Logo
শিরোনাম

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনধি:

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের উদ্বোধনের মাধ্যমে ৮ মে দুই দিনব্যাপী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু হয়েছে।

শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই মটোকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো দুই দিনব্যাপী গবেষণা মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় মেলা শুরু হয়। মেলা শুরু হলে সময়ের সাথে সাথে ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। গবেষণাপ্রেমীদের জমজমাট পদচারণায় গবেষণা মেলায় যেন- প্রস্তরের বুক চিরে গবেষণার ফুল ফুটেছে।

বিকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত গবেষণা মেলায় তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন-এটি আমাদের মটো। আমাদের মটো শুধু শব্দমাত্র নয়, বরং এটি একটি ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা সকলে মুক্তবিহঙ্গের ন্যায় আলস্য পরিত্যাগ করে প্রত্যয় বাস্তবায়নে জন্য কাজ করে যাচ্ছে।


গবেষণা মেলার গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে

তিনি আরও বলেন, গবেষণা যে শুধু পদোন্নতির জন্য নয়, ব্যক্তিগত নথিতে আটকে রাখার বিষয় নয় সেই ধারণাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। গবেষণা মেলার মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষকদের গবেষণাগুলোকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করছি। গবেষণা মেলার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে।

ভবিষ্যতে ভালো ও উন্নতমানের গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রণোদনার পাশাপাশি তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃতও করা হবে উপাচার্য ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা কার্যক্রমকে প্রকাশের জন্য নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে উচ্চ মানসম্পন্ন গবেষণা জার্নাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে।’

তরুণ গবেষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আসুন আমরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি, গবেষণা মনস্কতা তৈরি করি যাতে উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অভিযাত্রায় শামিল হই।

গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মার্জিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিটিআই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার উদ্বোধন করে উপাচার্যসহ অন্যরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ, আইকিউসি ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র অংশ গ্রহণ করেছে। লটারির মাধ্যমে তাদেরকে তাদের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই সেসব স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি স্টলে তাদের বিভাগের শিক্ষার্থী, গবেষকরা তাদের উপস্থাপনা দিয়ে আগত দর্শনার্থীদের নানা ধরনের কৌতূহল মিটিয়ে দিচ্ছেন।

মেলার দ্বিতীয় দিন (৯ মে) প্রথম পর্ব শুরু হবে বেলা ১১ টায়। এসময় মেলায় অংশগ্রহণকারী ১৪টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে ও দ্বিতীয় পর্বে তথা বেলা আড়াইটা থেকে আরও ১৩ টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট ১০ মিনিট করে একটি ব্রিফিংয়ের সুযোগ পাবেন। যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। গবেষণা মেলার সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট গবেষক ও বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, বুয়েট।


আরও খবর



দায়িত্ব পালন অসম্ভব হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।  উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড ও অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

এতে বলা হয়, ‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।’

শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই অনির্ধারিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




বদহজম হলে কী করবেন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এই ঈদে কোরবানির গরুর মাংস দিয়ে বিভিন্ন পদের রেসিপি তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঘরের রাঁধুনিরা। এই সময়ে মজাদার খাবারে মুখের রুচি বেড়ে যায়। খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। বেশি গরুর মাংস খাওয়ায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায়ও ভুগতে হয়। ফলে ঈদে গরুর মাংস খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে অনেক বেশি। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে সুস্থ থাকার জন্য।

অতিরিক্ত গুরুর মাংস খেয়ে বদহজম, পেটে ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? তাহলে জেনে নিন আপনার কি করতে হবে-

১/ পেট ফাঁপার সঙ্গে পেট ব্যথায় ভুগছেন? তাহলে কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে খান। ব্যথা কমে যাবে।

২/ বদহজমের জন্য কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন। এছাড়া বদহজমের জন্য এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

৩/ গ্যাসে সমস্যা হলে মাংস খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খান। পেটে গ্যাস জমবে না।

৪/ দুই কাপ পানিতে এক টুকরা আদা কুচিয়ে জ্বাল দিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। বদহজমের জন্য এটি ভালো কাজ করে।

৫/ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।

৬/ দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ দারচিনি গুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে অর্ধেক হলে নামিয়ে রাখুন। এরপর এ পানিতে কিছু মধু মিশিয়ে গরম গরম দিনে দুবার পান করুন।

৭/ কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। পেট ফাঁপা কমে যাবে।

৮/ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, রাতে ঘুমানর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

সতর্কতা-

১/ ঈদে কোরবানির গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করতে হবে। রান্না করা মাংস বারবার জ্বাল দিয়ে বেশি দিন না খাওয়াই মঙ্গলজনক।

২/ রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে তার মাংস খেলে মাংসে থাকা জীবাণু দেহে বিষ উৎপন্ন করে। যা নানা ধরনের রোগের সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

৩/ ২৫ এর বেশি বয়সী যাদের রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ২০০-এর বেশি, তাদের রেড মিট বা লাল মাংস না খাওয়া ভালো।

৪/ বেশি তাপে মাংস রান্না করলে মাংসে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে রান্না করা উচিত।

৫/ যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর মাংস এড়িয়ে যেতে হবে। এবং বেশি খেলে তাদের ক্যান্সার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৬/ মাংস অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হলে মাংস থেকে ফিতা কৃমির সৃষ্টি হয় যা থেকে পেট ব্যথা, মাথা ধরা, খিঁচুনিত, পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে।


আরও খবর



রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রসালো দেশি ফলে ভরে গেছে রাজধানীর বাজার। তবে এসব ফলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। খুচরা থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকান- সবখানেই রাজত্ব করছে আম, লিচু, তালের শাঁস, আনারস, জাম, লটকন, বেতফল, আতাফল, জামরুলের মতো নানা স্বাদের ফল। এমনকি অনলাইন প্লাটফর্মেও বিক্রি হচ্ছে ফল। কিন্তু অনেক ফলের দাম এখনও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

বাসাবো এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, আপেল, কমলা, মাল্টা, আনার- এগুলো এখন দামি ফল। জ্যৈষ্ঠ মাসে অপেক্ষা করি সামর্থ্যরে মধ্যে দেশি ফল খাওয়ার। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি লিচু, আম, জাম- সবকিছুর দাম অনেক বেশি। একই অভিজ্ঞতা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ওয়াহেদ উজ জামানের। তিনি বলেন, ১০০ পিস ছোট আকারের লিচুর দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বড় আকারের রাজশাহীর লিচুর দাম আরও বেশি। জামের কেজি চাইছে ৪৫০-৫৫০ টাকা।

তবে তালের শাঁস ও আনারসের মতো কিছু ফল এখনও তুলনামূলক সস্তায় মিলছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ধারে। দিনের বেলায় গরমের মধ্যে একটু স্বস্তি পেতে পথচারীরা ভিড় করছেন এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোয়। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ভ্যানে করে তালের শাঁস বিক্রি করছেন মো. হাসনাত রুবেল। তিনি জানান, তালশাঁসের সরবরাহ বেড়েছে, খুচরায় ১০ টাকা পিস বিক্রি করছি। আস্ত তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

এক ক্রেতা মো. নুরুল হক বলেন, এই গরমে পানিজাতীয় ফল খেতে ভালো লাগে। এক পিস ছোট ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা হলেও তালশাঁস মাত্র ১০ টাকায় পাচ্ছি। আনারসও ৩০-৫০ টাকায় মিলছে।

বিদেশি ফলের দাম বেড়ে অনেক আগেই নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খুচরা বাজারে আপেলের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে মাল্টা, কমলা, আনারসহ অন্যান্য বিদেশি ফলের দামেও আগুন জ্বলছে যেন। চড়া দামে এসব ফল কিনে খাওয়া অনেকের কাছে এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এমনকি মধ্যবিত্তদেরও এগুলো কিনে খেতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে। তাই সামর্থ্যরে মধ্যে রসালো ফলের খোঁজে সবার নজর এখন জ্যৈষ্ঠের ফলের দিকে।

কারওয়ানবাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি ফলের সরবরাহ গত দুই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোর থেকে আম আসছে। রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় আকারের লিচুর চালানও শিগগির বাড়বে।

পাইকারি বিক্রেতা মো. আসফাক আলী ও সুরুজ মিয়া জানান, দিন যত এগোবে আমের সরবরাহ বাড়বে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজশাহী ও দিনাজপুরের বড় লিচুর সরবরাহ বাড়বে। তখন দামও কিছুটা কমে আসবে। অন্যদিকে গাজীপুর ও সাভারের পাকা কাঁঠাল রাজধানীর বাজারে পুরোপুরি উঠতে আর সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। জাম, লটকন, বেতফল, আতাফলসহ অন্যান্য দেশি ফলগুলোর সরবরাহ সন্তোষজনক রয়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আমের কেজি বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ১০০-১৫০ টাকা, ১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। কালোজামের কেজি ৪০০-৬০০ টাকা, আনারসের পিস ৩০-৫০ টাকা, তাল ৩০-৪০ টাকা, আর ডাবের দাম ১২০-১৫০ টাকা।

তবে বাজারে এখনও সুলভ দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, কলা, পেয়ারা, বাঙ্গি, ও মৌসুম শেষে থাকা তরমুজ। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশি ফলের সরবরাহ বাড়লেও দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই বাজারে ফিরবে স্বস্তি- এই প্রত্যাশাই এখন সাধারণ ক্রেতাদের।


আরও খবর



ঘুরে আসতে পারেন ‘প্রকৃতির কন্যা’ হিসেবে খ্যাত জাফলং

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল জাফলং। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায়, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অপূর্ব স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ।

সিলেট শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জাফলংয়ে পাহাড় আর স্বচ্ছ নদীর অসাধারণ সম্মিলন পর্যটকদের মোহিত করে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ পিয়াইন নদী, যা ভারতের ডাউকি থেকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

স্বচ্ছ পানির এই নদীতে নৌকা ভ্রমণ পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় অভিজ্ঞতা। জাফলংয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এখান থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু পাহাড়গুলো চোখে পড়ে। বর্ষাকালে এসব পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার জলরাশি নদী হয়ে প্রবাহিত হয়ে যায়। সেই দৃশ্য অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর।

এছাড়া ডাউকি নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে।

 

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এক সময় জাফলং ছিল খাসিয়া-জৈন্তা রাজার রাজত্বাধীন বনভূমি। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর বহু বছর এই এলাকা পতিত ছিল। পরবর্তীতে পাথরের জন্য খ্যাতি লাভ করে, এবং পাথর ব্যবসার মাধ্যমে এখানে গড়ে ওঠে নতুন জনবসতি।

জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ
জাফলং অঞ্চলে সুপারি, নারিকেল গাছে বসবাসকারী বাদুড়ের দেখা মেলে, যদিও বৃক্ষনিধনের কারণে এখন সেই সংখ্যায় হ্রাস ঘটেছে। এখানকার নদীতে পাওয়া যায় কঠিন শিলার নুড়ি এবং বর্ষায় পাহাড় থেকে ভেসে আসে বড় বড় পাথর।

ভ্রমণের সেরা সময়
জাফলং ভ্রমণের জন্য বর্ষাকালকে আদর্শ সময় বলা হয়। তখন পাহাড়ি ঝর্ণা ও নদীর স্রোত থাকে প্রাণবন্ত। শীতকালেও এখানকার মেঘে ঢাকা পাহাড় ও শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

যাতায়াত ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়া যায় বাস, ট্রেন ও বিমানে। বাস ভাড়া ৬৫০ থেকে ২০০০ টাকা, ট্রেন ভাড়া ৩৫০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং বিমানের টিকিট ৩৫০০ থেকে ১০০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। সিলেট শহর থেকে জাফলং যেতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা। লোকাল বাস কিংবা রিজার্ভ গাড়িতে করে আপনি যেতে পারেন।

সিলেট শহরের জিন্দাবাজারে পানসী, পাঁচ ভাই ও পালকি রেস্টুরেন্টের খাবার ভীষণ জনপ্রিয়। থাকার জন্য সিলেট শহরের হোটেলগুলোই উপযুক্ত যেমন দরগা গেট ও কদমতলী এলাকার আবাসিক হোটেল। তবে জাফলংয়ে থাকতে চাইলে জাফলং ইর বা জাফলং গ্রিন রিসোর্টে থাকতে পারেন।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম রত্ন জাফলং, যেখানে পাহাড়, নদী, ঝর্ণা ও ইতিহাসের অপূর্ব সম্মিলন। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা একান্তে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চাইলে জাফলং হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।


আরও খবর



৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৮টি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সঙ্গে থাকতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও। ১৭ জুন দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা ওই বার্তায় বলা হয়েছে, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ সময় এসব এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট জেলার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সব বিভাগেই এই সপ্তাহজুড়ে থাকতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। কিছু কিছু এলাকায় বজ্রপাতসহ দমকা হাওয়াও বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের আশঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া আবহাওয়ার এই প্রবণতা আগামী সপ্তাহেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর