Logo
শিরোনাম

ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওয়ালটন প্লাজার ছয় শতাধিক ম্যানেজার অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখায় ১৪৪ জন সেলস এক্সিকিউটিভস ও প্লাজাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। 

‘জয় প্লাজার জয়, ওয়ালটন প্লাজার জয়’ গানকে সামনে রেখে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে দিনব্যাপী ‘প্লাজা উৎসব-২০২৩’ এর আয়োজন করে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য বিক্রয় এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন প্লাজা’। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটনের পরিচালক ও প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, সাবিহা জেরিন অরণা, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি। 

এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। 

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেকের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন। এর পেছনে বিশেষ অবদান রেখেছে ওয়ালটন প্লাজা। সফলতার এই ধারাবাহিকতা ওয়ালটন প্লাজা বজায় রাখবে বলে তার প্রত্যাশা।

 ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ওয়ালটনের শক্তিশালী সেলস প্লাটফর্ম হচ্ছে প্লাজা। তারা ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় ও মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সবচেয়ে বড় শক্তির উৎস।  

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার বিক্রয় প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪৪ জন ম্যানেজার ও প্লাজার হাতে পুরস্কার, পদোন্নতিপত্র এবং সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ওয়ালটনের পরিচালক এবং প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম।  

পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের নাম্বার ওয়ান ও সর্ববৃহৎ সেলস নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। এটা নিঃসন্দেহে আপনাদের জন্য এক বড় অর্জন। ওয়ালটন প্লাজার প্রতি ক্রেতাদের আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা বজায় রাখাই আপনাদের এখন মূল দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কৌশলগত বিক্রয় পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন তিনি। 

ওয়ালটন ডিজি-টেকের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম জানান, ওয়ালটন প্লাজার ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। সেলস, কালেকশন আর বেনিফিট এই তিনটির সমন্বয়ে দারুণভাবে পুরো ওয়ালটন গ্রুপকে এগিয়ে নিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার চলমান বিক্রয় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সেলস এক্সিকিউটিভসদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন সিইও মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, দেশের ১ নাম্বার সেলস নেটওয়ার্ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার মাধ্যমে আমরা দেশ জয় করতে সক্ষম হয়েছি। স্বপ্ন এখন বিশ্ব জয়ের। ওয়ালটন প্লাজা নিয়ে আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন রয়েছে। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবো আমরা। 

সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বাসসেবা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) চালু হলো বাস। সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির আটটি বাস দিয়ে শুরু হলো এ সেবা।

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিআরটিসির বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সঙ্গে ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। উদ্বোধনের পর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে প্রথম বাস উত্তরার জসীমউদ্‌দীন রোডের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এই বাস অনেকটা শাটল সার্ভিসের মতো। অর্থাৎ শুধু উড়ালসড়ক কেন্দ্র করে চলবে। ফার্মগেটের খেজুরবাগানের কাছ থেকে বাসগুলো ছাড়বে। এরপর উড়ালসড়ক দিয়ে উত্তরার জসীমউদ্‌দীন রোড হয়ে খেজুরবাগান এলাকায় ফিরে আসবে। এভাবে সকাল ৭টা থেকে সারা দিন চলবে বাসগুলো। রাত পর্যন্ত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে, ততক্ষণ চলবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাড়ে ১১ কিলোমিটার উড়ালসড়ক পাড়ি দিতে ১২ থেকে ১৩ মিনিট লাগছে।


আরও খবর

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




স্বপ্নের নায়ককে হারানোর দিন আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা সিনেমার রাজকুমার চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

ঠিক ২৭ বছর আগে ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যমৃত্যু ঘটে। সেই রহস্যের জট এখনও খোলেনি। দফায় দফায় তদন্ত, প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নায়কের পরিবার কিংবা ভক্তরা। কারণ সেসব প্রতিবেদনে বরাবরই বলা হয়েছে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। যদিও তার পরিবার অর্থাৎ মা নীলা চৌধুরী এখনো সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ।

তবে এটি অপমৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা থাকলেও সালমান শাহের মৃত্যুর এত বছর পরও তার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি।

বলা হয়, সালমান শাহ ছিলেন কালোত্তীর্ণ নায়ক। কোনো কালের মধ্যে তিনি সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরীতার নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানের আসা নানার কারণেই।

সালমানের পারিবারিক নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেব ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি।

মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহ’র অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। প্রথম সিনেমাই সালমান শাহ দর্শকের মাঝে ঝড় তোলেন। এ সিনেমার মাধ্যমে চিত্রনায়িকা মৌসুমীও চলচ্চিত্রে আসেন। সালমান-মৌসুমী জুটি অল্প সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
পরবর্তীতে এ জুটি ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেনমোহর’ সিনেমায় অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এরপর শাবনূরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সালমান শাহ। এ জুটিও অসামান্য জনপ্রিয়তা পায়। প্রায় এক ডজন সিনেমায় এ জুটি অভিনয় করেন।

সালমান শাহ অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো, ‘তুমি আমার’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘সুজন সখি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বুকের ভেতর আগুন’ ইত্যাদি।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রামগড়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় ঔষধ সহ আটক-১

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভাধীন বল্টুরাম এলাকা থেকে অবৈধ ভারতীয় ঔষধ এবং কসমেটিক সহ মো.হানিফ (৪২) কে আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ। আটককৃত মো.হানিফ রামগড় পৌরসভার বল্টুরাম টিলা এলাকার বাসিন্দা সিরাজ মিয়ার ছেলে। 

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগড় থানার এসআই মো.ফরহাদুল হক সহ সংঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সের বিশেষ অভিযানে অবৈধ ভারতীয় ঔষধ ও কসমেটিক সহ  আসামীকে আটক করা হয়েছে।

রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ মালামাল বহন সংক্রান্ত আইনে আসামীর বিরুদ্ধে  থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



কঠোর কর্মসূচির দেয়ার ইঙ্গিত বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের কথা বললেও ক্রমেই কঠোর কর্মসূচির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। সেক্ষেত্রে হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ কর্মসূচির ভাবনাও আছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ফয়সালা করতে চায় দলটি।

সেক্ষেত্রে তফসিল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ঘোষণা হলেই হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কর্মসূচির ধরণ ও সময় পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, জানুয়ারিতে নির্বাচন হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে একাধিক কমিশনার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন- আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপের মুখে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের অবস্থান থেকে সরকার সরে আসবে। তাই আপাতত হার্ডলাইনে না যাওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তফসিলের আগেই হরতালের মতো কর্মসূচি আসতে পারে।

যদিও এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা হলেই তারা হরতালের কর্মসূচি আসবে এমনটা চিন্তা আছে নীতিনির্ধারকদের। তবে কর্মসূচি যাই হোক তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপর। যারা সক্রিয় থাকবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হাইকমান্ড।

কর্মসূচির বিষয় আলাপকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য একজন সদস্য বলেন, আন্দোলনের তো মাত্রা থাকে। সেটা তুঙ্গেও উঠবে। কিন্তু সেই সময় তো দরকার। আমরাও হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির চিন্তা ভাবনা করছি।

সেটা কবে নাগাদ ঘোষণা করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নীতি নির্ধারক বলেন, তফসিল কবে ঘোষণা করবে সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। আমরা আমাদের মাত্রা ঠিক করে তফসিলের আগেও কঠোর কর্মসূচির দিতে যেতে পারি। অনেক ধরণের আলোচনা চলছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নিয়ে কোনোভাবে এগুবে তাও ঠিক করবে বিএনপি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, রোডমার্চের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। চলমান কর্মসূচি শেষ হোক। সবাইকে নিয়েই উপযুক্ত কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এবার আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, তারা চাইছেন তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন ইস্যুর রাজনৈতিক ফয়সালা নিশ্চিত করতে। এ লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার চিন্তা রয়েছে তাদের। এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে দলটির অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে।

অবশ্য সরকারি দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে গেলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন বিএনপি নেতারা।

অন্যদিকে একযোগে বিএনপির মহাসচিবসহ একাধিক শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হরতালের কর্মসূচি আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের মতো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যতদিন আপনি (শেখ হাসিনার সরকার) থাকবেন এটা আরও সংঘাতের দিকে যাবে, খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরও বাড়তে থাকবে। এখনও তো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জনগণ রুখে দাঁড়াবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শত প্ররোচনার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এটার শেষ পরিণতি কী হবে তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণ কি হচ্ছে তার ওপর।

মহাসচিবের বক্তব্যের পর এদিকে সিলেটের রোডমার্চে অংশ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী হরতাল, অবরোধের মতোন কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

ভৈরবে সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন রাখেন, আমরা এখনও হরতাল দেইনি। হরতাল দেওয়া দরকার আছে? অবরোধ দেওয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন? তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন, হ্যাঁ

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ঠিক আছে আপনাদের রায় পেলাম। আমরা হরতাল করি নাই, কিন্তু করব না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। এবার ডু অর ডাই হবে।

অন্যদিকে প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বুঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।


আরও খবর



ভূমিকম্প : ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাসের ভয়াবহতম ভূমিকম্প ও তার জেরে ২ হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যুতে আগামী ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো। শনিবার রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর মরক্কোর রাজা মোহাম্মেদ ৬ এই ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজার কার্যালয় থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে মরক্কোর রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমএপি নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩ দিন জাতীয় পর্যায়ে শোক পালন করা হবে। এ সময়ে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’
শুক্রবার রাত ১১ টা ১১ মিনিটে মরক্কোয় আঘাত হানে প্রথম ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। প্রথমটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন (পরাঘাত) হয়। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

মরক্কোর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে উচ্চ অ্যাটলাস পর্বতমালা ঘেঁষা প্রদেশ আল হাউজের পার্বত্য শহর ইঘিলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। মরক্কোর প্রধান পর্যটন শহর মারাকেশ থেকে ইঘিলের দূরত্ব ৭১ কিলোমিটার।

বৈশ্বিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য মরক্কোর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ হাজার ১০০টিরও বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২ হাজার ৫৯ জনকে।
এমএপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারের বৈঠকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬। উপদ্রুতদের সহায়তা হিসেবে অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে তাঁবু, খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বণ্টনে যে ত্রুটি না ঘটে— সেজন্য কমিশনকে দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা।

উপদ্রুতদের মধ্যে এতিম এবং দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬।

ভূমিকম্প : ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাসের ভয়াবহতম ভূমিকম্প ও তার জেরে ২ হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যুতে আগামী ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো। শনিবার রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর মরক্কোর রাজা মোহাম্মেদ ৬ এই ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজার কার্যালয় থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে মরক্কোর রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমএপি নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩ দিন জাতীয় পর্যায়ে শোক পালন করা হবে। এ সময়ে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’
শুক্রবার রাত ১১ টা ১১ মিনিটে মরক্কোয় আঘাত হানে প্রথম ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। প্রথমটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন (পরাঘাত) হয়। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

মরক্কোর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে উচ্চ অ্যাটলাস পর্বতমালা ঘেঁষা প্রদেশ আল হাউজের পার্বত্য শহর ইঘিলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। মরক্কোর প্রধান পর্যটন শহর মারাকেশ থেকে ইঘিলের দূরত্ব ৭১ কিলোমিটার।

বৈশ্বিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য মরক্কোর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ হাজার ১০০টিরও বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২ হাজার ৫৯ জনকে।
এমএপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারের বৈঠকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬। উপদ্রুতদের সহায়তা হিসেবে অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে তাঁবু, খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বণ্টনে যে ত্রুটি না ঘটে— সেজন্য কমিশনকে দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা।

উপদ্রুতদের মধ্যে এতিম এবং দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3