Logo
শিরোনাম

নারীদের ডায়াবেটিস হলে করণীয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সাধারণত সব বয়সি মানুষের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের ডায়াবেটিস হলে সমস্যা বেশি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

নারীরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে হৃদ্‌রোগ বা অবসাদের মতো নানা সমস্যা হতেও পারে। ডায়াবেটিসের কারণে কম বয়সে চোখে সমস্যা হতে পারে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে নারীদের অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত। শুধু বয়স্ক নারীদের মধ্যেই নয়, ডায়াবেটিসের সমস্যা ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। কমবয়সে আক্রান্ত হলে নারীদের ঋতুবন্ধের সময় এগিয়ে আসতে পারে। নারীরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাদের জীবনধারাতে বদল আনা জরুরি। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকাতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে যেসব খাবার খাবেন

পিনাট বাটার

ইনসুলিনের ক্ষরণ স্বাভাবিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পিনাট বাটার বেশ উপকারী। এর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও পিনাট বাটার বেশ সহায়ক।

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ইনসুলিনের ক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া স্ট্রবেরির মধ্যে প্রচুর ফাইবারও আছে।

সামুদ্রিক মাছ

ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসি়ড সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদ্‌রোগ থেকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের ক্ষরণ ও অন্যান্য হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতেও সামুদ্রিক মাছ অত্যন্ত সহায়ক।

শাকসবজি

শুধু ডায়াবেটিস বলে নয়, যেকোনও রকম রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ করতে শাকসবজি অত্যন্ত উপকারী। পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, গাজর, ফুলকপি ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সি়ড্যান্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ নানা সবজি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

বাদাম

বাদামে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুবই কম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারি।


আরও খবর



প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপা‌ত এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো প্লাবিত হতে শুরু করেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশের দেশ ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। ফলে পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় সব নদ-নদীতে বাড়ছে পানি।

ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন নগরবাসীও। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সিলেট অঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার থেকেই থেমে থেমে ঝরছিল বৃষ্টি। গতকাল শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের পর থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরীর জিন্দাবাজার চৌহাট্টা এলাকা।

এছাড়াও রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, সাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, মিরাবাজার, মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর এলাকার রাস্তাঘাটগুলো পানির নিচের তলিয়ে যায়। পরে বৃষ্টি ধারা কিছুটা কমলে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে পানি নেমে গেলেও অন্যান্য এলাকায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আজ শনিবার রাতে জেলার প্রায় সবগুলোর নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আকস্মিক বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পানি ঢল হয়ে নামলে আকস্মিক বন্যার শংকা রয়েছে। এছাড়া সিলেটে আরও অন্তত দুইদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাাঞ্চলে দ্রুত পানি বাড়ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয় জানতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য ইতোমধ্যে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরের (+৮৮০১৭১১৯০৬৬৪৭) নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




৮ ও ১১ জুন বিএমইউ বহির্বিভাগ খোলা থাকবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) বহির্বিভাগ রোগীদের সুবিধার্থে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে আগামীকাল ৮ ও ১১ জুন খোলা থাকবে। এ ছাড়া প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ খোলা রয়েছে। হাসপাতালের জরুরি ল্যাব কার্যক্রম সেবাও চালু রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পাঁচ শতাধিক সদস্য সেবা দিচ্ছেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে ৬, ৭, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ জুন। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ১৩ জুন শুক্রবার বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে। বন্ধের দিনগুলোতে ৫ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ১২ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস, অফিস, বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালটেশন সার্ভিস বন্ধ থাকবে।

অন্যদিকে বিএমইউ সূত্র জানায়, বিএমইউতে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুন।

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এবং এই দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ ও হাসপাতাল খোলা থাকবে। ঈদ পুনর্মিলনীতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা অংশ নেবেন।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদের জামাত আজ সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য বিএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন, উপাচার্যের সচিব-১ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, উপ-রেজিস্ট্রার-১ ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ, বিএমইউ ডক্টরস হলের ইমাম হাফেজ মাওলানা আইয়ুব আলী প্রমুখসহ বিএমইউ’র শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত রোগী ও আগত জনসাধারণ অংশ নেন।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে১৬ আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদকসহ আওয়ামীপন্থী ১৬ জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল করেছে বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সদস্যপদ বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ কিংবা সমিতির গঠনতন্ত্রের কোন ধারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

সদস্যপদ বাতিল হওয়া আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি আবদুল মান্নান রসুল, সাবেক সহসভাপতি মঞ্জুর হোসেন ও তাঁর পুত্র মোর্শেদ কামাল, সাবেক জিপি তপন কুমার রায় চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি এম আলম খান কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি আ.স.ম. মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), সাবেক সভাপতি মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব জি.কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এপিপি সঞ্জয় কুমার মিত্র, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, মো. আবুল বাশার এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এস. এম. রুহুল আমীন রিজভী।

সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে কার্তিক চন্দ্র দত্ত বলেন, "আমাদের আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ অন্যায় ভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ  করবো।"

এ বিষয়ে সমিতির ভর্তি বিষয়ক সম্পাদক আক্কাস সিকদার বলেন, “শুধু আওয়ামীপন্থী নয়, আরও প্রায় ৩০ জনের সদস্য পদ বাতিল নিয়ে সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে কিন্তু সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি। সাধারণ সভা ছাড়া আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এভাবে বিপুল সংখ্যক  সদস্যদের পদ বাতিল করতে পারে না।  এ বিষয়টি সাধারণ সভায় আলোচনার কথা ছিল। তাছাড়া ভিজিলেন্স উপকমিটির মতামত ব্যতিত কারো বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়না।'  

সমিতির নির্বাহী সদস্য ও যুবদল নেতা আনিসুর রহমান খান বলেন, “চিঠিতে যেটা বলা হয়েছে, যে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা সত্য নয়। কার্যনির্বাহী কমিটিতে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সাধারণ সভায় বিষয়টি তোলার পরামর্শ দিয়েছিলাম।”

অন্যদিকে, সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি মো. নাসিমুল হাসান বলেন, "আমরা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে উল্লেখিত ১৬ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটির প্রতিবেদনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁদের বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডসহ আইনজীবীদের মারধর, মামলা হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক তাঁদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

সদস্যপদ বাতিল নিয়ে ঝালকাঠি আইনজীবী মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবিত এবং গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। 


আরও খবর



ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। নৌ, সড়ক ও রেলপথে গত দুদিন ধরেই যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। আগামীকাল রবিবার থেকে অফিস-আদালত খুলে যাবে। ছুটির শেষদিন আজ শনিবার বেশিরভাগ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করছেন।

কমলাপুর রেলস্টেশনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কেউ এসেছেন সপরিবার, কেউ একা। তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ যাত্রীর ভিড় ছিল বেশি।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদ-পরবর্তী আমাদের যে কর্মসূচি ছিল তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যাতে সময়মতো ট্রেন আসা-যাওয়া নিশ্চিত করা যায়। এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি।

এছাড়া সড়ক পথে গুলিস্তান, গাবতলী, ফুলবাড়িয়া, সায়েদাবাদ, ধোলাইরপাড় ও রায়েরবাগ এলাকায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কাপড়ের ব্যাগ ও কোরবানির মাংস হাতে ঢাকায় ফিরছেন চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

গুলিস্তানে দেখা গেছে, বাস ও মাইক্রোবাস থেকে শত শত মানুষ নামছেন। তারপর রিকশা, অটোরিকশা বা লোকাল বাসে করে যাচ্ছে নিজ গন্তব্যে।

বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির সদস্য তোফায়েল হোসেন বলেন, প্রতি ঈদের আগে-পরে বাসে মানুষের চাপ বাড়ে। এবার ছুটি লম্বা হওয়ায় অনেকেই দেরিতে ফিরছেন। অতিরিক্ত বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাত্রীসংখ্যা এত বেশি, সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে সকালে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাত্রী বোঝাই করে সদরঘাটে ভিড়তে থাকে লঞ্চগুলো। ভাড়া নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। ভ্যাপসা গরম আর পরিবহন সংকটে কেউ কেউ হয়রানির শিকার হলেও এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় যাত্রীদের তেমন ভোগান্তি হয়নি।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




শাকিব খানের তাণ্ডবেই আগ্রহ বেশি দর্শকের

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সিনেমাপ্রেমীদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে প্রতি বছর চমৎকার গল্প নিয়ে হাজির হন নির্মাতারা। ঈদে চলচ্চিত্র মুক্তি দিতে তাদের দৌড়ঝাঁপ থাকে তুঙ্গে। এবারের কোরবানির ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছয়টি সিনেমা। এর মধ্যে দেশব্যাপী একাই রাজত্ব করছে শাকিব খানের তাণ্ডব। ঈদে রেকর্ডসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। দেশের ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তাণ্ডব। মুক্তিপ্রাপ্ত সব সিনেমা হলে তাণ্ডবেরই দর্শক বেশি লক্ষ করা যায়।

ট্রিজার, ট্রেলার রিলিজ হওয়ার পর থেকেই তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ঈদের দিন সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দেখা গেল সে নিদর্শন। সিনেমাপ্রিয় দর্শকরা বলছেন তাণ্ডব সিনেমা দেখে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন শাকিব খানের এর আগের সিনেমা তুফান কিংবা বরবাদকেও ছাড়িয়েছে তাণ্ডব

বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে তাণ্ডব দেখে বের হওয়া এ দর্শক বলেন, সিনেমাটি এত ভালো লাগবে ভাবিনি। তাণ্ডবের পরতে পরতে চমক ছিল। বিশেষ করে শেষের ১০ মিনিট খুব ভালো লেগেছে।

রায়হান রাফীর নির্মাণের প্রশংসা করছেন অনেক দর্শক। তারা বলছেন, রাফীর নির্মাণ অসাধারণ। বাংলা সিনেমায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন রায়হান রাফী। একের পর এক ভালো সিনেমা উপহার দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন রায়হান রাফী। তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে সিনেপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যান্য সিনেমার তুলনায় সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে তাণ্ডব সিনেমার। তাণ্ডবে শাকিব খানের বিপরীতে এবারই প্রথম বড় পর্দায় পা রাখলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। শাকিব খান ও সাবিলা জুটিকে প্রথমবার পর্দায় দেখতে হলে এসেছেন অনেক দর্শক।

রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, অন্য সিনেমার তুলনায় শাকিব খানের তাণ্ডবেই আগ্রহ বেশি দর্শকদের। তবে কম বেশি অন্য সিনেমাগুলোও দেখছে দর্শক। তাণ্ডবের পর এবারের ঈদে দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শরিফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ইনসাফ। সিনেমাটি দেখে দর্শকরা রাজ ও তাসনিয়া ফারিণের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। প্রশংসা করছেন তাদের অভিনীত আকাশেতে লক্ষ তারা গানের। এক দর্শক বলেন, শুধু আকাশেতে লক্ষ তারা এ গানের কারণেই সিনেমাটি দেখতে এসেছি।

তানিম নূরের উৎসব সিনেমাটি দেখতেও দর্শক পরিবার নিয়ে হলে আসছেন। স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

এছাড়া এবারের ঈদে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে এশা মার্ডার: কর্মফল৷। সিনেমাটিও দেখছেন অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার পক্ষ থেকে এখনো হল লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি টগর সিনেমার। জানা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমার পাশাপাশি ঢাকার আজাদ সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি। স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমায় দেখা যাচ্ছে নীলচক্র। দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরেছেন আরিফিন শুভ। শুভ ভক্তরাও প্রশংসা করছেন তার অভিনীত নীলচক্র সিনেমার।


আরও খবর