Logo
শিরোনাম

৭৫ ভাগ ডেঙ্গু রোগী ঢাকায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

টানা কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সারাদেশ আতঙ্ক তৈরি করেছে ডেঙ্গু। মহামারি করোনাভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমান তালে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগটি, সেই সঙ্গে ঘটচ্ছে প্রাণহানিও। শুরুতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বছরের মাঝামাঝিতে এসে ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে ভাইরাসঘটিত রোগটির। স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টাতেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। 

রাজধানী ঢাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের শতকরা ৭৫ ভাগের বেশি রোগী ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। আর বাকি রোগীরা ঢাকা মহানগরের বাইরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে মৃত্যুর ঘটনায় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রোগীর সংখ্যা ঢাকা মহানগরের মোট তিন ভাগের একভাগ হলেও মৃত্যুর দিক থেকে এগিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চল।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস বিভাগের তথ্যমতে, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৮ হাজার ৬৪৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকার ৫০টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ হাজার ১২৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চার হাজার ৫১৭ জন। এদিকে, মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩১ জন ঢাকায় এবং ৩২ জন দেশের অন্যান্য স্থানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।


আক্রান্ত মৃত্যুর তথ্য মাসভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছরে জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ২০, এপ্রিলে ২৩ এবং মে মাসে ১৬৩ জন রোগী। প্রথম পাঁচ মাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে জুন মাসে হঠাৎ করেই ডেঙ্গু চিত্রে পরিবর্তন আসে। এ মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৭৩৭ জন, আর মারা যায় একজন। জুলাই মাসে ভর্তি হয় এক হাজার ৫৭১ জন, আগস্টে তিন হাজার ৫২১ জন, সেপ্টেম্বরে নয় হাজার ৯১১ জন এবং অক্টোবরের ৫ তারিখ পর্যন্ত দুই হাজার ৫৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

বাংলাদেশের প্রাচীন উৎসবগুলোর মধ্যে পুরান ঢাকার সাকরাইন উৎসব অন্যতম। যদিও এটা সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী পালিত হয় না। কিন্তু এটি খুব জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশি সংস্কৃতি। এটাকে ঐক্য এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। বর্তমানে এ উৎসবে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। অর্থাৎ আজ সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো।

প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি নানা আয়োজনে পালন হয় সাকরাইন ঘুড়ি উৎসব। সাকরাইন শব্দটি সংস্কৃত শব্দ সংক্রাণ থেকে এসেছে। যার আভিধানিক অর্থ হলো বিশেষ মুহূর্ত। অর্থাৎ বিশেষ মুহূর্তকে সামনে রেখে যে উৎসব পালিত হয় তাকেই বলা হয় সাকরাইন। মকর সংক্রান্তি বা পৌষ মাসের শেষ দিন হিন্দু জমিদারেরা তাদের জমিদারিতে ব্রাহ্মণ ও প্রজাদের আতিথেয়তা দেন। উন্মুক্ত মাঠে ভোজ উৎসব হয়। বিতরণ করা হয় চাল, গুড়, তেলের তৈরি পিঠা ও ডাবের পানি। এটি বাস্তু পূজা নামে পরিচিত। এ উপলক্ষে বিক্রমপুরে কুস্তি, লম্বদান ইত্যাদি প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এই হলো সংক্রান্তির ধর্মীয় দিক।

যুগের পরিক্রমায় সাকরাইন একটি নিজস্ব উৎসব যা ঢাকার জনপ্রিয় ও দীর্ঘ সাংস্কৃতিক চর্চার ফল। সারাদিন ঘুড়ি উড়ানো, বাড়ি ঘর ছাদে জমকালো আলোকসজ্জা, আগুন নিয় খেলা, সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও ফানুশে ছেয়ে যায় পুরান ঢাকার আকাশ। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে আকাশে ঘুড়ির সংখ্যা ও উৎসবের মুখরতা। সাকরাইন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় পুরান ঢাকার নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, লক্ষ্ণীবাজার, নয়াবাজার, তাঁতীবাজার, গেন্ডারিয়া ও সূত্রাপুর এলাকায় ঘুড়ি, নাটাই ও মাঞ্জা দেওয়া সুতা বেচাকেনার ধুম পড়েছে। সন্ধ্যা নামলেই সাকরাইন। শাঁখারীবাজারের দোকানগুলোতে আকার ও মান ভেদে নানা ধরনের ঘুড়ি দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভোয়াদার, চক্ষুদার, দাবাদার, রুমালদার, চিলদার, রকেট, স্টার, টেক্কা, শিংদ্বার, রংধনু, গুরুদার, পান, লাভসহ রয়েছে অসংখ্য ঘুড়ি। আকারভেদে একেকটা ঘুড়ির দাম ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।আবার নাটাইয়ের পসরাযুক্ত ঘুড়ির দাম ১০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা এবং সুতার দাম হাঁকানো হচ্ছে মান ভেদে ৮০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা রাজু হাওলাদার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সাকরাইনের মূল আনন্দ হলো ঘুড়ি ওড়ানো। ছাদে উঠে আমরা ঘুড়ি উড়াই। অন্যের ঘুড়ি কেটে দেওয়ার মধ্যেই আসল মজা। তাই এবার ১০টি ঘুড়ি ৩০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই দেখা মিলে নানা রকম রঙিন ঘুড়ি, সুতা ও নানা রকমের নাটাই। এছাড়া সাকরাইন উৎসব ঘিরে সন্ধ্যার পর পুরান ঢাকার অলি-গলিতে এবং অনেক ভবনের ছাদে দেখা চলে ডিজে পার্টি।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা উৎসব বড়ুয়া প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা ঢাকায়। সাকরাইন উপলক্ষে নানা রকমের পিঠাপুলি ও বিভিন্ন স্বাদের খাবার রান্না করা হয় বাড়িতে বাড়িতে। সারা দেশে এই সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে থাকলেও সাকরাইন উপলক্ষে কিছুটা ধরে রেখেছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। আগে ডিজে পার্টি না থাকলে ইদানীং ছেলেরা সাকরাইন উপলক্ষে ভবনের ছাদে ডিজে পার্টির আয়োজন করে। কিছু বলতে পারি না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকতে হয়।

কলতাবাজারের বাসিন্দা আছমা বেগম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সাকরাইনের রাতে ছাদে গান-বাজনা চলে, আর ঘরে ঘরে ভালোমন্দ রান্না করা হয়। আসলে ছোট থেকে দেখে আসছি বলে এখন আর এই রান্নাবান্নার কাজটা বাদ দিতে পারি না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করি।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া, শীতে কাঁপছে মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জানুয়ারি মাসের প্রথমে তুলনামূলক তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও এক দিনের ব্যবধানে নওগাঁর তাপমাত্রা কমলো ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নওগাঁ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।বৃহস্পতিবার সকালে হালকা কুয়াশা থাকলেও সকাল সকালেই দেখা মিলে সূর্যের। এ জালায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা থাকলেও দিনভর হিমেল হাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। সূর্য পশ্চিম দিকে গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শীত। একই সাথে বয়ে চলে হিমেল বাতাস। 

গত কয়েক দিন ধরে দিনের তাপমাত্রা বেড়ে গরম এবং রাতে তাপমাত্রা কমে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এর ফলে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা। এর আগে গতকাল বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি। সকালে বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে কুয়াশা পড়ে। এ দিন সকাল ৯ টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯ টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বর্তমানে নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।


আরও খবর



একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

একই ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদে কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি থাকতে না পারা, স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী (ক) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করা।

(খ) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দুবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য করা।

(গ) একই ব্যক্তি একইসঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা। এবং দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বন্ধ হয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (ক) দল-নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা।

(খ) জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা। কার্যকর সংসদের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের প্রত্যাহারের (রিকল) বিধান করা।

সংসদ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা (ক) সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি, আবাসিক প্লট, সব ধরনের প্রটোকল ও ভাতা পর্যালোচনা ও সংশোধন করা।

(খ) একটি সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের বাৎসরিকভাবে সম্পদের হিসাব দেওয়া এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়সমূহ ঘোষণা করা।

(গ) সংবিধান লঙ্ঘন করে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় উন্নয়নে জড়িত থাকার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আনোয়ার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলার রায় কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা এবং ভবিষ্যতে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করা।

(ঘ) সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রটোকলের অবসান করা।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ/গণমাধ্যম

(ক) নিশ্চল (স্টেশনারি) পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া, যাতে পর্যবেক্ষকরা সারাদিন কেন্দ্রে থাকতে পারে, কিন্তু ভোটকক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে নয়।

(খ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে প্রাক-নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষণের অফিসিয়াল অনুমতি দেওয়া।

(গ) পক্ষপাতদুষ্ট ভুয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা।

(ঘ) ব্যক্তি পর্যায়ে পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিধান চালু করা।

(ঙ) পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ভবিষ্যতে নির্বাচন ভালো করার জন্য কাজে লাগানোর বিধান করা।

(চ) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য সুস্পষ্ট করা। সরকারের পরিবর্তে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

(ছ) নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকদেরকে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ, দিনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা।

নির্বাচনী আচরণবিধি

(ক) ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট, ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সরকারি গণমাধ্যমে প্রচারের সম-সুযোগ দেওয়ার বিধান করা।

(খ) সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান করা।

(গ) ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখার মতো রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করা।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।


আরও খবর



ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে দিয়ে যদি শুরু করি তাহলে বলা যায় "এ কানাডা এখন তো আর সে কানাডা নেই"

হ্যাঁ, এটাই সত্যি। একটা সময় ছিল মানুষ নানাভাবে কানাডায় এসেছেন। বিশেষ করে বৈধভাবে আসার একটা মাধ্যম ছিল  স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা। তারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যাও কম নয়। 

এই স্টুডেন্টরা আগে যারা এসেছেন তাদের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ ছিল। তারপর পিআরও পেয়ে যেতেন সহজে। তারপর সিটিজেন হয়ে যেতেন নির্দিষ্ট সময়ে। তারপর তাদের বাবা-মা স্পন্সর ভিসায় এসে এখানে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে পাশার দান। বলতে পারেন এখন প্রায় সবকিছুর রুলস কঠিন হওয়া বা পাল্টে যাওয়া, CRS পয়েন্টস বেশি হওয়া, PGWP এ কড়াকড়ি সব মিলিয়ে গোন্ডগোল বেঁধে গেছে। এখন আর পিআর পাওয়া সহজ হচ্ছে না। আবার স্টুডেন্টদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।

এসব অসুবিধার আওতায় পড়েছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। যারা এখানে এসে পড়ালেখা শেষ করেছেন ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের কথা বলছি তারা CRS পয়েন্টস মিট না হওয়া ও ওয়ার্ক পারমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কানাডায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চলে যেতে হবে বাড়িতে। এমন সংখ্যা অসংখ্য। এ বছরেই দেশে ফিরে যেতে হবে বারো লক্ষ বা তার বেশি স্টুডেন্টকে। আর যারা বর্তমানে পড়াশোনায় চালু আছেন তাদের তো আরো সমস্যা। তাদের তো ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াতেই নানা বাঁধা হবে নতুন রুলসে। সবার জন্য ইজি হবে না। 

আমার ফেসবুকের মেইন আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ছোট ভাই আছে। ২০২০ সালে সে এসেছিল টরন্টোতে। সে আমাকে মাঝেমাঝে মেসেজ দিত। তার একটা কথা আমার মনে আছে। একদিন আমার এক খাবারের পোস্ট দেখে সে বলেছিল "আপু, আমাকে খাওয়াবেন?" তখন আমি তাকে চিকেন বিরিয়ানি ও অন্যান্য অনেক কিছু রান্না করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন সে বলেছিল "আপু, আপনি আমার জন্য যা করেছেন, আমার আপন বোনও সেটা করত না।"

যাই হোক, সেই ছেলে তো পড়া শেষ করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে ছিল। টরন্টোতে একটা ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে কাজ করত। তারপর সে অন্টারিও থেকে অন্য প্রভিন্সে মুভ হয়েছিল যদি ভিসা পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য। সেখানে গিয়েও সে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিল। 

অনেক দিন তার খবর জানতাম না। ফেসবুকে তার ছবি দেখে তাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, তুমি কি পিআর পেয়েছ? 

সে বলল " না আপু। আমার হবে না মনে হচ্ছে। আমার ফিরে যেতে হবে।"

তারপর তার কাছে তো অনেক কিছু  শুনলাম। সে বলল, টরন্টো থেকে অন্য প্রভিন্সে গিয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল হয়েছে। ওখানের রেস্টুরেন্ট তাকে কোনো রকম হেল্প করে নি। তারপর সেখানে একটা কার না হলে চলাই যায় না। একটা কার কিনতে হয়েছে। যার জন্য তার খরচ হয়েছে মাসে $600 cad করে। যেটা টরন্টোয় থাকলে তার খরচ হতো না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কতো খরচ হয়েছিল সেটা উঠেছে কিনা আর কিছু জমাতে পেরেছে কিনা।

সে বলল, তার পড়ার টিউশন ফি বাবদ খরচ হয়েছে $39 cad. যার অর্ধেক সে আসার আগে ও বাড়ি থেকে শোধ করেছে। আর বাকিটা চাকরি করে দিয়েছে। পড়া+অন্যান্য খরচ সবকিছু  মিলিয়ে সে চাকরি করে ওঠাতে পেরেছে। 

আমি জানতে চাইলাম কিছু কি জমাতে পেরেছ? সে বলল, "জি আপু। $30 cad জমাতে পেরেছি সব খরচের বাইরে। তারমানে ধরেন ২৫ লাখ টাকার মতো হবে। খারাপ কী! আমি তো মনে করি এই অর্থ দিয়ে সে দেশে একটা বিদেশি রেস্টুরেন্ট চালু করতেও পারবে। আরো অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই, তারা এখন শুধু  ইনকাম করে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে। তবে কেউ কেউ হয়তো এতোটা পারছে না। 

সেই ছেলে বলছে, "আপু, কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এতেই আমি হ্যাপি। দেশে থাকলে তা পারতাম না।" এখন তার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্য পরিকল্পনা। সে জানাল, সে জার্মানির দিকে মুভ হবে। সেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে মাস্টার্সও করবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখলে জার্মানিতে টিউশন ফি লাগে না বলে সে জানাল।

যাই হোক, এটাই হলো জীবনের মান বোঝার উপযুক্ত পরিকল্পনা। কোনো বাঁধাতেই জীবনকে কোনো এক নির্দিষ্ট আঙ্গিকে আটকে রাখতে হয় না। মুভ অন হতে হয়। যেটা চাওয়া হয় সেটা না পেলে খুশি হয় না মন। তাই বলে হতাশায় যেন মন আচ্ছাদিত না হয় তাই ঐ ছেলের মতো বলতে হবে আমি যা পেয়েছি বা শিখেছি তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা তো সবাই করেছে। 

অসংখ্য স্টুডেন্ট এখন মেন্টালি রেডি। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টের সংখ্যা বেশি। এমনকি আমার বেসমেন্টে থাকা স্টুডেন্টদের সবার হয়তো হচ্ছে না। তাতে তারা মোটেও বিচলিত না। বরং বলেছে, আমরা দেশে ফিরে যাব। পিআর হলেও থাকতাম না। 

তারা রেডি টু গো ব্যাক টু দ্যা কান্ট্রি। আমি বলব, সবাই ব্যাকে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো সামনের কিছু জীবনের জন্য আরো ভালো, আরো মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর

নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলেন টিউলিপ

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫