Logo
শিরোনাম

৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত গেজেটে কয়েকটি আসনে পরিবর্তন এসেছে। শনিবার (৩ জুন) এ গেজেট প্রকাশ হয়।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা অল্প কয়েকটি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সীমানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোনো ইউনিয়ন ভাগ হয়নি। তবে উপজেলা ভাগ হয়েছে।

আলমগীর বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যে আবেদনগুলো এসেছিল, সেগুলো শুনানি করে যাদের বক্তব্য বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে তাদেরটাই আমলে নেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকটা আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, অল্প কয়েকটা আসনে সীমানায় পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, শুধুমাত্র জনসংখ্যা বিবেচনায় সীমানা পরিবর্তন করা যাবে না। তাহলে ঢাকায় ১০টি, গাজীপুরে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি ও রাজশাহীতে দুটি আসন বাড়াতে হবে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সে সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১৯ মার্চের মধ্যে আপত্তি থাকলে উত্থাপন করতে হবে। এতে ৩৮টি আসনে মোট ১৮৬টি দাবি-আপত্তির আবেদন জমা পড়ে। পরে ৩ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত চারটি পৃথক দিনে আবেদনগুলোর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। এতে অল্প কয়েকটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।


আরও খবর



চাহিদার চেয়ে ২০ লাখ গবাদি পশু বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

গত কয়েক বছরের মতো চলতি বছরও দেশে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু বেশি আছে। জানা গেছে, এই বাড়তি পশুগুলোর চাহিদা হবে কমবেশি ২০ লাখ। খামারিদের কথা চিন্তা করে কোরবানিতে এবারও পশু আমদানি দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে থাকবে করা পাহারা। গরুর খামারি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে কয়েক দশক ধরে কোরবানিতে বিদেশি বিশেষ করে ভারতীয় গরুর প্রাধান্য ছিল। তখন কোরবানি উপলক্ষে গড়ে ২৪-২৫ লাখ গবাদি পশু দেশের বাইরে থেকে আসত। ধীরে ধীরে সেই চিত্র পাল্টেছে। গত কয়েক বছর দেশি পশু দিয়েই কোরবানি করা হচ্ছে। বাইরে থেকে আনা লাগছে না। মীর কাদিমের সাদা গরুও এবার বেশি সংখ্যায় মোটাতাজা করা হয়েছে। এগুলোর শৌখিন ক্রেতার কোরবানির চাহিদা মিটাবে বলে জানা গেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির জন্য ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশু রয়েছে। আর দেশে চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ১০ লাখের মতো। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় ২০ লাখ পশু বেশি আছে।

গত বছর সারা দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানি করা হয়। কোরবানি হওয়া গবাদি পশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮টি ছাগল, ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৪২টি অন্যান্য পশু ছিল।

চাহিদার চেয়ে দেশে কোরবানির পশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ বছরও পশু আমদানির অনুমতি দেবে না সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানির অনুমতি দিলে দেশের খামারিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না।

এ প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, দেশে চাহিদা অনুযায়ী কোরবানির পশু রয়েছে। পশু আমদানির প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আরো বলেন, কোরবানি নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। যদি কেউ আমদানির চেষ্টা করে তাহলে সে ঠকবে।

কোরবানি উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে পশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটে সেজন্য কঠোর নজরদারি থাকবে। কেউ যদি চোখ ফাঁকি দিয়ে পশু আনতে চায় তবে বিজিবি ব্যবস্থা নেবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রাণিসম্পদ-২ অনুবিভাগ) এ টি এম মোস্তফা কামাল বলেন, কোরবানির পশুর প্রস্তুতি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শেষে মন্ত্রী বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এস এম যোবায়দুল কবির বলেন, আশা করা যাচ্ছে এ বছরও দেশি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটবে। তবে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হবে। বৈঠক শেষে মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সব তথ্য জানাবেন।

গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারা দেশে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদিপশু কোরবানি করা হয়। সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি করা হয় ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি করা হয় ময়মনসিংহ বিভাগে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১টি, বরিশাল বিভাগে চার লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২টি গবাদি পশু কোরবানি করা হয়।

ঢাকা বিভাগে ১১ লাখ ৭১ হাজার ২১৭টি গরু, ৬ হাজার ৪৮০টি মহিষ, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৫টি ছাগল, ১ লাখ ২ হাজার ১৬টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৭৬টি পশু কোরবানি করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪টি মহিষ, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২টি পশু কোরবানি করা হয়। রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯টি মহিষ, ১২ লাখ ৩১ হাজার ছাগল ও ১ লাখ ৮১ হাজার ভেড়া কোরবানি করা হয়।

খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭০ হাজার ২১৯টি গরু, ১ হাজার ৪৯২টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৩১টি ছাগল, ২৫ হাজার ১২৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ১৬টি পশু কোরবানি করা হয়।

বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫টি গরু, ৯৮৯টি মহিষ, ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৪৮৫টি ভেড়া কোরবানি করা হয়। সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭২টি গরু, ১ হাজার ১৫৩টি মহিষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৪টি ছাগল ও ২১ হাজার ৬৪০টি ভেড়া কোরবানি করা হয়। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭২০টি গরু, ২৬৯টি মহিষ, ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭টি ছাগল ও ৬৫ হাজার ৮৩৩টি ভেড়া কোরবানি করা হয়। ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫টি গরু, ৮০৯টি মহিষ, ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৯টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৯টি ভেড়া কোরবানি হয়।


আরও খবর



মেঘনায় ঢাকাগামী লঞ্চে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ভোলা থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-৩ এ আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ৭ যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকে আতঙ্কে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পরে লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল নামে একটি চরে নোঙর করা হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল চর এলাকার মেঘনা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের সহকারী মাস্টার মো. রইচ উদ্দিন সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি আবাল বিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সহকারী মাস্টার আরও জানান, আগুন লাগার পরই তা পুরো ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়। চরে নামিয়ে দেওয়া যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে লঞ্চটিতে থাকা মনিরুল ইসলাম রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইঞ্জিনরুমসহ লঞ্চের নিচতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

ভোলা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবগত করেছেন। চাঁদপুরের একটি কোস্টগার্ড টিম ঘটনাস্থলে যাবে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ঘটনাস্থল ভোলার বাইরে, সেজন্য এখনো নিশ্চিত করে ঘটনার বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব না।


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের দাম লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর কার হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

 


আরও খবর



রাণীনগরের মাধাইমুড়ি গ্রামে ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

গত বৃহস্পতিবার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মাধাইমুড়ি গ্রামে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।  চড়ক পূজা ও মেলাকে কেন্দ্র করে শিবের মাধাইমুড়ী সহ আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা শুরু হয়েছিল। প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আতœীয়-স্বজনে ভরে যায়।  পূজা উদ্যাপন ও মেলা পরিচালনা কমিটি সমন্বয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চরক পূজার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত মেলা শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চড়ক উৎসব এই অঞ্চলের হিন্দুদের বেশ আনন্দ উৎসবের খোড়াক হিসেবে প্রতি বছরই নারা দেয়। লোহার শিক দিয়ে তৈরি বরশী পিঠে ফুটিয়ে প্রায় ৩০ ফুট উচুতে শূন্যে ঘুড়ছে । চারে দিকে আগত উৎসক দর্শনার্থী আর ভক্তদের হাত তালি এবং হৈ-হুল্লর করে উৎসাহ যোগায় চড়ক খেলাকারীদের। শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী শিবের মেলা উপজেলার মাথাইমুড়ি গ্রামে গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় মেলার প্রধান আকর্ষন চড়ক খেলা । আর এ খেলার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত করা হয় চার দিনের শিবের মেলা। 

জানা গেছে, শতবর্ষী এ মেলাকে ঘিরে এলাকা ভরপুর হয়ে উঠে আতœীয় স্বজনের কোলাহলে। মেলার শেষ দিনে দুপুরের পর থেকেই দলে দলে আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, মহিলা-পুরুষ মাধাইমুড়ি শিব ও কালী মন্দীর প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে শুরু হয় চড়ক খেলার প্রস্ততি পর্ব। ৩০ ফুট উঁচুএকটি শিশু গাছের মাথায় বাঁশ দিয়ে চরকী তৈরি করে তার এক মাথায় নওগাঁর রাণীনগরে চার দিন ব্যাপী চড়ক পূজা সম্পূর্ণপূজারীর পিঠে বরশী ফুটিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। একই বাঁশের অপর মাথায় দড়ি বেঁধে সে দড়ি গাছের নীচের দিকে আর একটি বাঁশ বেঁধে তার মাথায় বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর ৭-৮ জন লোক মিলে নিচের বাঁশ ধরে সজরে ঘোরাতে থাকেন। তার পিঠে ও পায়ে বরশী ফুটিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া লোকটি চড়ক গাছে ঘুরতে ঘুরতে বাতাশা (চিনির তৈরী মিষ্টি) ছিটাতে থাকেন। কথিত আছে, ভক্তরা সে বাতাশা বিভিন্ন মানত ও অসুখ-বিসুখের সুস্থ্যতার আশায় খুটে খুটে খান। 

চড়ক খেলাকারী নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দুমদুমা গ্রামের ভোলা (৪৫)। তিনি এ বছর এমনিতেই মাধাইমুড়ি গ্রামে চরক গাছে ঘুরতে এসেছেন। তার শিক্ষাগুরু নাটোর জেলার সিংড়া থানার হাতিন্দা গ্রামের বাবুল চন্দ্র সরকার (সন্নাসী) জানান, সখ করে সে আমার কাছ খেকে এ কাজ শিখেছেন। আমার শিক্ষাগুরু ছিলেন,নাটোর জেলার ভুজনগাছী গ্রামে সুশিল চন্দ্র মহন্ত। তিনার পিছনে সাত বছর ঘুরে আমাকে এ শিক্ষা দেন। 

 মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন জানান, প্রতি বছরের চেয়ে এই বছর পূর্ণার্থীদের ব্যাপক আগমন ঘটেছে। মেলার পরিবেশ ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল থাকায় এবছর যাকজমকপূর্ণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার চড়ক পূজার মধ্য দিয়ে চার দিন ব্যাপী শিবের মাধাইমুড়ী মেলা শেষ হয়।


আরও খবর



বারবার নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গের দায়ে প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image


সদরুল আইন:

বারবার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যানপ্রার্থী মো. জামিল হাসান দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৫ মে) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

অশোক কুমার বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে কমিশন। প্রার্থীর শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দেয়।

এর আগে জামিল হাসানকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আপনি ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী।

আপনি গত ২১ এপ্রিল শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ও চত্বরের বাইরে আনুমানিক বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আপনার কর্মী সমর্থকরা শোভাযাত্রা/শোডাউনসহ মিছিল করেন এবং এতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় আপনাকে ২১ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে আপনি নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকারপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

পরে আপনি ২৭ এপ্রিল বিকেল ৫টায় গাজীপুর সদর উপজেলাধীন বাঘের বাজার এলাকায় সারাহ গার্ডেনে প্রতীক বরাদ্দের আগে আনুমানিক ৪০০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে জনসভা করার চেষ্টা করেন।

ওই বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইসতিয়াক মজনুন ইশতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৫ ও ৭ লঙ্ঘনের দায়ে আপনার উপস্থিতিতে আপনার সমর্থক মো. আক্তার হোসেনকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুসারে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আপনি ৭ মে আনুমানিক বেলা ১২টার সময় আনুমানিক এক হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনে উত্তর দিকে মসজিদ মার্কেট এলাকায় বিশাল প্যান্ডেল করে বিনা অনুমতিতে জনসভাসহ দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন।

যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৭(খ), ৭(গ) এবং ১৭(খ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানা পুনরায় একই স্থানে বিনা অনুমতিতে সভা আয়োজন এবং জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার অভিযোগ পান। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আয়োজনস্থলে আপনাকে বক্তৃতারত অবস্থায় এবং আপনার প্রায় এক হাজার কর্মী সমর্থকসহ দেখতে পান।

পরে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ৭ (খ), ৭ (গ) এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৩ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হলে আপনি এবং আপনার সমর্থকসহ সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়াসহ হুমকি দেন।

তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্রীপুর, গাজীপুর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে আপনিসহ আপনার কর্মী সমর্থকরা হুমকি দেওয়াসহ অশোভন আচরণ করে মিছিল করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখেন, যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৭, বিধি ১১, বিধি ১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ এর তফসিল ঘোষণার পর থেকেই উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এ বর্ণিত বিভিন্ন বিধি ভঙ্গ করছেন। আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ এ বিধিমালায় বর্ণিত দণ্ড দেওয়ার পরও নির্বাচনী আচরণ মেনে চলছেন না, যা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনার জন্য অন্তরায়।

আরও বলা হয়, উপরের বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আপনার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না এবং আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না, এ বিষয়ে আগামী ১৫ মে বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আজ সকল বিষয় পর্যালোচনা শেষে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী'র বড় ভাই এড জামিল হাসান দূজয়ের প্রার্থিতা চুড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করেন।উল্লেখ্য তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছিলেন।

ইসির এ সিদ্ধান্তের ফলে এই নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না।তবে ইসির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উচ্চ আতালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন তিনি,এমনটাই জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা


আরও খবর