Logo
শিরোনাম

নতুক কারিকুলাম বাতিলে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবর স্বারকলিপি ৫ ডিসেম্বর

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

 নতুন কারিকুলাম বাতিল এবং নম্বরভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ও দেশের সব জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২২ ডিসেম্বর অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে মতবিনিময় সভারও আয়োজন করা হবে।

২৪ নভেম্বর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক মানববন্ধন শেষে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।  নতুন কারিকুলাম বাতিলসহ আটদফা দাবি নিয়ে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ মানববন্ধন করে একদল অভিভাবক।

মানববন্ধনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক কিছুই শিখছে না। গুগলের সহায়তায় তারা বিভিন্ন কাজ কপি করে জমা দিচ্ছে। তাছাড়া কারিকুলামে বিজ্ঞান ও গণিতের পরিসর সংকোচন করা হয়েছে। ফলে বিদেশে গিয়ে যারা উচ্চশিক্ষা নিতে চায়, তাদের সুযোগ কমে গেছে।

তিনি বলেন, বলা হচ্ছে বিদেশের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের মান, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শ্রেণীকক্ষ সংখ্যা কোনটিই বিদেশের মতো অবস্থায় নেই। নতুন কারিকুলামে এসব বাস্তবতা বিবেচনা করা হয়নি।

সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডালিয়া পারভীন বলেন, আমার ছেলেকে বিজ্ঞান পরীক্ষায় বাসার এসি-ফ্রিজের মতো যেকোনো একটি ডিভাইসের ওপর পোস্টার বানিয়ে নিতে বলা হয়েছে। সে ইন্টারনেট থেকে দেখে দেখে পোস্টার বানিয়েছে। কিন্তু গ্রামের একটা শিক্ষার্থীর এ ধরনের ডিভাইস বা ইন্টারনেট সার্ভিস নেই। কারিকুলামে কি গ্রামের কৃষক-শ্রমিকের সন্তানের কথা বিবেচনা করা হয়েছে? হয়নি।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহ আলম বলেন, আমরা জানতাম শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করার পর একটি জাতি যে মেরুদণ্ডহীন হতে পারে, তার ব্যবস্থা এই নতুন কারিকুলাম করেছে।

আরেক অভিভাবক ফাতেমা সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘসময় অনলাইনে থাকতে হচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী কোন সাইটে যাচ্ছে, কী দেখছে তার প্রতি সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখা তো অভিভাবকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের অনেকেই অল্প বয়সে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সাইটে চলে যেতে পারে। তাছাড়া নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ মূল্যায়ন শিক্ষকের হাতে থাকায় ভালো পড়ানোর যে তাড়না, তাও শিক্ষকরা হারিয়ে ফেলবেন।

নবাব কাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, কারিকুলাম অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু তা তৈরিতে কতজন অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষাবিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে? এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেটধারী শ্রমিক হবে। নতুন শিক্ষাক্রম হবে সার্টিফিকেটধারী শ্রমিক তৈরির কারখানা। পরে দেশের বাইরে থেকে চুক্তিভিত্তিক লোক এনে দেশ পরিচালনা করতে হবে।

অভিভাবকদের দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষানীতিবিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে; নম্বরভিত্তিক দুইটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নম্বর) চালু রাখতে হবে এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন হিসেবে ৪০ নম্বর রাখতে হবে; নবম শ্রেণী থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখতে হবে; ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে।

এ ছাড়াও রয়েছে- সব সময়ে সকল শিখন, প্রজেক্ট ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সকল প্রজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে; শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে; প্রতি বছর ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি দুইটি পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে; সব শ্রেণীতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদে উত্থাপন করতে হবে।

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের দাবিগুলো হলো-

১. শিক্ষানীতি বিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।
২. নম্বরভিত্তিক দুটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নম্বর) চালু রাখতে হবে এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন হিসেবে ৪০ নম্বর রাখতে হবে।
৩. নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখতে হবে।
৪. ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে।
৫. সবসময় সব শিখন, প্রোজেক্ট ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সব প্রোজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রোজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে।
৭. প্রতিবছর প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি দুটি পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে।
৮. সবসময় সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদে উত্থাপন করতে হবে।

 


আরও খবর

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




লালমনিরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক চক্রের প্রধান প্রতারককে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট পুলিশ।

তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে লালমনিরহাট থানা পুলিশ গেলো বুধবার  রাত ৮টার দিকে দেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ লাখ টাকার মামলায়  শিবলু লোমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। পরে আসামীকে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। গ্রেফতার শিবলু সাবেক সেনা সদস্য, বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ এলাকায়।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চক্রের প্রধান শিবলু লোমান চৌধুরীসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক শিবলু লোমান চৌধুরী নিজেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের ডিজি'র এপিএস-এর পরিচয় দিয়ে চাকুরি দেওয়া প্রলোভনের ফাঁদ পাতে। সে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক তৈরি করে।


প্রতারক শিবলু গত ২০২২ সালের নভেম্বর  মাসে ঢাকা ফার্মগেটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়িতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে জনবল নিয়োগের একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি তৈরী করে প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে তা খবর ছড়িয়ে দেয়। পরে ওই পদে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারণা চক্রের সদস্য আলমগীর ও ভুয়া ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী আব্দুর রহমানের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী চামটারপাড় এলাকায় মোবারক হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানের (৩২) কাছ থেকে ১৯লাখ, একই জেলার ভুরুঙ্গামারি উপজেলার আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ৫লাখ, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ধনঞ্জয় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে ইউনুস আলীর (২৫) কাছ থেকে ৫লাখ, রংপুর মিঠাপুকুর এলাকার শোয়েব আলীর কাছ থেকে ৫লাখ, একই এলাকার আতিকুর রহমানের কাছ থেকে ৪লাখ টাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর প্রতারক চক্রটি গত বছরের ২৭ নভেম্বর কৌশলে ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৪তলার একটি কক্ষে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে গত ১ জানুয়ারী ২০২৪ চাকুরি প্রত্যাশিদের হাতে একটি করে ভুয়া নিয়োগপত্র তুলে দেয়। পরে নির্ধারিত তারিখে চাকুরিতে যোগ দিতে গিয়ে তারা বুঝতে পারে এটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং নিয়োগ পরীক্ষা ছিলো সাজানো।

পরবর্তীতে তারা টাকা ফেরতের চাপ দিলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা উল্টো ভুক্তভোগী চাকুরি প্রত্যাশিদের নামে মামলা দেয়। সম্প্রতি চক্রের সদস্য আব্দুর রহমান চাকুরি প্রত্যাশি কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমানের নামে অপহরণ মামলা দিয়েছে। এছাড়াও চাকুরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার ঘটনায় নিউজ করায় রংপুর বিভাগীয় শহরের দৈনিক গণকন্ঠ, দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকা ও স্থানীয়  দৈনিক দাবানল  পত্রিকার প্রতিবেদকদের নামেও মামলা দিয়েছে ওই প্রতারক চক্র।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে প্রতারক চক্রের সদস্য আব্দুর রহমান জানান, কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে আমার যে লেনদেন ছিলো তা প্রায় শোধ করে দিয়েছি। বাকী টাকাও দ্রুত পরিশোধ করবো। তবে পত্রিকার প্রতিবেদকদের নামে কেন মামলা করেছেন? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেন নি তিনি।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, গ্রেফতার ব্যক্তি চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাটে এনে শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর



পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমাগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতদের একজনের নাম পাওয়া গেছে, তিনি আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের নিকট আহাদ মিয়ার একটি ভবনে কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন। পরে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা দেখতে পান ভেতরে সবাই মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা।

তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর



রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রবিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।

তিনি বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে। সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেন তিনি।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, কোনো এলাকায় যদি তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে তাহলে তাকে বলে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড এই গরমে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাপমাত্রা হলে তা যেকোনো স্বাস্থ্যবান লোকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি ধীরে ধীরে পান করুন। ঠান্ডা ও বরফজাতীয় পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই সময়ে খুব বেশি ঠান্ডা পানি পান করলে মানবদেহের ছোট রক্তনালিগুলো ফেটে যেতে পারে।

২. বাইরে যখন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়, তখন আপনি বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কখনোই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। সব সময় ধীরে ধীরে উষ্ণ পানি পান করুন।

৩. যদি বাইরে থাকার সময় হাত-পা রোদের সংস্পর্শে থাকে, তাহলে বাসায় ফিরেই তড়িঘড়ি হাত-পা ধোবেন না। এক্ষেত্রে গোসল বা হাত-পা ধোয়ার আগে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

৪. তীব্র গরমের এই সময়ে যতটা সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বিশেষ করে বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে ঘরে থাকাই ভালো।

৫. বাইরে বের হতে হলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখুন। পা ঢাকা জুতা ও হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। স্কিন টাইট বা সিনথেটিক কিছু পরবেন না।

৬. তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করুন। সব সময় পানীয় সঙ্গে রাখুন।

৭. শরীরে অস্বস্তি হলে ওআরএস স্যালাইনে পান করতে পারেন। বাড়িতে শরবত, ফলের রস, লাচ্চি বানিয়েও পান করতে পারেন। এভাবে শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে।

৮. বাইরে বের হলে বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না। যাদের পেশার জন্য রাস্তায় রোদে থাকতেই হবে, তারা কিছু সময় অন্তর ছায়া বা ঠাণ্ডায় থাকার চেষ্টা করুন।

৯. যারা বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন, যাদের কনকনে ঠান্ডা পানি পানের প্রবণতা থাকে এবং গরম থেকে বেরিয়েই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে কাটান তাদের অসুখ চট করে ধরে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রচণ্ড গরম থেকে এসে এসি ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে।

১০. হিট স্ট্রোক ও হিট ক্র্যাম্প এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা পানিতে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন।

১১. পুরোনো বা বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন।

১২. প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করুন।


আরও খবর

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23