Logo
শিরোনাম

৭৫ ভাগ ডেঙ্গু রোগী ঢাকায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

টানা কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সারাদেশ আতঙ্ক তৈরি করেছে ডেঙ্গু। মহামারি করোনাভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমান তালে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগটি, সেই সঙ্গে ঘটচ্ছে প্রাণহানিও। শুরুতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বছরের মাঝামাঝিতে এসে ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে ভাইরাসঘটিত রোগটির। স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টাতেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। 

রাজধানী ঢাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের শতকরা ৭৫ ভাগের বেশি রোগী ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। আর বাকি রোগীরা ঢাকা মহানগরের বাইরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে মৃত্যুর ঘটনায় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রোগীর সংখ্যা ঢাকা মহানগরের মোট তিন ভাগের একভাগ হলেও মৃত্যুর দিক থেকে এগিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চল।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস বিভাগের তথ্যমতে, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৮ হাজার ৬৪৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকার ৫০টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ হাজার ১২৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চার হাজার ৫১৭ জন। এদিকে, মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩১ জন ঢাকায় এবং ৩২ জন দেশের অন্যান্য স্থানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।


আক্রান্ত মৃত্যুর তথ্য মাসভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছরে জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ২০, এপ্রিলে ২৩ এবং মে মাসে ১৬৩ জন রোগী। প্রথম পাঁচ মাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে জুন মাসে হঠাৎ করেই ডেঙ্গু চিত্রে পরিবর্তন আসে। এ মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৭৩৭ জন, আর মারা যায় একজন। জুলাই মাসে ভর্তি হয় এক হাজার ৫৭১ জন, আগস্টে তিন হাজার ৫২১ জন, সেপ্টেম্বরে নয় হাজার ৯১১ জন এবং অক্টোবরের ৫ তারিখ পর্যন্ত দুই হাজার ৫৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 


আরও খবর



মে মাসের শুরুতেই টানা বৃষ্টি নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। একাধিকবার জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। গা ঝলসানো এমন গরম থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা জানার আগ্রহ মানুষের। গরমের এই তীব্রতার মধ্যেই আজ বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও তার আগে আরও কয়েকদিন দাবদাহ ভোগান্তি পোহাতে হবে মানুষকে।

শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চলমান তাপদাহ এপ্রিলের বাকি দিনগুলোতেও থাকবে। ঢাকাসহ চলমান এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তবে মে মাসের প্রথম দিন থেকেই দেশের আকাশে মেঘের উপস্থিত বাড়বে। ২ মে থেকে পরবর্তী কয়েকদিন সারাদেশেই বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হবে। এতে গরমের তীব্রতা অনেকটাই কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ২ মের পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় কালবৈশাখী হতে পারে। টানা ২ থেকে ৩ দিন বা তার বেশিও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির ফলে সারাদেশের তাপমাত্রা কমে আসবে।

চলমান তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ একটানা সবথেকে বেশিদিন স্থায়ী রয়েছে। গতবছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়।

তিনি জানান, চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল। আজ তা রেকর্ড ভেঙেছে এবং আরও কিছুদিন তা বজায় থাকবে। তাছাড়া এবারের তাপমাত্রা বলতে গেলে সারাদেশেই বিরাজ করছে, যা এর আগে দেখা যায়নি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অফিসের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

বোমা হামলার হুমকি দিয়ে ভারতের দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) প্রায় ১০০ স্কুল ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তবে এই ইমেইলগুলো ভুয়া উল্লেখ করে সেগুলোর উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। এ ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা উত্তর দিল্লির মডেল টাউনের ডিএভি স্কুল পরিদর্শন করেন।

ভি কে সাক্সেনা বলেন, দিল্লি পুলিশ ইমেইলগুলোর উৎস খুঁজে পেয়েছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কোনো স্কুলে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার কুমার মাহলা বলেছেন, আমরা সব স্কুল পরীক্ষা করেছি। কিছুই পাওয়া যায়নি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।

দিল্লি পুলিশ প্রধানের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভি কে সাক্সেনা।

জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, ... আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং স্কুল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না।

বুধবার (১ মে) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া সমস্ত স্কুলে পুলিশ এবং ফায়ার বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জানিয়ে দিল্লি পাবলিক স্কুল নয়ডার অধ্যক্ষ কামিনী ভাসিন বলেছেন, আমরা বোমা সংক্রান্ত একটি ইমেইল ​​পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থী আছে, তাই আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে এবং ছাত্রদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর

ইসরায়েলে লেবাননের রকেট হামলা

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




ইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা পশ্চিমা নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ উভয়ই অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে কখন কীভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইরানের হামলার জবাবে দেশটিতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল।শনিবার গভীর রাতে ইসরায়েলে চালানো হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেছে তারা। রোববার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিষয়টি জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।

ইরানের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ না নিতে। একই সঙ্গে তিনি নেতানিয়াহুকে তার দেশের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্কতার সঙ্গে ভাবারও পরামর্শ দেন।

বাইডেনের পরামর্শ মেনে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে আক্রমণ না চালালেও তারা বলছে, ইরানে নিজের বেছে নেয়া উপায় ও সময়ে হামলার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।

এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রোববার ইরানি হামলার জবাব দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করতে অন্তত ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।

ইসরায়েলের অপর একটি সংবাদমাধ্যম ইসরায়েল হাইয়ুমের প্রতিবেদনে ইসরায়েল সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, অবশ্যই (ইরানকে) একটি প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

ইরানের হামলার মুখে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ালেও পাল্টা পদক্ষেপ সম্পর্কে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। উত্তেজনা কমাতে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।

মার্কিন প্রশাসন বৃহত্তর সংকট এড়াতে আপাতত উত্তেজনা প্রশমন করতে চায়।তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ইরানের উপর পালটা হামলা না চালানোর ডাক দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এমন হামলা চালালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাতে অংশ নেবে না।


আরও খবর



গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশু নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু আহত কিংবা নিহত হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ এ কথা জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ইসরায়েলের হামলায় শিশুদের হতাহত হওয়ার এ মারাত্মক পরিসংখ্যান সামনে আনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় দপ্তরও (ওসিএইচএ)।


আরও খবর



বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : তদন্ত প্রতিবেদনে যা জানা গেল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে তারা।

ফায়ার সার্ভিসের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবনের নিচ তলায় থাকা চা চুমুক কফি শপের ইলেকট্রিক কেটলির শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এর মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মূলত ভবনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট গ্যাস জমে থাকার কারণেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া গেছে যে হোটেলে যেখানে বসে মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো, সেখানেও রাখা ছিল সিলিন্ডার। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি, সেটাও স্টোর রুম বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সিলিন্ডারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভর্তি করে রাখা ছিল সেখানে। এ ছাড়া ভবনের রুফটপও উন্মুক্ত ছিল না। মসজিদের পাশাপাশি অফিসসহ আরও কিছু মালামাল ছিল সেখানে।

তদন্তে আরও উঠে আসে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যে ধরনের নকশার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটা পুরোটাই পাল্টে ওই ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। ২০০৩ এর আইন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ট্রেনিংই তারা নেননি। মোটকথা, যতগুলো অনিয়ম করা যায় সবগুলো অনিয়ম ওই ভবনে ছিল। ভেন্টিলেশন পর্যন্ত ছিল না ভবনটিতে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৪৬ জন। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হন। ভবনের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অনেক রেস্তোরাঁ, কফি শপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর সংখ্যাই ছিল বেশি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হতো ভোজনপ্রেমীদের। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না ভবনটিতে।

ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, এ ধরনের ভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার গ্যালন পানি ধারণক্ষমতার ওয়াটার রিজার্ভার না থাকলে আমরা ছাড়পত্র দিই না। কিন্তু সেখানে পানির ক্যাপাসিটি মাত্র ১০ হাজার গ্যালন। পানি ছিল আরও কম।

ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ২০০৩ এবং রাজউক থেকে অনুমোদন করা নকশা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।


আরও খবর