শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নওগাঁয় ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে হাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষককে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক কর্তৃক অবরুদ্ধ অবস্থায় আটক করেছে থানা পুলিশ। সংবাদ সংগ্রহকালে এঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। আটককৃত শিক্ষক হলেন, নওগাঁর রানীনগর উপজেলার মেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ঐ গ্রামের আশেক উদ্দিন দেওয়ান এর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর রানীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের মেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর এর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। তার বিচারের দাবিতে রবিবার ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল পৌনে ৩টা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও গ্রামবাসিরা এক যোগে স্কুল ঘেরাও করে ঐ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে রানীনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাফিজুর রহমান ও রানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্সসহ বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল ঐ স্কুলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুরকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এঘটনায় ঐ স্কুলে পড়ুয়া ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী খুশি বানু (১২), ফাতেমা বানু (১৩), সুখী (১২), হালিমা (১৩) ও রিয়ামুনি (১০) জানায়, হাফিজুর মাষ্টার আমাদেরকে গায়ে হাত দিয়ে জামাকাপড় ধরে টানা হিঁচড়াসহ বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতো। এ কথা গুলো আমরা বাবা-মাকে বলেছি এবং তার বিচারের দাবিতে স্কুল ঘেরাও করেছি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী খুশির চাচা আজিজুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমার ভাতিজিকে হাফিজুর মাষ্টার শ্লীলতাহানি করেছে। এর বিচারের দাবিতে আমরা গ্রামবাসী স্কুল ঘেরাও করেছি।
অপরদিকে শিক্ষক হাফিজুর রহমান সংবাদকর্মীদের বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার ব্যাপারে আমি মেরেছি কিন্তু শ্লীলতাহানির মতো কোনো ঘঠনা আমি ঘটায় নি। এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
রানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, মেড়িয়া স্কুলের শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে স্কুলে ঘেরাও করে রেখেছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ঐ শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক সহ স্থানীয়রা অবরুদ্ধ শিক্ষককে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত "সংবাদ সংগ্রহকালে" এঘটনায় কেউ মামলা করেননি।