Logo
শিরোনাম
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

সঞ্চয় ভুলে ধারে চলছে সংসার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকার এক বস্তিতে ছোট্ট একটি টিনের ঘুপচিঘরে স্বামী ও তিন মেয়ে নিয়ে থাকেন গৃহকর্মী সোনিয়া আক্তার। তাঁর এক মেয়ে এবার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। বাসায় বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে সোনিয়ার আয় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। আর তাঁর স্বামী রিকশা চালিয়ে মাসে আয় করেন আট হাজার টাকার মতো।

সোনিয়া  বলেন, গত জানুয়ারিতে তাঁর ঘরভাড়া ৪০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার টাকা। আর নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় পাঁচজনের খাওয়াদাওয়ার খরচ ১০ হাজার টাকায়ও কুলায় না।

কাজের ফাঁকে গত মঙ্গলবার দুপুরে খাবার খেতে বাসায় ফিরেছিলেন সোনিয়া আক্তার। তখন কথা হয় তাঁর সঙ্গে । বললেন, হঠাৎ করে সব জিনিসেরই দাম বাড়ছে। কিন্তু আয় বাড়েনি। প্রায়ই তাঁকে মানুষজনের কাছ থেকে ধারদেনা করতে হয়। তিনি আরও বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে পারলে কিছুটা সাশ্রয় হয়। কিন্তু সে জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়। মানুষের বাসায় বাসায় কাজ করেন, তাই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার মতো সময় তাঁর নেই।

এটা গেল একজন দরিদ্র মানুষের কথা। এবার দেখা যাক মধ্যম আয়ের মানুষের সংসার কেমন চলছে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করেন মালিবাগের মাহিন উদ্দিন। তাঁর মাসিক বেতন লাখ টাকার কাছাকাছি। পাঁচ সদস্যের পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

 তিনি বলেন, করোনার কারণে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর বাসাভাড়া বাড়ানো হয়নি। তবে গত জানুয়ারিতে ভাড়া আড়াই হাজার টাকা বাড়িয়েছেন বাড়ির মালিক। করোনার আগে খাওয়াদাওয়ার পেছনে মাসে খরচ ছিল ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন সেই খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ থেকে ৩৮ হাজার টাকা।

মাহিন জানান, তাঁর বেতন গত জানুয়ারিতে ৩ হাজার ৭৫০ টাকা বেড়েছে। তাঁর দাবি, বেতন যতটা বেড়েছে, তার তুলনায় খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই মাসে মাসে যে সঞ্চয় করতেন, সেটি বাদ দিতে হয়েছে।

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলছে, সেটি জানতে  তিনজন প্রতিবেদক গত মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি এলাকার দুজন সরকারি কর্মচারী (১৭তম গ্রেডের), তিনজন বেসরকারি চাকরিজীবী, তিনজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দুজন গৃহকর্মী, দুজন কারখানার শ্রমিক, একজন বাড়ির কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) ও একজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলেন। এই ১৪ জনের মধ্যে আটজনই জানিয়েছেন, এখন তাঁদের মোটামুটি প্রতি মাসেই ধার করে সংসার চালাতে হয়। আর চারজন জানিয়েছেন তাঁরা কিছু সঞ্চয় করেন, তবে তা আগের চেয়ে কম।

সাধারণ মানুষের খরচের বড় চারটি খাতের সব কটিতেই ব্যয় বেড়েছে। খাত চারটি হলো খাদ্য ও ঘরের নানা উপকরণ কেনা, বাসাভাড়া ও সেবার বিল, সন্তানদের পড়াশোনা এবং পরিবহন খরচ। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার আগের মাস অর্থাৎ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির চেয়ে গত মাস ফেব্রুয়ারিতে চাল, তেল, ডাল, মুরগি, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম বা এলপি গ্যাসের দাম বেড়েছে ১৮ থেকে ৮২ শতাংশ পর্যন্ত। ডিজেলের দাম বাড়ায় বাস ও লঞ্চভাড়া একলাফে বেড়েছে ২৭ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।

ইউক্রেনে রুশ হামলার পরে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সামনে পবিত্র রমজান মাস। এরই মধ্যে সয়াবিন তেল নিয়ে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন করে সরকার গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোয় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে ঘরে ঘরে দুশ্চিন্তা।



বিডি/টুডেইস/নিউজ




আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়।

আজ বিকেলে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়েম ইমরানের উপস্থিতে বিমানবন্দর থানার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম মৃতদেহগুলোর আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু ওই দেশে ইতিপূর্বে তাদের ময়নাতদন্ত হয়েছে তাই নতুন করে আর করা হয়নি।

মৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী (২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ (২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব (১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫) গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪) একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। আপনারা জানেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। মাননীয় পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে উপস্থিত আছেন। সবার মতামতে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পূর্ব নির্ধারিত ফরেনসিক চিকিৎসক প্রভাষক ডা. ফাহমিদা হকসহ আমরা তিনজন, ডেড বডিগুলোর আলামত দেখলাম।

দেশের বাইরে যে পোস্টমোর্টেম হয়েছে তা দেখলাম, সেখানে কোনোরকম কোনো প্রবলেম আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এখানে যাদের গার্ডিয়ান আছে, ম্যাজিট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে, মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করি।

তিনি আরো বলেন, এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- যুবরাজ ও কামাল।

তাদেরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যে সব তথ্যাবলি পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্র, এদের সাথে যাদের কানেক্টিভিটি আছে দেশে এবং দেশের বাইরে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনিটরিং করছেন বলেও জানান তিনি। এর সাথে যারই কানেক্টিভিটি পাব বা থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



মুসলিম লিগের সভাপতির পদ ছাড়লেন শাহবাজ শরিফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিডি টুডেস ডিজিটাল ডেস্ক:

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতির পদ ছেড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল সোমবার তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। খবর জিও নিউজের।

পদ ছেড়ে দিয়ে শাহবাজ শরিফ বলেছেন, দলীয় প্রধান হিসেবে বড় ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঠিক অবস্থান বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে।

পিএমএল-এন সভাপতির পদ ছাড়ার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, দলের সভাপতি হিসেবে নওয়াজ শরিফকে তার যথাযথ জায়গায় ফেরার সময় এসেছে।

দলের একটি সূত্র জানায়, শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি ব্যস্ততার কারণে দলীয় কাজে সময় দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দলটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।

২০১৮ সালে কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় নওয়াজকে কারাদণ্ড দেন পাকিস্তানের আদালত। আদালতের রায়ে দলীয় প্রধানের পদও হারান তিনি। কারণ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) মিয়া সাকিব নিসারের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ দেশটির সংবিধানের ৬২ ও ৬৩ অনুচ্ছেদের অনুযায়ী রায় দেন, অযোগ্য ব্যক্তি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। 

চার বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকার পর গত অক্টোবরে দেশে ফেরেন নওয়াজ শরিফ। হাইকোর্টে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর তিনি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন। 

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের পর পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করে নওয়াজের দল। 



আরও খবর



৬৩ বছরের ইতিহাসে লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন।

সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবিস্ফোরিত গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগতে পারে। শুক্রবার জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

গাজার ক্ষমতাসীন ইসলামি শাসক গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ২৩ লাখ মানুষের সংকীর্ণ ও উপকূলীয় অঞ্চলটিকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে সেখানকার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‌‌‘‘আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।’’

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের শত শত যোদ্ধা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও আরও ২৫৩ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে। গাজায় হামাসের হাতে এখনও ১২৯ জন জিম্মি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগ থানায় তিনি এ জিডি করেন।

১৪২৭ নম্বর জিডিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জিডিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর যাবত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরেো বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এ মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, এখন আইন অনুযায়ী জিডির কপি আদালতে পাঠানো হবে। আদালত অনুমোদন দিলে তদন্ত শুরু হবে।

 


আরও খবর