এই সম্পর্কটা আমাদের জীবনের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।


তাহলে কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় এসেছে? 


কিছু বিষয় হিসাব নিকাশ করতে পারেন। 


১. বিশ্বাস ভেঙে গেছে?

সম্পর্কের মূলে থাকে বিশ্বাস। যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রতারণা কিংবা কথায় কথায় মিথ্যা বলার প্রমাণ পেলে দ্রুত সরে আসুন।


২. আপনার অস্তিত্বই যেন তুচ্ছ?

যখন সঙ্গী আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ করতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার আত্মসম্মানকে ধ্বংস করছে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কেও আত্মসম্মান জরুরি।


৩. মনোযোগ আর নেই?

ভালোবাসা মানে পারস্পরিক যত্ন। যদি দেখেন, সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিংবা আপনাকে অবহেলা করছে, তবে হয়তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।


৪. শ্রদ্ধার অভাব?

প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রদ্ধাও। যদি সঙ্গী আপনাকে বারবার অপমান করে কিংবা অসম্মান করে, তবে সেটা সম্পর্ক শেষ করার বড় সংকেত।


৫. দৈনিক ঝগড়া?

যদি প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, এবং সমাধানের চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার শেষ না হয়, তবে হয়তো সেই সম্পর্ককে আর চালিয়ে নেওয়া উচিত নয়।


মাথায় রাখবেন, সম্পর্ক শেষ হওয়ার মানে জীবনের শেষ নয়। বরং, এটি একধরনের নতুন শুরু। 


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক শান্তির গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা মানে আপনার জীবনে আরও সুন্দর কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।


জীবন ছোট। এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে নেই, যা শুধু কষ্ট আর হতাশা এনে দেয়। 


তাই নিজের আত্মসম্মান, শান্তি, আর সুখের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। 


মনে রাখবেন, সম্পর্কের মানে যদি বোঝা হয়ে যায়, তবে সেটিকে মুক্তি দেওয়াই শ্রেয়। 


জীবন অপেক্ষা করছে নতুন সম্ভাবনায়, নতুন আনন্দে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




ওলামা লীগের সদস্য সচিব এখন ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কৌশলে কমিটিভুক্ত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রভাব বিস্তার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামে সুশীল সমাজের ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করে অস্তিত্ব বহাল রাখছেন।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ঝালকাঠি জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মাওলানা মোহা. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কানাঘুষা শুরু হয়। কমিটিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ওলামা লীগের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা নেয়ামত উল্লাহকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ছাইদুর রহমান বলেন, জেলা ওলামা দলের কমিটি করার পূর্বে বিভিন্নভাবে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছি।

তাদের দেয়া মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে নামের চূড়ান্ত তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। তারা সেই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। নেয়ামতের নাম কমিটির মধ্যে কিভাবে রইলো বা ঢুকলো সেটা বুঝতে পারছি না। তাকে এ কমিটি থেকে বাদ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। অপরদিকে গত ১ মার্চ ক্যাবের সুলভ মূল্যের বাজার “প্রশান্তি” পরিচালনায় বেশ কয়েজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে যুবদলের এক নেতা প্রতিবাদ করলে সেখানে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে। পরে ফ্যাসিবাদের দোসররা সেখান থেকে কৌশলে কেটে পড়ে। এছাড়া গত বুধবার ঝালকাঠি এলজিইডির হিসাব রক্ষকের দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার দাবিতে করা মানববন্ধনে অন্যান্য ঠিকাদারদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আ. হাকিমও অংশ নেন। তিনি ব্যানারে ছাত্রদলের শীর্ষ পদের এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থান জানান দেন। আ. হাকিম নাচন মহল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট পদধারী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের ভাগিনা। ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে অনেকেই বিভিন্ন ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন কমিটিতে ঢুকছে। বিএনপি কারো যথেচ্ছ দল না, যার মনে চাইবে আসবে আবার যার মনে চাইবে যাবে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নীতি-নির্ধারকদের আরো কঠোর হয়ে ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা। জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানান, বিএনপিতে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবে না। সঠিক তথ্যের অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



মবে জড়িতদের সতর্ক করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে বেশ কিছুদিন ধরে মব তৈরি (সংঘবদ্ধ জনতার নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া) করে লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমন কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি মব তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে মারধরের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই ঘটনায় জড়িত ১২ জন আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) জনতা মব সৃষ্টিকারী দু'জনকে তৎক্ষণিক পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন এসে উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করেন।

গত শনিবার (০১ মার্চ) রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পতেঙ্গা সি-বিচে ত্রাস সৃষ্টি করে এসআই ইউসুফ আলীকে হেনস্থা সহ মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত। এছাড়াও তারা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত।

জনগণকে সতর্ক করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মর্মে সবাইকে সতর্ক করছে যে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় মাহমুদউল্লাহর

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোসণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।এবার ওয়ানডে থেকেও বিদায় নিলেন। তাই বাংলাদেশের জার্সিতে আর বাইশ গজে দেখা যাবে না এই অলরাউন্ডারকে। বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর ঘোষণা করলেন।

আজ বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর ঘোষণা করলেন।

মুশফিকুর রহিম বিদায় বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটকে। পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে তামিম ইকবালও অবসরে চলে গেছেন আগেই। সাকিব আল হাসানের দলে ফেরার সম্ভাবনাটা নানা কারণেই ক্ষীণ। বাকি শুধু মাহমুদউল্লাহ। তবে তিনিও সে ভাবনাটা ভাবছেন, জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

গেল সোমবার ২০২৫ সালের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২২ ক্রিকেটারের নাম জানিয়েছিল বিসিবি। এরপর এই তালিকা থেকে সরে দাঁড়ান মাহমুদউল্লাহ। 

চলতি মাসের শুরু থেকে তিনি সরে গেছেন চুক্তির বাইরে। তার ফলে মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে গুঞ্জনটা আরও বেড়েছে। 

টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিকে বহু আগেই বিদায় বলেছেন তিনি। এবার বাকি কেবল ওয়ানডে। সে নিয়েও ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। এমনটাই ধারণা বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের।

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। তার কথা, যেহেতু সেন্ট্রাল কন্টাক্টে না থাকার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে (মাহমুদউল্লাহ), এ থেকে বোঝা যায় সে এসব (অবসর) নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।

তিনি আরও যোগ করেন, আমার মনে হয় চিন্তা ভাবনার একটা সলিড জায়গায় আসলে এটা নিয়ে আমরা আলাপ করতে পারব। মিডিয়াতেও নিয়ে আসতে পারব পরে। তখনই স্পেসিফিক কিছু (আনুষ্ঠানিক বিদায়ের) প্লান-প্রোগ্রাম আমরা প্রকাশ করতে পারব।


আরও খবর

কোনো ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




২১শে বই মেলায় প্রশংসায় ভাসছেন উদীয়মান লেখক ছনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চেতনায়

বিংশ শতাব্দীর দেশে তরুন লেখক'দের বর্তমানে আর্বিভাব ঘটেছে বহু। কেউ হয়তো জনপ্রিয় কাব্য উপন্যাস, রম্য, প্রেম - বিরহ বই লিখে। আবার কেউ হয়তো জনপ্রিয় গবেষণা,বিজ্ঞান, রাজনীতি'র বিশ্লেষণ মূলক বই লিখে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের তরুন রাজনীতিবীদ ও উদীয়মান লেখক সাখিদার মো. জহুরুল ইসলাম ছনি লিখেছেন ব্যতিক্রম এক বই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়: আন্দোলন, রাজনীতি'। বইটি প্রকাশিত হয়েছে 'বায়ান্ন' প্রকাশনী থেকে। অমর একুশে বইমেলায় ৭৫৬ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তরুন ও তরুণী'দের মধ্যে বইটি বেশ সাড়া পাওয়া গিয়েছে। তাদের ভাষ্য মতে দেশের এই প্রথম কোন লেখক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কে প্রধান্য দিয়ে বই টি প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষার্থীরা মনে করেন-  রাজনীতি শুধু চর্চার জন্য নয় বরং দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় লেখক  বইটিতে বিগত এক যুগের  দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, বিচার বিশ্লেষণ ও আন্দোলনের সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ২০১৫ সালের ভ্যাট আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন ও সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যে অকুতোভয় বীরত্ব দেখিয়েছে তারই ঘটনাপ্রবাহ এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেও বরাবরই উপেক্ষিত থাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কিংবা দলীয় পদ পদবি তে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেখা যায় না। এর অন্যতম কারণ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছিয়ে পড়া ছাত্ররাজনীতি। এ বিষয়টিও লেখক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এ বইয়ে। 

সব মিলিয়ে এই বইটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল অস্তিত্বের  ব্যাপারে জানতে হলে এই বইটি অবশ্যই পড়া দরকার।



আরও খবর