ছোটবেলা থেকে নারী পরিবেষ্টিত হয়েই বেড়ে উঠেছেন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর নায়ক। পরবর্তীতে স্ত্রী গৌরী খান এবং মেয়ে সুহানার থেকে বহু কিছু শিখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোজাসাপ্টা কথায় এবং ব্যক্তিত্বে রাজার মতো সবার মন জয় করে আসছেন শাহরুখ খান। বিশেষত নারীদের। এই ৫৬ বছর বয়সেও বহু ষোড়শীর ‘হার্টথ্রব’। কী সেই কৌশল? যার দৌলতে এত সুন্দরভাবে নারী হৃদয় জয় করে ফেলেন তিনি! রহস্য ফাঁস করলেন বলিউডের ‘বাদশা’।
এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেন, আমার ১৪ বছর বয়সে বাবা চলে গেলেন। মায়ের কাছেই বড় হলাম। মায়ের কোনও ভাই ছিল না। মাতামহও প্রয়াত হয়েছিলেন আগেই। তাই পরিবার বলতে আমার ছিলেন মা, তিন মাসি, আর এক দিদিমা। তারপর যখন মা-ও চলে গেলেন আমার জীবনে রইলেন স্ত্রী আর কন্যা।
স্পষ্টতই আজকের ‘বাদশা’-কে দুনিয়া দেখতে শিখিয়েছেন তার পরিবারের নারীরাই। শাহরুখ জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নারীদের সঙ্গে কাজ করতে তার কোনও অসুবিধে হয়নি। তাকে নায়কও করেছেন নারীরাই। তবে নারীদের সম্পর্কে আসল ধারণা পেয়েছিলেন কাজের জগতে এসে। সে কথাও নিজেই বলেছেন কিং খান।
শাহরুখ বলেন, কাজ করতে গিয়ে দেখলাম নারী সহকর্মীরা অসম্ভব পরিশ্রমী। আমার চেয়ে অনেক বেশি খাটতে পারেন ওরা। এতটাই নিয়মানুবর্তী যে, আমি সেটে আসার অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা আগে ওরা এসে পড়তেন। পুরুষতান্ত্রিক বিশ্বে নারীদের আজও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবেই গণ্য হতে দেখি। কিন্তু ওরাই যে শেখাচ্ছেন প্রতি মুহূর্তে।
‘কাল হো না হো’-র নায়ক জানান, কীভাবে মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে হয়, তা-ও তিনি শিখেছেন নারীমহলেই। যদি কোনও কিছুতে অনুমতি নেওয়ার থাকে, কোনও নারীকে রাজি করানোর থাকে, তবে কীভাবে তা করতে হবে, জানেন শাহরুখ। কোনও মেয়েকে হ্যাঁ বলাতে তাকে কোনও দিনও জোর জবরদস্তি করতে হয়নি। জোর গলাতেই জানিয়ে দিয়েছেন ‘বাদশা’।