Logo
শিরোনাম

পাকিস্তানে সরকার গঠন কোন পথে

প্রকাশিত:রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও ইমরান খান আগামী সরকার গঠনের দাবি করেছেন। তবে বিশৃঙ্খলা ও মেরুকরণ এড়াতে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থিতিশীল সরকার গঠন করা সম্ভব না হলে পাকিস্তানের সংকট ও অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে।

২৬৫ আসনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫৬ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি ৯৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসনসংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৩টি আসন। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। এ ছাড়া অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৩৩টি আসন। দেশটিতে এবার সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪টি আসনে জয়লাভ।

সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান জানিয়েছেন, তারা পিএমএল-এন ও পিপিপির সঙ্গে জোট গড়বেন না। অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরুর কথা জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকার গঠনের লক্ষ্যে এই আলোচনায় ব্যারিস্টার গহর খানের সঙ্গে থাকবেন আসাদ কায়সার, আলি মুহাম্মদ খান প্রমুখ।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মোহসিন নাকভির বাড়িতে পিপিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে ওই বৈঠকে পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ৪৫ মিনিট স্থায়ী ওই বৈঠকে উভয় দল তাদের মতামত পরবর্তী বৈঠকে তুলে ধরতে সম্মত হয়েছে।

তবে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা পিএমএল-এন নেতা শহিদ খাকান আব্বাসি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, নওয়াজ শরিফের পরামর্শ মতো পিটিআইকে বাদ দিয়ে জোট সরকার গঠন করা হলে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা ও অসন্তোষ বাড়বে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আব্বাসি বলেন, এসব নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে মারাত্মক সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ফলে মানুষের চোখে তাদের কোনো বিশ্বাস যোগ্যতা থাকবে না। বৈধতা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ইমরান খানকে যুক্ত করা। ইমরানকে বাদ রেখে যে কোনো সমাধান কাজে আসবে না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এস্টাবলিশমেন্ট কি সেটা গ্রহণ করবে?

আব্বাসি এস্টাবলিশমেন্ট বলতে সেনাবাহিনীকে বুঝিয়েছেন। অনেকে মনে করেন সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন ইমরান খান। এবারের নির্বাচনে তার দল-সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যাপক বিজয়ে সামরিক বাহিনীতে অস্বস্তি তৈরির আশঙ্কা করছেন অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক বিশ্লেষক বলেছেন, পাকিস্তানে কোনো জোট সরকার গঠন হলে তাকে একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হবে। ওয়াশিংটনের মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান স্টাডিজের পরিচালক মারভিন ওয়েনবাউম কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, জোট সরকার সম্ভবত অস্থিতিশীল ও দুর্বল হবে এবং সবচেয়ে বেশি পরাজিত হবে সেনাবাহিনী। কারণ এই ভোট করতে দেওয়ার ক্ষমতার ওপর সেনাবাহিনী সত্যিই তার সুনাম বাজি ধরেছে।

নির্বাচনের আগে পিটিআই নেতাকর্মীদের ওপর যে ধরনের নিপীড়ন চলেছে, তাতে নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। কলামিস্ট দানিয়েল আদম খান বলেন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন সম্পূর্ণ নজিরবিহীন নয়, তবে পাকিস্তানে নির্বাচনের আগে যেটা হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপহাস। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষকে অপমানের সংস্কৃতি প্রসারে পিটিআইয়ের নিজস্ব ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে তাদের সফলতা জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক বেনজির শাহ পাকিস্তানের নির্বাচনে জালিয়াতির ইতিহাস মেনে নেওয়ার পরও বলেন, এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা তাদের রায় শুনতে বাধ্য করেছেন। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, পাকিস্তানের ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটারের মধ্যে ৪৫ শতাংশের বেশি হচ্ছে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ঐতিহাসিকভাবে নির্বাচনে তারা বিপুল প্রভাব রাখেননি, কিন্তু এবারে ছিল তাদের ঝলক দেখানোর ও মতামত প্রকাশ করার মুহূর্ত।

ইতোমধ্যে নির্বাচনের কোনো স্পষ্ট ফলাফল না থাকার জেরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সব রাজনৈতিক দলকে পরিপক্বতা ও ঐক্য প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২৫ কোটি জনসংখ্যার কোনো প্রগতিশীল দেশের জন্য রাজনৈতিক মেরুকরণ ভালো কিছু নয়। নির্বাচন কেবল প্রতিযোগিতায় জয় বা পরাজয় নয়, এটা জনগণের রায় নির্ধারণের এক ধরনের চর্চা।

এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন বলেছে, নতুন সরকার যারাই গঠন করুক তাদের একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। সবচেয়ে আগে যে চ্যালেঞ্জ নতুন সরকারের সামনে রয়েছে তা হলো, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পরিপালন। নতুন করে ঋণ পেতে হলে দেশটিকে বেশ কয়েকটি অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ধীর প্রবৃদ্ধির কারণে এসব শর্ত পূরণে মারাত্মক চ্যালেঞ্জে পড়বে সরকার।

গত আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান। বিভিন্ন মামলায় প্রায় ২৪ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। নির্বাচনের ফলে এগিয়ে থাকার পরও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জেলে থাকলে নিশ্চিতভাবে ক্ষুব্ধ হবেন সমর্থকরা। তবে গতকাল শনিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে থাকা নয়টি মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত। সহিংসতার এসব মামলায় জামিন পেলেও তার মুক্তি এখনো সম্ভব নয়। নতুন সরকারকে এই রাজনৈতিক চাপও সামাল দিতে হবে।

নির্বাচনী প্রচারের সময়েও পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটতে দেখা গেছে। গত ১৮ মাসে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। তবে পাকিস্তানের দুর্বল আর্থিক অবস্থা নতুন করে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার খরচ জোগানো কষ্টসাধ্য করে তুলবে। এ ছাড়া আফগানিস্তান সীমান্তে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্ত সামাল দিতেও হিমশিম খেতে হবে।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ীতে, খেজুরের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় পিঠা পায়েস এর কথা উঠতেই বাংলা মুলকে পৌষ কথা মনে আসে।পৌষের শীতে জমে উঠে পিঠা পুলি তৈরির আয়োজন,বিশেষ করে বাঙালিদের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তিতে,পৌষ সংক্রান্তি আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি। পিঠা উৎসবের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে,এর আরেক নাম মকরক্রান্তি পৌষ মাসের শেষ দিকে এই সংক্রান্তি পালন করা হয়।বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়।

শীত কাল আসলেই খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর পৌষের শেষ দিকে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও রসের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছিরা।এদিকে সংক্রান্তির দিনও ঘনিয়ে আসছে শীতের তীব্রতাও বেশি হচ্ছে রস ও গুড়ের চাহিদা ততই বেড়েই চলছে।


পৌষের এই কনকনে শীতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় পরিবার গুলোতে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা পুলি,পায়েস, ক্ষীর তৈরির এক রকম ধুম পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ পৌষ সংক্রান্তিতে সামনে রেখে নতুন করে পিঠা পুলি তৈরির উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এই কারণে বর্তমান সময়ে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় শীতের তীব্রতা কে উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের খেজুর গাছিরা।

দেখা গেছে খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিরা প্রতিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খেজুর গাছ গুলোতে ধারালো কাস্তে দিয়ে (চেঁচিয়ে) যেটাকে গ্রামের ভাষায় বলে,গাছ কাম দেওয়া বা পরিস্কার করা সেটি করে রস নামানোর জন্য একটি নল বসিয়ে দিয়ে ঠিক দুপুরের দিকে রস সংগ্রহের জন্য সেখানে বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার হাঁড়ি,পাতিল,কলস প্লাস্টিকের জেরিকেন ইত্যাদি। রসের পাত্র গুলোর মুখে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হতো নেট, কাপড় বা পলিথিন যাতে কোন ময়লা বা পাখপাখালির মলমূত্র রসের পাত্রের ভীতরে ঢুকতে না পারে।পরে দিন সাত সকালে খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় রসে ভরা পাত্র গুলি।এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছেন গাছিরা,এই সুস্বাদু রস বিক্রির পাশাপাশি রসের তৈরি পাঁঠালি গুঁড় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন গাছিরা।


উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের খেজুর গাছি, মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এবারে খেজুরের রসের চেয়ে গুড়ের চাহিদা বেশি যেটা তরল গুঁড় প্রতি কেজি ২৫০ টাকা আর পাঁঠালি গুঁড় ২৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আমি সবসময় ভালো মানের গুঁড় তৈরি করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এবছর ৮০ টি খেজুর গাছ এভাবে কন্টাক্ট নিয়েছি যে গাছের প্রকারভেদে গাছ প্রতি দুই, আড়াই, সর্বোচ্চ তিন কেজি গুঁড় দেওয়া লাগবে। তিন দিন পর পর ৪০টি গাছের রস সংগ্রহ করে জাল দিয়ে গুঁড় তৈরি করি। আশাকরি গাছের মালিক খড়ের দাম সহ সবকিছু মিটিয়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভবান হবো। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি জানান, আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ এবারে ৪০টি খেজুর গাছ লিজ নিয়েছি মালিক ও খড়ের খরচ মিটিয়ে গুঁড় বিক্রি করে ৩০/৪০ হাজার টাকা কামাই হবে আর কি।

কুরুষা ফেরুষা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও চওড়া বাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র রায় কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের সোহেল মাষ্টার জানান, হেমন্ত, শীত ও বসন্তের পাঁচ মাস পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।এসময় এটি খুব সুস্বাদু খাবার, বিশেষ করে সামনে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে গ্রামীণ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি, পায়েস, পাটিসাপটা, ক্ষীর ইত্যাদি। গ্রামীণ পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী পৌষ সংক্রান্তিতে এইসব পিঠা পুলি পায়েস খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত করা হয় নতুন পুরাতন জামাই সহ আত্নীয় স্বজনদের। সত্যি পৌষের শীতে এটি একটি মজাদার খাবার, যার কারণে এই সময়টাতে রস ও গুড়ের চাহিদা একটু বেশি।

শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের খেজুর গুড় ক্রেতা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত জানান, আমার জানামতে রেজাউল গাছি ভাইয়ের খেজুর গুড়ে কোন ভ্যাজাল নাই,খাবার উৎকৃষ্ট সুস্বাদু বটে।তারপর সামনে আসছে বাঙালি বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি এই দিনটি কে আমরা পিঠা উৎসব হিসেবে উপভোগ করি ওই দিনে আমার বাড়িতে সবার পছন্দ খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা পুলি পায়েস পাটিসাপটা ক্ষীর, অনেক আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত করতে হবে সেই উপলক্ষে রেজাউল গাছি ভাইয়ের নিকট থেকে পনের কেজি খেজুর গুড় ক্রয় করলাম। তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেভাবে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খাবার একদিন না বিলীন হয়ে যায়। যাতে এটিকে রক্ষা করা যায় সেই কারণে  সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে খেজুর গাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তা নাহলে গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুরের রস গুড় একদিন বিলীন হয়ে যাবে।


আরও খবর



অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না, গাছ কাটার আগে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. শফিকুর রহমান, মাহফুজ বিন ইউসুফ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবীর রোমেল।

পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করে মানুষের জীবন ও সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন এইচআরপিবি ২০২৪ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। সেই রিট পিটিশন শুনানি শেষে ২০২৪ সালের ৭ মে আদালত বিবাদীদের প্রতি, ‘ঢাকার দুই সিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটা কেন মানবাধিকারের পরিপন্থি হবে না এবং ‘সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪’ অনুযায়ী বপনকৃত গাছ না কেটে বরং ওই গাছের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা কেন বপনকৃত ব্যক্তিদের প্রদান করা হবে না এবং গাছ কাটতে হলে সব পর্যায়ে কেন ৭ সদস্যর কমিটির হতে অনুমোদন নিতে হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

‘সেই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আদালত রায়ে বলেন, দেশে দিনদিন তাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক সংখ্যক গাছ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ব্যাপকভাবে গাছ কর্তন করা হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। যা আমাদের বেঁচে থাকার অধিকারকে খর্ব করবে। আদালত আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য যে পরিমাণ গাছ বাংলাদেশে থাকা দরকার, সে পরিমাণ গাছ নেই এবং এই গাছগুলোকে রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।’

শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, বাংলাদেশে দিনদিন গাছ কাটার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং একটি দেশে যে পরিমাণ গাছ থাকা দরকার, সেই পরিমাণ গাছ বাংলাদেশ নেই। আর অবস্থায় যদি আরও বেশি গাছ কাটা হয়, তাহলে তা হবে পরিবেশের জন্য হুমকির সমান। এই কারণে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে লাগানো গাছ না কেটে বরং যারা গাছ বপন করেছেন. তাদের গাছের মূল্য পরিশোধ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনুমতি একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং তাদের কাছ থেকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা প্রার্থনা করেন। সাত দিনের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরকে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়ার জন্য পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসরদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ কর্মকর্তা, সরকারি কলেজের অধ্যাপক, সমাজকর্মী, পরিবেশবিদ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সিভিল সার্জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে, যারা জেলা পর্যায়ের গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবেন।

আদালত আরও একটি আদেশে জনপ্রশাসন সচিবকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকদের প্রতি একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়, যারা উপজেলা পর্যায়ের গাছ কাটা সম্পর্কে অনুমতি প্রদান করবে।

এছাড়া রায়ে আরও বলা হয়েছে, ‘সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪’ এর অধীনের রোপণকৃত গাছকাটা যাবে না। বরং গাছের সমমূল্যে টাকা রোপণকারীকে প্রদান করতে হবে। এই মর্মে সামাজিক বনায়ন বিধিমালায় পরিবর্তন আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। রিটকারীরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ই।


আরও খবর

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভালো আছেন খালেদা জিয়া, শিগগিরই ফিরবেন দেশে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগের চেয়ে ভালো আছেন, তিনি অচিরেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।

স্থানীয় সময় সোমবার এশার নামাজের পর বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেন মসজিদে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মহফিল শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এম এ মালেক বলেন, খালেদা জিয়া অনেক ভালো আছেন। তিনি বাসায় ফিরে খুব হাসিখুশি আছেন। রোববার নেত্রীর সঙ্গে আমাদের নেতা তারেক রহমানসহ একসঙ্গে ডিনার করেছি। আমার মনে হয় তিনি ৬০ পার্সেন্ট সুস্থ হয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ বাংলাদেশি দুটি টিম মিলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতালের চেয়ে বাসায় বেটার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে। রোববারও দেখলাম ডা. জুবাইদা রহমান বসে খাওয়াচ্ছেন। পাশে তারেক রহমান বসা।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া তার পুত্রবধূদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। বাসায় যাওয়ার মানে হচ্ছে, তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। উনি অচিরেই দেশে যাবেন। দেশের জনগণ উনাকে দেখতে চান।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বর্তমানে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় রয়েছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ডাকাতী করতে গিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ৭জন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ডাকাতি করার এক পর্যায়ে গৃহবধূকে তুলে মাঠে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। এর আগে সোমবার রাতে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকজামদই মুচিপাড়া এলাকার আজির মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম পচা (২৯), চকজামদই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর এলাকার মনির উদ্দিন শেখের ছেলে সোলাইমান আলী (৩৮), গৗড়রা বৌদ্দপুর এলাকার মাসুদ রানা সর্দারের ছেলের সাগর হেসেন (১৯), বন্দীপুর এলাকার মাসিদুল মাসুদ রানার ছেলে রুবেল সরদার (২৮), নিয়ামতপুর উপজেলার জিনারপুর (সাবিলপুর) এলাকার রিপন আলী (৩০) ও মহাদেবপুর উপজেলার চককন্দর্পপুর এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে সাগর হেসেন (১৯)।

জেলা পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতদল প্রবেশ করে। পরে বাড়ীর লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকা ডাকাতির সময় তারা এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক অপহরণ করে বাড়ী থেকে একটু দূরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে তাকে ঐ গৃহবধূকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় ভিকটিম গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হলে জড়িত ডাকাতদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পর আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হলে তাদের মধ্যে ৩ জন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


আরও খবর



ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সা: সম্পাদক নাসিমের পদ স্থগিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

 ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। সেই সাথে তাকে বিএনপির সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির ফেসবুক পেইজে বিকেল পৌনে ৪টায় পোস্ট দেয়া আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "ঝালকাঠি জেলা বিএনপি অধীন রাজাপুর উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিম উদ্দিন আকন এর দলীয় পদ ২৫ জানুয়ারী হইতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। সাথে সাথে তাকে দলীয় সমস্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক (দলীয় পদ স্থগিত) এর সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রক্ষা না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।"

এব্যাপারে নাসিম আকন জানান, আমাকে শোকজ করা হয়েছিলো। আমি তার জবাব দিয়েছি। এখন যদি আমাকে দলীয় পদ থেকে স্থগিত রাখে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। 


এর আগে গত ৮ জানুয়ারি চাঁদাবাজির অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকনকে শোকজ করেছে বিএনপি। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি ও হুমকির বিষয়টি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় আপনার (নাসিম আকন) নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির অধীনে উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থাকাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ থাকায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আপনাকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হবে না। তার উপযুক্ত জবাব আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা বিএনপির নিকট জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো।


আরও খবর