Logo
শিরোনাম

রোজার দুমাস আগেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবুও দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। শিম, কপি ও বেগুনসহ শীতকালীন নানা সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে দামে। এ অবস্থায় রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মহাচিন্তায় সাধারণ ক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা, পেঁপে ও শালগম ছাড়া কোনো সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। অন্যান্য দিনে মুলা কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবারের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। এছাড়া, প্রকারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়।

তাছাড়া, বাজারে রান্নায় সবচেয়ে ব্যবহার্য আলু বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। তুলনামূলক সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা ও পেঁপে ৪০ টাকায়। আর বরবটি ১২০ টাকা, শালগম ৪০, লাউ ৫০-৮০ টাকা প্রতি পিস, শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে।

আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাক কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া, লাউ শাক ৫০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা ও ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। এখন শীতের প্রতিটি সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, না হয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখছি ব্যবসায়ীরাও এই দিনটাকে ঘিরে নতুন করে ব্যবসার ফন্দি এঁটেছে। আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় সব কিছুর দাম বেশি। বাজারগুলোতে মনিটরিং করতে কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সবজি পর্যাপ্ত আছে, কিন্তু দামটা অন্যান্য সময়ের তুলনামূলক একটু বেশি। আবার দাম বেশি হলেও তুলনামূলক চাহিদাও অনেক বেশি। আপনারা বলছেন দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে, যা দেখে অবাক হওয়ার মতো।

দাম বেড়েছে ডিম-মুরগির, স্থিতিশীল গরু-খাসি

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আর লাল লেয়ার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের রিপন বলেন, বাজারে সরবরাহ কমায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে শীত যেভাবে বাড়ছে, এতে মুরগির রোগ-বালাইও বাড়ছে। প্রচুর মুরগি মরে যাওয়ায় সামনে আরও দাম বাড়তে পারে।

এদিকে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তবে গত মাসে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দিয়েছিল মাংস ব্যবসায়ীরা। এখন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারিত থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিকেজি গরুর মাস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে আপাতত ৭০০ টাকা দরে বিক্রির চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা।

আর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী খোকন বলেন, দাম কমানোয় গরুর মাংসের বিক্রি বেড়েছিল; কিন্তু কম দামের কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখতে দাম ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে বাড়েনি খাসির মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়।

এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে ডজন প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মুরগির রোগ-বালাই। মারা যাচ্ছে মুরগির। এতে ডিমের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। নিত্যপণ্যের এ অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

রোজার পণ্যের বাজার গরম-

রোজার এখনও প্রায় দেড় মাস বাকি। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দা, ডাল-ছোলা ও চিনির দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। ছোলার পাশাপাশি বাড়ছে অন্যান্য ডালের দামও। গত এক মাসের মধ্যে এসব পণ্যের দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ছোলার ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ডাবলির ডাল ৭৫ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা দানার মুগ ডাল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, চিকন মুগ ডাল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও খেসারি ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।

আর আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা জানান, রোজাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। সরকার তাদের ওখানে অভিযান চালায় না। মিলগুলোতে অভিযান চালালে পণ্যের দাম এমনিতেই কমে যাবে।

আর খুচরা বিক্রেতা সালাম জানান, পণ্যের দাম খুচরা বিক্রেতাদের হাতে নেই। বাড়তি দামে কেনায়, বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

খেজুরের দাম আকাশছোঁয়া-

রাজধানীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। গত এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে খেজুরের চাহিদা। এতে বাড়ছে দামও।

এছাড়া প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ২৮০ টাকা, নাশপতি ২৫০ টাকা, আনার ৫০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা ও কমলা ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অস্থির মসলার বাজার-

দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারেও। গত এক মাসের ব্যবধানে এলাচ-লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। গোলমরিচ, দারুচিনির দামও বাড়তি। এর কারণ জানেন না খোদ বিক্রেতারাও। তাদের দাবি, আমদানিকারকদের কারসাজিতেই বাড়ছে দাম।

কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা বলেন, দাম কমেছে শুধু জিরার। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি লবঙ্গ ১ হাজার ৮০০ টাকা, গোল মরিচ ৮০০ টাকা, এলাচ ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা ও দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। তবে বাজারে দেখা নেই পুরাতন দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পুরোদমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। এতে বাড়ছে দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা হাসিব বলেন, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করলে দাম কমে আসবে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আড়ত পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।

এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে আদা-রসুনের।

আল-আমিন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। রোজার আগেই সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখনই বেগুনের কেজি ১০০ টাকা, রোজায় কী অবস্থা হয় আল্লাহ জানেন! দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাবে।

বিক্রেতাদের দাবি, রোজা সমানে রেখে পণ্যের দাম বাড়ছে দ্রুত গতিতে। মূলত মিল পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে দাম। মিল মালিকদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে রোজায় দাম আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



২০২৪ কোপায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল প্রতিপক্ষ কে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন : কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে গ্রুপ পর্বে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিলি ও পেরুকে পেয়েছেন লিওনেল মেসিরা। গ্রুপের অপর দল  কানাডা।

আর ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েকে। সঙ্গে যোগ দেবে কোস্টারিকা । আজ মায়ামিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ড্রয়ে এই গ্রুপিং চূড়ান্ত হয়।জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টের ৪৮তম এ আসরে খেলবে ১৬টি দল। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০ সদস্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের (কনক্যাকাফ) ৬ দল।


ড্রয়ে দলগুলোকে এমনভাবে ভাগ করা হয়েছে, যাতে একটি গ্রুপে চার দলই কনমেবলের না হয়, আর কনক্যাকাফের ৩ দল না হয়। গ্রুপিংয়ে আর্জেন্টিনা সঙ্গে পেয়েছে কনমেবলের পেরু ও চিলিকে। এ দুটি দলই ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে খারাপ সময় পার করছে। ১০ দলের মধ্যে ৬ ম্যাচ শেষে চিলি ৮ নম্বরে ও পেরু ১০ নম্বরে অবস্থান করছে। 

এ ছাড়া উরুগুয়ে ‘সি’ গ্রুপে এবং ব্রাজিল ‘ডি’ গ্রুপে হওয়ায় এ দুটি দলের বিপক্ষে ফাইনালের আগে দেখাও হবে না আর্জেন্টিনার। গ্রুপে চতুর্থ দল হিসেবে কনক্যাকাফের কানাডা কে পাবেন মেসিরা। এখানকার ফেবারিট মেক্সিকো প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা ও জ্যামাইকাকে। ‘সি’ গ্রুপে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। উরুগুয়ে ও বলিভিয়ার সঙ্গে আছে কনক্যাকাফের পানামা। ‘ডি’ গ্রুপে কিছুটা কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে ব্রাজিলও। 

এখানে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে। কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। এ মুহূর্তে আঞ্চলিক বাছাইয়ে ব্রাজিল ৬ নম্বরে, কলম্বিয়া ৩ নম্বরে। অন্য গ্রুপসঙ্গী প্যারাগুয়ের অবস্থান সাতে। ব্রাজিলের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে যুক্ত হয়েছে কোস্টারিকা ।

২০ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে কানাডার বিপক্ষে। মায়ামিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুলাই।


আরও খবর



মেঘনায় ঢাকাগামী লঞ্চে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

ভোলা থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-৩ এ আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ৭ যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকে আতঙ্কে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পরে লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল নামে একটি চরে নোঙর করা হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল চর এলাকার মেঘনা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের সহকারী মাস্টার মো. রইচ উদ্দিন সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি আবাল বিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সহকারী মাস্টার আরও জানান, আগুন লাগার পরই তা পুরো ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়। চরে নামিয়ে দেওয়া যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে লঞ্চটিতে থাকা মনিরুল ইসলাম রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইঞ্জিনরুমসহ লঞ্চের নিচতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

ভোলা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবগত করেছেন। চাঁদপুরের একটি কোস্টগার্ড টিম ঘটনাস্থলে যাবে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ঘটনাস্থল ভোলার বাইরে, সেজন্য এখনো নিশ্চিত করে ঘটনার বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব না।


আরও খবর



ঈদে সড়কে মৃত্যু বেড়েছে, মোটরসাইকেলেই বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ঈদে প্রতিবারই সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এবারের ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিনসহ গত তিন দিনে সড়কে প্রাণহানির পরিমাণটা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক মোটসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনজন পর্যন্ত মারা যাওয়ার খবর আসছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বয়সও বেশি নয়। স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্রও রয়েছেন। ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল আরোহী।নিহতদের মধ্যে পঞ্চগড়ে চারজন, খাগড়াছড়িতে তিনজন, নরসিংদীতে দুইজন, ঢাকায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, যশোরে একজন, নেত্রকোনায় তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন এবং নড়াইলের দুইজন রয়েছেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার এবং আজ তৃতীয় দিন শনিবারও সারাদেশে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

এসব দুর্ঘটনায় শুধু নিহতই নয়, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার সংখ্যাটিও বেশ উদ্বেগজনক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত মোট তিন দিনে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেই (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৪৫৪ জন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যাটিও অনেক। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তরুণ-যুবক।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক তপন দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২৫৬ জন। যাদের মধ্যে ৭৬ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন। পাশাপাশি নিয়ম-নীতি না মানা, কমবয়সি কিশোর ও তরুণদের অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। দল বেঁধে প্রতিযোগিতা ছাড়াও ট্রাফিক তদারকির অভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ। প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের পর কম্বোডিয়ায় ১১ দশমিক ৯, লাওসে ১১ দশমিক ৫, থাইল্যান্ডে ১১ দশমিক ২, ভারতে ৯, মিয়ানমারে ৮ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ৪ দশমিক ৪, ভিয়েতনামে ৪ দশমিক ১, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৫ এবং ভুটানে ২ দশমিক ১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঈদের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের মোট দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশিই মোটরসাইকেলে ঘটে থাকে। তার মধ্যে ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি ঘটে। এই সময় অনেকেই মহাসড়কে যানজট এড়াতে বাড়ির পথে যাত্রা করেন। দেখা যায়, সাধারণ সময়ে হয়তো মোটরসাইকেলে একজন থাকেন; কিন্তু ঈদের সময় স্ত্রী, বাচ্চা এবং নিজে থাকার পরেও পেছনে একটা কাপড়ের ব্যাগ থাকে। যেটা ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। এই কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।


আরও খবর



আবারো বাড়লো গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

আবারও বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি আরও ৭৫ পয়সা বাড়ানো হলো। পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার (১ মে) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটারের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

দেশের চার জেলায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বয়ে যাওয়া এ দাববাহ আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সারা দেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তবে দেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে এ তাপপ্রবাহ বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় আবহাওয়া নিয়ে ভালো কোনও খবর নেই সংস্থাটির কাছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এ তাপমাত্রা বেড়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।


আরও খবর