Logo
শিরোনাম

আল্লামা শাহ্সূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃছিঃআঃ) এর জীবন চরিত্র

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

আওলাদে রাসূল (দঃ) গাউছে দাওরাঁ আল্লামা শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃছিঃআঃ) এর জীবন চরিত্র।

বিশ্ব আধ্যাত্মিক পরিমন্ডল অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মাইজভান্ডার দরবার শরীফ। এ পবিত্র ভূমিতে শায়িত আছেন তরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়ার স্থপতি গাউছুল আজম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃ) এবং তরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়ার প্রাণপুরুষ অলিকুল শিরোমনি গাউছুল আজম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারী আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃ)।

হযরত গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী কেবলা কাবা (কঃ) হিজরী ১৩৫৬ সালের ২২শে মুহররম মোতাবেক ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের ২২শে চৈত্র রোজ সোমবার ভোর ৭টা ৫৫ মিনিটে একাত্তর বছর ৬ মাস এ নশ্বর জগতে আধ্যাত্মিক লীলা সমাপন করে পরপারে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান।

হযরত গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী কেবলা (কঃ) এর বেছালের পর তাঁরই মেঝ শাহজাদা সুলতানুল মাশায়েখ শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ আবুল বশর মাইজভান্ডারী আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (কঃ) এর ওরসে নবী বংশের উজ্জল প্রদীপ আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় মুর্শেদ কেবলা আল্লামা শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী বিংশ শতাব্দীর এমন এক যুগ-সন্ধিক্ষণে মাতৃগর্ভ থেকে ধরাধামে তশরীফ আনয়ন করেন, যখন সমগ্র বিশ্বে চলছিল অনাচার, জুলুম, নির্যাতন, মুসলিম দুনিয়া সুন্নীয়তের মূল দর্শন থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছিল। আধুনিক জাহেলিয়াত ও বাতিল পন্থীদের খপ্পরে পড়ে ঈমানহারা হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানও তরকতের সঠিক দিক-নির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল মুসলিম উম্মাহ, বিশ্বশান্তি বিঘিœত করে পরাশক্তিগুলো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল। মানবতা ভুলুন্ঠিত, নির্যাতিত জনগোষ্ঠির আর্তনাদে খোদার আরশ কাঁপছিল; ঠিক এমনি নাজুক পরিস্থিতিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর প্রদর্শিত এবং সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়া-ই-কেরামের অনুসৃত পথে সঠিক প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে ১৯৩৮ ইংরেজী সালের ১০ই ফেব্রুয়ারী মোতাবেক মহান ২৭শে মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ অনুযায়ী ৯ই জিলহজ্ব ১৩৫০ হিজরী রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় মাইজভান্ডার শরীফের পূণ্যভূমিতে প্রেরণ করেন।
“মারহাব ইয়া মারহাবা ইয়া মারহাবা
শায়খুল ইসলাম মইনুদ্দীন মারহাবা”

মাইজভান্ডার দরবার শরীফে তিনি তাঁর আব্বাজান শাহজাদায়ে গাউছুল আজম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ আবুল বশর মাইজভান্ডারী আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (রঃ) এর তত্বাবধানে ইলমে দ্বীন কুরআন-সুন্নাহ এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করে ঐতিহ্যবাহী সরকারী কলেজিয়েট উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে মেট্রিক পাশ করেন অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. ইউনুস, সাবেক নৌ-বাহিনী প্রধান মোহাইমনুল ইসলাম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানসহ দেশ বরেন্য কৃতি সন্তানগণ তাঁর স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিলেন। আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে বি.কম পাশ করেন। আরবী-ফারসী-উর্দুতে তাঁর আব্বাজান এবং বিংশ শতাব্দীর বিশ্ববরেণ্য ওলামায়ে কেরাম থেকে কুরআন-সুন্নাহ তথা ইলমে দ্বীন ইসলাম চর্চা করে প্রভূত জ্ঞান লাভ করেন। তাঁর সবচাইতে বড় কারামত হলো জম্মের পর থেকে অদ্যবধি মুখ থেকে কুরআন-সুন্নাহর বাইরে কোন অযথা বাক্য প্রকাশ পায়নি। যা বলেন আল্লাহ ও রাসূলের (দঃ) শান, আউলিয়া-ই-কেরামের শানে বলেন। যা আমাদের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পাথেয় স্বরূপ।

১৯৫৯ ইংরেজীতে তদানীন্তন হাবীব ব্যাংকে অফিসার হিসাবে যোগদান করে জেনারেল ম্যানেজার পদে যখন উন্নীত হন, ঠিক তখনি ১৯৬২ইং সালে ৫ই এপ্রিল মহান ২২শে চৈত্র রাত ২.৩০ মিনিটে তাঁর আব্বাজানের নির্দেশক্রমে চাকুরী ছেড়ে বায়াতে খাছ গ্রহণ করে খেলাফত লাভের মাধ্যমে তরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়ার প্রচার-প্রসার কল্পে আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্রতী হন। ১৯৬৬ ইংরেজীতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সাথে। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও রাজনীতিবীদ মরহুম ইসলাম মিয়া টিকে তাঁর শ্বশুর ছিলেন। তাঁরই কন্যা মরহুমা ফাতেমা বেগম (মুন্নিকে) জীবন সঙ্গীনি হিসেবে গ্রহন করেন, তিনি তাঁর জীবনের উন্নতির সোপানে আরোহনের চির সঙ্গীনি ছিলেন। গাউছুল আজম বাবাভান্ডারী (কঃ) ও হযরত কেবলার (কঃ) তরীকা মতে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তাঁর দুই শাহজাদা যথাক্রমেঃ শাহজাদায়ে গাউসুল আজম আলহাজ্ব শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ), শাহজাদায়ে গাউছুল আজম আলহাজ্ব সৈয়দ শহিদ উদ্দিন আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ) এবং দুই শাহজাদী যথাক্রমেঃ শাহজাদী আল্হাজ্বা সৈয়দা সায়েমা আহমদ (সোমা), ও শাহজাদী সৈয়দা সাহেদা আহমেদ (রুমা)। ১৯৮০ ইং সালে তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করে জান্নাতবাসী হন। এরপর তিনি আর দ্বিতীয় বিবাহ করেননি। কঠোর রিয়াজত করে চলেছেন।


আরও খবর



বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ককে পদ থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শোয়েব আল হাসান সজলকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতি আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেছে জেলা ছাত্রলীগ। সেই সাথে কেনো তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত শাস্তিমুলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার উপযুক্ত কারনসহ আগামী তিনদিনের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে স্বহস্তে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। এই নিয়ে ২য় বারের মত অব্যাহতি পেলেন শোয়েব আল হাসান সজল। 

জানা যায়,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালে ১৬ আগস্ট শোয়েব আল হাসান সজলকে প্রথমবার সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর তার অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নেয় জেলা ছাত্রলীগ। প্রত্যাহার পত্রে ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য সতর্ক করা হয় তাকে। এই নিয়ে দুইবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেন উপজেলা ছাত্রলীগের এই নেতা। 

শোয়েব আল হাসান সজলের ভাষ্য, তিনি দলীয় শৃঙ্খলা বা দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থী কোন কাজে জড়িত না। কি কারনে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা জানেননা তিনি। এরপরেও জেলা ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত মেনে লিখিত ভাবে জবাব দিবেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বলেন,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ থাকবে এপ্রিল জুড়ে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ঢাকাসহ দেশের চারটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এপ্রিল জুড়ে সারাদেশে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানের আবহাওয়ার এ অবস্থা আরো এক সপ্তাহ বিরাজ করবে।

রবিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা কমবে না। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরো কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এপ্রিলে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও একটি-দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।


আরও খবর



ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। এতে বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এদিকে শেষ মুহূর্তের দিন ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

এছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে ৭ ধরনের মোটরযানের অগ্রিম কর মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৮ এপ্রিল এনবিআর করনীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত স্পষ্টীকরণ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৫৩ (৫) অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ধারা মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে কোনো প্রকার অগ্রিম কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে না। আর ওই সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো সনদের প্রয়োজন হবে না।

জানা গেছে, সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ); সরকার বা স্থানীয় সরকারের অধীন কোনো প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম; কোনো বৈদেশিক কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ ও ইহার অঙ্গ সংগঠনের দপ্তরসমূহ; বাংলাদেশের কোনো বিদেশি উন্নয়ন অংশীদার এবং ইহার সংযুক্ত দপ্তর বা দপ্তরসমূহ; সরকারের এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রিম কর সুবিধার তালিকায় আছে।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ির অগ্রিম কর ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার, ১৫০০ সিসির বেশি; কিন্তু ২০০০ হাজার সিসির কম এমন গাড়ির অগ্রিম কর ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার, ২০০০ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির জন্য ১ লাখ, ৩০০০ সিসি থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং এর বেশি সিসি হলে দুই লাখ টাকা অগ্রিম কর দিতে হয়।

তবে, দেশে ব্যবহৃত গাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ১৫০০ সিসির কম।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে। বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

বুধবার (০১ মে) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৯৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য মাঝারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু ; ১৭১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইন্দোনেয়ার মেদান , ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি শহর। এ ছাড়া ১৬০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর