Logo
শিরোনাম
গজারিয়ায় সন্তান এস এম এ নাহিয়ান

৬৩তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

 শাহাদাত হোসেন সায়মনঃ

৬ থেকে ১৬ জুলাই নরওয়ের অসলোতে বসছে ‘গণিতের বিশ্বকাপ’। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) ৬৩তম আসরে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাবেন ছয় শিক্ষার্থী। এর সাথে গজারিয়ায় সন্তান এস এম এ নাহিয়ান ও যাবেন।সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ বর্তমান এসএসসি পরীক্ষার্থী।

এবার প্রায় শতাধিক দেশের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী গণিতের বিশ্ব লড়াইয়ে অংশ নেবেন। মুন্সিগঞ্জ জেলা গজারিয়া উপজেলা টেঙ্গারচর  ইউনিয়নে বৈদ্যারগাঁও গ্রামে মোঃ নুরুল আমিন ছেলে।তার বাবা জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অফিসার,  শরীয়তপুর, মা,শাহনাজ আক্তার সিনিয়র  সহকারী শিক্ষ পালং উচ্চ বিদ্যালয়, শরীয়তপুর। বড় বোন

জান্নাতুল ফেরদৌস নওরিন বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়,,ঢাকা  সিভিল পড়ালেখা করে।

বুধবার থেকে নরওয়ের অসলো’তে বসছে ৬৩তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড। তবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মূল উদ্বোধন হবে ১০ জুলাই। পরের দুইদিন পরীক্ষা। ১৮তমবারের মতো আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এই চ্যালেঞ্জে যোগ দিতে আগামী ৮ জুলাই বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে অসলোতে যাাচ্ছে ছয় খুদে গণিতবিদ। এরা হলেন সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের এস এম এ নাহিয়ান, নটর ডেম স্কুল অ্যান্ড কলেজের মো. আশরাফুল ইসলাম ফাহিম ও তাহমিদ হামিম চৌধুরী, সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের তাহজিব হোসেন খান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নুজহাত আহমেদ দিশা এবং ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মো. ফোয়াদ আল আলম।

এই নিয়ে ১৮তম বারের মতো গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের অর্জন ১টি সোনা, ৭টি রুপা, ৩১টি ব্রোঞ্জ ও ৩৩টি সম্মানজনক স্বীকৃতি।৪১ হাজার ৩৫০ জন থেকে ৬ জন এ বছর জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য সারা দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করেছিল ৪১ হাজার ৩৫০ শিক্ষার্থী। প্রথম পর্যায়ে অনলাইনে তিন ধাপে বাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর বিভাগীয় অলিম্পিয়াডের বিজয়ী ৯০৯ জনকে নিয়ে গত ১১ মার্চ ঢাকার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় গণিত উৎসব।

জাতীয় গণিত উৎসবের সেরা ৪২ জন অংশ নেওয়ার সুযোগ পান জাতীয় গণিত ক্যাম্পে। সেখান থেকে বাছাই করা ১৮ জনকে নিয়ে হয় বিশেষ গণিত ক্যাম্প। আর সব শেষে বিশেষ ক্যাম্পের ফলাফলের ভিত্তিতে গণিত অলিম্পিয়াডের কোচ মাহবুব মজুমদারের সুপারিশ অনুযায়ী আইএমও ২০২২-এর জন্য ছয় শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় এই পুরো আয়োজনের তত্ত্বাবধান করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে জাতীয় গণিত উৎসবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এস এম এ নাহিয়ান। ২০২১, ২০২২—পরপর দুই বছর হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস। আইএমওতে এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছেন তিনি। তবে নাহিয়ান জানান, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

বাবা নুরুল আমিন  বলেন, এবারই প্রথম আইএমওতে যাচ্ছেন আমার ছেলে। ভালো ফল করে সে  যাত্রাটা স্মরণীয় করে রাখতে চান। আমার ছেলের জন্য গজারিয়া ও দেশবাসী দোয়া করিবেন যাতে সে তার দক্ষতা দিয়ে ভালো ফলাফলটা নিয়ে আসতে পারে।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই দলের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেয় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল৷

সংবাদ সম্মেলনে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সহিদুর রহমান খান, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের ছয় প্রতিযোগী ছাড়াও এবারের আয়োজনে আরও যাচ্ছেন গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ মাহবুব মজুমদার, সাবেক আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড দলের সদস্য আসিফ-ই-এলাহি, তাহনিক নূর সামীন এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সমন্বয়ক বায়েজিদ ভুঁইয়া।


আরও খবর



জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ সংগঠনঃ বিএনপি নেতা কাজী শিপন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

 জামায়াতে ইসলামী একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। এখনো এই দলটি নিবন্ধন পায়নি। সকলে এই দলটিকে বয়কট করুন’। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এ ধরণের মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত একটি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন তার বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন। জামায়াতে ইসলামী ধর্মের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে বলেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলে আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কোন অস্তিত্ব নেই, এটি একটি নিষিদ্ধ সংগঠন।  

দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহিদুল হক বাবুল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শিকদার ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এফ এম শামীম আহসান, সামাদ হোসেন ফকির, আফজাল জোমাদ্দার, পৌর শ্রমিকদল সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, মজনু মোল্লা, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক ফকির রাসেল আল ইসলাম। 


আরও খবর



দমনপীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় দমনপীড়নে অংশ না নিতে জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।, তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধের সতর্ক বার্তা দিয়েছিল জাতিসংঘ।

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (৫ মার্চ) বিবিসির ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠানের এই পর্ব প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে জানান বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার। জবাবে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমনপীড়ন চালিয়েছিল। তাদের (ছাত্ররা) জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি।

‘আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।’ বলেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই হাইকমিশনার বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটছি, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম। এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল।

ভলকার তুর্ক আরও বলেন, আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেওয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।

২০২৪ সালের জুলাইতে শুরু হওয়া সরকারি কোটা সংস্কারের আন্দোলন সংহিসতার জেরে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলন ঠেকাতে ব্যাপক দমন পীড়ন চালায় আওয়ামী লীগ সরকার। তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দল অনুসন্ধান চালায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই তথ্যানুসন্ধানের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগের মতো ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন, বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছিল।

বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার পর জেনেভায় বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ভলকার তুর্ক।

সেখানে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমাতে শেখ হাসিনাসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন বলে জানান তিনি।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




২১শে বই মেলায় প্রশংসায় ভাসছেন উদীয়মান লেখক ছনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চেতনায়

বিংশ শতাব্দীর দেশে তরুন লেখক'দের বর্তমানে আর্বিভাব ঘটেছে বহু। কেউ হয়তো জনপ্রিয় কাব্য উপন্যাস, রম্য, প্রেম - বিরহ বই লিখে। আবার কেউ হয়তো জনপ্রিয় গবেষণা,বিজ্ঞান, রাজনীতি'র বিশ্লেষণ মূলক বই লিখে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের তরুন রাজনীতিবীদ ও উদীয়মান লেখক সাখিদার মো. জহুরুল ইসলাম ছনি লিখেছেন ব্যতিক্রম এক বই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়: আন্দোলন, রাজনীতি'। বইটি প্রকাশিত হয়েছে 'বায়ান্ন' প্রকাশনী থেকে। অমর একুশে বইমেলায় ৭৫৬ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তরুন ও তরুণী'দের মধ্যে বইটি বেশ সাড়া পাওয়া গিয়েছে। তাদের ভাষ্য মতে দেশের এই প্রথম কোন লেখক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কে প্রধান্য দিয়ে বই টি প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষার্থীরা মনে করেন-  রাজনীতি শুধু চর্চার জন্য নয় বরং দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় লেখক  বইটিতে বিগত এক যুগের  দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, বিচার বিশ্লেষণ ও আন্দোলনের সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ২০১৫ সালের ভ্যাট আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন ও সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যে অকুতোভয় বীরত্ব দেখিয়েছে তারই ঘটনাপ্রবাহ এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেও বরাবরই উপেক্ষিত থাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কিংবা দলীয় পদ পদবি তে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেখা যায় না। এর অন্যতম কারণ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছিয়ে পড়া ছাত্ররাজনীতি। এ বিষয়টিও লেখক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এ বইয়ে। 

সব মিলিয়ে এই বইটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল অস্তিত্বের  ব্যাপারে জানতে হলে এই বইটি অবশ্যই পড়া দরকার।



আরও খবর



জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক টি হায়দার সজিবকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে জেলা যুবদল নেতা রমজানুল মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক টি হায়দার সজিব জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডের জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিস্কার করা হল। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরণের অপকর্মের দায় দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায় নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


জাতীয়তাবাদী যুবদল ঝালকাঠি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রবিউল হোসেন তুহিন ও সদস্য সচিব মোঃ আনিসুর রহমান খান ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।


এ বিষয়ে সজীবের সাথে কথা বললে তিনি জানান , জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম, এখানে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ ধারণ করা হয় না।

 এখানে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কাজ করে। এখানে যুবদলের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়, এটা একটা সর্বজনীন প্লাটফর্ম। আমি কোন গোষ্ঠীর বা ব্যাক্তির চক্রান্তের স্বীকার। 

তবুও আমি দলীয় সিদ্ধান্তর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি।


আরও খবর



পীর সাহেব চরমোনাই কী সফল হতে পারবে?

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিস্ট :

ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস  বইছে। বসন্তের হিমেল হাওয়ায়  উজ্জীবিত  রাজনীতির ময়দানে  এখন প্রীতি - ভালবাসাার সয়লাব বয়ে যাচ্ছে।   ছয়মাস আগেও যাদের সাথে মুখ দেখাদেখি হতনা, ভিন্ন ভিন্ন প্লাট ফরমে বাসা বেঁধে ছিল। যে সব মানুষদের সাথে মুখ দেখা  আজীবন  নিষিদ্ধ ছিল বলা যায়, সেসব লোকগুলোর সাথে এখন প্রেম- প্রীতি দেয়া- নেয়া হচ্ছে। এখন একই ছাদের নিচে, একই টেবিলে বসে গেছে সবাই। আর কেউ মুখ ভেংচি দিয়ে দুরে চলে যাচ্ছেনা।  বরং দিনে দিনে প্রীতির বন্ধন মজবুত হচ্ছে বলে মনেহয়।


 অবশ্য এর কারিগর পীর সাহেব চরমোনাই তথা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ।  এদেশের দেওবন্দী স্রোতধারার সর্ববৃহৎ ইসলামী সংগঠন হল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।  এই সংগঠনের আমীর সৈয়দ রেজাউল করীম ( পীর সাহেব চরমোনাই) ।  নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করীম ( শায়েখে চরমোনাই)  

 যারা  ২৪ সনের বিপ্লবের কান্ডারী। যাদের ইসস্পাত এর ন্যায়  দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার সঙ্গে এই  গণ অভ্যুথ্থানের নেতৃত্বে ছিলেন।  তারাই সর্বপ্রথম ইসলামী দলগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা- ভালবাসার নজরে তাকিয়েছেন। আর কাউকে পিছনে  ফেলা নয়।  আর কারো প্রতি অশ্রদ্ধা নয়। বরং ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের এ রাজ্যে ফ্যাসিস্টদের চিরতরে উৎখাত করে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে  এ জাতি যেন নতুন দিগন্তে পৌছাতে পারে, এদেশ থেকে দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলে একটা সুস্হ- সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য পীর সাহেব চরমোনাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। 


পহেলা কাজ কিন্তু পীর সাহেব করেছেন। তিনিই সকলের সাথে বারবার বৈঠকে বসছেন।তার দলের নেতাদের পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গাতে। নিজের আমিত্ব মিটিয়ে দেশের ওলামায়েকেরামের দারস্ব হচ্ছেন বারবার। ইসলামী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কুশল বিনিময়,  কখনো তাদের অফিসে যাতায়াত, কখনো বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইসলামী দলগুলোর  প্রধান এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সাথে মিলে একাকার হয়ে যাচ্ছেন।


জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন! এটা কি কল্পনা করা যায়? আমিতো কোনদিন ভাবতেও পারিনি  জামাত আর চরমোনাই এর মধ্যে বরফ গলবে কোনদিন।  বরং রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মন্তব্য হল, জামায়াতের সাথে কোন দিন চরমোনাই এর সম্পর্ক হবেনা। কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন।  আর সেখানে পীর সাহেব তাকে অভ্যর্থনা জানাল। বেচারা ডা: শফিকুর রহমান তো শেষমেষ চরমোনাই এর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। চরমোনাইকে একটি দ্বীনি মারকাজ বলে আখ্যা দিলেন।


চরমোনাই ওয়ালাদের বড় চমক হল, এবারের চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে দেশের শীর্ষস্হানীয় আলেমদের হাজির করতে পেরেছেন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের দেওবন্দী হালকার সবচেয়ে জনপ্রিয় আলেম আল্লামা মামুনুল হক সাহেবকে দাওয়াত দিয়ে সেখানে নিয়ে গেছেন, এটা সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত। তাছাড়া এদেশের তাওহিদী জনতার মনের কামনা- বাসনাও ছিল এটা। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সেলিব্রিটি হলেন তিনি। যদিও মামুনুল হক সাহেব বরিশালের প্রোগ্রামে পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্লাট- ফরমে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন, তারপরেও চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে মামুনুল হক সাহেবের উপস্হিতি পীর সাহেব এর সফলতা বলা যায়।


এভাবে পীর সাহেব চরমোনাই এগিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ তৈরী করতে চাচ্ছেন, অন্তত আগামী নির্বাচনে যেন ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স থাকে।  মানুষ ইসলামের পক্ষে রায় দিতে পারে এমন কোশেশ তিনি করে যাচ্ছেন।  


তবে পীর সাহেব চরমোনাই কী পারবেন সবাইকে এক দস্তারখানে নিয়ে আসার? এখনো কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বসে আছেন। যাদের থেকে কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছেনা।  আবার যাদের সাথে নতুন করে প্রীতি গড়ে উঠছে, তারা কী এই প্রেমবন্ধন রাখবেন?   


তবে সাধারণ জনতার প্রাণের দাবী, আর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকা নয়। এবার এক ছাতার নিচে যখন বসা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত প্রীতির এ বন্ধন টিকে থাকুক। সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে চলুক। এই প্রত্যাশা সকলের।

আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।  আমিন।


আরও খবর