Logo
শিরোনাম

শুটিং ফেলে কেন চলে গেলেন সায়ন্তিকা ?

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রথমবার ঢাকার লোকাল সিনেমায় কাজ করছেন কলকাতার নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবির নাম ছায়াবাজ। তাজু কামরুলের পরিচালনায় তার বিপরীতে নায়ক জায়েদ খান। আনন্দচিত্তে বাংলাদেশে এসে শুটিংয়েও নামেন। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ ফিরে যান নায়িকা। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ঢালিপাড়ায় নানামুখী চর্চা হচ্ছে।

শুটিং ফেলে সায়ন্তিকার চলে যাওয়ার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছবির নির্মাতা। তবে জানা গেছে, নৃত্য পরিচালক মাইকেলকে ঘিরে নায়িকা চটেছেন। এ বিষয়ে মাইকেল এবং ছবির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করেছেন।

তারা জানান, দ্বিতীয় গানের শুটিংয়ের সময় সায়ন্তিকা অভিযোগ তোলেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেল তার হাত ধরেছেন! তার সঙ্গে আর কাজ করতে রাজি নন বলে সাফ জানিয়ে দেন। অন্যদিকে প্রযোজকও অনড়, শুটিং হলে মাইকেলের কোরিওগ্রাফিতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন সায়ন্তিকা।

নিজ শহর কলকাতায় ফিরে অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সায়ন্তিকা, জানালেন আসল কারণ। আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি জানালেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেল নয়, তার চলে যাওয়ার মূল কারণ ছবির প্রযোজক। নায়িকার ভাষ্য, প্রথমে অন্য মাস্টারজি এসেছিলেন নাচের দৃশ্য শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু সেখানে টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যার জন্য তিনি চলে যান। এর পর মাইকেল নামক বাচ্চা ছেলেটি আসে। মাইকেল আমার অনুমতি না নিয়েই হাত ধরে আমায় সরাতে গিয়েছিল। তখন আমি সকলের সামনেই বাধা দিই।

কিন্তু ছায়াবাজ ছবির শুরু থেকেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন বলে জানান সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, বারবার আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে আলাপ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তরই পাইনি। তার কোনও পরিকল্পনা নেই। কোনও ব্যবস্থা নেই। হঠাৎ বলা হলো, নাচের দৃশ্যের শুটিং করা হবে! বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পরেও যখন মনিরুল উত্তর দেননি, তখন বলেছিলাম, আমি এই ভাবে কাজ করবো না মাইকেলের সঙ্গে।

এমন অবস্থায় বড় প্রশ্ন হলো, ছায়াবাজ ছবিটির কাজ কি তবে অসম্পূর্ণই থেকে যাবে? এ বিষয়ে প্রযোজক মনিরুল জানিয়েছেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেলের সঙ্গে যদি সায়ন্তিকা কাজ না করেন, তাহলে ছবির নায়ক-নায়িকাই পরিবর্তন করে ফেলবেন তিনি।

অন্যদিকে সায়ন্তিকার মন্তব্য, তিনি (প্রযোজক) যদি সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করেন, তাহলে আমি নিশ্চয়ই ছবিটার কাজ শেষ করব। কিন্তু তার আগে আমাকে চিত্রনাট্য, শট ডিভিশন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানাতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট ছায়াবাজ সিনেমার শুটিং করতে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। তখন তাকে বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন নায়ক জায়েদ খান। এরপর তারা কক্সবাজার গিয়ে অংশ নেন শুটিংয়ে। আট দিন শুটিং করে গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফিরে যান সায়ন্তিকা। ফেরার আগ মুহূর্তে বিমানবন্দরেই জায়েদের সঙ্গে আরও একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে যান নায়িকা। টাইগার নামের সেই ছবি পরিচালনা করবেন কামরুজ্জামান রোমান।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ৩২ বেসামরিক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও হামলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনীর আর্টিলারি হামলায় অন্তত ৩২ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার দেশটির পশ্চিম ওমদুরমানের ওম্বাদা এলাকায় এই গোলাবর্ষণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

অধিকারকর্মী এবং বাসিন্দারা বলেছেন, দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া সুদানি সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আর এই ধরনের হামলার ঘটনায় রাজধানী খার্তুম এবং অন্যান্য শহরে শত শত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, যদিও আরএসএফ খার্তুম এবং ওমদুরমান ও খার্তুম নর্থ শহরগুলোর বেশিরভাগ অংশই দখল করে রেখেছে, তারপরও সুদানের সেনাবাহিনীর কাছে ভারী কামান এবং বিমান বাহিনীর শক্তি রয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে সুদানের সামরিক শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান আরএসএফকে বিলুপ্ত করার আদেশ দিয়ে একটি সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেছেন বলে ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিল জানিয়েছে। অবশ্য আরএসএফ-এর কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সুদানের সেনাবাহিনী ওমদুরমানে প্রচুর সংখ্যক স্থল সেনা মোতায়েন করে বলে সামরিক সূত্র জানিয়েছিল। মূলত দারফুর অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আরএসএফ-এর প্রধান সরবরাহ রুটটি বন্ধ করার জন্য বড় অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন, গত রোববার ওম্বাদাতে সেনা অভিযানে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার ওম্বাদা এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোক পালিয়ে গেছে। অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করে বাড়িঘরের ক্ষতি করার পাশাপাশি বেসামরিক এলাকাগুলোতে লুটপাট ও দখলের বিষয়েও অ্যাক্টিভিস্ট এবং বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স বলছে, ‘বেসামরিক লোকে পরিপূর্ণ এলাকায় ভারী এবং হালকা কামান ব্যবহার করাটা যুদ্ধাপরাধ ... এই বিষয়টি মানুষের জীবনের প্রতি তাদের অবজ্ঞাকেই প্রতিফলিত করে।’

তারা বলেছে, সেনাবাহিনী এবং আরএসএফকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য বুধবার আরএসএফ-এর উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর আগেও সংঘাতরত উভয় পক্ষের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই বাহিনীর এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে আরও হাজার হাজার মানুষকে।

রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আরএসএফের সেনাদের দখলে। আর তাদের লক্ষ্য করেই মাঝে মাঝে বিমান হামলাসহ কামানের গোলাবর্ষণ করে থাকে সুদানের সেনাবাহিনী।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয় যেসব অভ্যাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী হতে পারে আপনার কিছু কাজ। আপনি হয়তো জানতেও পারেন না, আপনার প্রতিদিনের কিছু কাজ কীভাবে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই সেসব কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। এর হাত ধরে আসে নানা ধরনের রোগ। তখন সেসব সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস হলো মেটাবলিক ডিজর্ডার। শরীরের নিয়মে গন্ডগোল হলেই বাসা বাঁধে এই রোগ। তাই এই সমস্যাকে বলা হয় মেটাবলিক ডিজর্ডার। মেটাবলিজম সিস্টেম আমাদের খাবার হজম ও অন্যান্য প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর দিকে বিশেষ যত্নশীল হওয়া জরুরি।

আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন অনিয়মিত হলে এই মেটাবলিজমে গন্ডগোল দেখা দেয়।‌ এটি আসলে একটি ঘড়ির মতো কাজ করে। মেটাবলিজমে গন্ডগোল দেখা দিলে সেই ঘড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কী রয়েছে এই খারাপ অভ্যাসের তালিকায়? দেখে নিন-

ডায়াবেটিস বৃদ্ধির জন্য যেসব কাজ বা অভ্যাস দায়ী তার মধ্যে প্রথমেই রাত জেগে থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাত জেগে কাজ করা বা অবসর উপভোগ করা আসলে শরীরের পক্ষে কাজ করে না। আমাদের মধ্যে অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে রাত জেগে কাজ করার বা মুভি দেখার। এই অভ্যাস ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে রয়েছে অনিয়মিত খাবার খাওয়া। একেকদিন একেক সময়ে খাবার খেলে তা খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে ব্যাহত হয় মেটাবলিজম প্রক্রিয়া। সেখান থেকে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে।

আরেকটি অভ্যাস হলো অসময়ে খাবার খাওয়া। যখন যা মন চায় খেতে শুরু করলে তা একটা সময় আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। অসময়ে ভাজাপোড়া খাবার, জাঙ্কফুড খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। যে কারণে অল্প বয়স থেকেই এই রোগের লক্ষণও দেখা দিতে থাকে। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।


আরও খবর



নওগাঁয় ৪ বছরেও মেরামত হয়নি রিং কালভার্ট' দূর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন একটি গ্রামীণ রাস্তা হচ্ছে লোহাচূড়িয়া টু ঝিনা রাস্তা। রক্তদহ বিল থেকে আসা রতনডারী ডারার তীর দিয়ে এই গ্রামীণ রাস্তাটি চলে গেছে। এই রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে ছিন্নমূল, ভূমিহীন, গৃহহীন, গরীব ও অসহায় মানুষদের বসতি। প্রায় ৪ বছর আগে বন্যার পানিতে গহেলাপুর, ঝিনা ও লোহাচূড়িয়া রাস্তার সংযোগ স্থলের রিং কালভার্ট টি ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত তা মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা সহ লোকজনদের। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এই ভাঙ্গা অংশ পায়ে হেটে কিংবা বাইসাইকেল দিয়ে কোন মতে পার হওয়া গেলেও ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে প্রতিনিয়তই আকনা, বাঁশবাড়িয়া, ঝিনা, বিজয়কান্দি, বড়বড়িয়া সহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষদের ঐতিহ্যবাহী লোহাচূড়িয়া ধানের হাটে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই অঞ্চলের কৃষকদের ধানের হাটে ধান নিয়ে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বর্তমানে ২০-২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। অথচ এই রিং কালভার্টটি মেরামত করা হলে মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে ধানের হাটে চলাচল করা সম্ভব। এতে করে কৃষিপণ্য বিপনন করতে লোকসান হিসেবে অতিরিক্ত খরচও গুনতে হবে না ২০টি গ্রামের কৃষকদের।

ঝিনা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের সুবিধা এখনোও গ্রামের মানুষরা পাচ্ছে না। ৪ বছর আগে এই সামান্য রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেরামত না করায় এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায় ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে চলাচল করলেও রাতের আধাঁরে এই ভাঙ্গা স্থানটি পারাপার হতে অনেক মানুষই নিচে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। 

এলাকার বাসিন্দা নারী আছমা খাতুন বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের এই রাস্তা দিয়ে গহেলাপুর স্কুলে যেতে হয়। এই ভাঙ্গা অংশটি ৪ বছরেও মেরামত না করায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির ইটের উপর শেওলা জমে যাওয়ার কারণে হাটার সময় পিছলে পড়েও অনেক দূর্ঘটনা ঘটে। তাই এই ভাঙ্গা রিং কালভার্টটি দ্রুত মেরামত সহ পুরো রাস্তাটি ইটের পরিবর্তে পাঁকাকরণ করার জন্য উন্নয়নবান্ধব সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত ঐ স্থানে আরেকটি রিং কালভার্ট কিংবা অন্য কোন কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবো।


আরও খবর



নওগাঁয় মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র  রিপোর্টার :

নওগাঁয় মা ও ১০ বছর বয়সি মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার এর ঘটনাটি ঘটে শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জামগ্রাম (বাঁধপাড়া) গ্রামে।

নিহত মা ও মেয়ে হলেন, ঐ গ্রামের ভ্যান চালক আরিফুল ইসলাম এর স্ত্রী মোসাঃ ছাবিনা আক্তার (২৮) ও মেয়ে মোসাঃ আফরোজা আক্তার (১০)। মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ এর খবর মহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় এক নজর দেখার জন্য ঘটনাস্থলে লোকজন ভীড় জমান এবং মা ও মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রাম তথা এলাকা জুড়ে লোকজনের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। থানা পুলিশ ও স্থানিয় সুত্র জানান, ঐ গ্রামের আরিফুল ইসলাম ভ্যান চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। 

প্রতি দিনের ন্যায় শনিবার সকালেই ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে ভাড়া মারার উদ্দ্যশ্যে বের হয়ে যান আরিফুল ইসলাম এবং ভাড়া মারার এক পর্যায়ে খাবারের জন্য আনুঃ সকাল সারে ৮ টার দিকে বাড়িতে গিয়ে ডাক দিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের কোন সারা-শব্দ না পেয়ে শয়ন ঘড়ে গিয়ে স্ত্রী ও মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি শুরু করায় সাথে সাথে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌছে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। মহূর্তের মধ্যেই মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে লোকজন ভীড় জমান। ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানানোর পরই আত্রাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।

মা ও মেয়ের দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার জানান, মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়ে অফিসার ইনচার্জ বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারন যানাযাবে। তারপরও ঘটনাটি উদর্ঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে।  


আরও খবর



দাখিলে ভালো ফলে বৃত্তি পাচ্ছে ১৩৫০ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : চলতি বছর দাখিল পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পেয়েছেন এক হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী। তাদের ৬০০ জনকে মেধাবৃত্তি ও ৭৫০ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেবে সরকার। গর্ভমেন্ট টু পাবলিক (জিটুপি) বা ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।  

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশ করা গেজেট বা তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সরাসরি অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দিতে যে কোনো তফসিলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।

জানা গেছে, মেধাবৃত্তি প্রাপ্তদের মাসিক ৬০০ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া বার্ষিক এককালীন দেওয়া হবে এক হাজার ৫০ টাকা। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি মাসে ৩০০ টাকা ও বার্ষিক এককালীন ৬০০ টাকা দেওয়া হবে। আগামী দুবছর এ সুবিধা পাবেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর