Logo
শিরোনাম

৬৮০০ জনবল বহাল রাখার দাবিতে বিএডিসির কর্মচারীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : কৃষি উৎপাদন প্রবৃদ্ধির স্বার্থে, বিএডিসি’কে রক্ষা করতে হবে“ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৬৮০০ জনবল বহাল রাখার দাবিতে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুলাই) বিএডিসি কৃষি ভবন সংলগ্ন প্রধান সড়কে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মো. মশিউরি রহমানের নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর সংস্থাপন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. পলাশ হোসেন, বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মো. আলী হায়দার ফয়সাল , কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিক লীগ এর শ্রমিক কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা সুলতানা, সিবিআই এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মো. রফিকুল ইসলাম সোহান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর অর্থ বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মো. মহাসিন লষ্কর প্রমূখ।

মানববন্ধনে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মো. মশিউরি রহমান বলেন,  ১৯৯৮ সালে ‘কৃষি কমিশন’ কর্তৃক সুপারিশের প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদনক্রমে ৬৮০০ জনবল সম্বলিত বিএডিসির গেজেট প্রজ্ঞাপন ১৯.১০.১৯৯৮ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুমোদক্রমে জারি হয়।

দেশের কৃষি আধুনিকীকরণ তথা মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা বৃদ্ধি, নন ইউরিয়া সার সরবরাহ এবং আধুনিক সেচ সুবিধা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত ড. এ এম এম শওকত আলীর নেতৃত্বাধীন কমিটি ২০১০ সালে বিএডিসির জনবল ১০১০০-তে উন্নীতকরণের সুপারিশ করেন। উক্ত সুপারিশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে বিএডিসির পুনর্গঠনের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন কেআইবি কনভেনশন হলে মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-০৫.১৫৭,০২৮,০১,০২,০২০,০৯ (২য় খন্ড), ২৪৬ তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ২০১৮ মোতাবেক বিএডিসির জনবল কাঠামো ৯৩৫৫-তে পদ সৃজনের সম্মতি জ্ঞাপন করেন।



২০২১ সালে নভেম্বরে কৃষি মন্ত্রণালয় বিএডিসির ৬৮০০ কর্মচারীর অবসরোত্তর পেনশনের প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করলে অর্থ মন্ত্রণালয় জনবল ৩০১৭ জনে সংকোচনের নির্দেশনা জারি করে, যা মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে জারীকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনের সরাসরি লঙ্গন।

অনুমোদিত জনবল কাঠামো জনবল ৬৮০০ এর স্থলে ৩০১৭ জনে (অর্ধেক এর কম) নামিয়ে আনলে বিএডিসি’র কর্মক্ষেত্র পঙ্গু হয়ে যাবে, দেশের কৃষিখাত নাজুক হয়ে পড়বে। তাই কৃষির প্রাণ বিএডিসিকে বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হায়দার ফয়সাল বলেন, অনুমোদিত জনবল কাঠামো জনবল ৬৮০০ এর স্থলে ৩০১৭ জনে (অর্ধেক এর কম) নামিয়ে আনলে নানান জটিলতা সম্মুখীন হবো।

মহা ব্যবস্থাপক/ প্রধান প্রকৌশলী পর্যায়ে ৬টি পদ, মাঠ পর্যায়ের ১২৯ টি অফিস প্রধানের পদসহ মোট ৩৭৮৩ টি পদ কম সৃজন করার ফলে প্রায় ১৩৫ টি অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে বীজ উৎপাদন, সার সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং সেচ কার্যক্রম তথা ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। ফলে দেশের খাদ্য সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে।

সদস্য পরিচালকের ৪টি পদের (বিএডিসি আইন ২০১৮ কর্তৃক অনুমোদিত) বিপরীতে ২টি পদে সম্মতি প্রদান করায় বোর্ড অব ডাইরেক্টরস অসম্পূর্ণ থাকবে। এতে করে বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা ও পরিকল্পনা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে এবং ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে।

বিএডিসি মাত্র ১৩০০ মে. টন বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে শুরু করে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ১৬৫০০০ মে. টন বীজ উৎপাদন করছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ২০২৯-২০৩০ অনুযায়ী ২,০৫০০০ মে. টন এবং ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী ২০৪০-২০৪১ সালে ৩,০০,০০০ মে. টন বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।

এছাড়াও সমন্বিত ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী বিএডিসিতে চলমান সেচযন্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, বিদ্যুতায়নের ছাড়পত্র প্রদান এবং সেচস্কিম অনুমোদন ব্যাহত হবে।

ইতোমধ্যে জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রায় ৬০০ পদে নিয়োগ কার্যক্রম চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যা এই আদেশের প্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বাধাগ্রস্থ হবে। এতে করে কৃষিবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অভিলক্ষ্য “ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শস্য বহুমুখীকরণ, পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ ফসল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করা এবং জনসাধারণের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা” রূপকল্প ব্যাহত হবে।

কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিক লীগ এর শ্রমিক কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা সুলতানা  বলেন, অনুমোদিত জনবল কাঠামো ৬৮০০ হতে ৩০১৭ তে সংকোচিত করা হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে কৃষির উপরে এধরণের হটকারী সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি ও কৃষকের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বিএডিসিকে রক্ষার্থে ১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত ৬৮০০ জনবল ভূতাপেক্ষভাবে অনুমোদন; ২. বিএডিসিতে পেনশন স্কিম চালুকরণ; ৩. জনপ্রশাসন কর্তৃক স্মারক নং-০৫.১৫৭.০২৮.০১.০২.০২০.০৯ (২য় খন্ড)-২৪৬ তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ২০১৮ মোতাবেক সুপারিশকৃত ৯৩৫৫ জনবল কাঠামোর বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয় হস্তক্ষেপ কামণা করছি।


আরও খবর



নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জন্য ৩০দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কোর্সটি বাস্তবায়ন করছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। রবিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) উপপরিচালক খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান। 

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রানা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুঃ জাবেদ ইকবাল, কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের প্রধানগন, সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ। উক্ত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪০জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণ হলো একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি বাড়ি যাদের চেনা তারা হলেন গ্রাম পুলিশ। তাই গ্রাম পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে ভয় পান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও চৌকস করতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে। তাই আগামীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট গ্রাম পুলিশ বাহিনীর কোন বিকল্প নেই। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান অক্ষরে অক্ষরে পালন ও প্রয়োগ করতে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।


আরও খবর



মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।

১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার। সেক্ষেত্রে নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ঠিক কিনা। তাহলে নিজেকেই অনুপ্রাণিত করতে পারবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

২, স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করুন। থেরাপিস্টরা মনে করছেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।

৩. ফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।

৪. অফিসের কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের বিরতিতে বরং চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে উপকার পাবেন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। ওই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত চিকিৎসকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠসংলগ্ন জে লাইনে গত ৫ এপ্রিল কিশোরগ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান কোরবান আলী। এ সময় কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় আহত হন তিনি। তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।

এদিকে হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসকের ছেলে আলী রেজা।

তিনি বলেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাবাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ রাখা হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আইসিইউতে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী জানান, এ ঘটনায় গত রবিবার ওই চিকিৎসকের ছেলে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



বন্ধুত্বের বাঁধনে এক হচ্ছেন তাহসান-মিথিলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা দুই তারকাই নিজেদের কাজের জন্য জনপ্রিয়। একসময়ের জনপ্রিয় তারকা জুটিও ছিলেন তারা। দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় এই দুই তারকা। তারপর কেটে গেছে ১১ বছর। একসঙ্গে জুটি বেধে অভিনয়ও করেছেন। আমার গল্পে তুমি, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম, মধুরেন সমাপয়েত নাটকসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন এই জুটি। নাটক ছাড়াও এ জুটি একসঙ্গে গানও গেয়েছেন। মূলত এসব কারণে বিয়ের পর তরুণদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেনতারা। তবে বিয়ের ১১ বছর পর ভক্তদের মন ভেঙ্গে যায়। কারণ, ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাহসান এবং মিথিলার।

তারপর দুজন দুদিকে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে মিথিলা পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি বিয়ে করে সংসার করছেন কলকাতায়। অন্যদিকে তাহসান বিয়ে না করলেও ব্যস্ত আছেন তার গান এবং অভিনয় নিয়ে। অবশ্য তাহসান এবং মিথিলা একমাত্র মেয়ে আইরা তেহরীম খানকে নিয়ে দুজনের বন্ধুত্ব এখনো অটুট। বিচ্ছেদের পরেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জন্য তারা প্রশংসিত। তবে এর পর দুজনকে আর কখনোই একসঙ্গে দেখা যায়নি। এবার তাহসান এবং মিথিলা তাদের ভক্তদের জন্য দিলেন নতুন সুখবর। ফের এক হতে যাচ্ছেন এই দুই তারকা। আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে।

একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। সাত পর্বের এই ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাদের। তবে এখনো এ নিয়ে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী কেউই মুখ খোলেননি।

অন্যদিকে গত ৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভাগীর স্বর্গ গল্প অবলম্বনে সিনেমা ও অভাগী। এটি নির্মাণ করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। কলকাতার এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সিনেমাটিতে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন মিথিলা।


আরও খবর



চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

অস্থির চালের বাজার। দাম বাড়ছেই। সারা দেশে অভিযান, জরিমানা, শুল্ক ছাড়ের পরও নিয়ন্ত্রণে নেই চালের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এসব পদক্ষেপকে পাত্তাই দিচ্ছে না অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা।

গত সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। এদিকে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ ও জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করতে চাইছে সরকার।

আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল এসব থেকে বের হয়ে জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একই সঙ্গে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণে মিলার, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ জন্য খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেব। পয়লা বৈশাখ থেকে তা কার্যকর হবে।

এদিকে দাম বাড়ানো নিয়ে একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মিলারদের দুষছেন খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, রোজার সময় বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক থাকার কথা। তাদের দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই মিলগেটে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে। গুটি স্বর্ণা বা মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। ৮-১০ দিন আগে এ দুই জাতের চালের দর ছিল যথাক্রমে ৫২ থেকে ৫৪ ও ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। একই সময় চিকন বা মিনিকেট চালের কেজি ছিল ৬৮ থেকে ৭২ টাকা, ভোক্তাদের এখন কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা দরে। দেখা যায়, এ তিন জাতের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।

রাজধানীর মগবাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিন দনি যে হারে বাড়ছে, সে হারে বেতন বাড়ছে না। তাই আমাদের অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। রোজার শুরুতে আটাশ চাল কিনেছি ৫৪ টাকা। ২০ দিন পর একই চাল নিতে হলো ৫৮ টাকায়।

অপরদিকে দালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মিলাররা বলছেন, ধান সংকটের কথা। দায়ী করছেন মৌসুমি মজুতদারদের। তাদের অভিযোগ কৃষকের কাছ থেকে কম দরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ধান কিনে রেখেছেন। ফলে কৃষকের কাছে ধান নেই। মজুতদারের কাছ বেশি দামে থেকে ধান কিনতে বাধ্য হচ্ছেন মিলাররা। ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিল পর্যায়ে চালের কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা বেড়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, গত এক মাসের তুলনায় বাজারে এখন সব ধরনের চালের দাম বেশি।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, ঢাকার বাজারে গতকাল প্রতি কেজি চিকন চাল ৬৮ থেকে ৮০, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ ও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসের এ সময় চিকন চালের কেজি ৬৪ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি চাল ৫২ থেকে ৫৬ ও মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ছিল। সে হিসাবে গত এক মাসে এ তিন ধরনের চাল কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আরও বলছে, শতাংশের হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাঝারি চালে ৬ দশমিক ৪৮ এবং ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ দাম বেড়েছে চিকন চালের দাম।


আরও খবর