Logo
শিরোনাম

অনিয়মিত মাসিক কেন ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময় যদি বার বার পরিবর্তন হতে থাকে, তাহলে তাকে অনিয়মিত মাসিক বলে । অনিয়ম দুইভাবে হতে পারে-ঘন ঘন,নয়তো দেরিতে দেরিতে।


মাসিকের চক্র কিভাবে হিসাব করতে হয় ?

এক মাসিকের প্রথম দিন থেকে আর এক মাসিকের প্রথম দিন পর্যন্ত যে সময় সেটাই হলো এক মাসিক চক্র। সাধারণত ২৮ দিন পরপর মাসিক হয়। যদিও ২১ থেকে ৩৫ দিন অন্তর পর্যন্ত স্বাভাবিকতার তারতম্য হতে পারে। একবার মাসিক হলে সাধারণত ২-৮ দিন থাকে এবং এক মাসিকে মোট ৫-৮০ মিলি পর্যন্ত রক্ত যেতে পারে। এই তিনটার যেকোনো একটার অনিয়ম মানেই অনিয়মিত মাসিক।

কেন হয় ?

বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়। যেমন:

১) সাবালিকা হওয়ার প্রথম ১-২ বছর ডিম্বাশয়ের অপরিপক্বতার জন্য।
২) মেনোপজ হওয়ার আগের ৪-৫ বছর হরমোনের তারতম্যের জন্য।
৩) কিছু কিছু পিল খাওয়ার সময় বা কপার-টি দেওয়া অবস্থায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য।
৪) বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় হরমোনের তারতম্যের জন্য।
৫) খুব বেশি ব্যায়াম করলে।
৬) অতিরিক্ত টেনশনে থাকলে।
৭) হঠাৎ খুব ওজন বেড়ে বা কমে গেলে।
৮) হরমোনজনিত রোগ পিসিওএস হলে।
৯) থাইরয়েড রোগীদের।
১০) স্ত্রী রোগ যেমন-জরায়ুর পলিপ, ফাইব্রয়েড টিউমার, জরায়ুর প্রদাহ ও এন্ডোমেট্রোসিস রোগ হলে।

 কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন ?

কয়েকদিন মাসিক এদিক ওদিক হলেই ডাক্তারের কাছে দৌড়ানোর দরকার নেই। অথবা সাবালিকা হওয়ার কয়েকবছর মাসিক দেরিতে দেরিতে হলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার নেই।

নীচের সমস্যাগুলো থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সমস্যাগুলো হলো:

১) হঠাৎ করে যদি মাসিকের চক্র পরিবর্তন হয় এবং রোগীর বয়স ৪৫ এর কম হয়।
২) ২১ দিনের চেয়ে কম সময়ে বা ৩৫ দিনের চেয়ে বেশি সময়ে মাসিক হলে।
৩) মাসিক ৭ দিনের চেয়ে বেশি থাকলে বা ৩ দিনের চেয়ে কম হলে।
৪) সর্বনিম্ন মাসিক ও সর্বোচ্চ মাসিক হওয়ার দিনের মাঝে ২০ দিনের অধিক তফাৎ থাকলে।
৫)অনিয়মিত মাসিক, কিন্তু বাচ্চা নিতে চান।

কেন মাসিক নিয়মিত হওয়া জরুরি ?

অনিয়মিত মাসিক এর সাথে অনেক দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা জড়িত বলেই মাসিক নিয়মিত হওয়া জরুরি। মেয়েদের পরিপাক, ঘুম, বাচ্চা হওয়া সবই এর সাথে সম্পর্কিত।

ডাক্তার কি করবেন ?

অনিয়মিত মাসিকের রোগীদের গত ৬ মাসের মাসিকের ক্যালেন্ডার রাখতে বলা হয়। কি ধরনের মাসিকের সমস্যা তা ক্যালেন্ডার দেখলে বোঝা যায়। এছাড়া ডাক্তার রোগীর হিস্ট্রি, শারীরিক পরীক্ষা , কিছু রক্তপরীক্ষাসহ আলট্রাসাউন্ড করে জরায়ু ও তার আশপাশে কোন সমস্যা আছে কিনা তা নির্ণয় করবেন।


কিশোরীর অনিয়মিত মাসিক

কিশোরীদের অনিয়মিত মাসিকের কারণগুলো হলো :

১) ডিম্বাশয়ের অপরিপক্বতা, যার কারণে মেয়েলি হরমোন ইসট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের তারতম্য হয় এবং মাসিক যে পর্দা থেকে হয় সে পর্দা নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা এবং ভাঙতে শুরু করে। (পরিপক্ব ডিম্বাশয় হলো সেটা যেটা থেকে প্রতি মাসে একটা করে ডিম্বাণু ফুটে বের হয়। কিশোরীর ডিম্বাশয় পরিণত হতে সাধারণত কয়েক বছর সময় লেগে যায়। এজন্য এ কয় বছর মেয়েদের মাসিক অনিয়মিত হয়, ওজন পরিবর্তন হয় ও মানসিক পরিবর্তন হয়।)
২) পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম, যেখানে অনিয়মিত মাসিকের সাথে হাতে-পায়ে ও মুখে অবাঞ্ছিত লোম হয় এবং ঘাড়ে ও গলায় কালো দাগ পড়ে যায়। ওজন বেড়ে যায়।
৩) এছাড়া যেসব কিশোরীর থাইরয়েডের সমস্যা আছে।

যে সব কিশোরীর মাসিক অনিয়মিত তাদের চিন্তা থাকে কখন মাসিক হবে, কখন মাসিক হবে। তাদের মাসিক কখন হবে বোঝার জন্য কিছু লক্ষণ আছে।

সেগুলো হলো:

১) কোমরের পেছনে ক্রাম্পিং পেইন।
২) ব্রেস্ট ভার ভার লাগা।
৩) মাথা ব্যথা।
৪) ব্রণ।
৫) ঘুমের সমস্যা।
৬) মেজাজ পরিবর্তন।
৭) পেট ফাঁপা।
৮) নরম পায়খানা।

কিশোরীরা কিভাবে তৈরি থাকবে মাসিকের জন্য ?

যেসব কিশোরীর অনিয়মিত মাসিক থাকে তাদেরকে যেন অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে না হয় সেজন্য নিজেকে তৈরি থাকতে হবে। একটা প্যাড এবং অতিরিক্ত একটা প্যান্টি সবসময় তাদের স্কুল ব্যাগে রাখতে পারে, যাতে হঠাৎ মাসিক হলে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে না হয়।

চিকিৎসা

১) জীবনযাত্রা পরিবর্তন, যোগ ব্যায়াম, ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন।
২) প্রজেস্টোরন ট্যাবলেট বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি।
৩) থাইরয়েড সমস্যার জন্য ওষুধ, যদি দরকার হয়।

অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে বাচ্চা নিতে চান?

অনিয়মিত মাসিক অবস্থায় বাচ্চা আসা কঠিন। কেননা অনিয়মিত মাসিক মানে তার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু ফুটছে না। ডিম না ফুটলে বাচ্চা হবে কোত্থেকে। তাই বাচ্চা নিতে হলে ওষুধ দিয়ে মাসিক নিয়মিত করতে হবে। তাতেও যদি বাচ্চা না আসে তবে ডিমফোটার ওষুধ দিতে হবে।

বাচ্চা নেওয়ার বয়সে অনিয়মিত মাসিক

সাধারণত বিভিন্ন স্ত্রী রোগের কারণেই বেশি হয় এ সমস্যা। তাই প্রথমে কোন স্ত্রী রোগ আছে কিনা তা আলট্রাসাউন্ড করে দেখতে হবে। যদি কোন সমস্যা থাকে, সে সমস্যার সমাধানে ওষুধে কাজ না হলে প্রয়োজনে অপারেশনও লাগতে পারে। যদি কোন স্ত্রী রোগ না থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে হরমোনজনিত সমস্যা, যা হরমোন বা পিল দিয়ে ঠিক করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে-যেকোনো অনিয়মিত মাসিকের ফলে রক্তশূন্যতা হতে পারে। তাই রক্তের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করে কম থাকলে আয়রন দিতে হবে। থাইরয়েড সমস্যা থাকলে এর ওষুধ নিয়মিত সকাল বেলা খেতে হবে (কেননা এটা সারা জীবনের রোগ)।

এছাড়া পিসিওএস-যেটা খুব কমন একটা সমস্যা, এটাও সারাজীবনের রোগ। এদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন না করলে, ওজন না কমালে, নিয়মিত ব্যায়াম না করলে নানা জটিল রোগ হতে পারে। এসব রোগীদের সাধারণত দেরিতে দেরিতে মাসিক হয়। সুস্থ থাকার জন্য বছরে কমপক্ষে চারবার মাসিক হওয়া উচিত। তাই কমপক্ষে তিন মাস অন্তর অন্তর মাসিক হওয়া জরুরি। প্রাকৃতিক নিয়মে না হলে, ওষুধ দিয়ে মাসিক করাতে হবে তিন মাস পরপর।

যাদের ঘন ঘন মাসিক হয় তাদের ক্ষেত্রে হরমোন বা পিল ২১ দিন করে কমপক্ষে তিন চক্র দিয়ে মাসিক নিয়মিত করাতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে আরও দীর্ঘদিন ওষুধ লাগতে পারে।

মেনোপজের আগে অনিয়মিত মাসিক

যদি কোন স্ত্রীরোগের কারণে অনিয়মিত না হয় তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নাই। দেরিতে দেরিতে হলে কোন চিকিৎসার দরকার নেই। তবে ঘন ঘন হলে বা একবার হয়ে বেশিদিন থাকলে হরমোন বা পিল কমপক্ষে তিনমাস খেয়ে মাসিক ঠিক করাতে হবে। তবে এতেও যদি সমাধান না হয় তাহলে জরায়ুর সবচেয়ে ভেতরের লেয়ার থেকে মাংস নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোন সমস্যা আছে কিনা। সমস্যা থাকলে সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

যে বয়সেই অনিয়মিত মাসিক হোক না কেন, এটা মেয়েদের জন্য বিশাল দুশ্চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার সময় থেকে মাসিক উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রজননতন্ত্রের সুস্থতার মূল লক্ষণ হলো নিয়মিত মাসিক। এর ব্যত্যয় হলে অবশ্যই গাইনি রোগের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে যাচাই করতে হবে কোন রোগ আছে কিনা। কেননা সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে অনেক জটিল সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

সূত্র: অধ্যাপক ডাঃ মুনিরা ফেরদৌসী, প্রসূতি, স্ত্রীরোগ, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ও সার্জন   শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

 


আরও খবর



৫৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

কয়েকদিনের বিরতির পর আবার দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে ৪০ ডিগ্রিতেই ওঠানামা করবে। বুধবার সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এর বাইরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাকি অংশে।

এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ এই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসল এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ বিশেষ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা

টানা খরায় পুড়ছে ঈশ্বরদীও। চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। আকাশে মেঘ নেই বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাসও নেই। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ছিল। 

ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শহরের পূর্বটেরী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়

নামাজে ইমামতি করেন ঈশ্বরদী সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান। ইসতিসকার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান দেন ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ওয়ালিউল্লাহ

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি এম এস জোহা বলেন, অতি তীব্র তাপদাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার জীবদ্দশায় এরকম ইসতিসকার সালাত আদায় করতেন। আমরাও ইসতিসকার নামাজে আজ অংশ নিয়ে আল্লাহ কাছে বৃষ্টি গরমের তীব্রতা নিরসনের জন্য দোয়া কামনা করেছি।  

কুমিল্লা : তাপদাহ থেকে রক্ষা রহমতের বৃষ্টির জন্য ঢাকার পর এবার কুমিল্লায় ইসতেসক্বার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা ওলামায়ে ক্বেরামের উদ্যোগে সকাল ১০টায় নগরীর রেসকোর্স নূর মসজিদ তাবলিগ মার্কাজে ওই সালাতের আয়োজন করা হয়। নামাজ মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী। নামাজে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা

মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী বলেন, ‘আমরা অপরাধী এই অপরাধের কারণে আজ আজাব নেমে এসেছে তাই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টির জন্য নামাজ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে

মানিকগঞ্জ : প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত। অবস্থায় বৃষ্টির জন্য মানিকগঞ্জে বিশেষ নামাজ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। সকাল ১০ টার দিকে শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে ইস্তিসকার সালাতের আয়োজন করে  জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই নামাজে ইমামতি করেন হযরত মাওলানা মহিবুল্লাহ

ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সাঃ) তৎকালীন সময়ে অনাবৃষ্টি খরার সময় সাহাবীদের সাথে নিয়ে খোলা ময়দানে দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। আমরা আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা

চুয়াডাঙ্গাচুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। তীব্র গরম তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক মুসুল্লি নিয়ে এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়

ঝিনাইদহতাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে একফোঁটা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয় এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন

নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি চেয়েছি খোদার কাছে। নবী করিম (সাঃ) খোদাতাআলার কাছে বিশেষ নাময়ের মাধ্যমে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা তার রহমত পাব


আরও খবর



যুদ্ধ শেষে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্র গাজায় চলমান সংঘাত শেষে ফিলিস্তিন উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। ওয়াশিংটন ওই শান্তিরক্ষী বাহিনীতে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, সংঘাত শেষে গাজায় আবার হামাসের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা ঠেকাতে এবং উপত্যকাটিকে নিরাপদ করতেই এমন পদক্ষেপ চায় তারা।

মিসর, ইউএই ও মরক্কো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে দেশ তিনটি চায়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিক যুক্তরাষ্ট্র।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজেদের সেনাদের যুক্ত করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো। যদিও গাজায় কোনো এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে তারা। কারণ, সংঘাত শেষে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের বিকল্প কোনো বাহিনী আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছেন। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না ইসরায়েল। আর আরব দেশগুলো পশ্চিমাদের কাছে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তবে পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশই এই স্বীকৃতি দেওয়ার কাছাকাছি রয়েছে।


আরও খবর



দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, সাময়িক বরখাস্ত ৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

গাজীপুর মহানগরের কাজীপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কার ঘটনায় তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা হলেন- আপ ঘুন্টি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯টি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হয়েছেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

স্টেশন মাস্টার জানান, কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) চারজন আহত হয়েছেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসন আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আহত চারজনকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন অপেক্ষা করছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।


আরও খবর



৬৩ বছরের ইতিহাসে লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন।

সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।


আরও খবর