Logo
শিরোনাম

প্রতিটি মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে কাজ করছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সকল দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে আমার বাড়ি, আমার খামার, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।

 

তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা তাদের সরঞ্জাম এবং আর্থিক অনুদান পাওয়ার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক, নির্বাচন হবে : তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

অন্তর্র্বতী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন আগামি ডিসেম্বর থেকে জুন ২০২৬ এর মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কিভাবে হবে তার ওপর নির্ভর করবে৷ এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভিতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছুও নেই, যে কবে নির্বাচন হবে? নির্বাচন দিবে কি, দেবে না? অবশ্যই নির্বাচন হবে। ডিসেম্বর অথবা জুন দুইটা টাইমলাইন আছে, এই টাইমলাইনের ভেতরেই হয়ে যাবে। এ কথার বাহিরে সরকার হয়তো যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক, নির্বাচন হবে।



বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামীয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর তার দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।



মাহফুজ আলম বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সরকার মনে করছে যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, আর দেশী-বিদেশী যারা আমাদের সহযোগী ও স্টোকহোল্ডার রয়েছে তাদের পরামর্শ ছাড়া সরকার একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করছি সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেবে।



এসময় মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহবায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ প্রমুখ। 


আরও খবর



বাংলাদেশের দর্শকের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের দর্শকের প্রতি আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। কথাগুলো বলছিলেন শাকিব খানের বরবাদ সিনেমার নায়িকা ওপার বাংলার ইধিকা পাল।

এই সিনেমার সাফল্যে তিনি অনেকটাই আবেগাপ্লুত। বললেন, প্রিয়তমায় কাজ করার অভিজ্ঞতাটা আসলে আলাদা। কারণ ওটা ছিল আমার প্রথম সিনেমা, খুবই আবেগের। যেহেতু প্রথম সিনেমা ছিল, তাই এই ভাবনাটা মাথায় রাখতে হয়েছে যে, খুব ভালো করতে হবে, যেন দর্শকের ভালোবাসাটা পাই। আমাকে ঘিরে দর্শকের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন ছুঁতে পারি- এমনটাই মাথায় কাজ করেছে বরবাদ-এ কাজের সময়। আর শাকিব খানের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় সিনেমা। এই জুটিকে দর্শক যে ভালোবাসা দিয়েছেন, বরবাদ-এ যেন সেই ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়, এমনটাও ভাবনায় ছিল। সব মিলিয়ে সিনেমা মুক্তির পর যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এটা বলতে পারি- যা প্রত্যাশা ছিল, তার সবই পূরণ হয়েছে।

২০২৩ সালের ২৯ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত হিমেল আশরাফ পরিচালিত এবং আরশাদ আদনান প্রযোজিত প্রিয়তমা সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় ইধিকা পালের। সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে বেশ সফলতার সঙ্গেই নিজের নামের আগে নায়িকা যুক্ত করতে পেরেছেন তিনি। প্রিয়তমা বাংলাদেশের সিনেমার, বিশেষত শাকিব খানের ক্যারিয়ারের ইউটার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এই সিনেমায় ঢালিউড সুপারস্টারের বিপরীতে অভিনয় করে প্রথম সিনেমা দিয়েই বাংলাদেশের দর্শকের মনে ইধিকা জায়গা করে নেন। প্রিয়তমার জনপ্রিয়তায়ই দুই বাংলার দর্শকের কাছে তিনি তারকায় পরিণত হন। এ ছাড়া গেল বছর কলকাতায় দেবের বিপরীতে মুক্তিপ্রাপ্ত খাদান সিনেমায় অভিনয় করেও আলোচনায় ছিলেন অভিনেত্রী।

ইধিকা জানান, এরই মধ্যে সোহমের বিপরীতে আকাশ মালাকারের বহুরূপ সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। এই মুহূর্তে রঘু ডাকাত সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত, যাতে তার বিপরীতে আছেন দেব। এটি নির্মাণ করছেন ধ্রুব ব্যানার্জি। আসছে দুর্গাপূজায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানান ইধিকা।


আরও খবর

আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন শাকিব খান

শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫




তুরস্কে এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উত্তাল তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

গত ১৯ মার্চ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তুরস্কের পুলিশ। এরপরই রাজধানী ইস্তানবুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৩ সালের পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন। সেবার বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জনসমাগমের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, শুক্রবার ইস্তানবুলে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমিরেও বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের কঠোর অবস্থানের তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই এরদোয়ানের শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ বলে অভিহিত করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

বিক্ষোভের কারণ কী?

সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। ফলে দেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ অভিবাসনের চিন্তা করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই অর্থনৈতিক দুরবস্থাই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

২০২৩ সালে পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ সুযোগ পেলে তুরস্ক ছাড়তে চান।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ঠিকভাবে কার্যকর নেই। অন্যদিকে, ইমামোলুর বক্তব্যে তারা আশার আলো দেখছেন। তাই তার গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

বিরোধী নেতাদের ধরপাকড়

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

সমালোচকদের দাবি, ২০২৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইস্তানবুলের মেয়রসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ইমামোলু তুরস্কের জনপ্রিয় বিরোধী নেতা এবং এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে অযোগ্য করতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

তুরস্কের আইন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ইমামোলুর গ্রেপ্তার ও তার সনদ বাতিল গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।”

তবে প্রশাসন এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন।

দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম জুমহুরিয়েত-এর খবরে বলা হয়েছে, ইমামোলুকে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, “দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে কেউ বিক্ষোভ করলে তা সহ্য করা হবে না। আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করা হবে।”

তিনি বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন।

নতুন কৌশলে বিরোধীরা

ইমামোলুকে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কয়েক দিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিরোধী দলের নেতা ওজগুর ওজেল দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “সাংবিধানিকভাবে ইমামোলুকে হারাতে না পেরে আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তবে ইমামোলুর গ্রেফতার সত্ত্বেও প্রাথমিক নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

বিক্ষোভ দমনে প্রশাসনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ

বিশ্লেষকদের ধারণা, তুরস্ক সরকার ইমামোলুকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে তার স্থানে ট্রাস্টি নিয়োগ করতে পারে।

এর কারণ, তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্ররা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে। প্রশাসন যদি ইমামোলুকে এই সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দাবি করে, তাহলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, বিরোধীরা জানিয়েছেন, ৬ এপ্রিল একটি বাহ্যিক কংগ্রেস ঘোষণা করা হবে। সেখানে নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনার ঘোষণা আসতে পারে।


আরও খবর



যে যাই বলুক, ২৬'জুনের পরে নির্বাচন যাবে না

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যে যাই বলুক, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৬শে জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।

বৈঠকের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক।

এরপর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার শুরু করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে। বিচার শুরুর জন্য একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।


আরও খবর



উখিয়ায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিকের বাড়ি দখলের চেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি পরিকল্পিত, বর্বর ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পরিচ্ছন্ন সাংবাদিকতার প্রতীক জসিম আজাদ। ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে তার রত্নাপালং ইউনিয়নের টেকপাড়াস্থ বসতবাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং বাড়ি থেকে জোর করে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত চাঁদাবাজ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজ উদ্দিন বাবু।


স্থানীয় সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বাবু ও তার দলবল জসিম আজাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। জসিম আজাদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ও তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়, এমনকি জমি ও বসতঘর দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় “জমি আমাদের, তুই এখানে থাকতে পারবি না” বলে চিৎকার করতে থাকে হামলাকারীরা।


জসিম আজাদ জানান, “বাবু নিজে এসে বলে, পাঁচ লাখ টাকা দিলে তোকে থাকতে দিব, না দিলে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে দেব। আমি অপারগতা জানালে ওরা আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।”


তিনি এ ঘটনায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২৩ সালের ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’-এ মামলা দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে রত্নাপালংয়ের মৃত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে তাইমুন উদ্দিন (২৮), তাইফুর উদ্দিন (৩৬), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মাহাফুজ উদ্দিন বাবু (৪২), হলদিয়া পালংয়ের মৃত মীর কাশেম চৌধুরীর ছেলে আলা উদ্দিন চৌধুরী (৫৮) এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জন সন্ত্রাসীকে।


অভিযুক্ত বিএনপি নেতা বাবু নিজের দায় অস্বীকার করে বলেন, “আমি নিরপেক্ষ বিচারকের ভূমিকায় ছিলাম।” এটি একধরনের হাস্যকর, ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ছাড়া কিছু নয়। একজন মানুষ বাড়ি দখল, চাঁদা দাবি এবং নারীর ওপর হামলার সময় “বিচারক” হয়ে উপস্থিত থাকে—এই কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বরং বাবুর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে, সে পুরো ঘটনার নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড।


স্থানীয়রা বলছে, উখিয়ায় বিএনপির একাংশ এখন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা। কেউ মুখ খুললেই তার উপর নেমে আসে হামলা, মিথ্যা মামলা কিংবা হত্যার হুমকি। এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, জসিম আজাদকে ঠাণ্ডা মাথায় টার্গেট করা হয়েছে, কারণ তিনি মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন।


এটি শুধুমাত্র একজন সাংবাদিকের উপর হামলা নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতা, সত্য প্রকাশ এবং জনস্বার্থে কাজ করা সকল মানুষের উপর সশস্ত্র আগ্রাসন। যারা এই হামলায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে সাংবাদিক সমাজসহ সকল বিবেকবান নাগরিক।


তাদের প্রশ্ন, প্রশাসন কি নীরব দর্শক হয়ে থাকবে? নাকি এই ভূমিদস্যু-চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে প্রমাণ করবে যে রাষ্ট্র এখনো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে?


আরও খবর