Logo
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে গোয়াল ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image
অদিত্য রাসেলঃ সিরাজগঞ্জে গোয়াল ঘর থেকে বুলবুলি খাতুন (৪০) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

নিহত বুলবুলি খাতুন সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউপির ফুলবাড়ী চরের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের মৃত ওয়াজেদ আলীর মেয়ে।

সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, আজ সকালে সয়দাবাদ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী চরে সাইফুল ইসলামের গোয়াল ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খরব দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এখনো মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে কারণ জানা যাবে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। 



আরও খবর



আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ডলার ছাড় পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মে মাসের শেষ নাগাদ কিংবা আগামী জুন মাসের শুরুর দিকে এই অর্থ ছাড়ের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুন নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ও কর রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা কমাতেও সম্মত হয়েছে প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা সফরে এসে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ।

এসব বৈঠকের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৭ মে) অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সার্বিকভবে পর্যালোচনামূলক বৈঠকে তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আশ্বাসের পাশাপাশি ঐকমত্যের ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ এবং সংশোধিত শর্ত সংযুক্ত করে চূড়ান্ত করা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে।

আজ বুধবার (৮ মে) অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খানের সঙ্গে প্রতিনিধি দল সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করবে। পাশাপাশি সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা ছাড়বে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় পরিচালনা পর্ষদের সভায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের চূড়ান্ত অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ডিসেম্বর নাগাদ শর্ত পরিপালনের ভিত্তিতে ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে নির্ধারিত পরিমাণগত ও কাঠামোগত ১০টি শর্তের মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া ৯টি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কমিয়ে ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়।

তার পরও বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫৮ মিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল। এ শর্ত পূরণ না হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতি চাইতে হলেও তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য তা বাধা হচ্ছে না।

দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত জুন পর্যন্ত রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। তখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। জুন শেষে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন। এ ছাড়া তখন রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। এর পর দ্বিতীয় কিস্তির আগে আসা মিশনকে এসব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পেছনে যৌক্তিকতা বোঝাতে সমর্থ হওয়ায় দ্বিতীয় কিস্তি পায় বাংলাদেশ।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় হবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ।


আরও খবর



বাইডেনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল জাপান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলেও দাবি করেন বাইডেন।

মূলত চীন, রাশিয়ার সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক আখ্যা দেন জো বাইডেন। জেনোফোবিক অর্থ হলো বিদেশি বা অভিবাসীদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব। তবে বাইডেনের এই মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক ও ভুল বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে জাপান।

এক বিবৃতিতে টোকিও জানিয়েছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক, কারণ মন্তব্যটি জাপানের নীতি যথাযথভাবে না জেনেই করা হয়েছে।

জাপান সরকার এরই মধ্যে হোয়াইট হাউজে এই বার্তা পাঠিয়েছে ও নীতি-অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নীতি একটি বড় ইস্যু। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে যেখানে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনপন্থি।

বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটকে অলঙ্ঘনীয় বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।


আরও খবর



নওগাঁয় নিরাপদ সড়কের দাবীতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে সড়কে এক শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে চলমান এই তীব্র রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থী। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘন্টাব্যাপি শহরের তাজের মোড় ও ব্রীজের মোড় সড়কে চোখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান করে ঐ শিক্ষার্থী। সে নওগাঁ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।

এসময় শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার হাতে থাকা পোষ্টারে লিখা ছিল “সড়কে নিরাপত্তা চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই, দূর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ চাই”। এসময় স্থানীয় পথচারীরা এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

পথচারী জুলফিকার রহমান বলেন, আমরা সড়কে কেউ নিরাপদ নই। বাসা থেকে বের হলে সুস্থ্যভাবে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। এক ছোট্ট শিশু শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগ সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবারই উচিত নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার হওয়া।

নিগার সুলতানা ও তানহা খাতুন নামের আরো দুই পথচারী বলেন, তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাচ্চাটির এমন প্রতিবাদ ও দাবী খুবই যোক্তিক। আমরা তার দাবীকে সমর্থন করছি। তাকে দেখে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। প্রতিদিনই সড়কে তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবীতে সবাই এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া জানায়, প্রতিদিন টিভি, পত্রিকাতে দেখি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর। রাস্তায় বের হলে বা স্কুলে যাওয়ার পথে আবার বাড়িতে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। প্রতিদিন এত মৃত্যুর খবর দেখে খুবই কষ্ট পাই, ভয়ও লাগে। বেশ কয়েকদিন আগে নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় বাবা-মা। আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু। এখন ভাবুন সেই শিশুটির এখন কি হবে। সারা জীবনের জন্য শিশুটি বাবা-মার আদর-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে গেল। আমি চাই নিরাপদ সড়ক। নিরাপদে সড়কে চলাফেরা করতে চাই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার বাবা সঙ্গীত শিল্পী খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, গত ১৮ এপ্রিল সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান মারা যায় সড়ক দূর্ঘটনায়। পাগল হাসান আমার সহকর্মী ও বন্ধু ছিলো। এর আগে ১৭ এপ্রিল নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় এনামুল হক ও বৃষ্টি আক্তার নামের দম্পত্তি আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছরের শিশু জুনাইদ ইসলাম। এই ঘটনাগুলো আমার মেয়ের মনে মারাত্মকভাবে দাগ কেটে যায়। আমার মেয়েটি এত মৃত্যুর খবর প্রতিদিন শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না। যার কারণেই সে বলেছে, আব্বু আমি নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে চাই। মেয়ের এই মহৎ ও যৌক্তিক চাওয়াকে না বলতে পারিনি। যার কারণে তাকে পুরো সমর্থন জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আজ আমার ছোট্ট মেয়েটা একাই যেভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরাপদ সড়কের দাবি করছে ঠিক সেভাবে দেশের সবাই যদি এমন করে সচেতন হতো ও দাবিগুলো তুলে ধরতো তবে, প্রতিদিন এমন প্রাণহানির মত ঘটনা অনেকটাই কমিয়ে আসতো। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, সবাই যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে সেই উদ্যোগের বাস্তবায়ন চাই। আর তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগন, যানবাহন চালক ও মালিকদের একসাথে কাজ করার আহব্বান জানাচ্ছি। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি এ এস এম রায়হান আলম বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবীতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি যানবাহন চালক ও মালিকদের সচেতনও করছি। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার এমন উদ্যোগ আমাদের মুগ্ধ করেছে। এমন দাবী ও সচেতনতাবোধ যদি সবার মাঝে জাগ্রত হতো তবে সড়ক দূর্ঘটনা অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা সম্বব হতো। তার এমন উদ্যোগ ও দাবীকে সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়।

আজ বিকেলে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়েম ইমরানের উপস্থিতে বিমানবন্দর থানার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম মৃতদেহগুলোর আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু ওই দেশে ইতিপূর্বে তাদের ময়নাতদন্ত হয়েছে তাই নতুন করে আর করা হয়নি।

মৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী (২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ (২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব (১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫) গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪) একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। আপনারা জানেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। মাননীয় পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে উপস্থিত আছেন। সবার মতামতে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পূর্ব নির্ধারিত ফরেনসিক চিকিৎসক প্রভাষক ডা. ফাহমিদা হকসহ আমরা তিনজন, ডেড বডিগুলোর আলামত দেখলাম।

দেশের বাইরে যে পোস্টমোর্টেম হয়েছে তা দেখলাম, সেখানে কোনোরকম কোনো প্রবলেম আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এখানে যাদের গার্ডিয়ান আছে, ম্যাজিট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে, মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করি।

তিনি আরো বলেন, এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- যুবরাজ ও কামাল।

তাদেরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যে সব তথ্যাবলি পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্র, এদের সাথে যাদের কানেক্টিভিটি আছে দেশে এবং দেশের বাইরে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনিটরিং করছেন বলেও জানান তিনি। এর সাথে যারই কানেক্টিভিটি পাব বা থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, জাককানইবি প্রতিনিধি :

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ কর্মসূচী করেছে জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ মে) বেলা ১২ টায় অগ্নীবিণা হলের সামনে থেকে জাতীয় ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাতে নিয়ে বিশাল র‍্যালি বের করা হয়।

সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত পদযাত্রায় ছাত্রলীগের অন্যান্য  নেতাকর্মী  স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়। দলীয় নেতাকর্মী ছারাও কর্মসূচীতে অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও অন্যান্য সমর্থকরা। পদযাত্রাটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে অগ্নীবিণা হলের সামনে ছাত্র সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন স্লোগানও দেন সমর্থকরা। 

ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার বলেন, "ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে কবি নজরুল শাখা ছাত্রলীগ। ফিলিস্তিনের নারী পুরুষ এবং অবুঝ শিশুদের প্রতি যে জঘন্য নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, আমরা এর প্রতি তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই। এই সমাবেশ থেকে  ফিলিস্তিনিদের প্রতি জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।"

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ষোষণার অংশ হিসেবে সারাদেশে একযোগে  ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিতে এই পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করা হয়।


আরও খবর