Logo
শিরোনাম

সৌদিতে প্রথম হজকারীদের অগ্রাধিকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ জানিয়েছেন, এ বছর হজ করার জন্য হাজির সংখ্যা নির্ধারিত থাকবে না। এছাড়া হজ করার ক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট একটি বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, সেটিও থাকবে না।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর নিজ দেশে বিধিনিষেধ আরোপ করে সৌদি আরব। মানুষের সমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশটি হাজিদের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়। অবশেষে তিন বছর পর সেসব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হচ্ছে।

হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ সোমবার হজ মেলা-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, মহামারির আগে হাজির সংখ্যা যত ছিল, সেটি আগের সংখ্যায় ফিরে যাবে। 

তবে সৌদির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যেসব মানুষ এখন পর্যন্ত একবারও হজ করেননি, এবার তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ বছর ২৬ জুন থেকে হজের মৌসুম শুরু হবে।

করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালন করেন। কিন্তু পরের দুই বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ হজের সুযোগ পান। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন সৌদিতে বসবাসকারী।

এরপর ২০২২ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ পালন করার সুযোগ পান। কিন্তু সে সময় বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যাদের বয়স ১৮-৬৫ এবং পরিপূর্ণ সুস্থ শুধু তারাই হজ পালন করতে পারবেন। এছাড়া করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল।


আরও খবর

খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




ঢাকাসহ ৬ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সারা দেশে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু (৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরও বিস্তার হতে পারে। শনিবার থেকে পরবর্তী ৩ দিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, সারা দেশে শনিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ পরিস্থিতি আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) দিন ও রাতেও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে পরদিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ সময় দেশের উত্তর পূর্বাংশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ শনিবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এল মার্চে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে মার্চ মাসে বৈধপথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এরম‌ধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৮৭ কোটি টাকার বেশি এসেছে।

দৈনিক গড়ে আসছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা ৭০৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ৮১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

এদিকে আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২.১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

অন্যদিকের দেশের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে থাকা ডলার সংকটও কিছুটা কমছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট কমে আসার পেছনে কয়েকটি উদ্যোগ কাজে এসেছে। এর অন্যতম হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে আমদানি কমে আসা। একইভাবে ডলারের দাম নিয়ে কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে আসায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়া। পাশাপাশি টাকার সংকট কিছুটা কমে আসার কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকা অদলবদলের (সোয়াপ) সুবিধা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। দুই দেশের এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়। এতে হঠাৎ বেড়ে যায় আমদানি খরচ। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২২ সালের জুনে ৮৩৭ কোটি ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। এরপর ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এলসি খোলার বিপরীতে শতভাগ পর্যন্ত নগদ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়।

এ কারণে কমতে থাকে আমদানি দায়। কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আমদানি দায় পরিশোধ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। মাসটিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয় ৪৬৭ কোটি ডলারের। তার আগের মাস জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছিল ৫৯৬ কোটি ডলারের। আমদানি দায় পরিশোধ হলে সংশ্লিষ্ট মাসের প্রকৃত ডলার খরচ সে হিসাবে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমে আসছে।

 


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




"হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) মানুষের অন্তর জয় করেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,"সুফিরা জ্ঞানের গরিমা দিয়ে নয় ; তাদের সুন্দর ব্যবহার, চরিত্র, নম্রতা, বিনয় ও হেকমতের মাধ্যমে মানুষের অন্তর জয় করতে পেরেছেন বলেই, কোটি কোটি মানুষ তাদের মাধ্যমে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছে। অন্য ধর্মের মানুষরা পবিত্র কুরআন বা ইসলাম সম্পর্কে জানতো না ; কিন্তু সুফিদের প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে তারাও সুফিদের জীবনাচরণ ও ধর্মকে গ্রহণ করেছিলো। যুগে যুগে সুফিদের মাধ্যমেই ইসলামের খেদমত হয়েছে। সুফিরা অন্ধকার হৃদয়কে আলোকিত করতে পারেন। কারণ তারা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত। বাহ্যিক জ্ঞানের চেয়ে অপ্রকাশ্য জ্ঞান অনেক বেশি মহিমান্বিত। সুফিরা সেই জ্ঞানে জ্ঞানী। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুফি। সমগ্র বিশ্বে যেমন তার সম্মান মর্যাদার সাথে বিচরণ ছিলো, তেমনি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তিনি আল্লাহ্ ও নবীপ্রেমের ঢেউ তুলেছেন। অভাবী, অসহায়, দরিদ্র মানুষকে তিনি পরম মমতায় বুকে জড়িয়েছেন। তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনেছেন।

স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই ছিলো তার দর্শন। এভাবে তিনি মানুষের অন্তর জয় করেছেন বলেই তার হাতে হাত রেখে হাজারো মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আবার অজস্র প্রাণে তিনি নবীপ্রেমের আলো জ্বেলেছেন। মানবতার জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। ইসলাম, সুফিবাদ, তরিকা ও মানবতায় তার অনন্য অবদানের জন্যই তিনি মহাকালকে জয় করতে পেরেছেন।"

২৯শে মার্চ, ২০২৪ মিরপুর-১ মাইজভাণ্ডার মইনীয়া খানকাহ্ শরীফে হুযুর গাউসুল ওয়ারা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রিয় নবিজী, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার বংশধরগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে ফিলিস্তিনের জনগণসহ দেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়।


আরও খবর



ইসরায়েলে দুই শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অবশেষে ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে ইরান। দেশটি প্রথমে ড্রোন হামলা চালায়। পরে ছুড়ে ক্রুজ ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইতোমধ্যে ইরান দুই শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। খবর বিবিসির।

মুখপাত্র দাবি করেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং এ অঞ্চলে থাকা মিত্ররা ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই আটকে দিয়েছে। ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বাইরে সেগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি তার।

ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, এ পর্যন্ত একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে পড়ার পর একটি সামরিক স্থাপনা হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামরিক স্থাপনাটির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু বলেননি তিনি।

এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, আরাদ অঞ্চলের বেদুইন এলাকায় পড়ন্ত ধ্বংসাবশেষের টুকরোর আঘাতে আহত ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে সিরিয়ায় তেহরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধে অপারেশন ট্রু প্রমিজ পরিচালনার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস-আইআরজিসি। গভীর রাতে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় শোনা যায় সতর্কতামূলক সাইরেন। ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ডের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সে দেশের গণমাধ্যম।

ইরানের এ হামলার পরপরই লেবানন, জর্ডান ও ইরাক তাদের আকাশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলও সামরিক উড়োজাহাজ বাদে বাকি সব উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন নিক্ষেপের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি। আর সেটা আত্মরক্ষা ও আক্রমণ-উভয় দিক দিয়েই। ইসরায়েল রাষ্ট্র শক্তিশালী। আইডিএফ শক্তিশালী। দেশের জনগণ শক্তিশালী।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন জেনারেলসহ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য রয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। দেশটি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে সরাসরি হামলা করল।


আরও খবর



ঢাকায় প্রথম রিকশা প্রচলনের ইতিহাস এবং দেশে দেশে রিকশার বৈচিত্র্যময় নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে রিকশা প্রচলনের কথা জানা যায়। রিকশা শব্দটি জাপানি, যা জিনরিকিশা থেকে আগত। জিন শব্দের অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি, শা অর্থ বাহন। একসঙ্গে অর্থ দাঁড়ায় মানুষ্য শক্তি দিয়ে চালিত বাহন। 

মূলত উনিশ শতকের শেষে চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় রিকশার উত্থান। রিকশার প্রচলন প্রথম কে করেন, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের সিমালয়ে মিশনারি হিসেবে কাজ করা মার্কিন নাগরিক জোনাথন স্কোবি এর উদ্ভাবন করেন। 

তখনকার রিকশাগুলো তিন চাকার ছিল না। দুই দিকে দুই চাকা আর সামনের চাকার বদলে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো এটি ঠেলে নিয়ে যেত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে জাপানে রিকশা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও এখন জাপানে রিকশার প্রচলন নেই।

বাংলাদেশে রিকশা জাপান থেকে আসেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের পরে বাংলাদেশে রিকশার আগমন। বিশ শতকের শুরুর দিকে অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় রিকশার প্রচলন শুরু হয়। একই সময় বার্মার রেঙ্গুনে রিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

ধারণা করা হয় ১৯১৯ বা ১৯২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে রিকশার আগমন বার্মার রেঙ্গুন থেকে চট্টগ্রাম হয়ে। যদিও ঢাকায় এর আগমন ঘটে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা নিয়ে আসেন। অনেকের মতে, ঢাকায় রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয় ১৯৪৪ সালের দিকে।

অন্য সূত্র হতে জানা যায়, ঢাকায় প্রথম রিকশা আসে ১৯৩৬ বা ১৯৩৭ সালে। সেই সময়ে চন্দননগর এলাকায় ছিল ফরাসি উপনিবেশ এবং তাদের প্রভাব। তখনই ঢাকার মৌলভীবাজারের দুজন সেখান থেকে নিয়ে আসেন দুটি ‘সাইকেল রিকশা’। এই দুই রিকশার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। 

ব্যবসার জন্য রিকশা আনা হলেও প্রথমদিকে তা সুখকর হয়নি। ব্যবসা জমাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। কারণ অন্যের ঘাড়ে চেপে চলতে লোকেরা প্রথমে লজ্জা পেতো। কেউ রিকশায় চললে রাস্তার ছেলেরা পিছনে ছুটত।মৌলভীবাজারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অনেকেই রিকশা আমদানি করতে থাকেন। সেই সময়ে একজন রিকশাচালক দিনে ৩টাকা থেকে সাড়ে তিন টাকা উপার্জন করতেন।

চাহিদা বাড়ছে দেখে ঢাকার মিস্ত্রীরা নিজেরাই রিকশা বানানোর কাজ শুরু করে। যেসব মিস্ত্রীরা আগে সাইকেল সারাইয়ের কাজ করতো তারাই এ কাজ শুরু করে। স্থানীয় মুসলিম এবং বসাকরা এই কাজে পারদর্শী ছিলো। 

অল্প সময়েই তারা নতুন জিনিস আয়ত্ব করে নিতেো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রিকশা তৈরির কাজ ব্যাপকভাবে চলতে থাকে। কারণ তখন বাইরে থেকে রিকশা আনা সম্ভব ছিল না। পরে শুরু হয় ওই রিকশায় বাহারি রঙ করে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ।

১৯৪১ সালে ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১টি। বর্তমানে ঢাকাতেই ৩ থেকে ৭ লাখ রিক্সা রয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ঢাকায় কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রিক্সা চলাচল করে।

ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষ রিক্সায় চলাচল করে।রিকশার আকার, গঠন বিভিন্ন রকম হওয়ায় দেশভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। চীনে সানলুঞ্চে, কম্বোডিয়ায় সিক্লো, মালয়েশিয়ায় বেকা, ফ্রান্সে স্লাইকো নামে রিকশা অধিক পরিচিত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি পেডিক্যাব নামেও পরিচিত। 


ছবি: জাপানী রিকশা (আনুমানিক ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)


আরও খবর