Logo
শিরোনাম

সরকার গঠনে নওয়াজ-জারদারি বৈঠক

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।

তবে পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সরকার গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। এ জন্য তিনি তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতেই বৈঠক করেছেন তিনি।

এরআগে, সন্ধ্যায় পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্রদের চেয়ে পিছিয়ে থেকেও বিজয় ভাষণ দেন নওয়াজ। লাহোরে পিএমএল-এনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে দেয়া বিজয় ভাষণে তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পিএমএল-এন সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। পিএমএল-এন পাকিস্তানকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতেও তার দল দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবে।

তবে ভাষণে পিএমএল-এন নেতা স্বীকার করেন সরকার গঠনের জন্য তার দল প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। জোট সরকার গঠনের জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।

এরপরই খবর আসে পিপিপির কো-চেয়ারর‌্যান আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন নওয়াজ শরিফ। পিপিপির সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোর দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে।

তবে বৈঠকে আর কারা উপস্থিত ছিলেন বা কী আলোচনা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

২০২২ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পিপিপি ও পিএমএল-এন একসঙ্গে জোট করেছিল।

আল জাজিরার তথ্য বলছে, ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

এরমধ্যে পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। আর নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) জয় পেয়েছে ৭১টি আসনে। বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩টি আসন।

এছাড়া অন্যান্য দল এবং স্বতন্ত্ররা পেয়েছে ২৭টি আসন। একটি আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার বাকি আরও ১৫ আসনের।

পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা কী করবেন

বিশ্লেষকরা বলছেন, তাত্ত্বিকভাবে সংসদ সদস্যরা দলমত নির্বিশেষে সরকার গঠন করতে সক্ষম। পিটিআই যেহেতু দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি, সেক্ষেত্রে দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা অন্য কোনো দলে যোগদান না করেও নিজেরা সংসদীয় স্বাধীনতা বজায় রাখার পথ বেছে নিতে পারেন।

সেক্ষেত্রে এটা তাদের সরকার গঠনের সুযোগ করে দিতে পারে। যদি তারা সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় আসন তথা ম্যাজিক ফিগার পূরণ করতে পারেন। অর্থাৎ ২৬৬ আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসন পেতে হবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই যদি ঘটে, তাহলেও তা হবে অত্যন্ত দুর্বল একটা সরকার। কারণ স্বতন্ত্র সাংসদ যেকোনো মুহূর্তে ক্ষমতাসীন জোটকে পরিত্যাগ করতে পারেন। যার ফলে ভেঙে যেতে পারে সরকার।

স্বতন্ত্র থাকার আরেকটি অসুবিধা হলো ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংরক্ষিত আসনের যে কোটা রয়েছে তা থেকে বঞ্চিত হবেন। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নারী ও সংখ্যালঘু মিলিয়ে ৭০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি আসন নারীদের জন্য এবং ১০টি সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ। যে দল সরকার গঠন করবে তাদের প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে এগুলো বণ্টন করা হয়।

পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচনের সুযোগ না পাওয়ায় দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সংরক্ষিত আসনের এই কোটার সুবিধা পাবে না। এ অবস্থায় পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, তার জন্য আরও ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর

পদত্যাগে রাজি, বললেন মমতা

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাকৃবির প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পেলেন যারা

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

গত মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পান বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা যায়। এরপর গত বুধবার (২১ আগষ্ট) সংস্থাপন শাখার অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীনকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নিয়োগের পর একে একে ছাত্র উপদেষ্টা, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, হলসমূহের প্রভোস্টসহ একাধিক পদে নতুনদের নিয়োগ দেয়া হয়। গত বুধবার (২১ আগষ্ট) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত আদেশনামায় তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির। নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাকৃবির প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম।

বাকৃবির হলগুলোর প্রভোস্ট পদেও এসেছে নতুন মুখ। বাকৃবির আশরাফুল হক হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলম মিয়া, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান, ঈশা খাঁ হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিয়াউল হক, শহীদ জামাল হোসেন হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহজাহান মঞ্জিল, শাহজালাল হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. বদিউজ্জামান খান, শহীদ নাজমুল আহসান হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম, শহীদ শামসুল হক হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল আওয়াল, বেগম রোকেয়া হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক, ফজলুল হক হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক শরীফ-আর-রাফি, সুলতানা রাজিয়া হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, তাপসী রাবেয়া হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান, ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তাহসিন ফারজানা এবং রোজী জামাল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

আরও খবর



সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৯৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
নাঈম তালুকদার - সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

গত ৪ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর বর্বর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দ্রুত বিচার আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


সোমবার দুপুরে ছাত্র আন্দোলনে জখমীর বড় ভাই দোয়ারাবাজর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, এড. রনজিৎ সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট,  সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ঘটনাকালীন দ্বায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সদর থানার তৎকালীন ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ই আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা  ছাত্রদের উপর গুলি করে, রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে, রড হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে লাশ গুম করার হুকুম দেয়া হয়।

হুকুম পেয়ে আ’লীগের সন্ত্রাসীবাহিনী ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। রামদা, রড, হকিস্টিক, পেট্রোল-বোমা, ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় একটি ভীতিকর পরিস্থিতিরি সৃষ্টি করা হয়। এমনকি এ সময় অবৈধ পিস্তল দিয়েও হামলা চালায় নিরীহ ছাত্রদের উপর। এতে করে অসংখ্য ছাত্র ও জনতা মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ হামলার হাত থেকে বাঁচতে লুকিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেও রক্ষা পাননি শিক্ষার্থীরা। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও ওসি খালেদা চৌধুরী নিজ হাতে শর্টগান দিয়ে গুলি করে পা ঝাঝড়া করে দেন। প্রানে বাঁচার জন্য অপর আহত রিপন একটি বাসায় সিএনজির পেছনে লুকিয়ে পড়লেও ওসি খালেদ চৌধুরী তাকে লক্ষ্য করে তার পায়ে গুলি করে পা ভেঙ্গে দেন। তাদের চিৎকার শুনে কিছু গণমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে এসে তাকে একটি রিক্সায় করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়। 


এভাবে গত ৪ই আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মী শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগনের উপর নির্মম অত্যাচারে মেতে উঠে। এ সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ পথচারী সাধারন জনতাও মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বাদী হাফিজ আহমদ ।


এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী মোশাহিদ আলম জানান, আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র মামলাটি গ্রহণ করে সুনামগঞ্জ সদর থানাকে এফ আই আর এর  জন্য নির্দেশ  দিয়েছেন।

আরও খবর



লালমনিরহাটে হিন্দুদের সম্প্রীতি সমাবেশে অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি,লালমনিরহাট:

হিন্দুদেরকে নিয়ে ভারত যাওয়ার সাজানো নাটক করায় রাষ্ট্র বিরোধী মামলায় হাতিবান্ধার সাবেক এমপি মোতাহার হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাচুকে গ্রেপ্তারের দাবি করা সহ বাংলাদেশের হিন্দুদের ৬৫-৭০ ভাগ জমি দখল করেছে আওয়ামীলীগ নেতারা, হিন্দুদেরকে ব্যবহার করে বিএনপি চায় আলোকিত বাংলাদেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ সবাই সজাগ থাকবেন যে বাংলাদেশে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান ভাই ভাই একসাথে বুক মিলিয়ে থাকতে চাই, আওয়ামীলীগ নানান ষড়যন্ত্র করছে সেদিকে খেয়াল রাখবেন যাতে তার ষড়যন্ত্র করতে না পারে - লালমনিরহাটে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। স্থানীয় মিশন মোড় চত্বরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন তিনি।  

এসনয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দরা বলেন, লালমনিরহাট জেলায় বিএনপি নেতা জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুতেই আস্থা তাদের।  কয়েকটি কয়েকটি স্থানে আওয়ামিলীগের কমিটিতে থাকায় ৩/৪ জনের বাড়ীতে হামলা করায় জেলা বিএনপি দ্রুত সেই সকল নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন এবং যাতে করে আর কোন নতুন ঘটনা না ঘটে সেদিকে জেলাবাসীকে  সজাগ থাকতে সবাইকে বলেন ।


আরও খবর



কুমিল্লায় মইনীয়া যুব ফোরামের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে সহযোগিতা প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

হযরত শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী প্রতিষ্ঠিত   স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মইনীয়া যুব ফোরামের উদ্যোগে দিনব্যাপী কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন জায়গায় বন্যার্তদের মাঝে সহায়তা  প্রদান করা হয়। মইনীয়া যুব ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাসুক- এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বে মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে ছিল শুকনো খাবার  মুড়ি,বিস্কুট,খাবার স্যালাইন, ঔষধ,স্যাভলন, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, গ্যাস লাইটসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয়  উপকরণ। 

এই সময় ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাসুক এ মইনুদ্দীন  বলেন, ময়নীয়া যুব ফোরাম বিভিন্ন দুর্যোগ, দূর্বিপাকে   ২০১৪ সাল থেকে অত্যন্ত  দক্ষতার সাথে মানুষের পাশে থেকে স্বেচ্ছায়  কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশের সুরক্ষায় মইনীয়া যুব ফোরামের উদ্যোগে প্রতিবছর দেশব্যাপী ৫ লক্ষ গাছের চারা রোপন  করে যাচ্ছে। তিনি বলেন আজ ভয়াবহ বন্যার কারণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী,লক্ষ্মীপুর,  কুমিল্লার লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে। মানুষের এই কঠিন মুহূর্তে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষকে পূর্ণবাসনের প্রয়োজন হবে, এবং পানি বাহিত বিভিন্ন  রোগ ব্যাধি দেখা দেবে। এই সময়ে মানুষের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে  সরকারসহ সবাইকে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

এ সময় তাঁর সাথে  ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসলাম হোসাইন, কুমিল্লা মহানগর  সভাপতি হাবিবুর রহমান পায়েল,মোঃ আবুল কালাম খলিফা ইকবাল কবির,মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, ফরহাদ মুন্সিসহ মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



কক্সবাজার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছেই

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছে। এক শ্রেণির দালাল টাকার বিনিময়ে তাদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে।

স্থানীয়দের হিসাবে, গত একমাসে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

তবে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের মতে, সংখ্যা আট থেকে নয় হাজার। সংখ্যা যাই হোক, ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

সীমান্ত এলাকার লোকজন বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। মংডু টাউনশিপ ঘিরে লড়াইয়ে আবারও রোহিঙ্গাদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রাণভয়ে ভিটেমাটি ফেলে গত একমাস ধরে মংডু আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। এমনকি অনুপ্রবেশের আশায় সীমান্তের ওপারে জড়ো হয়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার রোহিঙ্গা।

অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে টেকনাফ সীমান্ত দিয়েই বেশির ভাগ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা কাঠের নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে দালালদের সহযোগিতায় টেকনাফে ঢুকছে। এরপর তারা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে ঢুকে পড়ছে। অনেকে টেকনাফে বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও আশ্রয় নিচ্ছে।

সীমান্তে বিজিবি কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যেই আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গার বোঝায় এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, অবস্থায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ উদ্বেগের।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থানে না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা

সীমান্ত ঘেঁষা বাসিন্দারা বলছেন, গত এক মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এমনকি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু আশপাশের সীমান্তে আরও ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

সীমান্তের একাধিক সূত্র বলছে, টেকনাফের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া উপকূল, উখিয়ার বালুখালী, ঘুমধুম সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় জড়ো হয়ে থাকা রোহিঙ্গারা দালালদের সহায়তায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এক শ্রেণির দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ কিয়াত (বার্মিজ নোট) বা বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা নিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে দিচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না। এতে নতুন করে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে।

তিনি বলেন, রাখাইনের দখল নিয়ে জান্তা বাহিনী আরাকান আর্মির যুদ্ধের কারণে সেখানে নতুন সংকটে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অনেক রোহিঙ্গা মারা যাচ্ছে। এসব বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, বিজিবির কঠোর নজরদারির পরও অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। গত এক মাসে আট-নয় হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।

অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। সাত বছরে কাউকেই ফেরত নেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শুরু হলেও রাখাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা থেমে যায়।

নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের পক্ষে আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।

অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনদের ঘরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ আহত রয়েছে। তাদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুনদের আবাসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

উখিয়া, টেকনাফ নোয়াখালীর ভাসানচরসহ ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে আসে।

মংডু টাউনশিপ ঘিরে তীব্র লড়াই

গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে রাখাইনের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের সবকটি সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু টাউনশিপ আশপাশের এলাকায় যুদ্ধ চলছে।

যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দিচ্ছে আরকান আর্মি। এমনকি তারা মংডু টাউনশিপের পাশের পাঁচটি গ্রাম সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, উকিলপাড়া নুরুল্লাপাড়া দখল করে অন্তত ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করেছে। মংডু আশপাশের গ্রামগুলোতে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে।

রোহিঙ্গারা জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরও মংডু এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন তাদেরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফের বাংলাদেশে আশ্রয় খুঁজছে তারা।

 



আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪