Logo
শিরোনাম

বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুলাই 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম :

বৈশ্বিক মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারা‌ বিশ্বেই সবকিছুর দাম বে‌শি। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। তাই আমাদের ভোক্তাদের এবং ব্যবসায়ীদের উভয় পক্ষের যৌথভাবে কাজ করে যেতে হবে। যাতে বাজারে পণ্যর দাম স্বাভাবিক থাকে। ভোক্তাদের কোনো গুজবে কান দেয়া যাবে না। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে অনেক সময় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তাই আমাদের সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বাজার সিণ্ডিকেট করা যাবে না এ সম্পর্কে ইসলামেও নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা হল, বাজারে পণ্য স্বাধীনভাবে প্রবেশ করবে। কালোবাজারি বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হয়। কালোবাজারি সরাসরি প্রতারণা, জুলুম ও আর্থিক অস্বচ্ছতা প্রকাশ করে। তাই ব্যবসায়ীদের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। সমাজে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ কাজ করে যাচ্ছে। তাই তাদেরকে অনুরোধ করবো সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বাজারে কালোবাজারি বা সিণ্ডিকেট বন্ধ করুন। 

চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে অনেক ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এসব পণ্যের বেশির ভাগই আমদানি নির্ভর। ডলার সংকটের কারণে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। এ কারণে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রায় ২৫ বা তার বেশি শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। তাই ডলারের সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংককে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিদিনই পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। আমাদের জীবনে অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দরকার; চাল, তেল এবং পেঁয়াজ তাদের মধ্যে অন্যতম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রমজানে তেল, মসুর, পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের চাহিদা বাড়বে। যেমন, ভোজ্যতেলের চাহিদা দেড় লাখ টন যেখানে রমজানে এ চাহিদা দাঁড়ায় তিন লাখ টনে।

একইভাবে মাসিক চিনির চাহিদা দেড় লাখ টন থেকে বেড়ে তিন লাখ টনে এবং খেজুরের চাহিদা ৫ হাজার টন থেকে বেড়ে ৫০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের দামও বাড়বে। ফলে ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। তাই রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায়,সাধারণ ভোক্তাদের অনেক সমস্যা হতে পারে।

ভোক্তার ওপর চাপ কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা যেতে পারে। আর কী কী বিকল্প আছে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত। উদাহরণস্বরূপ,সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকা উচিত যাতে কোনো ক্রেতা একবারে এক মাস বা তার বেশি পণ্য কিনতে না পারে। ক্রমবর্ধমান ডিম,মুরগী,ও তেলের দাম বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় এক হাজার টাকা, যা আগে ছিল ৫১০ বা ৫৩০ টাকা।

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। গরিব মানুষের কথা ভাবার সময় নেই তাদের। কোনো দ্রব্যের দাম একবার বাড়লে আর কমে না। এটি এখন একটি সাধারণ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কাম্য। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সতর্ক থাকতে হবে।

উচ্চমূল্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রয়ক্ষমতার অক্ষমতার কারণে কিছু পরিবার প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারে না। তবে এ অবস্থার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকা এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফাকে দায়ী করছেন সাধারণ ক্রেতারা। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলার প্রতিটি বাজারে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে।

সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নেই। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলেরও। জাতীয় ভোক্তা সুরক্ষা অধিদপ্তরের নৈতিক দায়িত্ব অবশ্যই যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সরকারি কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সক্রিয় হতে হবে। আপনি যদি বিভিন্ন বড় বাজার জরিপ করেন,আপনি দেখতে পাবেন কিভাবে রমজান মাসে পণ্যের দাম ওঠানামা করে। রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে ও পরে দামের পার্থক্য বেশ বড়।

রমজান শুরু হলেই আমাদের দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যায়; এটা নতুন নয়। তবে অন্যান্য দেশে উৎসবের সময় দাম কমানো হয় বলে শুনেছি। রমজানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পণ্যের দাম কমানো হয়। তাছাড়া বড়দিনে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় বাজারে। কিন্তু আমাদের দেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। রমজান এলেই আমাদের দেশের খুচরা, মাঝারি, বড় ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের পকেট কাটার উৎসবে মেতে ওঠেন। অর্থাৎ ব‌্যবসায়ী‌দের সং‌যমী হতে হবে এবং অল্প করে লাভ করুন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত তদারকি করতে হবে। রমজান আসার আগে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও অভিজ্ঞতা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সহজেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে প্রচুর মুনাফা করতে পারে। যা মোটেও যৌক্তিক নয়। অধিকন্তু, বেশিরভাগ ভোক্তা আসল এবং নকল পণ্যের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। ফলে তারা প্রায়ই সমস্যায় পড়েন। তাই ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং প্রচুর প্রচার করা উচিত যাতে সাধারণ নাগরিকরা কীভাবে সঠিক পণ্য কিনতে হয় সে সম্পর্কে সচেতন হন। কোনো অন্যায় দেখলে ক্রেতাদের প্রতিবাদ করতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত যে কোনো নীতি-নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে যাতে তারা তাদের অধিকার প্রকাশ করতে পারে। বৈশ্বিক সংকটে ভোক্তাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। 

অতীতে রমজানকে সামনে রেখে টিসিবি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি শুরু করে। এ বছরও টিসিবি এ উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সাধারণ ভোক্তাদের অনেক উপকার হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সব সিটি কর্পোরেশনের অধীনে প্রতিটি এলাকায় ডিলার এবং ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে পণ্য বিক্রি করা একান্ত জরুরি। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সরকারকে এগিয়ে আসে সর্বদা কিন্তু আমাদের সচেতন হতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের উচিত হবে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতি না করা। বরং ভোক্তাদের স্বার্থে সরকারকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ময়মনসিংহ।


আরও খবর



নাবিকদের নিয়ে আমিরাতের বন্দরে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

সোমালিয়ান জলস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি।

এসময় নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। এছাড়াও ১৫ সদ্যের প্রতিনিধি দলে আছেন কেএসআরএম (কবির) গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান আরাফাত।

এর আগে, রোববার (২১ এপ্রিল) এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়।

কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু এই মুহুর্তে তারা চাইলে বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।

জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, এখন জাহাজের কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে ‍উঠে নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেলে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি তারা ছেড়ে দেয়।


আরও খবর



পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

লোকসভার পরের ধাপের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে মহরাষ্ট্রে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে। শনিবার (৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও ভারত সরকার সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে।

এদিকে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।


আরও খবর



৯ মে থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওয়ানা দেবে ৯ মে। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে হজের প্রথম ফ্লাইটের তারিখ ঘোষণা করা হলেও চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা হয়নি। দ্রুত এই শিডিউল যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছর ঈদের একমাস আগে থেকেই শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। অথচ এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।


আরও খবর



খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, এ বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজ যাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

ধর্মমন্ত্রী জানান, হজ যাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ্জ পালন করতে পারেন সে বিষয় তৎপর রয়েছে সরকার। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক প্রক্রিয়াগুলো আরও কিভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমান বন্দরে, সৌদি আরবে হজ্জের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজ যাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হজ যাত্রীদের সব ধরনের দায়িত্ব ও সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।


আরও খবর



রণক্ষেত্র রাফায় মুখোমুখি ইসরায়েল- হামাস

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ উপেক্ষা করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবার (১০ মে) রাফাহর পূর্বাঞ্চল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। পূর্ব ও পশ্চিম রাফাহকে পৃথককারী মাঝামাঝি সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দখলদার বাহিনী। তাদের প্রতিহত করতে এবার সর্বাত্মক লড়াইয়ে নেমেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসও।

ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, গাজার মাটি থেকে হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে হলে তাদের রাফাহতে অভিযান চালানো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। আর হামাসও বলেছে, তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধে পরাজিত করবে। এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের শেষ চেষ্টাও ভেস্তে গেছে। হামাসের শেষ প্রস্তাবও মেনে নেয়নি ইসরায়েল।

রাফাহর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রায় সারাদিন রাফাহর পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে হামাস। রাফাহর সমরে হামাসের সঙ্গ দিচ্ছে ইরাক-সিরিয়াভিত্তিক ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারাও।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে একটি মসজিদের কাছে একাধিক ইসরায়েলি ট্যাংকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা। এতে বোঝা যাচ্ছে, রাফাহ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক।

এদিকে ইসরায়েলের এই রাফাহ অভিযানের কারণে পুরো গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম কয়েক দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বেপরোয়া এ অভিযান থেকে সরে আসার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে বিগত কয়েকদিনে বেশ কয়েক দফায় কঠোরভাবে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অন্য ঘনিষ্ঠ মিত্ররা। কিন্তু তাতেও অনড় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু; ঘোষণা দিয়েছেন, মিত্ররা পাশে না দাঁড়ালে প্রয়োজনে একাই রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাবে তার বাহিনী।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদেরকে যদি একাই দাঁড়াতে হয়, তাহলে আমরা একাই দাঁড়াব। প্রয়োজনে আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমরা জানি আমাদের আঙুলের নখের চেয়ে অনেক বেশি কিছু আছে। তার কথামতো ইতোমধ্যে রাফাহতে অভিযান এগিয়ে নেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছে দখলদার রাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।

টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা দশ লাখেরও বেশি মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ছিল এ রাফাহ শহর। কিন্তু যুদ্ধের এ দামামায় শেষ আশ্রয়স্থলটুকু ছেড়ে আবারও অনিশ্চিত গন্তব্যে ছুটতে শুরু করেছেন অসহায় ফিলিস্তিনিরা।

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, এরই মধ্যে ত্রাণের মজুদ ও সরবরাহ কমে এসেছে। সেইসঙ্গে জ্বালানি ও খাদ্যের মজুদও কমে আসছে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী হামিশ ইয়াং বলেছেন, পাঁচদিন ধরে কোনো জ্বালানি ও মানবিক সাহায্য গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেনি এবং আমরা বন্দুকের নলের মুখে বসবাস করছি।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ থেকে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, হাজারে হাজারে ফিলিস্তিনিরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার (১০ মে) ইউএনআরডব্লিউএ এক্সে এক পোস্টে বলেছে, রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ জোরদার হওয়ার পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তার খোঁজে লাখো মানুষ পালিয়ে গেলেও তাদের জন্য প্রকৃতপক্ষে কোথাও নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই।

হামিশ ইয়ং আরও বলেন, রাফাহর লোকজন খুব ক্লান্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধের ফলে গাজার বাসিন্দাদের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে হেঁটে হেঁটে স্থানান্তরিত হওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি তাদের শরীরে নেই। হেঁটে যাওয়া ছাড়া বেশিরভাগের ক্ষেত্রে আর কোনো উপায়ও নেই। এদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে, রয়েছে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে পঙ্গুত্ব বরণ করা এবং অপুষ্টিতে ভোগা অসংখ্য মানুষ।

রাফাহর পশ্চিমে তেল আল-সুলতানের বাসিন্দা আবু হাসান রয়টার্সকে বলেন, আমাদের জন্য আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই, কারণ সব জায়গায় ট্যাংকের গোলা এসে পড়ছে। আমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু আমার পরিবারের জন্য একটি তাঁবু কিনতে আমি দুই হাজার শেকেল জোগাড় করতে পারছি না।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো ইতোমধ্যে দক্ষিণ থেকে পূর্ব রাফাহ বন্ধ করে দিয়েছে, গাজা ও মিশরের মধ্যে একমাত্র ক্রসিংটিও দখল করে বন্ধ করে দিয়েছে তারা। শুক্রবার সালাহউদ্দিন রোডের দিকে গাজা উপত্যকাকে ভাগ করে রেড জোন ঘেরাও সম্পন্ন করেছে দখলদার বাহিনী। ফলে রাফাহ থেকে বাসিন্দাদের বের হয়ে যাওয়ার প্রায় সব পথ আক্ষরিক অর্থে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, হামাস নির্মূলের নামে গত সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সব বাসিন্দাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর