Logo
শিরোনাম

সুফি কাদের বুঝায় ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম,সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবষেক :


সুফিবাদকে আরবিতে তাসাউফ বলা হয়। সুফি বলতে কাদের বুঝায় তথ্য উৎঘাটন করতে গিয়ে উইকিপিডিয়ায় পাওয়া যায়, সুফিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, সেটা এক ভিন্ন ধরনের সন্ন্যাসবাদ। বিশেষত জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করা ঐকান্তিক চর্চার মাধ্যমেই ধর্মপালন। যা তারা নামাজের পরে করে থাকে। উমাইয়া খিলাফতের (৬৬১-৭৫০) জাগতিক দুর্বলতার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, মুসলিমের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য হারে এই মতবাদের অনুসারী লাভ করে।

 

দুনিয়ার সকল দেশেই সুফিবাদের প্রসার হয়েছে ব্যাপক ভাবে। আজো তার সমৃদ্ধি চলছে। কিন্তু তাৎপর্যের ব্যাপার হল সুফিবাদের সুফি শব্দের মূল ভাবার্থ কি? তা নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর কিন্তু মনের মত সমাধান পাওয়া যায়নি।

বুঝায়

সুফি শব্দের চলমান ব্যাখ্যা

শব্দটির আভিধানিক উৎপত্তি নেওয়া হয়েছে সাফা থেকে। যার আরবি অর্থ বিশুদ্ধতা বা পবিত্রতা বা শুদ্ধতা বা পাপশূন্যতা। হৃদয়কে পাপশূন্য করার জন্য তাজকিয়া তথা আত্মশুদ্ধির দরকার হয়। আত্মশুদ্ধির জন্য জিকির অপরিহার্য। এই ব্যাখ্যাটি আধুনিক যুগে বিশ্লেষণ করে বানানো এবং এটাকেই সঠিক মনে করে সুফিবাদ এগুচ্ছে। ফলে উইকিপিডিয়াতেও এটাকেই মূল কথা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

 

সুফি শব্দের প্রকৃত ব্যাখ্যা
সুফি শব্দটি খাঁটি আরবি। যার অর্থ হল পশম কিন্তু সুফি শব্দ সাধারণ পশমের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় না। একেবারেয় খাটি বিশুদ্ধ পশমকে বুঝিয়ে থাকে। তাই অনেকে এই শব্দ দিয়ে সুফিবাদকে মূল্যায়িত করে থাকে। তারা এই শব্দটির মর্মার্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলে থাকেন, সুফি শব্দটি দিয়ে পশমের গুন বুঝিয়ে থাকে এবং সুফিরাও গুনের কারণে পরিচিত। তাই সুফি মানে বিশুদ্ধ সাধক আর সুফি সাধনা মানে বিশুদ্ধতার সাধনা।

 

ধারণাগত ব্যাখ্যা
আবার কেউ কেউ সুফি শব্দটিকে আরবি সফা শব্দের সঙ্গে জুড়ে দেন। রাসুল (সা) এর সাথীদের মধ্যে কেউ কাছাকাছি থাকতেন। এমন সাহাবীদের আহল-উসসুফফা বলা হত। অনেকেই ব্যাখ্যা দেন রাসুল (সা) এর সাথীদের মত চরিত্র-জীবন যাদের প্রকৃতপক্ষে তারাই সুফি বলে মতামত দিয়ে থাকেন। সুফি বলতে কা

দের বুঝায়

দার্শনিক আল-বেরুনীর ব্যাখ্যা
সুফিবাদ সুফি সম্পর্কে পরিষ্কার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাটি দিয়েছেন, জগৎবিখ্যাত গণিতজ্ঞ ইসলামী দার্শনিক আবু রায়হান আর বিরুনী (৯৭৩-১০৫০) তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ আল কিতাবুল হিন্দ গ্রন্থে। সুফিবাদের প্রচার প্রসার যখন মধ্যগগনে ইসলামের সেই সোনালী যুগে জগৎবিখ্যাত দার্শনিক আল বেরুনীর জন্ম। চলুন সরাসরি তাঁর কিতাব থেকেই বিষয়টি দেখি।

 

আল বেরুনীর ভাষায়, সুফি শব্দটি এসেছে ইউনানি (গ্রীক) ভাষা হতে। কেননা গ্রীক ভাষায় সুফ শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা (সুফিয়া) আর গ্রীক ভাষায় ফিলোসফার philosopher (দার্শনিক) কে পিলোসোপা (philosophos-ফিলোসোপস) তথা প্রজ্ঞাবান বলা হয়। দর্শন, দার্শনিক শব্দগুলো গ্রীকে দেশে খুবই সম্মানিত ব্যবহৃত শব্দ। তাই মুসলিম শাসনামলেও লোকেরা গ্রীক দার্শনিকদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিলিতভাবে নিজেরাও সুফি তথা প্রজ্ঞাবান তথা দার্শনিক শব্দটিকে গ্রহণ করেছেন।

আর বেরুনীর মতে সুফি শব্দকে বিশুদ্ধ পশমের সাথে মিলিয়ে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেটা আবু ফাতহ আল কুস্তানির ব্যাখ্যা। সুফি শব্দটি যে গ্রীক থেকে এসেছে ব্যাপারে তিনি শক্ত অবস্থান নিয়েছেন এবং অন্য কোন ব্যাখ্যা তিনি মানতে রাজী নন। তথ্য সূত্র ভারততত্ত্ব-৩৭

 

উল্লেখ্য, উমাইয়া শাসন পরবর্তী আব্বাসীয় শাসনামলে প্রচুর গ্রীক সাহিত্য আরবিতে অনুবাদ হয়। সে থেকে দর্শন, গণিত সহ বহু-ধরনের বিষয়ের সাথে আরবিদের পরিচয় ঘটে। অধিকন্তু সে সময়ের মুসলমানেরা কোরআন-হাদিস-ফিকাহের বাহিরেও জ্ঞান অর্জনের নিমিত্তে পাগল পারা ছিল। তাদের অনেকেই গ্রীকের বৈষয়িক জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। অন্যদিকে এই সময়টাই ছিল সুফিবাদের সূচনা যুগ। তার প্রায় আড়াই বছর পরেই আল বেরুনীর জন্ম। ফলে তিনি সুফিবাদের জন্ম, উত্থান সম্পর্কে বর্তমানের অনেকের চেয়ে বেশী জানতেন। তাই সুফি অর্থ প্রজ্ঞাবান কিংবা দার্শনিক আল বেরুনীর এই কথাটিই বেশী যুক্তিযুক্ত।


আরও খবর



বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লোকবল সংকটের কারণে সব জায়গায় ঠিকমতো তদারকি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সারাদেশে ৪৫-৪৫টি টিম আমাদের অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। ১৭টি জেলায় আমরা কোনো অফিসার দিতে পারিনি।

 ২ অক্টোবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, যেখানে জেলায় ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি সেখানে উপজেলা পর্যায়ে সেই সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে কাজ করছি।

আমাদের আইনেরও কিছু দুর্বলতা আছে, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আইন যতই স্ট্রং হোক, আমাদের জনবল যদি ১০ গুণও বৃদ্ধি হয়, তারপরও কাজ হবে না, যতক্ষণ না আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে অ্যাঙ্গেস্ট করতে পারব। ভোক্তারা যতক্ষণ তার অধিকার আদায়ে সচেষ্ট না হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেলা-জমিমানা বা শান্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজা-পার্বণ বা কোনো উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না।

কিরন বলেন, যোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে চাহিদা বাড়লে মূল্য বৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে দেশে এখনো অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছায়া সংসদের আদলে এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। গত ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনাল ও গ্রান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।


আরও খবর

কমেনি পেঁয়াজ আলু ডিমের দাম

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে ভূমি ও গুচ্ছ গ্রামের রেশন কার্ড আত্মসাৎ করার অশুভ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারি নাথ। 

শনিবার (৩০ ই সেপ্টেম্বর)  রামগড়ে স্থানীয় গোধূলি রেস্তোরাঁয় বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জহর লাল ঘোষ নামের স্থানীয় বাসিন্দা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ভূমি ও রেশন কার্ড দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি জহর লাল ঘোষ একটি সংবাদ সম্মেলনে ভূমি অফিসের সহযোগীতায় ঘুষের প্রসঙ্গে  আমার সহযোগীতার অভিযোগ তুলেন। অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা উল্লেখকরে  বলেন, জহরলাল বোোন গীতা রানী ঘোষকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে পৌরসভার জগন্নাতপাড়াস্থ দশমিক ২০ শতক ভুমি নিজ নামে বন্দোবস্ত করে অন্যায় ভাবে তার স্ত্রীকে দান করতে অপচেষ্টা করে একই সাথে পারিবারিক রেশন কার্ড থেকে তার  বোনকে বাদ দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের ওয়ারিশ করেন।  

উল্লেখিত জালিয়াতির বিচার ও সম্পত্তির দাবী চেয়ে তার বোন ভূমি অফিস ও স্থানীয় হিন্দু নেতাদের নিকট বিচার দাবী করলে আমি সুষ্ঠ বিচারে সহযোগীতা করায়  ভূমিদস্যু জহর লাল ঘোষ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুষ বানিজ্যর নামে ভুয়া অভিযোগ তুলে আমাকে ও তদসংশ্লিষ্ট অফিসকে দায়ী করেন। 

 তিনি আরো বলেন, হিন্দু  নেতা হিসাবে বোনকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে ভূয়া বন্দোবস্তর বিরুদ্ধে তাদের কয়েকটি বিচারিক বৈঠকে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথা অভিযোগ তুলে  অথচ তার বোন নিজেই বাদী হয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভূমি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন। 

এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট কাজে রামগড় ভূমি অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম সুকৌশলে কবুলিয়ত না থাকা সত্ত্বেও  নামজারী মামলার সুপারিশ করায় তার বিরুদ্ধে  শাস্তি দাবী করেন এবং সুবিচারের আশায় তার বোন গীতা রানী ঘোষ খাগড়াছড়ি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২/২০২৩নং বিবিধ মামলা রুজু করেন যা আদালতে চলমান আছে এবং রেশন কার্ডের ওয়ারিশনে তার স্ত্রী সন্তাদের অন্তভূক্তের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়র বরাবর তার বোনের আবেদনে শুনানীতে জহর লাল ঘোষের স্ত্রী সন্তানদের বাদ দিয়ে বোন গীতা রানীকে অন্তভূর্ত করতে নির্দেশ দিলেও জহর লাল একক ভাবে সেই রেশন কার্ড ভোগ করছেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত বিষয়ে রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ভূমি বন্দোবস্ত ও স্ত্রীর নামে নামজারিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন  জহর লাল ও তার স্ত্রী উমা রাণী ঘোষ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথকে ঘুষ কারবারে সহযোগীতার অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। ওই সময় জহর লাল  তার বোনকে সৎ বোন দাবী করে নামজারী মামলার বিরুদ্ধে ভূমি কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুইবার শুনানী হয়। 

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।জহরলাল তার বোন কে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তার বোন অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখি। তদন্তে তার বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়। জহরলাল ঘোষের সমস্ত কাগজপত্র ভুয়া।তার বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ঘুষ দাবির বিষয়টিও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।


আরও খবর



পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে

দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ- মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা বিশৃংখলা যুগকে বলা হতোআইয়ামে জাহেলিয়াত যুগ

তখন মানুষ হানাহানি কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।


মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।


এদিকে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ দোয়া মাহফিল

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা চরিত্র গঠন বিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ক্রোড়পত্র প্রকাশ

এছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

সূত্র: বাসস


আরও খবর



দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে সংকটে মানুষ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে না পেয়ে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। প্রতি ডজন ডিমের দাম কয়েক মাসের ব্যবধানে ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ১২.৫০ টাকায় প্রতিটি ডিম পাওয়া গেলেও কদিন আগেই এটি ১৫ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে এক মাসের ব্যবধানেই ৪৫-৫০ টাকায় উঠেছে।

দিনমজুর হিসেবে ঢাকায় কাজ করেন ইব্রাহীম। তার একার রোজগারে চারজনের পরিবারের খরচ চলে। রান্নায় তার পরিবারে সবজির মধ্যে আলুর ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি। দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার পর থেকেই সপ্তাহে দুই কেজি আলুর জায়গায় এখন তিনি এক কেজি কিনছেন। তার বাড়িতে এখন আলু কম দিয়ে ঝোল বাড়িয়ে দিয়ে ডিমের তরকারি রান্না হয়।

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে ইব্রাহীমের মতো সীমিত আয়ের অনেকেই এখন সংসারের ব্যয় কাটছাঁটের চাপে পড়েছেন। কারণ ডিম, আলু, পাঙাশ মাছ, তেলাপিয়া, ব্রয়লার মুরগির মতো সবচেয়ে সস্তার খাবারগুলোও এখন উচ্চমূল্যে কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে


পণ্যমূল্য বৃদ্ধির উত্তাপ লেগেছে বেসরকারি চাকরিজীবী আফসার উদ্দিনের গায়েও। একটি সাবলেট বাসায় স্কুলপড়ুয়া এক ছেলেসহ তিনজনের সংসার তার। ডিমের দাম যখন কম ছিল, তখন সকালে প্রায় প্রতিদিন তিনজনে দুই-তিনটি ডিম সিদ্ধ করে খেতেন। এখন শুধু ছেলের জন্য একটি ডিমই সিদ্ধ হয়। ক্রমবর্ধমান খরচ তার মতো পরিবারগুলোর জন্য মানসম্মত জীবন যাপন কঠিন করে তুলেছে।


নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে না পেয়ে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা।

প্রতি ডজন ডিমের দাম কয়েক মাসের ব্যবধানে ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ১২.৫০ টাকায় প্রতিটি ডিম পাওয়া গেলেও কদিন আগেই এটি ১৫ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে এক মাসের ব্যবধানেই ৪৫-৫০ টাকায় উঠেছে।

প্রতি পিস ডিমের দাম যখন ১৫ টাকার বেশি হয়, তখন ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে ডিমের তরকারির দাম ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছিল। ডিমের দাম যখন কমে এবং আলুর দাম বেড়ে যায়, তখন ডিমের তরকারি অনেক জায়গায়ই ৩৫ টাকা হয়ে গেছে।

আর আলু ভর্তার দাম কোথাও কোথাও এখন ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকায় উঠেছে। কিন্তু যেসব বিক্রেতা দাম বাড়াননি, তারা ভর্তায় পরিমাণ কমিয়েছেন।

ঢাকার ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে দিনে ও রাতে অসংখ্য দিনমজুর, গাড়িচালক, চাকরিজীবী খাবার খান। কারণ এসব দোকানে কম খরচে খাবার খাওয়া যায়।

সরকার এক সপ্তাহ আগে আলু, ডিম ও পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে। প্রতিটি ডিম ১২ টাকা, আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। দাম বেঁধে দেওয়ার প্রায় সপ্তাহখানেক পার হতে চললেও একটি পণ্যও নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। ডিম এখনো প্রতিটি ১২.৫০ টাকা, আলু ৪৫-৫০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। 

এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে এবং আলু কিছু জায়গায় ৫ টাকা পর্যন্ত কমে মিলছে। আর ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার দুই দফায় ১০ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে।

এসব আমদানির ডিম আগামী সপ্তাহ থেকে দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন টাইগার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সাইফুর রহমান। এসব ডিম দেশে এলে ৯-১০ টাকায় বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ফেঁসে যাচ্ছেন সানজিদাসহ ৫ জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মারধরের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রথমে তদন্ত শেষ করতে না পারায় আমরা সময় নিয়েছিলাম। দায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনার তদন্তে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া সব কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্টতা ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কার কার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবো।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ওই দিন রাতে এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান তিনি। যেখানে তাদের পেটানো হয়। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সানজিদার ভাষ্যমতে তার বুকে ব্যথা হওয়ায় তিনি তার ঊর্ধ্বতন স্যার এডিসি হারুনকে ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। বারডেম হাসপাতালটি ওই এলাকায় হওয়ায় স্যার রমনা থানার ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল নেন। শনিবার সন্ধ্যায় সময় মতো চিকিৎসক না পেয়ে তিনি হারুন স্যারকে হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে তার স্বামী (মামুন) গিয়ে হারুন স্যারকে মারধর করেন। ওই সময় স্বামীর সঙ্গে আসা আরও দুইজন হামলায় অংশ নেয় এবং ঘটনার ভিডিও করতে থাকে। তখন তিনি ইটিটি কক্ষে ছিলেন।

ওই ঘটনার পর এডিসি হারুন ফোর্স নিয়ে মামুন ও ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকেও থানায় ডেকে নেন। এরপর ওই দুই ছাত্রনেতার উপর নির্যাতন চালানো হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) গোলাম মোস্তফাকে ডিএমপির সংরক্ষণ দপ্তরে বদলি করা হয়।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দফতরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

এই তদন্ত কমিটির ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তদন্ত শেষ করতে না পারায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও পাঁচ দিন সময় চায় কমিটি। পরে তাদের পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়। সোমবার পাঁচ দিন সময় শেষ হয়েছে।

ঘটনার আলামত পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি বলছে, বারডেম হাসপাতালে স্ত্রী সানজিদা গিয়েছে জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে হাসপাতালে যান মামুন। সেখানে গিয়ে দেখা হয় এডিসি হারুনের সঙ্গে। পরে হাতাহাতিতে জড়ায় দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে হারুন ও সানজিদা ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ইটিটি রুমে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করে হারুন ও তার সহযোগীরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেসন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে। আজ (মঙ্গলবার) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


আরও খবর