Logo
শিরোনাম

সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

মানুষ প্রধানতঃ দুটি আত্মার অধিকারী। একটি জীবাত্মা বা নফস যা মানব সৃষ্টির চার উপাদান আগুন, পানি, মাটি ও বায়ুর সমন্বয়ে সৃষ্ট এবং অপরটি পরমাত্মা বা রূহ যা মহান আল্লাহ্ হযরত আদম (আঃ)-এর মাঝে তাঁর রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছেন। আমরা সবাই হযরত আদম (আঃ)-এর সন্তান হিসেবে আমাদের মাঝেও রূহ বিদ্যমান। জীবাত্মা অত্যন্ত শক্তিশালী। এই জীবাত্মাই মহান আল্লাহ্ তায়ালার সত্তা রূহ্কে ধারণ করেছে। আর রূহই হচ্ছে মানুষের কাছে আল্লাহ্ পাকের আমানত। জীবাত্মা মূলত সচ্ছ ও পরিশুদ্ধ। কিন্তু এর কিছু শত্রু আছে যেগুলো নফসকে আক্রান্ত করে। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য এই ষড় রিপু নফসকে কলুষিত করে। যেমন জীবানুমুক্ত পানি পান করে জীবের জীবন রক্ষা পায়। যদি পানিতে বিষ মিশ্রিত হয় তখন পানি হয় বিষাক্ত। আর এই বিষাক্ত পানি পান করলে জীবের প্রাণনাশ হয়। তেমনি পরিশুদ্ধ জীবাত্মা যখন ষড়রিপু দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন তা কলুষিত হয়ে যায় এবং দুনিয়ার লোভ আর ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অশান্তি সৃষ্টি হয় ব্যক্তি জীবন থেকে সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় জীবন পর্যন্ত। কলুষিত নফস ধারী ব্যক্তি শান্তি ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে অশান্তির পথে ধাবিত হয়। কাজেই জীবাত্মা যাতে ষড়রিপু দ্বারা আক্রান্ত হতে না পারে সেজন্যই আত্মশুদ্ধি লাভ করা প্রয়োজন। পরিশুদ্ধ জীবাত্মা হলো বাহন আর রূহ সোয়ারী। এই দুয়ে মিলে আত্মিক জগত ভ্রমণ করতে পারে এবং আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। তাহলে প্রশ্ন জাগে, কি করে ষড়রিপুর আক্রমণ প্রতিরোধ করে জীবাত্মাকে পরিশুদ্ধ রাখা যায়। জীবাত্মাকে নফস নামেও অভিহিত করা হয়। হযরত রাসূল (সঃ) বলেছেন, “নফসের সাথে যুদ্ধ করাই প্রকৃত জেহাদতিনি আরো বলেন, “যে নিজকে (নিজের নফসকে) চিনতে পেরেছে, সে তার প্রভুকে চিনতে পেরেছেতাহলে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে, হযরত রাসূলে পাক (সঃ)-এর শিক্ষা পদ্ধতি কি ছিল? তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না। সুদীর্ঘ ১৫ বছর হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় ধ্যান সাধনা তথা মোরাকাবা করেছেন। মক্কা থেকে ৩ মাইল দূরে যে হেরা পর্বতের গুহা প্রায় পৌণে দুইশবছর পরও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে, যেখানে উঠতে রাসূল (সঃ) প্রেমিকদের আজো হিমসিম খেতে হয়, সেই নির্জন মরু পাহাড়ের গুহায় তিনি যৌবনের ১৫ টি বছর ধ্যান সাধনায় কাটিয়েছেন। এই ধ্যান সাধনার বিদ্যার মাধ্যমেই তিনি তাঁর প্রভুর সন্ধান পেয়ে পবিত্র বাণী প্রাপ্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর অনুসারী তথা মুসলিমদেরকে সেই ধ্যান সাধনার বিদ্যাই শিক্ষা দিয়েছেন। আর ওই বিদ্যায় বিদ্বান হয়ে নিজেদের জীবাত্মা তথা নফসকে পরিশুদ্ধ করে (আত্মশুদ্ধি লাভ করে) মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর প্রেমে দেওয়ানা হয়ে গিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম কাফেরদের শত অত্যচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন হাসিমুখে। তাঁরা নিজেদের ধন-সম্পদ, আত্মিয়-স্বজনের মায়া পরিত্যাগ করে রাসূল (সঃ)-এর প্রেমে জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে তাঁর সাথে মদিনায় হিযরত করেছেন। অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সঃ)-এর নির্দেশে কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করে হাসিমুখে শহীদের মর্যাদা লাভ করেছেন। আমরা সেই সে জাতি, উম্মতে মোহাম্মদী, মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারী। পরম সৌভাগ্য যে, আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে দয়া করে উম্মতে মোহাম্মদীর মর্যাদা দান করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, যে শিক্ষায় নিজের জীবাত্মা বা নফসকে পরিশুদ্ধ করা যায়, যে শিক্ষায় আত্মশুদ্ধি লাভ করা যায়, সেই মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা, ধ্যান সাধনার শিক্ষা, মোরাকাবার শিক্ষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ফলে নফসের খায়েসে, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে দুনিয়া লোভী হয়ে পাপাচারের মাধ্যমে যেমন নিজেদেরকে (জীবাত্মা বা নফসকে) কলুষিত করে অশান্তিতে ভুগছি, তেমনি আমাদের এমন কার্যাদিতে সমাজেও অশান্তি বাড়ছে। ধর্ম পালন করেও ধর্মের প্রকৃত স্বাদ বা ফল আমরা ভোগ করতে পারছিনা।

হযরত রাসূল (সঃ)-এর যুগে তাঁর কাছ থেকে সাহাবায়েকেরাম ধ্যান সাধনার বিদ্যার মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জন করে ধর্ম পালন করতঃ শান্তির পধে চলার ক্ষমতা অর্জন করেছেন। এমনকি তাঁরা আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ করতেও সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা ছিলেন উজ্জল নক্ষত্র। আর তাঁরা তা করতে পেরেছেন, হযরত রাসূল (সঃ)-কে অনুকরণ ও অণুসরণ করে। পবিত্র হাদিসে হযরত রাসূল(সঃ) বলেছেন, “শরীয়ত আমার বাক্য(কথা), তরীকত আমার কাজ, হাকীকত আমার অবস্থা এবং মারেফাত আমার নিগুঢ় রহস্য।হযরত রাসূল (সঃ) তাঁর অনুসারীগণকে শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত ও মারেফাতের বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছেন। শরীয়ত যেমন দেহ পরিষ্কার করে তেমনি মারেফাত আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জনে সহায়তা করে। হযরত রাসূল (সঃ)-এর ওফাত লাভের পর চার খলিফার যুগ পর্যন্ত হযরত রাসূল (সঃ)-এর মৌলিক শিক্ষা চালু ছিল। এজন্য ওই যুগকে ইসলামের স্বর্ণ যুগ বলা হতো। পরবর্তীতে বিশেষ করে কারবালা যুদ্ধের পর দুরাচার এজিদ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসলাম হয়ে পড়ে শুধু শরীয়ত সর্বস্ব। বেলায়েতের যুগে যাঁরা এজিদের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন, এজিদকে সমর্থন করেননি, তাঁরা ছিলেন মোহাম্মদী ইসলামের প্রকৃত ধারক ও বাহক। আর তাঁদের মাধ্যমেই দুনিয়াতে টিকে আছে প্রকৃত মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা-এলমে শরীয়ত ও এলমে মারেফাত যা মানুষের বাহ্যিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধতা আনয়ন করে। বেলায়েতের যুগে অসংখ্য অলী-আল্লাহ্, মোর্শেদ তথা পথপ্রদর্শক জগতে আগমন করেছেন, যাঁরা হযরত রাসূল (সঃ)-এর শিক্ষায় মানুষকে শিক্ষিত করেছেন। যাঁরা শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত ও মারেফতের বিদ্যা শিক্ষা লাভ করে ধর্ম পালন করেছেন তাঁরাই সফলকাম হয়েছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় নৌকার প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ বাবুর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৪, মান্দা আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সোমবার বিকেল ৩ টারদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আঞ্জুমান বানুর দপ্তর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। এ সময় মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। 

এর আগে দীর্ঘ দিন তিনি মান্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে বর্তমান সাংসদ মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এমপি, মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শেখ আবদুল লতিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এমপি পুত্র সেফায়েত জামিল প্রামাণিক সৌরভ, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সুলতান মাহমুদ রায়হান, আফজাল হোসেন ও আতাউর রহমান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাহিদ মোর্শেদ বাবু দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক পেয়েছেন।


আরও খবর



রাণীনগরে পাতিচাষী-বুনন কারিগরদের মাঝে ঋণ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে পাতিচাষী-বনুন কারিগরদের মাঝে ঋণ বিতরনের উদ্বোধন করা হয়েছে।“পাতি চাষে সুরক্ষিত পরিবেশ, গড়বো মোরা স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সোনালী ব্যাংক টি.টি.ডি.সি শাখায় ঋণ বিতরনের উদ্বোধন করা হয়। 

সোনালী ব্যাংক পিএলসি নওগাঁ অঞ্চল এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস নওগাঁর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ওলিউজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম। এছাড়াও সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস নওগাঁর এ্যাসিষ্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. আহসান রেজা, প্রিন্সিপাল অফিসার মাহমুদুল হাসান, সোনালী ব্যাংক নওগাঁ শাখার ম্যানেজার আজমল হোসেন, রাণীনগর শাখার ম্যানেজার এবিএম আ: হাকিম, টিটিডিসি শাখার ম্যানেজার মামুনুর রশীদ তালুকদার, আবাদপুকুর হাট শাখার ম্যানেজার সাকিনুজ্জামান, ত্রিমোহনী শাখার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম ও আত্রাই শাখার ম্যানেজার নূরনবী মিলনসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক নওগাঁ, রাণীনগর, টি.টি.ডি.সি, আত্রাই, ত্রিমোহনী ও আবাদপুকুর শাখার মাধ্যমে ৫৭ জন পাতিচাষী ও মাদুর বুনন কারিগরদের মাঝে ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। 


আরও খবর



মোংলায় কবর থেকে উঠানো হলো মাহে আলম’র মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক:

অবশেষে বহুল আলোচিত মোংলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।২০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় মোংলার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে ৭ মাস ১০ দিন পরে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হবে।  গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে মরদেহটি সমাহিত হয়েছিলো। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৮ নভেম্বর বুধবার এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ্ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোংলা মোঃ হাবিবুর রহমান’র উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোন করা হবে। লাশ উত্তোলনকালে আরো উপস্থিত থাকবেন মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপংকর দাশ, মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্ম সামসুদ্দীন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমূখ। লাশটি উত্তোলন পূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছেন বাগেরহাটের আমলী আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,  হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের কাছে অজ্ঞাতনামা লাশটি হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে  নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ’গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ”ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৭ মাস ১০ দিন পরে আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় লাশটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন আদালত এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ ৭ মাস ১০ দিন পরে বাবার মরহে পেতে যাচ্ছি। সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি ও অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য’র সাথে জড়িত একটি মহল আমার বাবার খুন এবং লাশ গুম এর সাথে জড়িত বলে ধারনা করছি। আশা করছি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন।


আরও খবর



বাগেরহাট-৪, আসনে নৌকার মাঝি বদিউজ্জামান সোহাগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার মাঝি হলেন বংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগ। রোববার বিকেলে আনুষ্ঠানিক দলীয় ঘোষনার পরপরই মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থনকারীরা দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে নৌকায় ভোট চেয়ে আনন্দ উল্লাসে করে পরে দলীয় কার্যালয়ে নেতা কর্মীরা একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করেন।

এ আনন্দ মিছিলে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বারইখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান নাহার, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ওয়ালিউর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. ওবায়দুল ইসলাম টিটু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন রাজ্জাক,

এসএম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বায়েজিদ শিকদার, সাধারণ সম্পাদক নেয়ামুল ইসলাম নাইম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, বাগেরহাট-৪ আসনে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগকে দলীয়ভাবে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ডের সঠিক সিদ্বান্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা বলেন তরুণ সমাজের জয় হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার তরুনদের নেতৃত্বে এগিয়ে নিতে হবে দেশকে। আগামী ৭জানুয়ারী শুভদিন নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগকে বিজয়ী করার আহব্বান জানান। 


আরও খবর



জামালপুর-১ আসনে নুর মোহাম্মদ’কে নৌকা দেওয়ার দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে শিল্পপতি নুর মোহাম্মদ কে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ি,কাঠাঁরবিল ও ডাংধরা এলাকায় নুর মোহাম্মদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেন আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। নুর মোহাম্মদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সভা সমাবেশ করে নুর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছেন তারা। নেতাকর্মীরা বলেন,জননেতা নুর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ দানবীর হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ। তিনি আওয়ামীলীগের তৃনমূলের প্রাণ। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুর মোহাম্মদকে নৌকা দেয়া হলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও অনেক বেশি খুশি হবে। নৌকার জয় শতভাগ নিশ্চিত হবে। তাই নুর মোহাম্মদকে নৌকার দেয়ার জোর দাবি জানান বক্তারা। 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন,সদস্য আবদুল মজিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়া,আবদুস সাত্তার,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুজ্জামান প্রমূখ। এ সময় বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিটলার,নিলাক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার,মনিরুজ্জামান মনির,নজরুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়,জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ালীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি নূর মোহাম্মদ। তিনি দীর্ঘদিন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। গত প্রায় ৩০ বছর যাবত সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন এলাকায়। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই আসনে বেশ কয়েকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যৌথভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে তার নাম দুই নম্বরে থাকায় শেষ পর্যন্ত আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভাবে মাঠে কাজ করেন নুর মোহাম্মদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।  

দীর্ঘদিন ধরে দুই উপজেলায় সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছেন নূর মোহাম্মদ। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার দুই শতাধিক মসজিদে মাইক প্রদান,৩৫ হাজার পরিবারের মাঝে স্যানেটারি ল্যাট্টিন বিতরণ, ১ হাজার নলকুপ বিতরণ, ১ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ,১০ লাখ ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ,আড়াই হাজার মন ধানবীজ বিতরণ,করোনা মহামারিতে গরীব অসহায়দের মাঝে এক কোটি টাকা অনুদান, ৫ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে আর্থিক সহায়তা,১ হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান ও দুই হাজার মানুষকে বয়স্ক  ভাতা দিয়েছেন নুর মোহাম্মদ। যা এখনো চলমান আছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,এতিমখানা, মন্দির, গির্জা,মসজিদ, মাদ্রাসায় জমি দান,ভবন নির্মান করে দিয়েছেন তিনি। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত একটা অবস্থান রয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মূল্যায়ন করে নৌকা দিবে এমনটাই প্রত্যাশা তার কর্মী সমর্থকদের। 

মনোনয়ন প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ বলেন,দীর্ঘদিন যাবত দল,দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পূনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। মনোনয়ন পেলে সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করে এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। সেই সাথে নদী ভাঙন দুই উপজেলার মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করতে পারবো। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন,এই আসন নৌকার দূর্ভেদ্য ঘাটিঁ। যেহেতু সব কিছুরই পরিবর্তন আছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন হওয়াটা সময়ের দাবি। এই দাবি এখন তৃনমুলের। এ আসনে জনপ্রিয় মুখ জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদের বিকল্প নেই। দল তাকে এবার সঠিক মূল্যায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী। জননেতা নুর মোহাম্মদ নৌকা পেলে জয়ের বন্দরে পৌছঁতে আমাদের বেশি বেগ পেতে হবে না। কারন দুই উপজেলার সাধারণ জনগন নুর মোহাম্মদের সাথে আছে।


আরও খবর