Logo
শিরোনাম

স্বাধীন স্বপ্ন জন্ম নেবার আগেই পরাধীন হয়ে যায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

অধ্যাপক ড, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

আমি যখন ছোট ছিলাম, সব সময় বলতাম বড় হয়ে পাইলট হবো | পৃথিবীর অনেক মানুষের ছোটবেলার স্বপ্নটা এমনই | তখন ভাবনাটা এমন ছিল, পাইলট হতে পারলে পাখির মতো উড়া যাবে, যেখানে খুশি সেখানে চলে যাওয়া যাবে  | কিন্তু বয়স যতই বেড়েছে পাইলট হবার স্বপ্ন থেকে ততই দূরে সরে এসেছি | নিজের স্বপ্নের জায়গায় আপনজন থেকে শুরু করে আশেপাশের মানুষের স্বপ্ন আধিপত্য বিস্তার করেছে | খুব অদ্ভুত একটা সমাজ, যার যা হওয়ার  স্বপ্ন,  তাদের সেই স্বপ্নগুলো কেড়ে নিয়ে নিজের  স্বপ্নগুলো চাপিয়ে দিতে ভালোবাসে | নিজের স্বপ্ন দেখা থেকে এভাবেই একটা মানুষ ক্রমাগত সরতে সরতে অন্যের স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন বলে একসময় মেনে নিতে বাধ্য হয়, তারপর সেটাকে নিজের স্বপ্ন বলে বিশ্বাস করতে থাকে | 

আসলে মানুষ যে স্বপ্নগুলো  দেখছে সেগুলো  তার নিজের স্বপ্ন নয় বরং যে স্বপ্নগুলো  তার নিজের দেখার কথা ছিল সেই স্বপ্নগুলোর অজ্ঞতাতেই থেকে যায়, স্বাধীন স্বপ্ন জন্ম নেবার আগেই পরাধীন হয়ে যায় | স্বপ্ন যখন পরনির্ভরশীল হয় তখন  তা  সফল হলেও  ব্যর্থতার মতোই, স্বপ্ন যখন নিজের উপর ভর করে সফল হয় তখন তা বিশ্বজয়ের মতোই |  

আমাদের সমাজে শৈশব থেকেই একটা শিশুকে শেখানো হয় বড় হয়ে তাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে, অথচ কেউ কখনো শেখায় না ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার চেয়ে ভালো মানুষ হওয়াটাই  বেশি দরকার |  ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারের বাইরেও যে বিরাট এক পৃথিবী আছে, হাত ধরে সেই পৃথিবী দেখানোর আলোকিত মানুষের যে আজ বড়ই অভাব | 

এখন মানুষের স্বপ্নগুলো গড়ে তোলা হচ্ছে  ক্ষমতা আর টাকাকে কেন্দ্র করে, যে পেশাগুলোতে ক্ষমতা আর টাকা আছে, সেই পেশাগুলোকে স্বপ্ন বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে | স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকছেনা বরং স্বপ্ন হয়ে যাচ্ছে স্বার্থের স্বপ্ন, লোভের স্বপ্ন, মরীচিকার স্বপ্ন  | মাকড়সার জালে স্বপ্ন থাকে, কারণ সেই জাল মাকড়সা নিজে বুনে, মানুষের জালে নিজের স্বপ্নকে আটকিয়ে কর্পোরেট পৃথিবীর বানানো কৃত্রিম স্বপ্ন থাকে, যে স্বপ্ন মানুষ নিজে বুনেনা বরং স্বপ্ন যেটা নয় সেটা বুনতে মানুষকে প্ররোচিত করা হয় | 

আমাদের ফেলে আসা প্রাচীন সময় পেরিয়ে এ যুগে এসেও মানুষ ছেলে-মেয়েদের বলছে, "লেখাপড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে"  | ছড়ার মতো উপদেশ বাণীটি   আপাতদৃষ্টিতে ভালো বলে মনে হলেও  এটার মধ্যে যে লোভ দেখানো হয়েছে, সেটা মানুষকে মানুষ বানানোর চেয়ে ভোগবাদী চিন্তার দিকেই বেশি  ঠেলে দেয় | আমরা যেটা শিখছি ভুল করে শিখছি, সেটার ভিতরে যে স্বপ্নের পরিবর্তে আগাছার জন্ম হচ্ছে সেটা বোধ হয় জানার পরিবর্তে এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো মনে করছি | 

স্বপ্নের দুঃসময় চলছে বলেই হয়তো আইনেষ্টাইন, নিউটন, সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লিওনার্দো-দা ভিঞ্চি এর মতো মহাপুরুষদের আর জন্ম হচ্ছেনা, বরং জন্ম নিচ্ছে নিজের স্বপ্ন নিখোঁজ হওয়া এক একটা অসহায় প্রজন্ম, যাদের   মাথায় হাত বুলিয়ে বলা হচ্ছে তুমি যেটা ভাবছো সেটা তোমার স্বপ্ন নয়, বরং যেটা আমরা ভাবছি সেটাই তোমার স্বপ্ন | 

স্বপ্নরা জানে সেই মায়া জড়ানো হাতে সেই  স্বপ্নগুলোর মৃত্যু ঘটছে, যেই স্বপ্নগুলোর সম্ভাবনা ছিল,  নিজের একটা নতুন  পৃথিবী ছিল, যেখানে নিজেকে নিজে চেনা যায়, নিজেকে চিনতে সাক্ষ্য-প্রমানের প্রয়োজন হয়না |


আরও খবর



সন্ধ্যার মধ্যে ১১ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি, হুঁশিয়ারি সংকেত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

Bengal

দেশের ১১ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, মাদারিপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

radhuni
Nagad

    আরও খবর



    কক্সবাজার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছেই

    প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

    Image

     

    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছে। এক শ্রেণির দালাল টাকার বিনিময়ে তাদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে।

    স্থানীয়দের হিসাবে, গত একমাসে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

    তবে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের মতে, সংখ্যা আট থেকে নয় হাজার। সংখ্যা যাই হোক, ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

    সীমান্ত এলাকার লোকজন বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। মংডু টাউনশিপ ঘিরে লড়াইয়ে আবারও রোহিঙ্গাদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

    প্রাণভয়ে ভিটেমাটি ফেলে গত একমাস ধরে মংডু আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। এমনকি অনুপ্রবেশের আশায় সীমান্তের ওপারে জড়ো হয়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার রোহিঙ্গা।

    অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে টেকনাফ সীমান্ত দিয়েই বেশির ভাগ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা কাঠের নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে দালালদের সহযোগিতায় টেকনাফে ঢুকছে। এরপর তারা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে ঢুকে পড়ছে। অনেকে টেকনাফে বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও আশ্রয় নিচ্ছে।

    সীমান্তে বিজিবি কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যেই আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।

    কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গার বোঝায় এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, অবস্থায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ উদ্বেগের।

    অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থানে না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

    অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা

    সীমান্ত ঘেঁষা বাসিন্দারা বলছেন, গত এক মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এমনকি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু আশপাশের সীমান্তে আরও ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

    সীমান্তের একাধিক সূত্র বলছে, টেকনাফের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া উপকূল, উখিয়ার বালুখালী, ঘুমধুম সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় জড়ো হয়ে থাকা রোহিঙ্গারা দালালদের সহায়তায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানান, এক শ্রেণির দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ কিয়াত (বার্মিজ নোট) বা বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা নিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে দিচ্ছে।

    রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না। এতে নতুন করে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে।

    তিনি বলেন, রাখাইনের দখল নিয়ে জান্তা বাহিনী আরাকান আর্মির যুদ্ধের কারণে সেখানে নতুন সংকটে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অনেক রোহিঙ্গা মারা যাচ্ছে। এসব বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।

    রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, বিজিবির কঠোর নজরদারির পরও অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। গত এক মাসে আট-নয় হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।

    অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি

    ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। সাত বছরে কাউকেই ফেরত নেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শুরু হলেও রাখাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা থেমে যায়।

    নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

    সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের পক্ষে আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।

    অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

    তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনদের ঘরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ আহত রয়েছে। তাদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুনদের আবাসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

    উখিয়া, টেকনাফ নোয়াখালীর ভাসানচরসহ ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে আসে।

    মংডু টাউনশিপ ঘিরে তীব্র লড়াই

    গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে রাখাইনের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের সবকটি সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু টাউনশিপ আশপাশের এলাকায় যুদ্ধ চলছে।

    যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দিচ্ছে আরকান আর্মি। এমনকি তারা মংডু টাউনশিপের পাশের পাঁচটি গ্রাম সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, উকিলপাড়া নুরুল্লাপাড়া দখল করে অন্তত ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করেছে। মংডু আশপাশের গ্রামগুলোতে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে।

    রোহিঙ্গারা জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরও মংডু এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন তাদেরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফের বাংলাদেশে আশ্রয় খুঁজছে তারা।

     



    আরও খবর

    সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

    শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




    নতুন বিশ্ব গড়ার কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণদের রাখার আহ্বান ড. ইউনূসের

    প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

    Image

    টেকসই ভবিষ্যত বিনির্মাণ ও নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে গ্লোবাল সাউথ এর কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও ছাত্রদের রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন,তরুণরা নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


    তিনি গ্লোবাল সাউথ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য বলেন,‘আমাদের কৌশলগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই তরুণ এবং ছাত্রদের রাখতে হবে, যারা গ্লোবাল সাউথের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ। আমাদের জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ তরুণ এবং তারা সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ।’


    শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘থার্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৪’ এর ইনঅগারাল লিডার্স অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একথা বলেন। তিনি ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যুক্ত হন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ নেয়ার পর এটিই ড. ইউনূসের প্রথম বহুপক্ষীয় কোন অনুষ্ঠানে যোগদান।


    আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ গ্লোবাল সাউথের অন্তর্ভুক্ত। মূলত এসব দেশে মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় কম।


    প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বীর ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয় বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। আর জনগণের যোগদানের মাধ্যমে এই বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। যার ফলস্বরূপ গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপদ গ্রহণ করে।’


    উল্লেখ্য, ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং এর মাধ্যমে তার ১৫ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান হয়।  


    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে তরুণরা আন্দোলন করেছে এবং তাদের আকাক্সক্ষা দেশবাসীকে প্রভাবিত করেছে। এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে অর্থবহ সংস্কার জরুরি। যার মাধ্যমে ভঙ্গুর হয়ে পড়া রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে পুনরুদ্ধার করা হবে।


    তিনি বলেন,বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বহুত্ববাদী গণতন্ত্রে উত্তরণ এবং একটি পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। যার মাধ্যমে  অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


    গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে নানা পরিবর্তন ঘটছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্লোবাল সাউথের নেতৃবৃন্দকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন,‘তরুণ ছাত্র এবং ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা ৪০০ বছরের শহরের দেয়ালে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ছবি আঁকছে। এর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা নির্দেশনা তাঁদের নেই। কারোর পক্ষ থেকে বাজেট সমর্থনও নেই। এটি দ্বিতীয় বিপ্লবের আকাঙ্খার প্রতি তাদের আবেগ এবং অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের দেয়ালের লেখা পড়ে যেকেউ বুঝবেন, তারা কী স্বপ্ন দেখছে। তরুণদের স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের প্রধান কাজ বলে তিনি দূঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন।
    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বব্যাপী তরুণরা আলাদা, তারা সক্ষম এবং প্রযুক্তিগতভাবে আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক এগিয়ে। তিনি বলেন, ‘তারা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। তারা উদ্যোক্তা। কিন্তু তারা চাকরী চায়, কারণ দেশে দেশে এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা তাদেরকে চাকরির জন্য প্রস্তুত করে। অথচ সকল মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা রয়েছে।’


    কেবলমাত্র চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে এমন শিক্ষা ও আর্থিক ব্যবস্থা নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর আহবান জানান অধ্যাপক ইউনূস।


    তৃতীয়বারের মত গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। এবারের সম্মেলনে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের নিয়ে উদ্বোধনী অধিবেশনের প্রতিপাদ্য এবং মূল সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো-‘অ্যান এমপাওয়ারড গ্লোবাল সাউথ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার’।


    রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


    ভারত ২০২৩ সালের ১২ ও ১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট (ভিওজিএসএস) এবং একই বছরের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করেছিল। দুটি সামিটই ভার্চ্যুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করা হয়।


    শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ববর্তী উভয় আয়োজনে গ্লোবাল সাউথ থেকে শতাধিক দেশ অংশ নিয়েছিল।


    আরও খবর

    সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

    শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




    শরনখলায় সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে মানববন্ধন

    প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

    Image
    মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু - শরনখোলা, বাগেরহাট  প্রতিনিধি 

    সাবেক স্বৈর শাসকদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও ষড়যন্ত্রকারী বাগেরহাটের শরণখোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম শুক্কুর সহ কতিপয় দালাল সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি, চর দখল এবং ভাষানী কিন্ডারগার্টেন এর জমি দখলের বিরুদ্ধে বিচার ও শাস্তি দাবী করে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


    ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলার ভাষানী কিন্ডারগার্টেনের ২শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী, মেরিট একাডেমির শতাধিক ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বৈষম্য বিরোধী আন্দেলন শরণখোলা উপজেলা শাখা সহ সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে রায়েন্দা বাজার পাঁচ রাস্তার মোড়ে আল আরাফাহ্ ব্যাংকের নীচতলায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় সাংবাদিক সুন্দরবনের অভয়াশ্রমে বনবিভাগের যোগসাজোসে জেলেদের মাধ্যমে বিভিন্ন চর অবৈধ ভাবে দখল করে মাছ ধরে আসছে।

    এছাড়া অন্যের জমি নিজেদের নামে বায়না করে তা বিক্রি করা, প্রভাব খাটিয়ে বলেশ^র নদরি তীরবর্তী রিভারভিউ পার্কে ইজারা ছাড়া সরকারকে কোনো অর্থ না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত টাকা আদায় করত। এছাড়া রায়েন্দা বাজারস্থ শহিদ মিনারের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সামছুল আলম তালুকদারের প্রতিষ্ঠিত ভাষানি কিন্ডারগার্টেনের একটি অংশ জোর করে দখল করে। এ সকল অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শরণখোলার সর্বস্তরের জনগন বিচার ও শাস্তি দাবি করে।

    উপজেলা বিএনপি'র সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন জাফর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বিএসসি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন মানিক, সাবেক প্রচার সম্পাদক কাওসার আহমেদ, আহবায়ক কমিটির সদস্য শিমুল গাজী, আহবায়ক কমিটির সদস্য তালুকদার মধু, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুসা সাঈফ, বৈষম্যবৃদ্ধি আন্দোলনের শরণখোলা শাখার সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, সাংবাদিক শাহিন  হাওলাদার ও শামীম হাসান সুজন। সভায় বক্তারা অবিলম্বে ওই সকল দখলদার সাংবাদিকদের শাস্তি ও বিচার দাবি করে। 

    আরও খবর



    ড. ইউনূসকে এরদোগানের ফোন

    প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

    Image

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান আজ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান।


    এ সময় প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাংলাদেশের বন্যাদূর্গত এলাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়।


    তিনি বলেন, তুরস্ক বন্যাদূর্গতদের মানবিক সহায়তা দেবে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।


    প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করার জন্য তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল পাঠাবেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে তুরস্কের সফরের আমন্ত্রণ জানান।  অধ্যাপক ইউনূস আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বলেন, তিনি সুবিধাজনক সময় তুরস্ক সফর করবেন।


    প্রধান উপদেষ্টাও প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এরদোগান আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।


    আরও খবর

    পদত্যাগে রাজি, বললেন মমতা

    শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

    বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

    বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪