Logo
শিরোনাম

আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রী’ শর্তে পাকিস্তানে গঠিত হতে পারে সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এদিন ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে নির্বাচন করেন শত শত প্রার্থী। নির্বাচন শেষে দেখা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯৬টি আসন পেয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪টি আসন পেয়েছে বিলাওয়াল ভু্ট্টোর পিপিপি।

তবে ইমরান খানের দল সর্বোচ্চ আসন পেলেও; তাদের সরকার গঠনের সম্ভাবনা খুব একটা বেশি নেই। কারণ নওয়াজের পিএমএল-এন এবং বিলাওয়াল ভু্ট্টোর পিপিপি জোট সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই দুই দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তানকে বাঁচাতে দুই দলই সম্মত হয়েছে।

এরমধ্যে পাক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, পিপিপি এবং পিএমএল-এনের নেতারা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ক্ষমতা ভাগাভাগির কথা ভাবছেন। এর অংশ হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের জন্য তারা সরকার গঠন করবেন। এই পাঁচ বছরের মধ্যে আড়াই বছর করে পিএমএল-এন এবং পিপিপির প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

এবারের নির্বাচনের আগে ধারণা করা হয়েছিল, নওয়াজ শরীফের দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। সেই চিন্তা থেকে চার বছর পর তাকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনে সেনাবাহিনী। কিন্তু সেটি আর হয়নি।

এরপর যখন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়া শুরু করে তখন নওয়াজ শরীফ জানান তারা জোট গঠন করে সরকার গঠন করবেন। এরই অংশ হিসেবে পিপিপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তারা। তবে পিপিপির কাছ থেকে শর্ত দেওয়া হয়; জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসতে চাইলে বিলাওয়াল ভুট্টোকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। কিন্তু নওয়াজের দল এই শর্ত মেনে নেয়নি। পিপিপিকেও যখন বশে আনা যাচ্ছে না; তখন ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে দুই দল।

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে প্রাদেশিক সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল পার্টির (এনপি) সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছিলেন নওয়াজ শরীফ। সেবার এমনই আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদটি ভাগ করে নিয়েছিল দুই দল।

প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়াও পিপিপি এবং পিএমএল-এন অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিষদ আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

 


আরও খবর



উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পাস-কি এর সুবিধা অসুবিধা

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পাস-কি (Passkey) হলো একটি আধুনিক এবং উন্নত নিরাপত্তা পদ্ধতি যা ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত পাসওয়ার্ডের বিকল্প হিসেবে কাজ করে এবং ফিজিক্যাল ডিভাইস, বায়োমেট্রিক ডেটা (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি), অথবা ক্রিপ্টোগ্রাফিক টোকেন ব্যবহার করে কাজ করে।

পাস-কি কিভাবে কাজ করে?

পাস-কি ব্যবহার করার সময় নিম্নলিখিত ধাপগুলো সম্পন্ন হয়:

1. প্রাথমিক নিবন্ধন: ব্যবহারকারী একটি ডিভাইস বা বায়োমেট্রিক ডেটার মাধ্যমে পাস-কি তৈরি করে।

2. ক্রিপ্টোগ্রাফি: পাস-কি সাধারণত একটি পাবলিক-প্রাইভেট কি পেয়ার ব্যবহার করে। 

o প্রাইভেট কি ব্যবহারকারীর ডিভাইসে থাকে এবং কখনো শেয়ার হয় না।

o পাবলিক কি সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।

3. লগইন প্রক্রিয়া: লগইনের সময়, ব্যবহারকারী তাদের ডিভাইস বা বায়োমেট্রিক প্রমাণ ব্যবহার করে। সার্ভার পাবলিক কি দিয়ে প্রাইভেট কি যাচাই করে এবং নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারী বৈধ।

পাস-কি কেন ব্যবহার করা হয়?

1. পাসওয়ার্ডের দুর্বলতা দূর করতে: পাসওয়ার্ড সহজে অনুমানযোগ্য বা হ্যাকযোগ্য হতে পারে, কিন্তু পাস-কি অনেক বেশি সুরক্ষিত।

2. ব্যবহার সহজ করা: পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা দূর করে।

3. সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি: ফিশিং, ব্রুট-ফোর্স আক্রমণ, এবং পাসওয়ার্ড চুরির ঝুঁকি কমায়।

পাস-কি এর সুবিধা:

1. উচ্চ নিরাপত্তা: প্রাইভেট কি কখনো সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় না, ফলে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কম।

2. ব্যবহার সহজ: পাসওয়ার্ড টাইপ করার প্রয়োজন নেই; শুধু ডিভাইস বা বায়োমেট্রিক ডেটা ব্যবহার করলেই হয়।

3. ফিশিং প্রতিরোধ: পাস-কি দিয়ে ফিশিং আক্রমণ কার্যকর হয় না কারণ এটি নির্দিষ্ট ডিভাইস এবং সার্ভারের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

4. মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA): পাস-কি নিজেই একটি শক্তিশালী অথেন্টিকেশন পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে।

পাস-কি এর অসুবিধা:

1. ডিভাইস নির্ভরতা: ডিভাইস হারিয়ে গেলে পাস-কি পুনরুদ্ধার করা জটিল হতে পারে।

2. প্রাথমিক খরচ: পাস-কি সাপোর্ট করার জন্য বিশেষ হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে।

3. সামঞ্জস্যতা সমস্যা: সব সিস্টেম বা প্ল্যাটফর্ম পাস-কি সমর্থন নাও করতে পারে।

4. প্রশিক্ষণ প্রয়োজন: ব্যবহারকারীদের পাস-কি ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে কিছু সময় লাগে।

উপসংহার:

পাস-কি পাসওয়ার্ডের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ এবং আধুনিক নিরাপত্তা চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এটি ভবিষ্যতের লগইন পদ্ধতি হিসেবে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডিভাইস সুরক্ষা এবং পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

--মোঃকাউসার আহমেদ

বিএস সি (অনার্স)কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ার,

আইটি অফিসার, বিকেএসপি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। 


আরও খবর



গজারিয়ায় আইটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীন সার্পোট সেন্টারে চুরির অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জ (গজারিয়া) থেকে সৈয়দ মো. শাকিল :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভবেরচর কলেজ রোড এলাকায় অবস্থিত আইটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীন  সার্পোট সেন্টারে গতকাল রাতে পরিকল্পিতভাবে চুরি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

চুরির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির আইটি কাজে ব্যবহৃত মূল্যবান যন্ত্রাংশ,প্রয়োজনীয় মালামাল ও নগদ অর্থ লুণ্ঠনের অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহিম।


সরেজমিনে দেখা যায় আইটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীন সার্পোট সেন্টারের মূল (টিনসেড) ভবনের উপরের চাল কেটে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে প্রবেশ করে মূল্যবান মালামাল চুরি করে পালিয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ইউনূস সরকার মাসুদ বলেন যেভাবে চুরি করা হয়েছে তার ধরন দেখে বোঝা যায় চুরিটি ছিলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পূর্বপরিকল্পিত এবং অভিসন্ধিমূলক। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে তীব্র কুয়াশাছন্ন পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিলো ফলে এমন মোক্ষম সময়কে টার্গেট করেই চোরের দল সক্রিয় হয়।তারা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার সম্পত্তি লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এই বিষয়ে গজারিয়া থানার উপ পরিদর্শক কামরুল হাসান জানায় ইতিমধ্যেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ দায়েরে প্রস্তুতি চলছে পর্যায়ক্রমে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে চোরের দল সনাক্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, ৭০ ভাগই শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীত তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০-এর মতো শিশু। এমন অবস্থা যে, হাসপাতালের সামনে তাঁবু গেড়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডায়রিয়া আক্রান্তদের।

মহাখালীর হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান গেটের পরই বড় করে টানানো হয়েছে তাঁবু। যদিও এখনো সেখানে বেড করার প্রয়োজন পড়েনি। হাসপাতালের প্রধান ভবনের শুরুতেই নার্সরা এন্ট্রি নিচ্ছেন এবং চিকিৎসকরা রোগীদের দেখভাল করছেন। এই দুই বুথে ভিড় লেগেই আছে সারাদিন। এর ভেতরেই ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা। আর আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি) এ শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে স্যালাইন।

ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ইমার্জেন্সি রুমের বেডে তিন বছরের শিশু মুসাকে নিয়ে শুয়ে আছেন তার বাবা মো. বিপ্লব হোসেন। তারা এসেছেন কেরানিগঞ্জ থেকে। দুদিন ধরে ছেলের মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। শুক্রবার অনেক বেশি বেড়ে যায়, সঙ্গে জ্বরও আসে। এজন্য রাতেই তাকে নিয়ে আইসিডিডিআর, বিতে ছুটে আসেন তিনি।

পাশের আরেকটি বেডে ছেলে ইউসুফ আলীকে কোলে নিয়ে বসে আছেন মা শারমিন আক্তার। তারা এসেছেন জামালপুর থেকে। ছেলে ইউসুফ আলীর বয়স ১১ মাস। প্রায় ছয় দিন ধরে পাতলা পায়খানা ইউসুফের। জামালপুরে চিকিৎসক দেখানো হলেও লাভ হয়নি। তাই ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে স্যালাইন খাওয়াতে।

হাসপাতালে আগত শিশুদের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে গুরুতর না হলে কিছু সময় চিকিৎসা ও স্যালাইন খাইয়ে ও পরামর্শ মোতাবেক ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিডিডিআর,বির তথ্য বলছে, শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৬৭ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। অন্যদিকে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ৬৪৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসেন। ২০২৫ সালের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি চিকিৎসা নেন ৮৫০ জন।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৮৯১ জন, ২৯ ডিসেম্বর ৮২৬ জন, ৩০ ডিসেম্বর ৯১৩ জন, ৩১ ডিসেম্বর ৮৮৪ জন।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে গড়ে ৮৫০ থেকে ৯০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৮০ শতাংশই শিশু।

আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান বলেন, প্রতি বছর শীত এলেই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। বিশেষ করে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই চার মাস রোটাভাইরাসের প্রভাব বেশি থাকে।

তিনি আরোা বলেন, আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি ৫০তম রোগীর টয়লেট পরীক্ষা করে দেখা হয়— ডায়রিয়ার কারণ ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়াজনিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান সময়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ রোগীর ডায়রিয়া হচ্ছে রোটাভাইরাসের কারণে। বাকি ৫০ শতাংশ অন্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার কারণে।



আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




৭ বছর পর সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বেগম জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বিএনপি প্রধান। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দেড় থেকে দুই হাজারের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত থাকবেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের কয়েকজন নেতা বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করা হবে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপি প্রধান।

গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্য দিয়ে এক যুগ পর সেনাকুঞ্জের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কারারুদ্ধ হওয়ার পর এটিই ছিল খালেদা জিয়ার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া।

ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় তাদের পাশাপাশি চেয়ারে বসে কথা বলতে দেখা যায়।

দীর্ঘ অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ায় খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সামরিক কর্মকর্তা এবং বিশিষ্টজনরাও তার উপস্থিতিতে উচ্ছ্বসিত হন।

বিএনপি নেত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর একে একে বিশিষ্টজনেরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে শৈত্যপ্রবাহের পরিধি বেড়েছে। শুক্রবার দেশের ১০ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা নেই অনেক জায়গায়। কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে এমন অবস্থায় আজ থেকে আগামী দুদিন জেলার কয়েক জায়গায় দিন এবং রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ ও তৎসংলগ্নএলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিন (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শনিবারের (১১ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রবিবারের (১২ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, এ সময়ের শেষের দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫