Logo
শিরোনাম

আতঙ্কের নাম চট্টগ্রামের নালা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

চট্টগাম নগরীর সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম নালা। সামান্য বৃষ্টি কিংবা ভারি বর্ষণে তলিয়ে যায় শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি। খাল, নালা, ময়লা-আর্বজনায় পরিপূর্ণ থাকায় এবারও বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী রেহাই পাবে না বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করে দেখা যায়, নগরীর ফুলতলা এলাকায় ময়লা-আর্বজনায় ভরে গেছে পুরো খাল। নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার ত্রিপুরা খালের চিত্র একই। ভরাট হতে হতে ময়লা-আবর্জনায় খালের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নূর নগর হাউজিং এলাকার খালগুলো ভরাট হয়ে আগাছা জন্মে রীতিমতো ঝোপঝাড় হয়ে গেছে। রহমান নগরের খালের চিত্র আরও ভয়াবহ। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় পানি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ।

শুধু বড় খালগুলো নয়, নগরীর দুই নম্বর গেট কিংবা বহদ্দারহাট এলাকার রাস্তার পাশের বড় নালাগুলো ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এবারও জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী এস এম শহীদুল আলম জানান, বর্ষার আগে খালগুলো পরিষ্কারের কথা ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ খালে ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে নগরীর মানুষজন কষ্ট পাচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা শুরু হলে কী অবস্থা হবে, সেটি কল্পনাই করা যায় না।


এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নগরীর ৩৬টি বড় খাল পরিষ্কারে সিটি করপোরেশনের এখতিয়ার নেই বলে জানান প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আবুল হাশেম।

তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলায় খালগুলোর দায়িত্ব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। কাজ শেষ হয়ে বুঝিয়ে দিলে তখন সিটি করপোরেশন নিয়মিত কাজ করতে পারবে। 

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ না হওয়ায় সময়সীমা বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এবার আরও এক দফা সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আমদানি হচ্ছে চার কোটি ডিম

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চার প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়।


সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

সম্প্রতি ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়বে ১২ টাকা। একই সঙ্গে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া কথাও বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।


বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চারটি প্রতিষ্ঠান ডিম আমদানির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।

মন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রতিক্রয়ায় ব্যবসায়ী ও পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, ডিমের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এ দামে বিক্রি করতে হলে খামারিদের উৎপাদন খরচ, পাইকারি, আড়তদার এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা কে কত লাভে বিক্রি করবে তা নির্ধারণ করা উচিত ছিল।

ডিমের দাম নির্ধারণকে স্বাগত জানালেও আমদানির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ডিম আমদানি করলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। পরে আরও বেশি দামে ডিম খেতে হবে।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




আশিয়ান সম্মেলন শেষে সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসিয়ানের ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগদান শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানাসহ সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি শুক্রবার সকালে জাকার্তার সূকর্ণ হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে।

ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী আরিফিন তাশরিফ বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।

আসিয়ানের চেয়ার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বিশেষ আমন্ত্রণে আসিয়ান এবং ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগ দিতে ৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়া যান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আসিয়ান ও ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগদানের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।


আরও খবর



মহান সাধক সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী (রহ.)

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

অধ্যাপক ড. এস. এম. রফিকুল আলম : আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে খলিফা হিসাবেই প্রেরণ করেছেন। মানুষের প্রতি আল্লাহর খলিফা বিশেষণের মাহাত্ম্য যথাযথ অনুধাবন না করার কারণে আল্লাহর গুণ ও মানুষের যোগ্যতার মধ্যকার ব্যবধান একাকার করে গোলিয়ে ফেলি এবং কথায় কথায় শিরক-বিদআতের ফতোয়া দিই। আল্লাহর নিরানব্বই বা ততোধিক গুণবাচক নাম যেমন, সত্য ও বাস্তব; সে গুণবাচক নামের প্রতি আমাদের ঈমান যেমন যথাযথ থাকা আবশ্যক তেমনি মানুষ নামক সৃষ্ট জীব দুনিয়াতে আল্লাহর খলিফা (প্রতিনিধি) সেটাও সত্য। খলিফা হিসাবে দুনিয়াতে মানুষকে মেনে নেয়াও ঈমানের অংশ।

ইবলিশ মানুষকে দুনিয়াতে খলিফা হিসাবে মেনে সিজদা না করাতে অভিশপ্ত হয়েছে।
আল্লাহ কে? আল্লাহপাক হচ্ছেন তাঁর নিরানব্বই বা ততোধিক গুণে অসীম শক্তির অধিকারী। আল্লাহর পবিত্র জাত ও গুণের অস্তিত্বকে অকপটে সন্দেহাতীতভাবে স্বীকার করা একজন মুমিনের জন্য ঈমানের প্রধান শর্ত। কোন মানুষ আল্লাহর পবিত্র জাত কিংবা গুণের কোন একটিকে অস্বীকার বা সন্দেহ করলে তাকে ঈমানদার বা বিশ্বাসী বলা যাবেনা। মানুষ সৃষ্টি করা না হলে কিন্তু এ বিশ্বাসের প্রতিফলন সম্ভব ছিলনা। কেননা আল্লাহ নিরাকার, আল্লাহকে দেখা, কল্পনায় চিত্রায়িত করা, তাঁর গুণের বাস্তব চিত্রায়ণ মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। নিরাকার আল্লাহর অস্তিত্ব বা গুণ কোনটাই মানুষের পক্ষে বাস্তবে বিশ্বাস করাও সম্ভব ছিলনা; যদিনা সে গুণ খলিফা তথা
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি। খলিফা বা প্রতিনিধির কাজ কি? পৃথিবীতে আল্লাহর কাজের আন্জাম দেয়াই প্রতিনিধির কাজ।

পৃথিবীতে আল্লাহর কাজ কি? আল্লাহর নিরানব্বইটি গুণই আল্লাহর কাজ। আল্লাহর খলিফাগণ পৃথিবীতে তাঁর নিরানব্বই গুণের প্রতিফলন ঘটাবে।

তাহলে কি তারা আল্লাহ হয়ে গেল ? নাউযু বিল্লাহ। খলিফা আল্লাহ হতে যাবেন কেন? খলিফা তো সৃষ্ট আলাদা সত্তা। খলিফার মধ্যে আল্লাহর গুণের প্রতিফলন তো আল্লাহ প্রদত্ত যোগ্যতা। যিনি যোগ্যতা দান করেছেন কৃতিত্বতো তাঁরই। খলিফার মধ্যে আল্লাহ গুণের প্রতিফলন তো কৃত্রিমভাবে। গুণের মৌলিকত্বতো আল্লাহর সাথে। সুতরাং বান্দার মধ্যে আল্লাহর গুণের বা আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিফলন মানলে বা বিশ্বাস করলে আল্লাহর সাথে বান্দাকে শরিক করা হবেনা বরং বান্দাকে আল্লাহর প্রকৃত খলিফা হিসাবে স্বীকার করা হবে।


খলিফার অর্থ বা সংজ্ঞার ব্যপারে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে খলিফা ও আল্লাহর মধ্যকার পার্থক্য নির্ণয় করার যোগ্যতা অর্জিত হয়না। যার ফলে বান্দা কখন শিরক করে আবার কখন ইবাদত করে তা আমাদের বোধগম্য হয় না। তাই আমরা যখন তখন, যাকে তাকে, যেখানে সেখানে, শিরকের ফতোয়া দিয়ে ফেলি। সুতরাং যে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকবে না সে বিষয়ে সাবধানে কথা বলা উচিত। আল্লাহর গুণের প্রতিফলন মানুষের মধ্যে অস্বিক্বার করলে দুনিয়া অর্থহীন হয়ে যাবে। মানুষ সৃষ্টির আসল রহস্যই অস্পষ্ট থেকে যাবে। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে আল্লাহর গুণের প্রতিফলনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। তাই কোন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কোন গুণের প্রতিফলন দেখার বর্ণনা দিলেই তিনি শিরক করেছেন বলে ফতোয়া দেয়া জগন্য অন্যায়। বরং দেখা উচিৎ তিনি কি ঐ মানুষকে আল্লাহর আসনে সমাসিন করছেন নাকি তাকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে স্বীকার করেই তাঁর গুণের বর্ণনা দিচ্ছেন। তাই যদি হয়, তাহলে তিনি তো আল্লাহর প্রিয় বান্দার খিলাফতকে স্বীকার করেছেন মাত্র। এতে তো তার ঐ বান্দার দোষের কিছু নেই। বরং তা আল্লাহ ও আল্লাহর বান্দার যোগ্যতা ও উদ্দেশ্যকে তুলে ধরেছেন।


এ তো গেলো আল্লাহর খিলাফত। এ খিলাফতের আহাল দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষ।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, “আল্লাহর খিলাফতও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফত কি এক? নাকি ভিন্ন ভিন্ন? এর উত্তর হচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন। কেন না, আল্লাহর খলিফা পৃথিবীর সব মানুষ- যাদের মধ্যে আল্লাহর নিরানব্বই গুণের প্রতিফলন আছে। এরা সবাই কিন্তু, আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের অনুসারী বা ওয়ারিশ নন। শুধুমাত্র তারাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খলিফা (প্রতিনিধি, উত্তরাধিকার-ওয়ারিশ) হবেন। যিনি আল্লাহকে ইলাহমেনে আনুগত্য স্বীকার করে, নিজের স্বাধীন সত্তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার আনিত দ্বীনের প্রতি সোপর্দ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর মধ্যকার আল্লাহ প্রদত্ত খিলাফতকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের প্রতি সোপর্দ করেছেন, কেবল মাত্র তার খিলাফতই আল্লাহর নিকট গৃহিত হবে, অন্যথায় হবে না। আমাদের সমাজের ওলামায়ে কিরামগণ যে কোন কারণে হউক না কেন আল্লাহর খিলাফত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফত কে একাকার করে ফেলার কারণে, কথায় কথায় শিরকের ফতোয়া দিয়ে থাকেন। এটা এক ধরনের অজ্ঞতা বৈ কিছু নয়।


আল্লাহর খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবার উপায় কি? সব মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা হলেও সবার খিলাফত কি আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, না? সবার খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। তা হলে কোন্ খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য, আর কোন্ খিলাফত নয়? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আল্লাহর খিলাফত যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের আলোকে হবে, তখন তাঁর খিলাফত (প্রতিনিধিত্ব) আল্লাহর নিকট গৃহিত হবে, অন্যথায় হবেনা। যাঁরা আল্লাহর খলিফা হয়ে আল্লাহর রাসূলের খিলাফতের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন আমার আজকের আলোচ্য ব্যক্তি হচ্ছেন তাদের অন্যতম।


নিম্নে হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের উপর কিঞ্চিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হলো। আমাদের হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার সাধারণ কোন খলিফা নন। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার উত্তরাধিকারও বটে। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার বংশধরদেরও একজন। তিনি সাধারণ অর্থে আল্লাহর রাসূলের খলিফা ছিলেন না; তিনি তাঁর যুগে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার আশেক ও জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিমলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের একনিষ্ঠ খাদেম হিসাবে বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আল্লাহর রাসূলের ক্বদম ব-কদম অনুসারী ছিলেন। তিনি একমাত্র ওলি যিনি জাতিসংঘ নামক বিশ্ব দরবারে প্রিয়নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার শানকে সম্মানের সাথে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশে মিলাদুন্নবী উদযাপনের মত সাহসী কর্মসূচি বা বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি বিশ্বব্যাপী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা-বিশ্বাসকে বিশ্ব মুসলিম জনতার মধ্যে প্রতিস্থাপন করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি তাঁর যুগে মুজাদ্দিদের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।


তিনি আচরণের দিক থেকে অসম্ভব বিনয়ী, ভদ্র ও নম্র ছিলেন। তিনি হুবহু রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার পদাংক অনুসরন করতেন। তিনি মেহমানদারীতেও আল্লাহর রাসূলের সুন্নাতের অবিকল আদর্শ ছিলেন। তিনি নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিতেন। তাঁর চেহারা মোবারক ও আচরণ দেখলে আল্লাহর রাসূল ও তাঁর সাহাবীগনের কথা স্মরণ হয়ে যেত। তাঁর সুঠাম উজ্জ্বল দেহ, নূরানী চেহারা, পরনে ধবধবে সাদা লুঙ্গী বা পাজামা, গায়ে সাদা পাঞ্জাবী, মাথায় টুপী, ইত্যাদি মিলিয়ে যেই ব্যক্তিত্তের প্রকাশ ঘটত, তা সত্যিই অভাবনীয়। তাঁর পৌরুষ দীপ্ত ও বীরোচিত আচরণ যে কোনো ধর্মের কিংবা দলের- মতের লোককে কাবু করে ফেলত। তাঁকে দেখা মাত্র মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সবাই মাথা নত করে ফেলত। ভক্তবৃন্দ সুবোধ বালকের মত শান্তশিষ্ট নিবেদিত প্রাণ হয়ে যে কোনো হুকুম কালবিলম্ব না করে তামিল করতে কোনো রকম কুণ্ঠাবোধ করতো না। হুজুরের যে কোনো নির্দেশ তামিল করাকে নিজের জন্য সৌভাগ্য মনে করত।


তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত অকর্ষণ ক্ষমতা, উষ্ণ হে প্রবণতা, দায়িত্ববোধ, উন্নত জীবনাদর্শ, সেবামূলক মনোভাব, জ্ঞানপিপাসু মন, ভক্ত ও শাগরিদদের প্রতি মমত্ত, নৈতিক আদর্শ, মানষিক সুস্থতা, ধৈর্য, দৃঢ়চেতা মনোভাব, সমাজ সচেতনতা, ব্যক্তিগত অধিকার ও মর্যাদায় বিশ্বাস, নির্ভীকতা, দল মত জাতি নির্বিশেষে সবার প্রতি স¤প্রীতি ও সদ্ভাব সারা জীবন অক্ষুণœ ছিলো। তাঁর খোদাভীরুতা, রসুল-প্রেম, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন বলয়ে নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক সফলতা দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির দিশা হিসাবে ভূমিকা পালন করত। তাঁর উপস্থিতি যে কোনো মজলিশ বা অনুষ্ঠানকে নক্ষত্রের মত উদ্ভাসিত ও আলোকিত করত।


অনেক সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর বিশেষ বান্দাকে দিয়ে বিশেষ কোন গুণের বিশেষ প্রতিফলন ঘটিয়ে ঐ বান্দার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেন। উদ্দেশ্য ঐ বান্দার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা। যখন কোন মকবুল বান্দার মধ্যে এ ধরনের কোন গুণের অস্বাভাবিক প্রতিফলন ঘটে তখন সাধারণ বান্দার কাজ হচ্ছে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তাকে অনুসরণ করা। তাঁকে অবহেলা বা তাঁর সমালোচনা করা নয়। এতে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন। কারণ কোন বান্দার অস্বাভাবিক ঘটনা; কারামাত, অলৌকিক ঘটনা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছাতে ঘটে। এর দ্বারা হিদায়ত উদ্দেশ্য। গোমরাহী নয়। আমরা হেদায়তের পথেই থাকি। গোমরাহীর পথে নয়। ঈসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরা গোমরাহীর পথকে বেছে নিয়েছে। আমরা যেন তা না হই।


বান্দা যখন তাঁর দাসত্ব দ্বারা আল্লাহর অধিক নিকটে হয়ে যান তখন তাঁকে স্বাভাবিকতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দুনিয়বাসীর জন্য মডেল (আদর্শ) হিসাবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে তাঁকে দিয়ে তাঁর (আল্লাহর) শক্তির বিশেষ প্রদর্শন ঘটান। উদ্দেশ্য তাঁকে দুনিয়াবাসীর নিকট বিশেষ মর্যাদার আসনে আসীন করানো এবং অন্য বান্দাগণকে আল্লাহর দাসত্বে তাঁর অনুগত ও অনুসারী বানানো। অদূরদর্শিরা এটা গ্রহণে ব্যর্থ হয়। ফলে তারা তাঁর অনুগত হতেও বঞ্চিত হয়। অবশ্য কিছু সুবিধাবাদী এর জন্য দায়ী। যারা নিজেদের দুনিয়াবী সুবিধার জন্য আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের এ ধরণের অলৌকিক ঘটনাকে ব্যবহার করে নিজেদের দুনিয়াবী সুবিধা আদায় করে নেয়। তাঁদের ব্যাপারে সাবধান হওয়া প্রয়োজন আছে।
হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ অন্তরদৃষ্টির অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন মানুষকে দেখে তাঁর অন্তরের অবস্থা বুঝে নিতেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করতেন। অলি-আল্লাহগণের অন্তরদৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহর রাসূলের একটি পবিত্র হাদীস নিরূপ: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা তাঁর পবিত্র যবানীতে বলেন, উচ্চারণ: ইত্তাকু ফিরাসাতিল মুমিনি ফায়িন্নাহু ইয়ানজুরু বিনুরিল্লাহি

 

(অর্থাৎ, তোমরা মুমিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন।) পুরা হাদিছটি নিম্নরূপ:


উচ্চারণ: আন আবি সাঈদিল খুদরী ক্বালা ক্বলা রাসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইত্তাকু ফিরাসাতিল মুমিনি, ফায়িন্নাহু ইয়ানজুরু বিনূরিল্লাহি ছুম্মা ক্বারা আ- ইন্না ফী জালিকা লাআইয়াতিল লিল মুতা ওয়াস সিমিন। অর্থাৎ, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইরশাদ করেছেন, তোমরা মুমিনগণের অন্তরদৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন। ইমাম তিরমিযী রহমাতুল্লাহি তায়ালা আলাইহি তাঁর সহীহ গ্রন্থের ৩১২৭ নম্বরে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।


আমার আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট ছোট্ট একটি ঘটনার বিবরন দিয়ে আমার লেখার ইতি টানবো। চট্টগ্রামস্থ আল্লামা রুমী সোসাইটির একটি তাসাউফের প্রোগ্রামে হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন। সময়টি ছিল রমজান মাস। উক্ত তাসাউফের প্রোগ্রামে অন্যান্য সদস্যদের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড.গিয়াসুদ্দীন তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজকে কৌতুহলের বসে ভালোভাবে অনুধাবন করছিলেন।

 

 হুজুর কেবলা সাধারণ ইফতারী গ্রহণে মাজুর ছিলেন বিধায় তিনি নিজ বাসা থেকে নিজের ইফতারী নিয়ে এসেছিলেন। তাও আবার অসাধারণ কিছু নয়; দুধ-ছিড়া-কলা মাত্র। উক্ত ধরনের খাবার বর্ণিত প্রফেসর সাহেবেরও প্রিয় ছিল। তিনি খাবারের লোভে নয়; বরং কৌতুহলী হয়েই হুজুর কেবলার দিকে একটু দৃষ্টি দিয়েছিলেন। কিন্তু এতেও হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের দৃষ্টি এড়ায়নি। তিনি তাঁর অন্তরদৃষ্টি দিয়ে উল্লেখিত প্রফেসর সাহেবের মনের অবস্থা দেখে ফেলেন, তাই তিনি তাঁর বাসা থেকে আনিত ইফতারি অল্পকিছু খেয়ে বাকী সবটুকু প্রফেসর সাহেবকে দিয়ে খাবার অনুরোধ করেন। প্রফেসর সাহেব হুজুর কেবলার এহেন উদার আচরণ দেখে কিছুটা অবাক হন। অন্যরা তাঁকে বাহবা দিয়ে বলেন, আপনার জীবন ধন্য। আমরা যা পাওয়ার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষায় থাকি, আপনি তা সৌভাগ্য বসত: পেয়ে গেলেন। এ ছোট্ট ঘটনাতে হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের উদারতা, ইছার ও অন্তরদৃষ্টিসম্পন্ন হবার প্রমাণ পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাঁর অলিগণের ব্যাপারে সতর্ক হবার তৌফিক দান করুন।

 

লেখক : আরবী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


আরও খবর



নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাট, স্বজন প্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না থাকা সহ ডজন খানেক অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম এর বিরুদ্ধে। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

কলেজ এর সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জাারি (ডিএইচএমএস) পেশাজীবী পরিষদের ২৫ সদস্যের স্বাক্ষরিত ঐ লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কলেজের অনুমোদনের পর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৮শ' ৪৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ও মাসিক বেতন বাবদ জমা নেওয়া টাকা থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এছাড়া কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ও প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে ২ লাখ করে টাকা আদায় করা টাকা ও শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নামে সংগ্রহ করা প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেন আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত। কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাটের বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্বেও কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বজন প্রীতির অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াতের বিরুদ্ধে। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অনুমোদিত নিয়োগ পেলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়া বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। তার স্বজন ও পছন্দের শিক্ষক কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেলেও অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ৪৪ থেকে ৫৭ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বেতন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও ঐসব শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুতি করা ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগকারী ও কলেজ সংলগ্ন নওগাঁ পৌর সভার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, স্বজন প্রীতি আর অনিয়ম কাকে বলে তার চূড়ান্ত উদাহরণ হলো নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার বাবা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা হলেও এবং কলেজের নামে এক খন্ড জমি দান না করলেও তাকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া তার শালিকা হাফিজা আক্তার ও ভায়রা রুহুল আমিন কে প্রভাষক হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া তার চাচা শ্বশুরের ছেলে কামরুল ইসলাম কলেজ এর প্রশাসনিক শাখার একটি পদে চাকরি করেন। বলা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। অহিদুজ্জামান নামে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রভাষক অভিযোগ করেন, কলেজ এর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি ঐ কলেজে প্রভাষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কলেজ অনুমোদনের পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৬৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তার। বার বার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেও তা পাননি। উপরোন্তু চলতি মাসের জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে জানান, তাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। তার কলেজে আসার প্রয়োজন নেই। অহিদুজ্জামান বলেন, আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কাগজ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। অথচ আমাকে কলেজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৭ লাখ টাকার উপরে বকেয়া বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না। এ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অহিদুজ্জামানের মতো আরো ৪ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত শামীম  বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কলেজ এর কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় কলেজ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাদের বহিষ্কার করেছেন। 

বহিষ্কৃত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম জাকির হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লোকবল সংকটের কারণে সব জায়গায় ঠিকমতো তদারকি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সারাদেশে ৪৫-৪৫টি টিম আমাদের অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। ১৭টি জেলায় আমরা কোনো অফিসার দিতে পারিনি।

 ২ অক্টোবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, যেখানে জেলায় ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি সেখানে উপজেলা পর্যায়ে সেই সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে কাজ করছি।

আমাদের আইনেরও কিছু দুর্বলতা আছে, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আইন যতই স্ট্রং হোক, আমাদের জনবল যদি ১০ গুণও বৃদ্ধি হয়, তারপরও কাজ হবে না, যতক্ষণ না আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে অ্যাঙ্গেস্ট করতে পারব। ভোক্তারা যতক্ষণ তার অধিকার আদায়ে সচেষ্ট না হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেলা-জমিমানা বা শান্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজা-পার্বণ বা কোনো উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না।

কিরন বলেন, যোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে চাহিদা বাড়লে মূল্য বৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে দেশে এখনো অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছায়া সংসদের আদলে এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। গত ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনাল ও গ্রান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।


আরও খবর

কমেনি পেঁয়াজ আলু ডিমের দাম

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩