Logo
শিরোনাম
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা বাড়ায় দূষিত পরিবেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার: আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আমাদের পৃথিবী, আমাদের স্বাস্থ্য’। দূষণে বিপর্যস্ত পরিবেশ শরীর আর মনের ওপর প্রভাব ফেলে। শরীরে নানা রোগ বাসা বাধে, মানসিক অস্থিরতা বাড়ে। সুস্থ শরীর আর সুস্থ মনের জন্য দরকার শুদ্ধ বাতাস, শুদ্ধ পরিবেশ। কেবল তাই নয়, বায়ু দূষণের সঙ্গে অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণজনিত নানা অসুখ-বিসুখের কারণে প্রতিবছর ২৮ শতাংশ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আর বিশ্বে ঠিক একই কারণে গড় মৃত্যু মাত্র ১৬ শতাংশ। সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পর চার বছর পার হয়েছে। সেই সময়ের চেয়ে দেশের বা ঢাকার বাতাস এখন আরও বেশি দূষিত।

বায়ু দূষণের পর শব্দ দূষণেও বিশ্বের শীর্ষে বাংলাদেশের নাম ওঠে এসেছে। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এই দূষণের মাত্রা অন্য শহরগুলোর তুলনায় বেশি। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ২০২২ সালের প্রতিবেদন জানিয়েছে, বিশ্বের ৬১ শহরের মধ্যে ঢাকায় শব্দদূষণ অন্য যে কোন শহরের চেয়ে বেশি।

আবার ‘ফ্রন্টিয়ারস ২০২২: নয়েজ, ব্লেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন বলছে, ঢাকায় শব্দের সর্বোচ্চ তীব্রতা ১১৯ ডেসিবল, যা এ প্রতিবেদনে আসা শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৯৯ সালের গাইডলাইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকার জন্য শব্দের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৫৫ ডেসিবল, বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবল। ২০১৮ সালের সর্বশেষ হালনাগাদ গাইডলাইনে সড়কে শব্দের তীব্রতা ৫৩ ডেসিবলের মধ্যে সীমিত রাখার সুপারিশ করা হয়। এই হিসাবে ঢাকার বাসিন্দাদের পথ চলতে গিয়ে জাতিসংঘের বেধে দেওয়া সীমার দ্বিগুণ মাত্রার শব্দের অত্যাচার সহ্য করতে হয়।

২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ইউএস এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১৯৫ স্কোর নিয়ে দূষণের মাত্রায় ঢাকার অবস্থান ছিল চতুর্থ। এরপরের বছরে ঢাকার অবস্থান হয় তৃতীয়। বাতাসে দৃশ্যমান দূষিত পদার্থের ওপর ভিত্তি করে ঢাকার স্কোর দাড়ায় ১৬৩। এতে ঢাকার বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর শ্রেণীতে ফেলা হয়। ২০২০ সালে বায়ু দূষণের তালিকায় ঢাকা চলে আসে প্রথম স্থানে।

২০২০ সালে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পরিমাপকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ীও দূষণের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ।

সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণা বা পিএম-২.৫ এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ছিল ৭৭ দশমিক ১। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেধে দেওয়া সীমার চেয়ে এটি সাত গুণ বেশি। এই সংস্থার ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বায়ুতে এই কণার উপস্থিতি ছিল আরও বেশি। বছরজুড়ে গড়ে তা ছিল ৮৩ দশমিক ৩০। আর ২০১৮ সালে ছিল ৯৭ দশমিক ১০।

২০২১ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের যৌথভাবে করা এক গবেষণা জানায়, ২০২০ সালে বাংলাদেশের বাতাসে গড় ধূলিকণার পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৭.১ মাইক্রোগ্রাম। যা পরিবেশ অধিদফতরের আদর্শ মানের সাড়ে ৫ গুণ বেশি। এরমধ্যে ঢাকার ৭০টি স্থানের দূষণ গবেষণা করে দেখা যায়, পরিবেশ অধিদফতরের বায়ুদূষণের মাত্রা আদর্শ মানের চেয়ে বাতাস ৫.২ গুণ বেশি দূষিত।

চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শীর্ষে চলে আসে বাংলাদেশের নাম। বিশ্বের ৬ হাজার ৪৭৫টি শহরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাংলাদেশের বাতাস।

চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাস্থ্য হচ্ছে শারীরিক-মানসিক এবং সামাজিকভাবে ভালো থাকা। কিন্তু এসবই বিঘ্নিত হয় দূষণের কারণে। তার মধ্যে—অন্যতম বায়ুদূষণ এবং শব্দ দূষণ। তাই শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভালো থাকতে হলে এসব দূষণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

এবারে স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য—আমাদের পৃথিবী, আমাদের স্বাস্থ্য। আর সেখানে মূল বায়ুদূষণ, সঙ্গে রয়েছে অন্য দূষণগুলোও—জানিয়ে প্রিভেনটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্রে প্রভাব পরে। সর্দি কাশি, হাঁচি, শ্বাসতন্ত্রের অ্যালার্জি, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, লাং ক্যান্সারের মতো রোগ হয়।

এর বাইরে ক্ষুদ্র বস্তুকণা রক্তস্রোতের মাধ্যমে পুরো শরীরে প্রবাহিত হয় এবং সেটা লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা একসময় লিভার বিকলের কারণ হয়ে যায়, জানান তিনি।

ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, দূষিত বাতাসে যেসব রাসায়নিক পদার্থ থাকে সেগুলো শরীরের ক্রিয়া-বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। যেহেতু দূষিত বায়ুর কারণে দেহের কোষ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা তৈরি হয়।

আবার শব্দদূষণের কারণে শ্রবণেন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে শহরে বসবাস করা একটি জনগোষ্ঠীকে মৃদু বধিরতায় ভুগতে দেখা যাচ্ছে, এবং এ সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, শব্দ দূষণ মস্তিষ্ককে বিরক্ত করে। ফলে হৃদস্পন্দন-উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়, মেজাজ খারাপ হয়। আবার মন-মেজাজ খারাপ হবার কারণেও উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। মানুষের মনো-সংযোগ ক্ষমতা কমে ক্রমান্বয়ে নষ্ট হয়ে যায়।

বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ যে কোনও দূষণ একদম প্রত্যক্ষভাবে স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত এবং এর প্রভাব ক্ষণস্থায়ী নয়, দীর্ঘমেয়াদি বলে জানান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

শব্দ দূষণ মানুষকে বিক্ষিপ্ত করে, খিটখিটে মেজাজ করে দেয়। যার কারণে আমাদের আচরণ পরিবর্তন হয়-তাই এর সঙ্গে অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে।


আরও খবর



গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে গম সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গেল ২০২৩ সালে সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সেই সময়ে এক কেজিও গম সংগৃহীত হয়নি। ফলে গমের বাজার এখন প্রায় পুরোটায় আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটার দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেলেও দেশের বাজারে এই দুটি পণ্যের দাম এখনও চড়া রয়েছে।


কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অন্য দিকে বেসরকারি পর্যায়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম।


জানা গেছে, বর্তমানে দেশে গমের চাহিদা রয়েছে ৮৫-৮৬ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রতি বছর গম উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন এবং সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গম আমদানি হচ্ছে ৭৪-৭৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশের উৎপাদন দিয়ে বড় জোড় ১০ শতাংশ চাহিদা মিটছে।
সূত্র জানায়, দেশে গমের উৎপাদন আগের তুলনায় কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি বছর একটু একটু করে গমের উৎপাদন বাড়ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে ১১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গমের সরকারি মজুদ হচ্ছে ৩ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিকূল বাজার মূল্যের কারণে গত বছর (২০২৩ সাল) সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ অভিযানে ১ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো গম সংগৃহীত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, আমদানি নির্ভরতা বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার মূল্য অধিকাংশ সময়ে ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা প্রতি কেজি গমের দাম ছিল ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা এবং খোলা আটার দাম ছিল ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। চলতি বছরের (২০২৪ সাল) গত মার্চে এর দাম ছিল যথাক্রমে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ৪২ টাকা ৮৯ পয়সা।


খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত গমের আন্তর্জাতিক বাজার দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ (মার্চ ২০২০-মার্চ ২০২৪) বছরের মধ্যে গমের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২২ সালের মার্চে। ওই সময় প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য ছিল- ইউএসএ লাল নরম ৪২৫ ডলার, ইউক্রেনের গম ৪৩৮ ডলার, রাশিয়ার গম ৪১০ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ৪০৮ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ৩৯৩ ডলার। ওই সময়ে দেশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গম ও খোলা আটার দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৩৪ টাকা ৮৫ পয়সা।


বর্তমানে (২০২৪ সালের মার্চের হিসাবে) প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য হচ্ছে- ইউএসএ লাল নরম ২৩২ ডলার, ইউক্রেনের গম ১৯৭ ডলার, রাশিয়ার গম ২০৪ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ২২২ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ২৫০ ডলার। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অনেক কম হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার দাম ২০২২ সালের তুলনায় বেশি।


জানা যায়, স্বাধীনতার আগে দেশে গম উৎপাদিত হতো ১ লাখ মেট্রিক টনের মতো। স্বাধীনতার পর এক দশকে বেড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন হয়। গত ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনে রেকর্ড হয়, ওই সময় গম উৎপাদিত হয়েছিল ১৯ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এরপর আর গমে উৎপাদন সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



সবজির বাজার গরম, কাঁচা মরিচের দামে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image


 ডিজিটাল রিপোর্ট:


দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে সরবারহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।


 সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সবজির। বিশেষ করে কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে।


শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ-মাংস।


আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা। পেঁপে ৮০-৯০ টাকা, বেগুনও ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও মান ও জাতভেদে পটল ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


স্থান ও মানভেদে কাঁচামরিচ ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা হালি।


বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা এবং আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে এ সপ্তাহে। প্রতি কেজি স্থানভেদে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কম ছিল। 


এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।


মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আকার ও মানভেদে অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। চাষের কই ২৫০ টাকার নিচে মিলছে না। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দেশি শোল মাছ প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।


আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৩০০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।




আরও খবর



আলোকিত সেরা নারীর সম্মাননা পেলেন মাধবদীর আমেনা বেগম জোৎস্না

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নরসিংদীর প্রতিনিধি : নারী উদ্যোক্তা ও সমাজ সেবায়ক বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

মাধবদী পৌরসভার ১-২-৩ নং  ওয়ার্ডের ৪ বার নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর আমেনা বেগম জোসনা দীর্ঘদিন যাবত সমাজ সেবায় নিজ স্বর্গ করে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে তাছাড়া প্রত্যাশা ট্রেডার্স এর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন অপরদিকে অবহেলিত নারীদের নিয়ে কাজ করেছেন তাদেরকে স্বাবলম্বী করতেও ক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং রাজনীতি অঙ্গন রেখেছে বিশেষ ভূমিকা তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের মাধবদী শহর শাখা  সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব রত রয়েছেন। 

শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে গত ৮ মার্চ  বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে সেরা নারী উদ্যোক্তা ২০২৪ নির্বাচিত হন।

উপলক্ষে আয়োজিত সম্মাননা প্রধান অনুষ্ঠানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় । উক্ত সংস্থাটির প্রতিনিধির মাধ্যমে তার কাছে  সম্মাননা স্বরূপ সনদ প্রধান ও ক্রেস্ট  পৌঁছে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে তিনি জানান আমি নারী ও সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং যাব আমি মনে করি এটা আমার দায়িত্ব প্রত্যেক নারী স্বাবলম্বী হবে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এটাই আমার উদ্দেশ্য কি পেলাম কি পাব এটা কখনো ভাবি নি তবে এই সম্মাননা আমাকে আর উৎসাহিত করেছে উক্ত সংস্থাটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।


আরও খবর



দাবদাহে ‘কপাল পোড়ার’ শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠেও

কৃষকরা বলছেন, তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠের ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও মিলছে না গভীর নলকূপে। এতেকরে একদিকে ফলন কমে যাবার আশঙ্কা অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা

অতিরিক্ত তাপে রাজশাহী, রংপুর খুলনা অঞ্চলের বেশিরভাগ ক্ষেতে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন জমিতে পানি দিতে হিমসীম খেয়ে যাচ্ছে কৃষক। তাদের মনে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে এমন রোদ আর গরমে যেন ধান নষ্ট হয়ে না যায়

রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের ভিওত পানি ধরে থোয়া যাচ্ছেনা। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা(ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে(দিতে পারছে) এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের(ক্ষেত) সবজি রোদে-পুড়ে মরে যাচ্ছে।

তাপে পোড়ার শঙ্কা, সেচে বাড়তি খরচ ফলন কমার আশঙ্কা :

চলতি মৌসুমে সারাদেশে তীব্র তাপাদহের কারণে ধান ছাড়া বাকি সফলী জমি খেত ফেটে চৌচির। রোদে পুড়ছে রোপণ করা বোরো ধান। দিতে হচ্ছে বাড়তি সেচ। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছে, এই তাপদাহে ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় দ্বিগুন বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে

রংপুরের পীরগঞ্জের শরীফ নেওয়াজ গভীর নলকূপ দিয়ে নিজের জমিতে পানি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যর জমিতেও পানি বিক্রি করনে। তিনি সংবাদকে বলেন,আমার মোটর ২৪ ঘন্টা চলে। গতবছর এই সময়ে দুইদিন পর পর একটা জমিতে পানি দিতে হতো। এবার দিতে হচ্ছে একদিন পর পর। এতে আমার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

ওই উপজেলার চতরা এলাকার কৃষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। বছর ধান পাতান (চিটা) হওয়ার আশঙ্কা করছি।

তিনি আরো বলেন, সার, বীজ, তেল শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই প্রতিমণ ধান উৎপাদন খরচ বাড়ছে এখন বাড়তি সেচও দেওয়ার কারণে খরচ আরো বেড়ে গেল।

ময়মনসিংহের কৃষি উদ্যোক্তা . আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে চাইলেও সেই পানির প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ধানের ফুল পলিনেশন করতে পারছে না, অনেক ফুল ঝরে যাচ্ছে। একারণে ধান চাষে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আম, লটকন, মাল্টা, অ্যাভাকাডার মতো গাছের গুটি ঝরে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার যে ফলের বাগান আছে সে বাগান থেকে বৃষ্টির অভাবে গাছ পুষ্টি না পাওার কারণে ফল ফুল ঝরে পড়ছে, যখন বৃষ্টি হবে তখন গাছ পরিপুষ্ট হতে আরো ১৫ দিন সময় নিবে কিন্ত মাঝে যে সময় গেল সেটা তো ফিরে পাওয়া সম্ভবনা। এছাড়া, ক্ষেতে যে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করে তারাও তো তাড়াতাড়ি হাপিয়ে ওঠে এতো আমার শ্রমের অপচয় হচ্ছে।

সার্বিকভাবে বলা চলে, বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই চলে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি

তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম পানি উঠছে পাম্পগুলোতে। আবার দীর্ঘক্ষণ চালানোর কারণে বিল ঠিকই বাড়ছে, কিন্তু ওই পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ শোষণ করতে পারছে না। সব মিলিয়ে কৃষকদের একটা বাজে অবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন:

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক . মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। এখন ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পেরেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর উপরে যদি তাপমাত্রা উঠে এবং এসময় যদি ফুল ফোটে সেগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

তবে, তিনি ধানের দুইটা বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। যেমন; হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সেখানে এখন যেমন রোদ আছে সেই রোদটা খুবই দরকার। আবার কোন কোন অঞ্চল আছে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে আমরা যে আশঙ্কায় আছি- ফুল ফোটা পর্যায়ে যদি টেম্পারেচার বেশি থাকে তবে ধানের চিটা হয়ে যেতে পারে। এমন একটা আশঙ্কার মধ্যে আছি।

বিশেষ করে যেসব এলাকার তাপমাত্রা খুব বেশি সেসব এলাকার ধান নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশী থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

যেসব এলাকায় ধান পেকে গেছে সেসব এলাকায় আমরা ধান তাড়াতাড়ি কেটে ফেলার পরমর্শও তার

কৃষিতে বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় লিফলেট অ্যাপসের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি সংবাদকে বলেন, যেসব এলাকায় ধান দেরিতে আসে সেসব এলাকায় আমরা বলেছি, ধানের গোড়ায় যেন পানি থাকে, সেই পানিটা যেন ধান গাছের শিকড় সহজে টানতে পারে


আরও খবর



হজবিধি ভাঙলেই কঠিন শাস্তি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, ২-২০ জুন অনুমোদন ছাড়া কেউ যদি হজের বিধি এবং নির্দেশনা লঙ্ঘন করে, তবে তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, ওই সময়ে সৌদি আরবের নাগরিক, অধিবাসী ও পর্যটকেরা যদি অনুমোদন ছাড়া মক্কা, গ্র্যান্ড মসজিদের আশপাশে, হজের স্থানগুলোতে, আল-রুসাফা হারামাইন স্টেশন, সিকিউরিটি কন্ট্রোল সেন্টার, বাছাই কেন্দ্র, সাময়িক নিরাপত্তা কেন্দ্রে নিয়ম ভাঙলে তার ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (২,৬৬৬ ডলার) জরিমানা হবে।

সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, কোনো বিদেশী নাগরিক আইন ভঙ্গ করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে এবং তাকে আর কখনো সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লঙ্ঘনকারীকে প্রতিবার ১০ হাজার সৌদি রিয়াল করে জরিমানা করা হবে। হাজযাত্রীরা যাতে সহজে, নিরাপত্তায় ও সুরক্ষায় হজের নিয়ম-কানুন পালন করতে পারে, তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

আরো বলা হয়েছে, কেউ যদি লঙ্ঘনকারীকে পরিবহন করার সময় ধরা পড়ে, তবে তাকে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে।

এছাড়া ওই গাড়িটি জব্দ করা হবে, লঙ্ঘনকারী যদি প্রবাসী হয়, তবে সাজা ভোগের পর তাকে তার দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে। আর যত লোককে অবৈধভাবে পরিবহন করা হচ্ছিল, তার আলোকে জরিমানা বাড়ানো হবে।


আরও খবর