Logo
শিরোনাম

সুফি কাদের বুঝায় ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম,সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবষেক :


সুফিবাদকে আরবিতে তাসাউফ বলা হয়। সুফি বলতে কাদের বুঝায় তথ্য উৎঘাটন করতে গিয়ে উইকিপিডিয়ায় পাওয়া যায়, সুফিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, সেটা এক ভিন্ন ধরনের সন্ন্যাসবাদ। বিশেষত জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করা ঐকান্তিক চর্চার মাধ্যমেই ধর্মপালন। যা তারা নামাজের পরে করে থাকে। উমাইয়া খিলাফতের (৬৬১-৭৫০) জাগতিক দুর্বলতার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, মুসলিমের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য হারে এই মতবাদের অনুসারী লাভ করে।

 

দুনিয়ার সকল দেশেই সুফিবাদের প্রসার হয়েছে ব্যাপক ভাবে। আজো তার সমৃদ্ধি চলছে। কিন্তু তাৎপর্যের ব্যাপার হল সুফিবাদের সুফি শব্দের মূল ভাবার্থ কি? তা নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর কিন্তু মনের মত সমাধান পাওয়া যায়নি।

বুঝায়

সুফি শব্দের চলমান ব্যাখ্যা

শব্দটির আভিধানিক উৎপত্তি নেওয়া হয়েছে সাফা থেকে। যার আরবি অর্থ বিশুদ্ধতা বা পবিত্রতা বা শুদ্ধতা বা পাপশূন্যতা। হৃদয়কে পাপশূন্য করার জন্য তাজকিয়া তথা আত্মশুদ্ধির দরকার হয়। আত্মশুদ্ধির জন্য জিকির অপরিহার্য। এই ব্যাখ্যাটি আধুনিক যুগে বিশ্লেষণ করে বানানো এবং এটাকেই সঠিক মনে করে সুফিবাদ এগুচ্ছে। ফলে উইকিপিডিয়াতেও এটাকেই মূল কথা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

 

সুফি শব্দের প্রকৃত ব্যাখ্যা
সুফি শব্দটি খাঁটি আরবি। যার অর্থ হল পশম কিন্তু সুফি শব্দ সাধারণ পশমের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় না। একেবারেয় খাটি বিশুদ্ধ পশমকে বুঝিয়ে থাকে। তাই অনেকে এই শব্দ দিয়ে সুফিবাদকে মূল্যায়িত করে থাকে। তারা এই শব্দটির মর্মার্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলে থাকেন, সুফি শব্দটি দিয়ে পশমের গুন বুঝিয়ে থাকে এবং সুফিরাও গুনের কারণে পরিচিত। তাই সুফি মানে বিশুদ্ধ সাধক আর সুফি সাধনা মানে বিশুদ্ধতার সাধনা।

 

ধারণাগত ব্যাখ্যা
আবার কেউ কেউ সুফি শব্দটিকে আরবি সফা শব্দের সঙ্গে জুড়ে দেন। রাসুল (সা) এর সাথীদের মধ্যে কেউ কাছাকাছি থাকতেন। এমন সাহাবীদের আহল-উসসুফফা বলা হত। অনেকেই ব্যাখ্যা দেন রাসুল (সা) এর সাথীদের মত চরিত্র-জীবন যাদের প্রকৃতপক্ষে তারাই সুফি বলে মতামত দিয়ে থাকেন। সুফি বলতে কা

দের বুঝায়

দার্শনিক আল-বেরুনীর ব্যাখ্যা
সুফিবাদ সুফি সম্পর্কে পরিষ্কার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাটি দিয়েছেন, জগৎবিখ্যাত গণিতজ্ঞ ইসলামী দার্শনিক আবু রায়হান আর বিরুনী (৯৭৩-১০৫০) তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ আল কিতাবুল হিন্দ গ্রন্থে। সুফিবাদের প্রচার প্রসার যখন মধ্যগগনে ইসলামের সেই সোনালী যুগে জগৎবিখ্যাত দার্শনিক আল বেরুনীর জন্ম। চলুন সরাসরি তাঁর কিতাব থেকেই বিষয়টি দেখি।

 

আল বেরুনীর ভাষায়, সুফি শব্দটি এসেছে ইউনানি (গ্রীক) ভাষা হতে। কেননা গ্রীক ভাষায় সুফ শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা (সুফিয়া) আর গ্রীক ভাষায় ফিলোসফার philosopher (দার্শনিক) কে পিলোসোপা (philosophos-ফিলোসোপস) তথা প্রজ্ঞাবান বলা হয়। দর্শন, দার্শনিক শব্দগুলো গ্রীকে দেশে খুবই সম্মানিত ব্যবহৃত শব্দ। তাই মুসলিম শাসনামলেও লোকেরা গ্রীক দার্শনিকদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিলিতভাবে নিজেরাও সুফি তথা প্রজ্ঞাবান তথা দার্শনিক শব্দটিকে গ্রহণ করেছেন।

আর বেরুনীর মতে সুফি শব্দকে বিশুদ্ধ পশমের সাথে মিলিয়ে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেটা আবু ফাতহ আল কুস্তানির ব্যাখ্যা। সুফি শব্দটি যে গ্রীক থেকে এসেছে ব্যাপারে তিনি শক্ত অবস্থান নিয়েছেন এবং অন্য কোন ব্যাখ্যা তিনি মানতে রাজী নন। তথ্য সূত্র ভারততত্ত্ব-৩৭

 

উল্লেখ্য, উমাইয়া শাসন পরবর্তী আব্বাসীয় শাসনামলে প্রচুর গ্রীক সাহিত্য আরবিতে অনুবাদ হয়। সে থেকে দর্শন, গণিত সহ বহু-ধরনের বিষয়ের সাথে আরবিদের পরিচয় ঘটে। অধিকন্তু সে সময়ের মুসলমানেরা কোরআন-হাদিস-ফিকাহের বাহিরেও জ্ঞান অর্জনের নিমিত্তে পাগল পারা ছিল। তাদের অনেকেই গ্রীকের বৈষয়িক জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। অন্যদিকে এই সময়টাই ছিল সুফিবাদের সূচনা যুগ। তার প্রায় আড়াই বছর পরেই আল বেরুনীর জন্ম। ফলে তিনি সুফিবাদের জন্ম, উত্থান সম্পর্কে বর্তমানের অনেকের চেয়ে বেশী জানতেন। তাই সুফি অর্থ প্রজ্ঞাবান কিংবা দার্শনিক আল বেরুনীর এই কথাটিই বেশী যুক্তিযুক্ত।


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। গত তিন মাসে আটজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা গেছে। গত বছরও পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত।

বুধবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, জিকা ভাইরাস দেশে প্রথম ২০১৪ সালে শনাক্ত হয়। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক।

গবেষকরা বলছেন, জিকার পাশাপাশি ঢাকা শহরে এখন চিকুনগুনিয়ায় অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এর অর্থ ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়া—এই তিন রোগে ঢাকা শহরের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ তিনটি ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করাতে হবে।

জিকা ভাইরাসের দুটি ধরন আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটি আফ্রিকান অন্যটি এশিয়ান। আইসিডিডিআরবি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের পাওয়া জিকা ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধরনটি এশিয়ান।


আরও খবর



আ’লীগ আমলে বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির খসড়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। তবে প্রতিবেদনের বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৮ আগস্ট দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিত্র জানতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় এই কমিটিকে।

ইতোমধ্যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন দেবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। আগামী সোমবার প্রতিবেদনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে কমিটি। অর্থনৈতিক খবরের সাবস্ক্রিপশন

জানা যায়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, সরকারি নথি ও বৈশ্বিক প্রতিবেদন ব্যবহার করে অর্থ পাচারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে শ্বেতপত্রে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে অর্থ পাচারের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেনি কমিটি। কীভাবে অর্থ পাচার হয় এবং কীভাবে তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায় না। তবে গবেষণা ও ধারণাভিত্তিক কিছু তথ্য দিয়ে আসছে বিভিন্ন সংস্থা। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির তথ্য অনুযায়ী, কর ফাঁকি দিতে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ভুল চালানের কারণে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রায় ৮ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে বাংলাদেশ।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শ্বেতপত্রে দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্রটিই তুলে ধরা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র’ শীর্ষক ২৫০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে থাকছে অর্থনীতির নানা দিক নিয়ে ২২টি অধ্যায়।

এতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পরিস্থিতি, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব আয়, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও বৈষম্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলোর ওপরও থাকছে বিশ্লেষণধর্মী পর্যবেক্ষণ।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাল ইউক্রেন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে চালানো এই হামলায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।

রাশিয়া জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২৫ মিনিটে এই হামলা চালানো হয়। আগুন দ্রুত নেভানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা তারা নিশ্চিত করেনি। সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে হামলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো। এর আগে, গত সোমবার রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ইউক্রেন এমন কোনো আক্রমণ চালালে তারা উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দেবে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন পারমাণবিক নীতিমালা অনুমোদন করেছেন। এতে বলা হয়েছে, কোনো অ-পরমাণবিক রাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং তাতে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন পায়, তবে সেটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




সংস্কারের নামে বন অধিদপ্তরে দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহালের আয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

এনামুল হক:

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পর্যায়ে বইছে সংস্কারের হাওয়া। সংস্কার প্রস্তাব থেকে বাইরে নয় বন অধিদপ্তরও। কিন্তু সম্প্রতি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে গৃহীত সংস্কার প্রস্তাবের পর তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে স্বয়ং বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। জানা যায় গত ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুবই গোপনে বৈঠক করে বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে যা অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে বর্তমানে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে রয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর একটা দফায় বলা হয়েছে, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদটি 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদে পদনাম পরিবর্তন, প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন এবং পর্যাপ্ত পদোন্নতি প্রদান নিশ্চিতকরণসহ অর্গানোগ্রামের মূল ধারার সাথে সমন্বয়করণ। 


বন অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদের কর্মকর্তাবৃন্দ কোনোরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত। ২০১১ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্প গ্রহন করে। এই প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকতার্র পদসহ ৭৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি শেষ হলেও ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ৫৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত করে তাদের পদায়ন করা হয়। এই সিদ্ধান্ত ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভুতাপেক্ষভাবে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২৫ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। 


'স্ট্রেনদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন' নামক আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জন 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা'। প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়।


বিভিন্ন নথিসমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাত্র ২ কর্মদিবস আগে তড়িঘড়ি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়মিতকরণের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সে ধারাবাহিকতায় ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে নিয়মিতকরণ করা হয়। এখন একই সাথে দ্রুতগতিতে উক্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ এবং পদনাম পরিবর্তন করে 'সহকারী বন সংরক্ষক' এ পরিবর্তনের কাজ এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য যে, 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদটি বন অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত ক্যাডার পদ যাতে শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এবং ফরেস্ট রেঞ্জার পদ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে যোগদানের সুযোগ আছে৷ কিন্তু আইন বহির্ভূতভাবে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের পদনাম ক্যাডার পদে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাবে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন বিভিন্ন পর্যায়ের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তা জানান, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমেও আসেন নি। এখন তাদের পদনাম ক্যাডার পদনামে পরিবর্তন করলে আমরা পদোন্নতিবঞ্চিত হবে, পদোন্নতি স্থবির হবে অন্যান্য পদগুলোতেও। এমনিতেই ক্যাডার-এনক্যাডার, প্রকল্প এরকম বহুমুখী মামলায় বহু বছর বনবিভাগের কার্যক্রম স্থবির। এসব জট কাটিয়ে গতিশীল হতে শুরু করা মাত্রই এমন সংস্কার প্রস্তাবকে আমরা দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহাল রাখার চোখেই দেখি।'

তিনি আরও জানান, 'প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা মূলত বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক লবিং এ আসা। এখন তাদেরকে ক্যাডার পদে পদনাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারের চিহ্ন বহাল ও শক্তিশালী করার নামান্তর। আমরা বিগত সরকারের আমলে প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া এবং ভুতাপেক্ষভাবে রাজস্বে স্থানান্তরের বিষয়গুলো বর্তমান সরকারকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই।'

অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা যোগদানের পর থেকে বনবিভাগের নানা অসংগতি দেখি৷ জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে বনবিভাগকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু যখন দেখি অবৈধ টাকার প্রবাহে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাডার পদে আসার চেষ্টা করে এবং তাতে স্বয়ং জড়িত থাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, তখন আমরা কাজ করার নৈতিক শক্তিতে অনেক পিছিয়ে পড়ি।'


আরও খবর

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




মাভাবিপ্রবিতে ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

কর্মসূচির মধ্যে মাওলানা ভাসানীর মাজারে সকাল ৭.৩০ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দের-এর নেতৃত্বে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এছাড়া সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ ও বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর