মোঃ মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁও ঃ
এ যেন সবুজ গালিচার বুকে সাদা, বেগুনী রঙের এক আলপনা। দৃষ্টির সীমানাজুড়ে ফুটে আছে অজস্র সাদা, বেগুনী রঙের কচুরি ফুল। চোখ জুড়ানো অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ না হয়ে যেন কারো উপায় নেই। এ যেন চৈত্রের সেতারে বাজে বসন্তের বাহার। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বাদমেছিল( ভাজাখোয়া )গ্রামের পুকুরে পাড়ে বিস্তৃত মাঠে চৈত্রের নির্মল নীলাকাশের নিচে এমন নান্দনিক শোভা বিরাজমান। এমন অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে প্রকৃতি পিপাসু মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, এ যেন এক ছবির অপরূপ ক্যানভাস। বাতাসের তরঙ্গের সাথে খেলা চলছে কচুরি সাদা বেগুনী রঙের ফুলের। চোখের মিতালী আর মনের ভাব এখানে যেন নিজ নিজেই কথা বলছে। একজন মা তার ছোট শিশুকে খেলা করার জন্য কচুরি ফুল তুলে দিচ্ছেন। শিশুগুলো ফুল নিয়ে মনের আনন্দে খেলা করছে আর হাসছে। এ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ হাসছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণরা এসে মেলে ধরা কচুরি ফুলের পাপড়ি জড়িয়ে ফ্রেম বন্দি করছেন নিজেকে। অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে আসা মাজহারুল ইসলাম রবিন বলেন, এই চৈত্র মৌসুমে তুরাগ নদের পানি অনেক কমে যায়। কিছু জমিতে চাষাবাদ করা হয় আর কিছু জমি পতিত থাকে। পতিত থাকা জমিতে ফুটেছে কচুরি ফুল। এক পাশে ধানক্ষেত আরেক পাশে কচুরি ফুল, যা দেখতে দারুণ লাগছে। প্রকৃতিপ্রেমীরা বিকেল বেলা ছুটে আসেন এখানে গ্রামের ছেলে মেয়েরা সাদা বেগুনী রঙের অপরুপ দৃশ্য দেখতে। মোঃ গোলাম রব্বানী বলেন, শিশুরা কচুরির ফুল দিয়ে খেলতে ভীষণ ভালোবাসে। কচুরি ফুলের দৃশ্য শৈশবের ফেলে আসা দুরন্তপনার কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়। কচুরি ফুলে তেমন কোনো সুবাব না থাকলেও এর নজর কাড়া সৌন্দর্যই প্রকৃতিপ্রেমীদের পাগল করে। তাই গ্রামের ছেলে মেয়েরা একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি দূর করতে এখানে এসে কচুরি ফুলের সৌন্দর্য দেখে মিটতে পারে দৃষ্টি ও মনের তৃপ্তি।