Logo
শিরোনাম

সৌদিতে প্রথম হজকারীদের অগ্রাধিকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪১৯জন দেখেছেন

Image

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ জানিয়েছেন, এ বছর হজ করার জন্য হাজির সংখ্যা নির্ধারিত থাকবে না। এছাড়া হজ করার ক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট একটি বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, সেটিও থাকবে না।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর নিজ দেশে বিধিনিষেধ আরোপ করে সৌদি আরব। মানুষের সমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশটি হাজিদের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়। অবশেষে তিন বছর পর সেসব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হচ্ছে।

হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ সোমবার হজ মেলা-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, মহামারির আগে হাজির সংখ্যা যত ছিল, সেটি আগের সংখ্যায় ফিরে যাবে। 

তবে সৌদির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যেসব মানুষ এখন পর্যন্ত একবারও হজ করেননি, এবার তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ বছর ২৬ জুন থেকে হজের মৌসুম শুরু হবে।

করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালন করেন। কিন্তু পরের দুই বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ হজের সুযোগ পান। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন সৌদিতে বসবাসকারী।

এরপর ২০২২ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ পালন করার সুযোগ পান। কিন্তু সে সময় বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যাদের বয়স ১৮-৬৫ এবং পরিপূর্ণ সুস্থ শুধু তারাই হজ পালন করতে পারবেন। এছাড়া করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল।


আরও খবর

তিল ঠাঁই নেই মসজিদে হারামে

বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩




আগামী সপ্তাহে আঘাত হানতে পারে কালবৈশাখী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মুন্সি মো: আল ইমরান :বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জেলায় আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাশ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি গভীর অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তাই বিহার, ছত্তিশগড়ের দিকে আবহাওয়া সংক্রান্ত কিছু গতিবিধি ধরা পড়ছে, যা ধীরে-ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কয়েক জায়গায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যে অক্ষরেখা রয়েছে, তা এত নিচে নামবে না। সেটি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের পর বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আগামী সপ্তাহে বুধবার ও বৃহস্পতিবার কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। পরবর্তীতে আরও নিখুঁতভাবে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

১) ১৭ ও ১৮ মার্চ কালবৈশাখী ঝড় বাংলাদেশে প্রবেশ করার আশঙ্কা বেশি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে, যা পরবর্তীতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এই দুদিন ব্যাপক বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই দুই দিনে ২০২৩ কালবৈশাখী মৌসুমে বজ্রপাতের কারণে প্রথম মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই দুই দিনে সকাল ৯টার পর থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলায় তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে এই দুই দিন তীব্র বজ্রপাতের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

২) ১৮ ও ১৯ মার্চ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

দিনের বেলায় দেশের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখীর তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হতে পারে।

 


আরও খবর



ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজ হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ঢাকার তেজগাঁওয়ের স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে (৪৭) হত্যার ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের নারীসহ পাঁচজন জড়িত ছিলেন। এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জানা যায়, সমকামী ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজকে হত্যা করেছে তারা।

এর আগে ৭ মার্চ সন্তানদের স্কুল থেকে বাসায় দিয়ে কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হন স্থপতি ইমতিয়াজ। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও স্বামীকে না পেয়ে কলাবাগান থানায় জিডি করেন ইমতিয়াজের অসহায় স্ত্রী স্থপতি ফাহমিদা।

গণমাধ্যমে কান্নারত কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, আমাদের তো কোনো শত্রু নেই! তাহলে শত্রুহীন লোকটাকে এভাবে খুন করল কারা?

ওদিকে সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। স্বামী ঘরে ফেরে না। যতক্ষণে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান মিলল, ততক্ষণে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়ে গেছেন ইমতিয়াজ। কিন্তু থানায় জিডি থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হলো কী করে? ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পরদিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধার হয়। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। বেসরকারি একটি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনরা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সমকামী ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তিন সন্তানের জনক ইমতিয়াজের পরিচয় হয় আলিফ নামের এক তরুণের সঙ্গে। তার ডাকে ৭ মার্চ দুপুরে ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় যান তিনি। বাসাটি ছিল আরাফাত ও তার তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গী মেঘের। সেখানে পূর্ব-পরিকল্পনা মতো ইমতিয়াজের ওপর হামলে পড়ে আরাফত, মেঘ এবং মুন্না। আটকে রেখে অর্থ দাবি করলে ইমতিয়াজ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বেদম মারধর এবং অত্যাচারের শিকার হয়ে একপর্যায়ে মারা যান ইমতিয়াজ।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা সমকামী এবং হিজড়া সদস্য। তারা একটি গে চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে পূর্ব থেকে সমকামী বিভিন্ন লোকজনকে রুম ডেটের কথা বলে টার্গেট করে বাসায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় তাদের ব্লাকমেইল করে টাকাপয়সাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে আসছে।

ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার আলিফের সঙ্গে গে-চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারই সূত্র ধরে গত ৭ মার্চ দুপুরে আলিফকে ইমতিয়াজ ফোন করলে তাকে কলাবাগান থানার ক্রিসেন্ট রোডের আরাফাতের বাসায় যেতে বলা হয়।

ইমতিয়াজ সেখানে গেলে আলিফ তাকে নিয়ে রুমের ভেতর আপত্তিকর অবস্থায় থাকাকালীন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আরাফাত, মেঘ, মুন্না ও আনোয়ার রুমে প্রবেশ করে ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভিকটিমকে মারধর শুরু করে এবং বড় অঙ্কের অর্থ দাবি করে। ইমতিয়াজ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার বুকে, পিঠে, আঘাতসহ প্রচণ্ড মারধর করে। যার কারণে ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়।

ঘটনা ধামাচাপা দিতে মগবাজার থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে আসে মেঘ। আরাফাত ডেকে আনে আনোয়ারকে। ইমতিয়াজের লাশ পেছনে ঢুকিয়ে সুবিধাজনক একটি স্থান খুঁজতে থাকে তারা। একসময় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানা এলাকার কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশে ঝোপে লাশটি ফেলে যে যার মতো গা ঢাকা দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

ডিবির তেজগাঁও বিভাগের নেতৃত্বে টানা অপারেশনে গ্রেপ্তার হয় মেঘ, আনোয়ার ও মুন্না। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। তবে আরাফাত আর আলিফ পালিয়ে গেছে ভারতে। চক্রটি এভাবে ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

 


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




নওগাঁয় নিরাপদ সড়ক ও নির্বিঘ্ন চলাচলে করণীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে স্থানীয়দের সাথে নিরাপদ সড়ক ও নির্বিঘ্নে চলাচল শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আয়োজিত এ সভায় স্থানীয় সূধী, বাস, ট্রাক, সিএনজি, চার্জার, রিক্সাভ্যান প্রভৃতি পেশাজীবী মালিক-শ্রমিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক প্রমুখ অংশ নেয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ-৩ মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের এমপি সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী অনুকুল চন্দ্র সাহা বুদু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া রহমান পলি, নওগাঁ জেলা পরিষদ এর সদস্য গোলাম নুরানী আলাল প্রমুখ। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান এতে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান, নবগঠিত মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম কুমার মহন্ত, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তরুন সমাজ সেবক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল, অটো-বয়লার ব্যবসায়ী আইনুল ইসলাম, মহাদেবপুর সদর হাটের ইজারাদার এমদাদুল হক, মহাদেবপুর সমন্বয় বণিক সমিতির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল হক বকুল, বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সভাপতি মনিরুল হক মনি প্রমুখ।

এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খুরশিদুল ইসলাম, খাজুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদিউজ্জামান বদি, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, সাংবাদিক অসিত দাস, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ ওয়াদুদ, সাংবাদিক এস, এম, শামীম হাসান, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক, সাংবাদিক এস, এ, উজ্জল, সাংবাদিক সুমন কুমার বুলেট, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল চন্দ্র ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলফা আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন, আব্দুস সালাম, ওয়াসিফ আলী প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়কে যানজট নিরসনে নানা প্রস্তাব দেন। 

প্রধান অতিথি এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম বলেন, সরকার বিস্তর টাকা খরচ করে উপজেলা সদরনসহ প্রত্যন্ত পল্লীর অসংখ্য সড়ক পাকাকরণ ও সংস্কার করেছে। এখন সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব সড়কের যানজট নিরসন করতে হবে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি বুধবার ও শনিবার হাটবারে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের ১নং গেট থেকে মডেল স্কুল মোড় পর্যন্ত বাইপাশ সড়ক বন্ধ রেখে ধান কেনাবেচা করার, ফুটপাথ ও সড়কের উপরের দোকানপাট দখলমুক্ত করা, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলা সদরে কোন ট্রাকে মালপত্র লোড অথবা আনলোড না করা, বরেন্দ্র অফিস এলাকায় উপজেলা পরিষদের কেনা হাটের ৪ বিঘা জমি উদ্ধার করা প্রভৃতি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


আরও খবর



ধামরাই সুয়াপুর ইউনিয়নে ছয়শতাধিক পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে ১৫ ই মার্চ বুধবার সকাল ১১ টায় ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন তিনিই বলেন সামনে রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সারাদেশে এই টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় গরীব অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে বলেই স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে কিভাবে অল্প টাকায় মানুষকে ভালো খাওয়ানো যায় সে চিন্তা করে বলেই ২ লিটার সয়াবিন তেলে,১ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুরের ডালও ২ কেজি করে ছোলা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে সুয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।যা অন্য কোন সরকারের আমলে হয়নি, তারপর ও একটা দল আছে তাদের চোখে এই উন্নয়ন চোখে পড়ে না। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনারা অবশ্যই নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও দেশের উন্নয়নের অংশীদার হন।তিনি সকলের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চান বলেন নেত্রী যদি ভালো থাকে ভালো থাকবে দেশ, নেত্রী যদি ভালো থাকে ভালো থাকবো আমরা সাধারণ মানুষ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা প্রিন্স,আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হোসেন সহ উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার গণ।


আরও খবর



নতুন শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ প্রসংগে কিছু কথা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মুহাম্মদ মাসুম খান, সাংবাদিক ও শিক্ষক :

সময়ের আবর্তে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন, পরিবর্ধন অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং যৌক্তিক বিষয়। শিক্ষা বিজ্ঞানে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। জীবনের জন্য যেহেতূ শিক্ষা সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তনশীল জীবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তন ও আবশ্যিক বিষয়।

 ২০১২ সালের পর এই বছর আমাদের দেশে নতুন শিক্ষাক্রম এসেছে। একটি শিক্ষাক্রম মোটেই শতভাগ ত্রুটি বা বিতর্ক মুক্ত হয় না। 

বর্তমান শিক্ষাক্রম অত্যন্ত আধুনিক,Naturalism, Pragmatism and Assentialism  শিক্ষা দর্শনকে গুরুত্ব দিয়েছে। পূর্বের শিক্ষাক্রম ছিল মূলত Idealism  বা ভাব বাদ ভিত্তিক। 

সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো না।সার্বিক ভাবে নতুন কারিকুলামকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এই কারিকুলাম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিদ্যালয়ের বেসরকারি ব্যবস্থাপনা। 

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এদেশের ৯৭% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে।

বর্তমান কারিকুলামে সামস্টিক মূল্যায়নের চেয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের প্রতি অধিক গুরুত দেয়া হয়েছে। খুবই ভাল দিক কারন শিখন যথার্থ হলে শিখনকালীন মূল্যায়ন যথার্থ হলে সারা বছরে এমনিতেই শিক্ষার্থীদের শিখন সম্পন্ন হয়ে যায়। পরীক্ষার আগে তাড়াহুড়ো করে, মুখস্ত করে পরীক্ষা দেয়ার যে চাপ সেটা থাকে না।

শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমে সক্রিয় এবং স্বতস্ফুর্ত থাকবে।

কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি একেক টা একেক রকম পদ্ধতিতে চলে। ক্লাস ডিউরেশন,সংখ্যা,পরীক্ষার সংখ্যা ধরন ভিন্ন রকম। 

কিন্তু বর্তমান কারিকুলামে সামস্টিক পরীক্ষা মাত্র ২ টা এবং সেখানে মাত্র ৪০% মূল্যায়ন হবে।

পরীক্ষা না নিলেতো বিদ্যালয়ের বেতন কালেকশন হবে না। বেতন কালেকশন নাহলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিবে কিভাবে? 

শিক্ষক নিয়মিত বেতন না পেলে কিভাবে চলবে? 

দুই শিফট,অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বিষয় ভিত্তিল শিক্ষকের অভাবতো রয়েছেই।

কাজেই শিক্ষা ব্যবস্থা একই ব্যবস্থাপনায় না নিয়ে অর্থাৎ জাতীয়করণ না করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন যথার্থ বাস্তবায়ন একেবারেই সম্ভব নয়।

বরং দারুন বাস্তবসম্মত এবং উন্নত একটি কারিকুলাম বিতর্কিত হবে,শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃস্টি হতে পারে।


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩