Logo
শিরোনাম

সাদা ফসফরাস’ দিয়ে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

অবরুদ্ধ গাজা ও লেবাবনে হামলা চালানোর সময় দখলদার ইসরাইল বাহিনী সাদা ফসফরাসের যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে নিশ্চিত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার বেসামরিকদের গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

এ অভিযোগের বিষয়ে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, সাদা ফসফরাস আছে এমন অস্ত্র গাজায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, বর্তমানে আমরা সেটি অবগত নই।

লেবাননেও ইসরাইলি বাহিনী এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এমন অভিযোগের বিষয়ে বাহিনীটি কোনো মন্তব্য করেনি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, তারা ১০ অক্টোবর লেবানন থেকে এবং ১১ অক্টোবর গাজা থেকে ধারণ করা ভিডিও যাচাই করে দেখেছে, সেগুলোতে কামান থেকে ছোড়া গোলায় গাজা শহরের বন্দর এলাকা ও ইসরাইল-লেবানন সীমান্তের গ্রামীণ এলাকার ওপর একাধিক সাদা ফসফরাসের বিস্ফোরণ দেখা গেছে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীটি দুটি ভিডিওর লিঙ্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে বলেছে, এগুলো দেখিয়েছে, ১৫৫ মিলিমিটার সাদা ফসফরাসের কামানের গোলা ব্যবহার করা হচ্ছে। স্পষ্টতই ধুম্রজাল তৈরিতে, চিহ্নিত করতে অথবা সংকেত দিতে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।

পোস্ট করা উভয় ভিডিওতেই লেবানন-ইসরাইল সীমান্তের কাছের দৃশ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গাজায় সাদা ফসফরাস ব্যবহার করার অভিযোগ করা হয়েছে যে ভিডিওগুলোর ভিত্তিতে সেগুলোর লিঙ্ক পোস্ট করেনি তারা।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচারিত ভিডিওতে গাজার আকাশে পাতলা সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডুলি দেখা গেছে; সাদা ফসফরাসের গোলা ব্যবহারের কারণে এরকম ধোঁয়া তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।

রয়টার্স জানিয়েছে, তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভাষ্য স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি।

২০০৮-২০০৯ সালে গাজায় আক্রমণ চালানোর সময় সাদা ফসফরাসের গোলা ব্যবহার করেছিল ইসরাইল। তখন অনেকগুলো মানবাধিকার গোষ্ঠী দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছিল। ২০১৩ সালে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, তারা সাদা ফসফরাসের যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গত শনিবার ইসরাইলে আকস্মিক ব্যাপক হামলা চালায়, এতে অন্তত ১৩০০ জন নিহত হয়। এর প্রতিশোধ নিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ব্যাপক বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে অন্তত ১৫০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উত্তর সীমান্তে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গেও পাল্টাপাল্টি হামলায় লিপ্ত হয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।

এদিকে গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। তবে হামাস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা তাদের জন্মস্থান ছেড়ে কোথাও যাবে না। এ ছাড়া ইসরাইলের আল্টিমেটাম উপেক্ষা করে দেশটিতে আরও অন্তত ১৫০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে সংগঠনটি।


আরও খবর



এবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি মিশন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন এই সংঘাত থেকে দূরে থাকে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

রবিবার ভোর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে ইরান। নজিরবিহীন এ হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। জেরুজালেম ও তেলআবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন।

হামলার পর থেকে ইসরায়েলের উপর পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, তারা ইসরায়েলের পাশে আছেন। ইরানের সমালোচনাও করেছেন তিনি। এমন অবস্থায় ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তারা যেন এই সংঘাত থেকে দূরে থাকে

ইরানের দাবি, তারা আত্মরক্ষার জন্য এই হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘ সনদের ৫১ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের হামলা বৈধ। ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে ইরান জানায়, ইসরায়েল যেন আর ভুল না করে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ আরও মারাত্মক হবে। আর এই সংঘাত শুধুমাত্র ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই সংঘাত থেকে দূরে থাকতে হবে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ঈদের আনন্দ পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা মোকাবিলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৈঠক হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। চুরি ছিনতাইসহ ঈদকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধ দমনে দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশনা। মহাসড়কেও ডাকাতি ছিনতাই রোধে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

গ্রামে ছুটছে মানুষ। উপলক্ষ ঈদ, তাই আগ্রহটাও বেশি, সংখ্যাও অনেক। তবে এবারের ঈদে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা বেশি। কারণ লম্বা ছুটি।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা সাধারণ মানুষের চাপও বাড়ছে। এতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। আর ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অপ্রতাশিত নয়। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে স্বর্ণের দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। মহানগর পুলিশ বলছে, এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। বৈঠক হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশনা।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, বাড়িওয়ালা এবং দোকান মালিকদের নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথার্থ করে রাখার কথা বলা হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, অফিসার ইনচার্জ, বিওপি (বর্ডার আউটপোস্ট) পুলিশ অফিসারদেরকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ১৪টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নগরবাসীকে। এর মধ্যে অন্যতম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি।

এ বিষয়ে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঢাকার বাসিন্দাদেরকে খুব দামি জিনিসপত্র থাকলে সেটিকে সাবধানে রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া যারা গ্রামে যাচ্ছেন, তারা প্রত্যেকে যেন গ্যাসের চুলাগুলো বন্ধ করে যান। গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে যেন সাবধানে নিরাপদ জায়গায় বন্ধ করে রেখে যান।

এদিকে হাইওয়েতে ডাকাতি, ছিনতাইরোধে তৎপর আছে পুলিশ। ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

ঢাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ঈদযাত্রা যেন সুন্দর, নির্বিঘ্ন এবং যানজটমুক্তভাবে নিরাপদে আনন্দমুখর পরিবেশে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের জেলা পুলিশের ১ হাজার ২০০ সদস্য ট্রাফিক এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি ঢাকায় প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার পথে থাকছে ২৪ ঘণ্টার চেকপোস্ট।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে। বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

বুধবার (০১ মে) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৯৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য মাঝারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু ; ১৭১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইন্দোনেয়ার মেদান , ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি শহর। এ ছাড়া ১৬০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



সর্বজনীন পেনশনে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধনের পর প্রায় সাড়ে আট মাসে এর চার স্কিমে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সেদিন থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা এ চার স্কিম সবার জন্য উন্মুক্ত। উদ্বোধনের পর প্রথম এক মাসে চার স্কিমে গ্রাহক হয়েছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন।

কিন্তু পরবর্তীতে এ সংখ্যা কিছুটা কমে পাঁচ মাস পর্যন্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার করে বাড়ছিল। তবে ষষ্ঠ মাস থেকে চাঁদাদাতার প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। আজ সোমবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট মাসে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচিতে গ্রাহক হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২২৬ জন। সব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪২ কোটি সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে আগামী ১ জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে যারা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের প্রত্যয় নামের একটি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


আরও খবর



তীব্র গরম উপেক্ষা করে রমনায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

পয়লা বৈশাখকে বরণ করতে রাজধানীর রমনা পার্কে মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে আসছেন নারী-পুরুষ ও শিশু। শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের সামনের দুটি গেট দিয়ে তারা পার্কে ঢুকছেন। সবাইকে রমনায় প্রবেশের আগে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। শাহবাগ ও মৎসভবনের মাঝে ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে আরেকটি গেট করা হয়েছে। সেটি দিয়ে পার্কে প্রবেশকারীরা ঘোরা শেষে বের হচ্ছেন। তবে বের হওয়া মানুষের চেয়ে প্রবেশের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।

শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন রাস্তার দুইপাশের ফুটপাত ধরে শত শত মানুষ হাঁটছেন। তাদের সবার পরনে কম বেশি বৈশাখের পোশাক। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ ছবি তুলছেন। নিজেকে সেলফিবন্দি করতে ভুলছেন না তারা। কেউ আবার রোদের তীব্রতা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য সাথে ছাতা নিয়ে এসেছেন।

আজ আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেদিকে খেয়াল নেই পয়লা বৈশাখ উদযাপনকারী মানুষজনের। রমনায় প্রবেশের পর লোকজন পুকুরপাড়ের ধার ধরে কেউ বসে গল্প করছেন, কেউ আবার নতুন তৈরি পুকুরের কোল ঘেঁষে কংক্রিটে বাঁধানো পাড়ে হেঁটে সময় কাটাচ্ছেন।

তবে প্রচণ্ড রোদ থাকায় বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। গরম থেকে রেহাই পেতে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য কেউ কেউ আইসক্রিম এবং ঠান্ডা জাতীয় বরফ শরবত কিনে খাচ্ছেন।

শাহবাগের শিশু পার্কের বিপরীতে রমনার প্রধান গেট। তার পাশের ফুটপাতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন আনিস আহমেদ। এসেছেন পুরান ঢাকা থেকে। তিনি বলছিলেন, অনেক কষ্টে ঢুকেছিলাম ভেতরে, কিন্তু এত মানুষ! হাঁটার মতো পরিবেশ নেই। বাধ্য হয়ে এখানে বসে আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি।

খিলগাঁও এলাকা থেকে এসেছে নবীন ও আয়েরা। তারা দুজন স্কুলপড়ুয়া। সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে তারা। এখন রমনা পার্কটা ঘুরে দেখার জন্য মৎস্য ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।

তাদের মতে, রমনা পার্কে অন্য দিন আসাটা আর আজকে আসাটা এক নয়। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বৈশাখের আমেজে আজ রমনা পার্ক সেজেছে। হাজার হাজার মানুষ প্রবেশ করছে এতে। ফলে অন্যরকম একটি দেখার দৃশ্য।

তীব্র গরমের হাঁপিয়ে ওঠা মানুষজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে পানি সরবরাহ করতেও দেখা গেল। পার্কজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে তারা বেশ তৎপর।

রমনার বটমূলে কোরাস গান গেয়ে সূর্য ওঠার মুহূর্তে বৈশাখকে বরণ করা হয়। এই আয়োজনে শতাধিক শিল্পী অংশ নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেটি শাহবাগ ও ঢাকা ক্লাব হয়ে আবারও চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ।


আরও খবর