Logo
শিরোনাম

আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আরও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে এক কো‌টি করে মোট পাঁচ কো‌টি ডিম আমদানির অনুম‌তি দি‌য়ে‌ছে সরকার। রবিবার  বা‌ণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দেশের বাজারে ডিমের দাম বেড়ে গেলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংবাদ সম্মেলন করে ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেন। তিনি বলেন, এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। তবে সেই ঘোষণার পরও নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রিতে কার্পণ্য করে আসছিল ব্যবসায়ীরা।

এর আগে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে শুরুতে চার কোটি ডিম আমদানি করতে চারটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এবার আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হলো।

তবে ডিম আমদানির অনুমতির সঙ্গে চারটি শর্ত দেওয়া হয়। প্রথমত, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুমুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।

দেশের বাজারে ডিমের দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলাও শুরু হয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় ডিম দেশের বাজারে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। পরে ২১ সেপ্টেম্বর আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



দামের উত্তাপে পুড়ছে মাংস-সবজির বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

উৎসব এলেই ভারি হয় ব্যবসায়ীদের পকেট। পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা। ব্যতিক্রম হয়নি ঈদুল ফিতরেও।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে পটল ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। ঈদের সালাদের অন্যতম অনুষঙ্গ গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

শসায় বেড়েছে ২০ টাকা আর কাঁচামরিচে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে হয়েছে সেঞ্চুরি। বাড়তি দরের তালিকায় আছে টমেটো এবং লেবুও। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ বাজার শাক-সবজিতে ভরপুর।

শুধু সবজি আর সালাদের অনুষঙ্গ নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ঠেকেছে ৫০-৫৫ টাকায়। আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদামজাত করে মজুতের ফলে বাজারে দেখা দিয়েছে পণ্যের সংকট। পাশপাশি ঈদের কারণে পণ্যও আসছে কম। তাতেই চড়েছে বাজার।

এদিকে, একদিনের ব্যবধানে গরুর মাংসের কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও।

আর গত ২৫ মার্চ গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়া মাংস বিক্রেতা খলিলের দোকানেও কেজিতে বেড়েছে ৫৫ টাকা। দাম বাড়িয়ে কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।


আরও খবর



সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিন ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তীব্র গরমের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মাউশির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ওইদিনের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দাবদাহের মধ্যে না খুলে আগামী সাত দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এমন অবস্থার মধ্যে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় মাউশি।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




শনিবার শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুত মাভাবিপ্রবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল)। এ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।

জানা যায়, এবছর বিজ্ঞান এ ইউনিটে প্রায় ১২ হাজার আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিবে ১ লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষার্থী। ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেবে ৪৫৬০ জন শিক্ষার্থী। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত মাভাবিপ্রবি ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ জানান মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ৪৫৬০ জন, বি ইউনিটে ২১২৯ জন ও সি ইউনিটে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এছাড়াও আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায়  ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাভাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

উল্লেখ্য মাভাবিপ্রবি জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে টাঙ্গাইল শহরের দুই প্রবেশদ্বার (আশেকপুর বাইপাস ও রাবনা বাইপাস) থেকে বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। 

এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবির পরিবহন পরিচালক ড. মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম লিটন জানান, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ২৭ এপ্রিল, ৩ মে ও ১০ মে তারিখে নগর জলফৈ বাইপাস থেকে একটি বাস এবং রাবনা বাইপাস থেকে একটি বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে আসবে। ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারিত দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ট্রিপ বন্ধ থাকবে। উল্লিখিত সময় ব্যতীত ছাত্র-ছাত্রীদের সব ট্রিপ পূর্বের ন্যায় অপরিবর্তিত থাকবে


আরও খবর



ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে অনীহা বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকায় প্রতি বছর যে পরিমাণ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় তার প্রায় অর্ধেকই পথচারী। সংখ্যার হিসাবে বছর শেষে যা ২৫০ থেকে ২৮০। সড়কে বেপরোয়া বাহনের পাশাপাশি সমানতালে বেপরোয়া পথচারীও। যত্রতত্র পারাপার আর ফুটওভার ব্রিজে অনীহা বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা। তবে ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়ক আর ফুটপাতের অব্যবস্থাপনা উসকে দেয় এমন দুর্ঘটনা। নগর কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী করছে অসচেতনতাকে।

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩- খবরের এমন শিরোনাম যেন নিত্যদিনের। বলতে গেলে প্রতিদিনই এই নগরের কোথাও না কোথাও ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

তবু থামছে কই। কারণে অকারণে নানা অজুহাতে একটু সময় বাঁচাতে প্রাণ হাতে নিয়েই পাড়ি দিচ্ছে নগরের পথ। যেনো দুই এক মিনিট সময় বাঁচিয়েই করা যাবে বিশ্বজয়। সবই জানা, তবু যেনো মানতে মানা।

পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছর অর্থাৎ প্রতি ৩৬৫ দিনে পাঁচ থেকে সাড়ে ৫০০ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে অবার করার মতো তথ্য হচ্ছে এর ৪৭ থেকে ৪৯ ভাগই পথচারী। অর্থাৎ চলার পথে পেছন থেকে ধাক্কা কিংবা সড়ক পারাপারেই প্রাণ রাজধানীতে ঘটছে অধিকাংশ দুর্ঘটনা। এরপরেই ২৪ ভাগ দুর্ঘটনার কারণ পেছন থেকে ধাক্কা যা বিশৃঙ্খল গণপরিবহনেরই চিত্র তুলে ধরে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, পথচারীদের সঙ্গে দুর্ঘটনার জন্য বেশিরভাব সম্পৃক্ত বাস-ট্রাকের মতো ভারী যানবাহনগুলো। অনুপাত হিসাব করলে ২২ থেকে ২৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেল আরোহী বা মোটরসাইকেল কেন্দ্রিক।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এমন দুর্গটনার অন্যতম কারণ রোড ইঞ্জিনিরয়ারিং। তার মানে গলদ আছে সড়ক ব্যবস্থাপনায়। তাছাড়া বেদল আর পথচারী বান্ধব না হওয়ায় ফুটপাত, পুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহারেও রয়েছে অনীহা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান বলেন, সড়ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলো আমাদের জন্য আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি ফুটপাতগুলোও পথচারী বান্ধব নয়।

তবে নগর কর্তৃপক্ষ সরাসরি দায়ী করছে অসেচতনাকে। বলছে, কাজ করতে হবে সব পক্ষের সচেতনতায়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে হঠাৎ করেই রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড় দেয়। শর্টকাট করলে কিন্তু হবে না। গাড়ির চালক ও পথচারী সবাই নিয়ম মেনে চললে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অনেকখানি রক্ষা পাওয়া যাবে। দেশে মোট সড়ক দুর্ঘটনার ২৩ ভাগই হয় শহরে। আর তার ৭৪ ভাগই রাজধানী ঢাকায়।


আরও খবর



ঢাকায় প্রথম রিকশা প্রচলনের ইতিহাস এবং দেশে দেশে রিকশার বৈচিত্র্যময় নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে রিকশা প্রচলনের কথা জানা যায়। রিকশা শব্দটি জাপানি, যা জিনরিকিশা থেকে আগত। জিন শব্দের অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি, শা অর্থ বাহন। একসঙ্গে অর্থ দাঁড়ায় মানুষ্য শক্তি দিয়ে চালিত বাহন। 

মূলত উনিশ শতকের শেষে চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় রিকশার উত্থান। রিকশার প্রচলন প্রথম কে করেন, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের সিমালয়ে মিশনারি হিসেবে কাজ করা মার্কিন নাগরিক জোনাথন স্কোবি এর উদ্ভাবন করেন। 

তখনকার রিকশাগুলো তিন চাকার ছিল না। দুই দিকে দুই চাকা আর সামনের চাকার বদলে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো এটি ঠেলে নিয়ে যেত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে জাপানে রিকশা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও এখন জাপানে রিকশার প্রচলন নেই।

বাংলাদেশে রিকশা জাপান থেকে আসেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের পরে বাংলাদেশে রিকশার আগমন। বিশ শতকের শুরুর দিকে অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় রিকশার প্রচলন শুরু হয়। একই সময় বার্মার রেঙ্গুনে রিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

ধারণা করা হয় ১৯১৯ বা ১৯২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে রিকশার আগমন বার্মার রেঙ্গুন থেকে চট্টগ্রাম হয়ে। যদিও ঢাকায় এর আগমন ঘটে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা নিয়ে আসেন। অনেকের মতে, ঢাকায় রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয় ১৯৪৪ সালের দিকে।

অন্য সূত্র হতে জানা যায়, ঢাকায় প্রথম রিকশা আসে ১৯৩৬ বা ১৯৩৭ সালে। সেই সময়ে চন্দননগর এলাকায় ছিল ফরাসি উপনিবেশ এবং তাদের প্রভাব। তখনই ঢাকার মৌলভীবাজারের দুজন সেখান থেকে নিয়ে আসেন দুটি ‘সাইকেল রিকশা’। এই দুই রিকশার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। 

ব্যবসার জন্য রিকশা আনা হলেও প্রথমদিকে তা সুখকর হয়নি। ব্যবসা জমাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। কারণ অন্যের ঘাড়ে চেপে চলতে লোকেরা প্রথমে লজ্জা পেতো। কেউ রিকশায় চললে রাস্তার ছেলেরা পিছনে ছুটত।মৌলভীবাজারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অনেকেই রিকশা আমদানি করতে থাকেন। সেই সময়ে একজন রিকশাচালক দিনে ৩টাকা থেকে সাড়ে তিন টাকা উপার্জন করতেন।

চাহিদা বাড়ছে দেখে ঢাকার মিস্ত্রীরা নিজেরাই রিকশা বানানোর কাজ শুরু করে। যেসব মিস্ত্রীরা আগে সাইকেল সারাইয়ের কাজ করতো তারাই এ কাজ শুরু করে। স্থানীয় মুসলিম এবং বসাকরা এই কাজে পারদর্শী ছিলো। 

অল্প সময়েই তারা নতুন জিনিস আয়ত্ব করে নিতেো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রিকশা তৈরির কাজ ব্যাপকভাবে চলতে থাকে। কারণ তখন বাইরে থেকে রিকশা আনা সম্ভব ছিল না। পরে শুরু হয় ওই রিকশায় বাহারি রঙ করে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ।

১৯৪১ সালে ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১টি। বর্তমানে ঢাকাতেই ৩ থেকে ৭ লাখ রিক্সা রয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ঢাকায় কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রিক্সা চলাচল করে।

ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষ রিক্সায় চলাচল করে।রিকশার আকার, গঠন বিভিন্ন রকম হওয়ায় দেশভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। চীনে সানলুঞ্চে, কম্বোডিয়ায় সিক্লো, মালয়েশিয়ায় বেকা, ফ্রান্সে স্লাইকো নামে রিকশা অধিক পরিচিত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি পেডিক্যাব নামেও পরিচিত। 


ছবি: জাপানী রিকশা (আনুমানিক ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)


আরও খবর