Logo
শিরোনাম

আজ বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দশ দফা দাবিতে আজ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি। ওই কর্মসূচি সফল করতে বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্বও ইতোমধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। এটি বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর তৃতীয় দফা যুগপৎ কর্মসূচি। বিএনপির কর্মসূচির পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে।

গত ২৩ জানুয়ারি রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টন সড়কে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ জনসাধারণের প্রতি ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে সমাবেশ সফল করে দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট, গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও রাজবন্দিদের মুক্তি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে চলমান গণ-আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান জানান।


আরও খবর



বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 ঈদ মানে আনন্দ, প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে সময় কাটানো। ঈদ মানে প্রিয় খাবার খাওয়া। তবে দেশ ভেদে ঈদের ঐতিহ্যবাহী খাবারে রয়েছে ভিন্নতা। আর এই খাবার গুলোই সেদেশের ঈদ আনন্দে যোগ করে অন্য মাত্রা। কিন্তু সেগুলো কী? চলুন জেনে নিই

দক্ষিণ এশিয়ায় সেমাই


বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সবগুলো দেশে ঈদুল ফিতরের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো সেমাই। চাল বা গম থেকে তৈরি এক প্রকার সরু নুডলস যা রান্না করা হয় দুধ ও বাদাম যোগে। দেশ ভেদে যদিও এর নামে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। এই যেমন ঘন দুধ দিয়ে রান্না করা সেমাইকে পাকিস্তানে বলা হয় শির খুরমা।

রাশিয়ার খাবার মানতি


মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার নাম। এখানকার ১৫ শতাংশ অধিবাসী মুসলিম। রাশিয়ায় ঈদের দিনে তাদের অনেকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার - মানতি। সহজ কথায় যাকে আমরা মোমো বা ডাম্পলিং বলে চিনি। মাখানো আটার পুটুলির মাঝে থাকে ভেড়া কিংবা গরুর মাংসের কিমার পুর। এরপর তা ভাপে সেদ্ধ করা হয়। মাখন আর ক্রিমের সাথে এই ডাম্পলিং পরিবেশন করা হয়।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মানতির রেসিপিতে রয়েছে ভিন্নতা। তবে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন ঈদের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার কোনটি? সবাই একযোগে জবাব দেবে- মানতি

চীনে জনপ্রিয় শানজি-



চীনের বেশিরভাগ মুসলিমদের ঈদের দিনের খাবার হিসেবে প্রিয় খাবার হলো ঐতিহ্যবাহী শানজি। ৩০ লাখ মুসলিমের এ দেশে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শানজিতে জমজমাট হয়ে ওঠে বাজার।

ময়দার লেই দিয়ে মোটা করে নুডুলস বানিয়ে তা ভাজা হয় ডুবো তেলে। এরপর পিরামিডের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। খেতে অনেকটা মোটা চানাচুরের মতো। চীনের মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর মুসলিমদের খুবই জনপ্রিয় খাবার এটি। ঈদের আগে তাদের দোকানে গেলেই দেখা মিলবে মুচমুচে শানজির।

মধ্যপ্রাচ্যের খাবার মাখন কুকিজ


মোটা বিস্কুটের মাঝে খেজুরের পেস্ট, আখরোট কিংবা পেস্তা বাদামের পুর দিয়ে প্রস্তুত করা হয় মাখন কুকিজ। ওপর দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় হালকা চিনির গুঁড়ো। পুরো রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদের দিনে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে বিশেষ এই কুকি খুবই জনপ্রিয়। একই খাবার সিরিয়ায় পরিচিত মামুল নামে, ইরাকে একে বলা হয় ক্লাইচা আর মিশরে এর নাম কাহাক

ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কেটুপাট


ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ আয়োজনে রাখা হয় নানা ধরনের মুখরোচক মিষ্টি। এর পাশাপাশি থাকে ঐতিহ্যবাহী খাবার কেটুপাট। পাম গাছের পাতায় মোড়া এক ধরনের চালের আটার পিঠা এটি। পরিবেশন করা হয়, মাংসের বিভিন্ন আইটেমের সাথে (ওপর আয়াম- নারকেল দুধ দিয়ে রান্না মুরগি অথবা সাম্বাল গোরেং কেনটাং- বিফ এবং আলুর ডিশ)।

ব্রিটেন জুড়ে বিরিয়ানি


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মতো ব্রিটেনের মুসলিমদের কাছে ঈদের দিনে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এখন বিরিয়ানি। চাল, মাংস এবং সবজি দিয়ে তৈরি এই মুখরোচক খাবারের সাথে থাকে দৈ এবং পুদিনার চাটনি।

ব্রিটেনে বিরিয়ানির জনপ্রিয়তার কারণ কিন্তু অনেকটা আমরাই। এখানকার জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশই দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত।

সোমালিয়ায় জনপ্রিয় কামবাবুর

পাতলা রুটি বা প্যানকেকের মত দেখতে খাবারটি সোমালিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। মাংস বা সবজির সাথে গরম গরম পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্যানকেক। খাওয়া হয় চিনি আর দই দিয়ে। ইথিওপিয়ায় এটির নাম ইনজেরা।

বসনিয়ার তুফাহিজা

বসনিয়ার এতিহ্যবাহী এক খাবার হলো তুফাহিজা। এই বিশেষ রেসিপিটি ঈদসহ বিশেষ দিনে বসনিয়ানরা তৈরি করে থাকেন। আপেল সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় বিশেষ এই পদ। সেদ্ধ আপেলের মধ্যে আখরোট বাদামে ভরাট করা হয় এবং হুইপড ক্রিম দিয়ে উপরে সাজানো হয়।

বার্মাতে শাই মাই ঈদ

বার্মার মানুষেরা ঈদের দিন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক খাবার শাই মাই ঈদ তৈরি করে থাকেন। তারাও আমাদের মতোই সেমাই রান্না করে থাকেন; তবে তা ভিন্ন উপায়ে। নারকেল, কিসমিস এবং কাজু বাদাম ভাজা দিয়ে তারা শাই মাই ঈদ পরিবেশন করে থাকেন

ভারতে শের খুরমা


ভারতের মুসলিমরা ঈদে শের খুরমা তৈরি করেন। সেমাই দিয়েই মজাদার এক পদ শের খুরমা তৈরি করেন তারা। ঈদে ভারতে প্রস্তুত করা হয় মিষ্টান্ন। ঈদের নামাজের পর সবাই এই মিষ্টান্নের স্বাদ উপভোগ করেন।

লেবাননের মামুল

লেবাননে ঈদ উদযাপন মামুল ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাটার, খেজুর এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয় ছোট ছোট কুকিজ। লেবাননের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঈদে মামুল পরিবেশন করা হয়।



তুরস্কে লোকুম

হরেক রঙের মিষ্টির টুকরো এই লোকুন। বরফি আকৃতির বিশেষ এই মিষ্টি তুরস্কের সব ঘরেই ঈদের দিন তৈরি করা হয়। সেখানখান শিশুদের প্রিয় খাবার হলো লোকুম।

এই খাবারগুলো কোনটি কি আপনি খেয়েছেন? সময় করে বানিয়ে দেখতে পারেন ভিনদেশি খাবারগুলো।

 


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গৃহবধু আয়না হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল'কে ঢাকার আদাবর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‌্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ কাম্প থেকে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর চৌকস অভিযানিক দল মঙ্গলবার ঢাকা জেলার আদাবর থানাধীন সুনিবির হাউজিং এলাকা অভিযান পরিচালনা করে গৃহবধূ আয়না হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ (৩২), দেবর শাকিল হোসেন (২২) উভয়ের পিতা খোরশেদ আলম এবং তাদের মা মোসাঃ আমেনা বেগম কে আটক করা হয়। আটককৃতরা সকলে, নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের বাসিন্দা।


মামলার বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গত ১২ মার্চ নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) কে ভোর রাতে বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশ কে খবর দিলে সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, মৃত আয়না আক্তারের সাথে তার শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল এর সাথে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমীরা ও খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকতো। সেই জের ধরে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল এবং আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে জানান মৃতের স্বজনরা। এঘটনায় মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামুইরহাট থানায় ভাতিজিকে শ্বাসরোধে হত্যার দ্বায়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলার পর থেকেই শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল ও আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ আত্নগোপনে চলে গেলে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর একটি আভিযানিক দল গত ২৩ মার্চ আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ কে নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর থেকে আটক করেন এবং আমেনা, এরশাদ ও শাকিল কে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল কে ঢাকা জেলার আদাবর থানাধীন সুনিবির হাউজিং এলাকায় থেকে ২৬ আটক করা হয়।


আরও খবর



ইতালিয়ানদের সম্মানে ভেনিস বাংলা স্কুলের ইফতার ও আলোচনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, ইতালি :

ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে পাঁচটি স্তম্ভের উপর। প্রথমটি হলো কালিমা বা শাহাদা। অর্থাৎ এক আল্লাহ এবং নবী রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। যারা এটি করবে তারা মুসলিম। আর একজন মুসলিমের উপর আল্লাহ রোজার বাধ্যবাধকতা দিয়েছেন, যেমন দিয়েছিলেন অন্যান্য নবী রাসুলগণের অনুসারীদের উপর। সুতরাং রোজা শুধু মুসলিমদের জন্য নয় বা নবী মোহাম্মদ প্রদত্ত নতুন কিছু নয়। অন্যান্য ধর্ম অবলম্বীদের জন্যও রোজার বাধ্যবাধকতা আছে বা ছিলো। যেমন, বাইবেল অনুসারীরাও ৪০ দিন উপবাস করেন। ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে ইতালিয়ানদের সম্মানে ইফতার ও আলোচনায় এসব কথা বলেন, প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাছান।

ভেনিস বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ারের সভাপত্বি আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয় ৬ এপ্রিল, শনিবার ভেনিস বাংলা স্কুলের মেসত্রেস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে। এ সময় প্রায় ৩০ জন ইতালিয় শিক্ষক, সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাছান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে ইতালিয় বন্ধুদের কাছ থেকে কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই। যেমন, বর্তমান সময়ে যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে জিহাদ শব্দটা বার বার সামনে আসছে। আমাদের বুঝতে হবে জিহাদ অর্থ ধর্ম যুদ্ধ নয়। জিহাদের অনেক রুপ আছে। কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়, ইনসাফ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টার নাম জিহাদ। হুট করে অস্ত্র-পাতি, বোমা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার নাম জিহাদ নয়, ওটা সন্ত্রাস। জিহাদ এবং সন্ত্রাস দুইটা আলাদা বিষয়। কেউ জিহাদ করতে চাইলে ইসলামের বিধান মেনে করতে হবে। মনগড়া কোনো মতবাদে হিজাদ হয় না। অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করলে তা গোটা মানবজাতীকে হত্যার সামিল অপরাধ হিসাবে গণ্য করে ইসলাম।

তিনি রোজার আধ্যাতিক ও সাইন্টিফিক দিকসহ মুসলিম নারীদের হিজাব ব্যবহারের বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করেন।

কামরুল হাছান যোগ করেন, ইতালিয় সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ইতালিতে বসবাসকারী সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন, প্রচার এবং উদযাপন করতে পারবে। কিন্তু মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিনে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়া হয় না। কর্মজীবীদের বাধ্যতামূলক কাজে যেতে হয়। এতে সামাজিক এবং ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি হয়। যা মুসলিমদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। ইতালিয় সরকারের উচিৎ এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা। 

অপর আলোচক ইঞ্জিনিয়ার লিয়ন শরিফ বলেন, মিডিয়ার প্রপাকান্ডায় বিভ্রান্ত হয়ে অনেকে হয়তো মনে করেন মুসলিমরা সন্ত্রাসী বা ইসলাম সন্ত্রাসীদের ধর্ম। আসলে তা নয়। বিশ্বমুসলিম কম্যুনিটিকে কোনো জাতী বা গোষ্ঠীর নিজস্ব কর্ম দিয়ে বিচার করলে তা সুবিচার হবে না। ইসলাম বুঝতে হলে কোরান, হাদিসের কাছে যেতে হবে। পড়াশুনা করতে হবে।

তিনি উপস্থিত ইতালিয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, যারা ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে তারা যেসব অস্ত্র, যানবাহন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলো তারা বা কোনো মুসলিম রাষ্ট্র বানায় না। যারা তাদের কাছে ওসব অস্ত্র, গাড়ি, প্রযুক্তি বিক্রি করে তারাই আবার মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামের গায়ে সন্ত্রাসের ট্যাগ লাগায়। সুতরাং যেসব গোষ্ঠি সন্ত্রাস করে এবং তাদের কাছে যারা অস্ত্র বিক্রি করে উভয়ই বিশ্বমানবতা বিরোধী অপরাধী। উভয়ই সমান ভাবে সন্ত্রাসের অংশীদার।

লিয়ন বলেন, এক সাথে বসবাসের জন্য, ইন্টিগ্রেশনের জন্য সবার মধ্যেই মেনে নেয়ার, মানিয়ে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ভৌগলিক কারণে, ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশি এবং ইতালিয় বা ইউরোপিয়দের কালচার এক নয়। এক হওয়া সম্ভবও নয়। সুতরাং কাউকে তিরস্কার করে, অধিকার বঞ্চিত করে, সন্ত্রাসের ট্যাগ লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়ে।

তিনি যোগ করেন, ইতালিয় মিডিয়ায় রোজাকে 'রমাদান' হিসাবে উল্লেখ করা হয়, যা সঠিক নয়। রমাদান একটি মাসের নাম। এ মাসে মুসলিমরা রোজা রাখেন। সুতরাং রোজা বা সওম বললে তা সঠিক হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন, পলাশ রহমান, মারতা লাভারা ফাচ্চিনি, জাকমো বেল্লাতো, সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, আনতোনিয় স্পানো, আলেসসানদ্রো, জান্নি দাল্লা পেল্লেগ্রিনা, জাদা, ক্লাউদিয়া মানতোভান, মানুয়েলা যোরদানা, আকতার উদ্দিন, মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেল, আনদ্রেয়া অনোরি, ভালেরিয়া তোনিয়লি, আলেসসানদ্রা বারদেল্লি, গাবরিয়েলে মালুতা, মারিয়া কারমেলা, সেরজো, ফাবরিচ্ছিয়, লাওরা, মিকেয়লা, কাজী টিপু, জানফ্রাংকো বোনেচ্ছো, ইকবাল হাসান, ফিয়রিনা মাসুম, লোরেনছো পোরচিলে, প্রমূখ।

আলোচনা শেষে ফিলিস্তিনির মাজলুমদের জন্য এবং বিশ্বশান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। বিরিয়ানিসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহি বিভিন্ন পদের ইফতার পরিবেশন করা হয়।


আরও খবর



তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ গরমে নাকাল জনজীবন মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হলকা অনেক বেশি উত্তাপ অনুভূত হওয়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে তাপমাত্রার এমন অবস্থা সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ভোগাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সমুদ্রের লঘুচাপটি পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করার গরম প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠে। এর আগে দেশে ১৫ থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত লাগাতার তাপপ্রবাহ থাকার রেকর্ড থাকলেও এবার চলতি মাসের ১৯ দিনই টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে এর চেয়েও বেশি। এসময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দাবদাহ থেকে যাবে মে মাস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, হিট অ্যালার্ট তিনদিনের জন্য জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ঈদে বাড়ি ফেরা হলোনা তাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ সদরের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তারা পরিরবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাহিন্দ্র করে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহত লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২৫) ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাস মাহিন্দ্রাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের শিশু সন্তান মাহিতের (২) মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা-মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকা থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সদরে আসছিলেন লুৎফর। ল্যাংড়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস। এতে লুৎফর, তার স্ত্রী-সন্তান এবং মাহিন্দ্রাচালক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মাহিন্দ্রাকে চাপা দেওয়া বাসটি পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

এদিকে, ত্রিশাল ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।


আরও খবর