Logo
শিরোনাম

শিক্ষকের আচরণ ও ছাত্রছাত্রীর করণীয়

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

. মেহেতাব খানম , অধ্যাপক, মনোবিজ্ঞান বিভাগঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিটি মানুষের হাতেখড়ির মতো ভদ্রতা সৌজন্যবোধ শিক্ষা পরিবার থেকেই হয়ে থাকে। তাই শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীর আচার-ব্যবহার কেমন হবে তা অবশ্যই বোধগম্য যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে ছাত্রছাত্রী শিক্ষকের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে কেবল ছাত্রছাত্রীর আচরণই প্রাধান্য পাবে এমনটা নয়, বরং শিক্ষকের আচরণও অনেক বেশি প্রাধান্য পাবে। কারণ ছাত্রছাত্রী যখন শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, তখন বুঝতে হবে শিক্ষক তাঁর আচার-ব্যবহার, ব্যক্তিত্ব দ্বারা ছাত্রছাত্রীকে প্রভাবিত করতে পারেননি। তাই ছাত্রছাত্রী শিক্ষকের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে উভয়েরই করণীয় রয়েছে শিক্ষকের আচরণ

হছাত্রছাত্রীদের প্রতি শিক্ষকের অবশ্যই স্নেহ ভালোবাসা থাকতে হবে।
হছাত্রছাত্রীদের খারাপ ব্যবহারে শিক্ষক রাগ না করে তাঁকে বুঝতে হবে কেন ছাত্রছাত্রীরা খারাপ ব্যবহার করছে?
হশিক্ষক তাঁর ব্যবহার দ্বারা, ব্যক্তিত্ব দ্বারা ছাত্রছাত্রীকে প্রভাবিত করবেন। কেন শিক্ষক যথাযোগ্য সম্মান মর্যাদা পাচ্ছেন না, তার কারণ খুঁজে সমাধান বের করতে হবে।
হকোনো ছাত্র যত বেশি খারাপ ব্যবহার করবে, শিক্ষক তার সঙ্গে তত বেশি ভালো ব্যবহার করে তার মন জয় করে নেবেন।
হছাত্রছাত্রীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। কোনো ছাত্রকে বেশি ভালোবাসা আবার কোনো ছাত্রকে দেখতে না পারা চলবে না। তাহলে শিক্ষক ছাত্রছাত্রীর আচরণের মধ্যে পক্ষপাতিত্ব দেখা দেবে। সব ছাত্রছাত্রীকে সমান ভালোবাসার নজরে দেখতে হবে।
হকোনো ছাত্রকে বেশি নম্বর দেওয়া আবার কোনো ছাত্রকে কম নম্বর দেওয়া চলবে না। এতে শিক্ষকের প্রতি সম্মান কমে যাবে। পাঠদানে সব ছাত্রছাত্রীর প্রতি সমান সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করতে হবে। পরীক্ষার নম্বরের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব না করে যার যে নম্বর প্রাপ্য তাকে সে নম্বর দিতে হবে।
হক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র বা ছাত্রীর প্রতি অবহেলা করা বা তাকে লজ্জা দেওয়া যাবে না। বরং তার প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারণ তার ব্যর্থতা মানে শিক্ষকের নিজের ব্যর্থতা

ছাত্রছাত্রীর করণীয়
হছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই শিক্ষকের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান দেখাতে হবে।
হকখনোই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষকের সঙ্গে রাজনীতির প্রভাব দেখানো উচিত নয়।
হচালচলন, আচার-ব্যবহার, পোশাক-পরিচ্ছদ সব কিছুই শিক্ষকের সামনে শালীন হতে হবে।
হশিক্ষকের প্রতি সম্মান দেখানোর সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে শিক্ষকের কাজ সঠিক সুন্দরভাবে করা, তাহলেই শিক্ষক সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।
হশিক্ষকের সঙ্গে কখনোই বন্ধুত্বমূলক আচরণ করা যাবে না। কারণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষককে অবান্তর প্রশ্ন করা বেয়াদবি করার শামিল। শিক্ষক ছাত্রছাত্রীর কাছে সবচেয়ে বেশি আশা করেন ভদ্রতা নম্রতা।
হছাত্রছাত্রী যদি কোনো শিক্ষককে ব্যক্তিগতভাবে বেশি পছন্দ করে, তবে সেই ছাত্র বা ছাত্রী তা শিক্ষকের কাছে প্রকাশ করবে। কিন্তু শিক্ষককে বিরক্ত করবে না। যেমন_অযথা শিক্ষকের রুমের পাশে ঘোরাফেরা করা, দেখলেই কথা বলতে চাওয়া, ফোন দিয়ে বিরক্ত করা, শিক্ষক ব্যস্ত থাকলে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাওয়া, শিক্ষককে গিফট দেওয়া, খাওয়া অফার করা ইত্যাদি। ছাত্রছাত্রী অবশ্যই দিতে পারে এমন কোনো গিফট শিক্ষক নিতে পারেন। তবে দামি বা অবান্তর কোনো গিফট দিতে শিক্ষক ছাত্রছাত্রীকে প্রশ্রয় দেবেন না


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মত শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। 

আজ ২৫ শে মার্চ (সোমবার) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদকে সভাপতি এবং সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাকসুদুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।


মাভাবিপ্রবি শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র সংগঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টামণ্ডলীর সর্বসম্মতিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উপদেষ্টা হিসাবে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সাহা, এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়, সিপিএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, মো: আওরঙ্গজেব আকন্দ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিম, সহকারী রেজিস্ট্রার আজাদ খান ভাসানী।


সংগঠনের বাকি সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান সাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোছা. সুখী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক চৌধুরী, মো. আশরাফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান রাব্বি, আশরাফুল আলম হৃদয়, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল মিয়া, উপ-কোষাধ্যক্ষ 

মো. সজিব শেখ, দপ্তর সম্পাদক এস. এম. জাহিদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সমাপ্তী খান, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. হৃদয় হোসাইন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান ভূঁইয়া, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবিদ ফেরদৌস মিয়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নাইস আক্তার সারা, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকমিজানুর রহমান ইমন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শুভ, কার্যনির্বাহী সদস্য, তুষার আহমেদ,অনিক ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান রাকিব, ইসরাত জাহান এ্যাথি, ইসরাত জাহান ঈশা, সাদিয়া জান্নাত, সিদ্দিক আল ছোয়াদ, মো. নাঈম ইসলাম, নুসরাত জাহান অর্পি, তাসনিম খান অয়োমী, সিফাত,নাসিমুল হাসনাত চৌধুরী আকিব, আমজাদ হোসেন, জিসান রহমান, ফারিয়া আক্তার, মো. ইমরান হোসেন, নোমান হাসান।


সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি তৌকির আহমেদ বলেন, "আজ শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি এর নির্বাহী কমিটি (২০২৪-২৫) এর যাত্রা শুরু হলো। এ কমিটি করার পিছনে আমাদের সম্মানিত উপদেষ্টা স্যারদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ আমাদের সংগঠনের উদ্ধোধনী যাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রথম কমিটি আহ্বায়ক কমিটি করে যাত্রা শুরু করেছিলাম। বর্তমানে সংগঠনের পূর্ণ রূপ দিতে এবং নতুন নেতৃত্ব বের করে আনার জন্য এই নির্বাহী কমিটির প্রয়োজন। আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা করা। সকলের মাঝে ইতিহাসে ঘটে যাওয়া শহিদদের ঘটনা নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষণ ও সঠিক তথ্য প্রচার করা। সত্যনিষ্ঠ গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাসের জ্ঞান বিস্তার করা। ইতিহাস ও সংগ্রামের শিক্ষাকে আধুনিক সমাজে স্থান দেয়া। আমি চাই, এ সংগঠন আজকের পর থেকে এভাবে ধারাবাহিকভাবে ধারা অব্যাহত রাখুক। সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধির চর্চায় এগিয়ে যাক।"

প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদুল হাসান বলেন, "জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সত্যকে জানা এবং সত্যকে জানানোই আমাদের লক্ষ্য। এর দ্বারা সবার মাঝে যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করবে তা ভবিষ্যৎ সংগ্রামের জন্য উৎসাহ যোগাবে ইন শাহ আল্লাহ।

প্রসঙ্গত জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম” এই মূলনীতিকে সামনে রেখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে “শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি”র অফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয়েছে।"


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২০২৫-২৬ মেয়াদে প্রায় ১শ’ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।জেনেভায় অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে জয়েন্ট রেসপন্স প্যান (জেআরপি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘ জানায়, ১০০টির বেশি অংশীদারের সঙ্গে প্রস্তুত করা এ প্ল্যানে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়সহ ১৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এদিকে এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার সকালে জেআরপি প্রকাশনা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

২০১৭ সাল থেকে এক বছরমেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদের জন্য জেআরপির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন (প্রায় ৯৪ কোটি) ডলার সহায়তার প্রস্তাব শুধু ২০২৫ সালের জন্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অষ্টম বছরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনার বাইরে। যদিও তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন এখনো রয়ে গেছে।

এতে জোর দিয়ে বলা হয়, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি বা তহবিলের ঘাটতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক তৃতীয়াংশের বয়স ১০-২৪ বছর। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, পর্যাপ্ত দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার সুযোগ না পেলে তাদের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাপূর্ণ।

যতক্ষণ না মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হয় এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুকূল না হয়, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী জরুরি সহায়তা তহবিল অব্যাহত রাখতে হবে, বলা হয় বিবৃতিতে।

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর উপকারভোগীরা কারা

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।

পরোক্ষভাবে, জেআরপি অংশীদাররা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে থাকবে। ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মূলত দেশীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়, যেখানে সম্ভব হলে কক্সবাজার ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হয়।

এ ছাড়া, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো স্থানীয় অংশীদার নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়করণকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও আশপাশের উপজেলাগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশ জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি। আজ সোমবার সচিবালয়ে সচিবালয়ে অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এসওপি সই শেষে করা এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এসওপি করেন আইজিপি বাহারুল আলম ও অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াইট চার্চ। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ঈদের সময়ের আইনশৃঙ্খলা আশা করি স্বাভাবিক থাকবে। জরুরি অবস্থা নিয়ে যা ছড়ানো হচ্ছে, এটা গুজব। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

নাসিমুল গনি বলেন, ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে দালালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধ পথে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এসওপি স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারটা বাংলাদেশের বাইরে ছিল। বাংলাদেশিদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রসেস এতদিন নয়াদিল্লি থেকে হয়ে আসছিল। তারা এই মাসের শেষ থেকে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করবে। ঈদের পরপরই হয়তো চালু হয়ে যাবে।


আরও খবর



দাম কমেছে সব ধরনের ইন্টারনেট

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শতাংশ দাম কমছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের। শনিবার কোম্পানির বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দুই ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর খরচ কমে আসবে। ২৩ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ যেন সাশ্রয়ে ইন্টারনেট পায় সেজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে মূল্য কমানো তার মধ্যে অন্যতম। এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক গেটওয়ে লেভেলে সব ব্যান্ডউইথের জন্য দাম ১০ শতাংশ কমে আসবে।

এছাড়া ব্যাকবন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম সুবিধা দেওয়ার কথা হচ্ছে। যার ফলে ট্রান্সমিশন বাবদ টেলিকম কোম্পানিগুলোর খরচ ৩৯ শতাংশ কমে যাবে, যোগ করেন আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই ৬ এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।


আরও খবর

ল্যাপটপের যত্ন নিবেন যেভাবে

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫




বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

চৈত্রের মাঝামাঝি এসে ঢাকাসহ ৮ জেলার ওপর দিয়ে হালকা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলামের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

অন্যদিকে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অন্যদিকে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর